× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
The sale of TCB products at subsidized prices has started again
google_news print-icon

আবার শুরু টিসিবির পণ্য বিক্রি

আবার-শুরু-টিসিবির-পণ্য-বিক্রি
ট্রাকে করে কম দামে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। ফাইল ছবি
টিসিবি থেকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা কেজি, মসুর ডাল ৬৫ টাকা ও পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে কিনতে পারবেন ভোক্তারা।

পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের কষ্ট লাঘবে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের সাশ্রয়ী মূল্যে আবারও পণ্য বিক্রি শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ বা টিসিবি দেশের উপজেলা পর্যায়ে এই পণ্য বিক্রি করবে।

অবশ্য কম দামে পণ্য দিতে সরকার ফ্যামিলি কার্ড চালু করেছে। ঢাকার বাইরের এলাকাগুলোতে আগস্টের প্রথম দিন বা সোমবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

টিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এবার টিসিবি কার্ডধারীরা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।

টিসিবি থেকে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা কেজি, মসুর ডাল ৬৫ টাকা ও পেঁয়াজ ২০ টাকা দরে কিনতে পারবেন ভোক্তারা।

অবশ্য পেঁয়াজ বিক্রি হবে শুধু সিটি করপোরেশন এলাকা ও টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে।

বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি জানায়, সারা দেশে অবশ্য একই সময়ে পণ্য বিক্রি হবে না। সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলাগুলো সময় জানিয়ে দেবে।

সরকার কম দামে পণ্য বিক্রি করতে দেশের এক কোটি মানুষকে সুবিধাভোগী ফ্যামিলি কার্ড দেয় সরকার।

এসব নিম্ন আয়ের মানুষ ভর্তুকি মূল্যে চাল, ডাল, চিনি, তেল, পেঁয়াজের মতো কিছু পণ্য কিনতে পারেন।

অবশ্য এবার আগের মতো ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করবে না টিসিবি। এবার সংস্থাটি নির্দিষ্ট ডিলারের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে।

গত মার্চ থেকে সরকার নিম্ন আয়ের এক কোটি মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির মাধ্যমে এসব পণ্য বিক্রি শুরু করে।

আরও পড়ুন:
যশোরে কাল থেকে ফের শুরু টিসিবি পণ্য বিক্রি
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড: অনিয়মে জড়িত নারী কাউন্সিলর
টিসিবির পণ্য শুধু ফ্যামিলি কার্ডে
তামাকপণ্যে কর সংশোধনের দাবি
খাদ্য মূল্যস্ফীতি এক যুগের সর্বোচ্চ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Three new advisers took oath

শপথ নিলেন নতুন তিন উপদেষ্টা

শপথ নিলেন নতুন তিন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে রোববার সন্ধ্যায় নতুন তিন উপদেষ্টাকে শপথ পাঠ করান। ছবি: বঙ্গভবন
নতুন উপদেষ্টারা হলেন- ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হলেন আরও তিনজন। রোববার সন্ধ্যায় তারা শপথ নিয়েছেন।

নতুন উপদেষ্টারা হলেন- ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। একইসঙ্গে তারা গোপনীয়তার শপথ নেন।

শপথ গ্রহণ শেষে নতুন তিন উপদেষ্টা শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ছিল ২১ জন। নতুন করে আরও তিনজন যুক্ত হয়ে সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ২৪ জন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি।

এরপর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় নিয়োগ পান ১৬ জন উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা ওইদিন শপথ নিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেন। পরে আরও চারজন উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারে যুক্ত হন।

এদিকে রোববার দিনভর চার থেকে পাঁচজন উপদেষ্টা শপথ নিচ্ছেন- মিডিয়ায় এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান যে নতুন করে তিনজন উপদেষ্টা শপথ নেবেন। তার ধারাবাহিকতাতেই অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন নতুন উপদেষ্টা যুক্ত হলেন। এবার তাদের দপ্তর বণ্টনের পালা।

আরও পড়ুন:
উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হচ্ছে তিন নতুন মুখ: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
গণঅভ্যুত্থানই অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা: আসিফ মাহমুদ
পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা
আকার বাড়ছে উপদেষ্টা পরিষদের, সন্ধ্যায় শপথ 
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
ACC notification for formation of search committee

দুদক সার্চ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন

দুদক সার্চ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন
দুর্নীতি দমন কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হককে সভাপতি করে চার সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন করেছে অন্তর্ভুক্তি সরকার।

রোববার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হককে সভাপতি করে চার সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি জুবায়ের চৌধুরী
দুদকের চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার পদত্যাগ করেছেন
নির্বাচন কমিশন গঠনে দ্রুত সার্চ কমিটি করবে সরকার
দুদক সংস্কারে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ চেয়েছে কমিশন
দুদকের ১০ পরিচালক ও ৪৮ উপ-পরিচালক পদে রদবদল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Three new faces are joining the Advisory Council Cabinet Secretary

উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হচ্ছে তিন নতুন মুখ: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হচ্ছে তিন নতুন মুখ: মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ রোববার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। ছবি: সংগৃহীত
শেখ আব্দুর রশীদ বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত শপথ গ্রহণ না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয় যে কারা নতুন করে উপদেষ্টা হচ্ছেন। কারণ শেষ মুহূর্তেও এটা রদবদল হতে পারে। আমরা বঙ্গভবনে যাব, ওখানে চূড়ান্ত হবে এবং আজ শপথ অনুষ্ঠিত হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন করে তিনজন যুক্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথ পড়াবেন।

রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ তথ্য জানালেও নতুন উপদেষ্টা হিসেবে কারা পরিষদে যুক্ত হচ্ছেন তা শপথের আগে জানাতে চাননি।

অবশ্য এর আগে খবর ছিল যে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন করে চার থেকে পাঁচজন সদস্য যুক্ত হচ্ছেন।

শেখ আব্দুর রশীদ বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত শপথ গ্রহণ না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয় যে কারা নতুন করে উপদেষ্টা হচ্ছেন। কারণ শেষ মুহূর্তেও এটা রদবদল হতে পারে। যেটুকু জেনেছি আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা বঙ্গভবনে যাব, ওখানে চূড়ান্ত হবে এবং আজকে শপথ অনুষ্ঠিত হবে।’

প্রধান উপদেষ্টাসহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে ২১ জন সদস্য রয়েছেন। নতুন করে আরও তিনজন যুক্ত হলে সদস্য সংখ্যা বেড়ে হবে ২৪ জন।

আরও পড়ুন:
আকার বাড়ছে উপদেষ্টা পরিষদের, সন্ধ্যায় শপথ 

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
41 79 percent of road deaths in October were due to motorbike accidents

অক্টোবরে সড়কে মৃত্যুর ৪১.৭৯ ভাগই মোটরবাইক দুর্ঘটনায়

অক্টোবরে সড়কে মৃত্যুর ৪১.৭৯ ভাগই মোটরবাইক দুর্ঘটনায়
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে সারাদেশে ৪৪৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ৪৬৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে ৭৪ জন নারী ও ৬৬টি শিশু রয়েছে। আর মোট ২০৮টি মোটরবাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৯৬ জন।

চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে ৪৪৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ৪৬৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮৩৭ জন। নিহতদের মধ্যে ৭৪ জন নারী ও ৬৬টি শিশু।

মোট ২০৮টি মোটরবাইক দুর্ঘটনায় ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা মোট মৃত্যুর ৪১ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং মোটরবাইক দুর্ঘটনার হার ৪৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এছাড়া ১০২ জন পথচারী (২১ দশমিক ৭৪ শতাংশ) এবং ৬৭ জন যানবাহন চালক বা তাদের সহকারী (১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ) নিহত হন।

এ সময় চারটি নৌ-দুর্ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু এবং তিনজন আহত হন। আর ২১টি রেল দুর্ঘটনায় ১৮ জন মারা যান এবং ছয়জন আহত হন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সংগঠনটি জানায়, নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন সংবাদ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং এর নিজস্ব রেকর্ডের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

যানবাহন অনুযায়ী মৃত্যুর হিসাব

যানবাহনের ধরন অনুযায়ী মৃত্যুর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোটরবাইক চালক বা যাত্রীদের মধ্যে ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে (৪১ দশমিক ৭৯ শতাংশ)। বাসযাত্রীদের মধ্যে ৩১ জন (৬ দশমিক ৬০ শতাংশ) মারা গেছেন এবং ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, ট্রলি বা লরির যাত্রীদের মধ্যে ২০ জন (৪ দশমিক ২৬ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

এছাড়া প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স যাত্রীদের মধ্যে ১২ জন (২ দশমিক ৫৫ শতাংশ) মারা গেছেন। আর তিন চাকার যান (যেমন অটোরিকশা, সিএনজি, টমটম) যাত্রীদের মধ্যে ৯৪ জন (২০ দশমিক ০৪ শতাংশ) প্রাণ হারিয়েছেন।

নসিমন ও করিমনের মতো স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন দুর্ঘটনা ১০ জন (২ দশমিক ১৩ শতাংশ) এবং সাইকেল চালক ও রিকশা যাত্রীদের মধ্যে চারজন (০ দশমিক ৮৫ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার স্থান অনুযায়ী সড়কের ধরন

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৭৩টি (৩৯ দশমিক ০৫ শতাংশ) দুর্ঘটনা জাতীয় মহাসড়কে ঘটেছে, ১৬২টি (৩৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৬৪টি (১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৩৮টি (৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ) শহুরে এলাকায় এবং এছাড়া অন্যান্য অপ্রত্যাশিত স্থানে ৬টি (১ দশমিক ৩৫ শতাংশ) দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন

দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল ১১২টি (২৫ দশমিক ২৮ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭১টি (৩৮ দশমিক ৬০ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৪টি (২৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ) পথচারীকে আঘাত, ৪২টি (৯ দশমিক ৪৮শতাংশ) পেছন থেকে ধাক্কা এবং ১৪টি (৩ দশমিক ১৬ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটে।

দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহন

দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহনের মধ্যে ২৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, ট্র্যাক্টর, ট্রলি, লরি ও ড্রাম ট্রাক জড়িত ছিল।

মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, অ্যাম্বুলেন্স ও জিপ দুর্ঘটনা ছিল ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ছিল ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ, মোটরবাইকের ছিল ২৮ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং তিন চাকার যান (যেমন অটো-রিকশা) ছিল ১৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

এছাড়া স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ, সাইকেল ও রিকশা ছিল ১ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ছিল ২ দশমিক ৭১ শতাংশ।

যানবাহনের সংখ্যা

মোট ৭৭৩টি যানবাহন দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল। এর মধ্যে ১১২টি বাস, ১১৯টি ট্রাক, ২২টি কাভার্ড ভ্যান, ২৫টি পিকআপ, সাতটি ট্র্যাক্টর, ছয়টি ট্রলি, নয়টি লরি, আটটি ড্রাম ট্রাক, একটি ১৮-চাকার লরি, ১২টি মাইক্রোবাস, ১৪টি প্রাইভেট কার, পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স, তিনটি জিপ, ২১৭টি মোটরবাইক, ১৩৬টি তিন চাকার যান, ৪২টি স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন, ১৪টি সাইকেল বা রিকশা এবং ২১টি অজ্ঞাত যানবাহন।

দুর্ঘটনার সময়

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ দুর্ঘটনা হয়েছিল ভোরে, ২৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ সকালে, ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ দুপুরে, ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ সন্ধ্যা, ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ গোধূলি এবং ২৬ দশমিক ১৮ শতাংশ রাতে।

বিভাগ অনুযায়ী দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান

বিভাগীয় পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোট দুর্ঘটনার ২৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর ৩০ দশমিক ৭০ শতাংশ গটেছে ঢাকা বিভাগে। মোট দুর্ঘটনার ১৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও মৃত্যুর ১৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ হয়েছে রাজশাহী বিভাগে।

দুর্ঘটনার ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ ঘটেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। মোট দুর্ঘটনার ৯ শতাংশ ও মৃত্যুর ৮ দশমিক ১০ শতাংশ ঘটেছে খুলনা বিভাগে। বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনার ৪ দশমিক ০৬ শতাংশ থেকে ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ১৩১টি ঘটনায় ১৪৪ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট। সেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২২টি এবং প্রাণ হারিয়েছে ২৪ জন।

বিভিন্ন জেলা অনুযায়ী চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ দুর্ঘটনা ও মৃত্যু হয়েছে। সেখানে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অপরদিকে মাগুরা, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পঞ্চগড়ে দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

রাজধানী ঢাকা শহরে ২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু এবং ৩৪ জন আহত হয়েছেন।

মৃত্যুর পেশাগত বিশ্লেষণ

প্রকাশিত গণমাধ্যম তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য, দুজন আনসার সদস্য, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নয়জন শিক্ষক এবং চারজন সাংবাদিক ছিলেন।

দুর্ঘটনা ও হতাহতের এসব ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা উন্নত করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে বাইক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসাছাত্র নিহত, দুজন আহত
বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে গেল চলন্ত গাড়ি
মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৪
নরসিংদীতে অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় ছয়জন নিহত
‘ছাত্র-জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Peoples uprising is the legitimacy of the interim government Asif Mahmud

গণঅভ্যুত্থানই অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা: আসিফ মাহমুদ

গণঅভ্যুত্থানই অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা: আসিফ মাহমুদ শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: পিআইডি
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল পেজে দেশের বাইরে বসে পোস্ট করে। সেখানে শ্রমিকদের উস্কে দেয়ার মতো কিছু পোস্ট চোখে পড়েছে। ‌ষড়যন্ত্র ঘোষণা দিয়ে হচ্ছে। আর সেটা সোশ্যাল মিডিয়ার সবাই দেখছে। তবে এতে বিশেষ বড় অংশের কেউ কনভিন্সড না।

গণঅভ্যুত্থানই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

রোববার সচিবালয়ে বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারকে বৈধতা দেয়ার অধ্যাদেশ ও সংস্কার নিয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা আসিফ বলেন, ‘এই সরকারের বৈধতা হলো গণঅভ্যুত্থান। যেটা সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা হচ্ছে লিগ্যাল রেটিফিকেশন এবং অন্যান্য বিষয়।

‘গত তিন মাস আমাদের কার্যক্রমের অগ্রগতি আপনারা দেখেছেন। সংস্কার কমিশনগুলোর সঙ্গে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়মিত বসছেন। রিপোর্টের ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রম চলবে।’

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ করার জন্যই সংস্কার কমিশনগুলো গঠন করা হয়েছে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার রূপরেখা ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা আশা করি একটি নতুন বাংলাদেশ যেটার কথা আমরা মুখে বলছি, সেটার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।’

এরই মধ্যে সরকার গঠনের আগেই ১০৬-এ (সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ) এই সরকারের বৈধতা দেয়া হয়েছে। যে অর্ডিন্যান্সের কথা বলা হচ্ছে সেটার মাধ্যমে আরও লিগ্যাল রেটিফিকেশন হবে বলে উল্লেখ করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যে অফিসিয়াল পেজ আছে, দেশের বাইরে বসে পোস্ট করে, সেখানে শ্রমিকদের উস্কে দেয়ার মতো কিছু পোস্ট আমার চোখে পড়েছে। ‌ষড়যন্ত্র তো ঘোষণা দিয়ে হচ্ছে ভাই। সেটা তো সোশ্যাল মিডিয়ার সবাই দেখছে। এগুলো কাউন্টার করার ক্ষেত্রে আপনাদের (সাংবাদিক) একটা ভূমিকা থাকা উচিত, আমরা কাজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘(আওয়ামী লীগের) এই কথায় বিশেষ বড় অংশের কেউ কনভিন্সড না। ‌না হলে আওয়ামী লীগের আহ্বানে শ্রমিকরা আজকে মিছিল নিয়ে আসতো ঢাকার দিকে। কেউ তো আসেনি।’

আরও পড়ুন:
নিষিদ্ধ সংগঠন কর্মসূচির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: উপদেষ্টা আসিফ
সিন্ডিকেট ভাঙতে বিকল্প কৃষিবাজারের ভাবনা সরকারের
অসহযোগিতা করলে বাদ দিয়ে প্রশাসনে নতুন নিয়োগ: উপদেষ্টা আসিফ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Chief Adviser seeks Singapores help in recovering money laundered

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রোববার তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাই কমিশনার ডেরেক লো। ছবি: পিআইডি
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে। এগুলো ফেরত আনতে আমাদের সিঙ্গাপুরের পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ পুনরুদ্ধার এবং অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য অভিবাসন ব্যয় কমাতে সহায়তা প্রদানের জন্য সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লো রোববার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে। এগুলো ফেরত আনতে আমাদের সিঙ্গাপুরের পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন।’

রাষ্ট্রদূত লো প্রধান উপদেষ্টাকে এ বিষয়ে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর লক্ষ্যে ঢাকার সঙ্গে কাজ করার জন্যও সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা যেন তাদের পরিবারের কাছে আরও বেশি অর্থ পাঠাতে পারেন সে লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনতে চায়। আমরা সিঙ্গাপুরের সঙ্গে নিয়োগের খরচ কমানোর জন্য একটি মডেল কাঠামো তৈরি করতে পারি।’

হাইকমিশনার এ বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখান। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধ অর্থ আদান-প্রদান রোধ করতে আগ্রহী।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে বৈদেশিক নিয়োগ ব্যবস্থা ডিজিটালাইজ করার পরামর্শ দেন, যাতে করে মানব পাচার ও শ্রমিক শোষণের আশঙ্কা কমে যায়।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ও হাইকমিশনার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা, অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রনীতি, শিপিং, শিক্ষা ও নিজ নিজ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও আলোচনা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, স্বৈরাচারী সরকার পতনের মাত্র তিন মাসের মাথায় অর্থনীতি ভালোভাবে পুনরুদ্ধার করে বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। এখন এদেশে ব্যবসা করার উপযুক্ত সময়।

সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ডিরেক্টর ফ্রান্সিস চং বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২১ সালে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব করেছিল। প্রস্তাবিত এফটিএ’র ওপর একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং উভয় দেশই এখন কীভাবে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করা যায় তার সুযোগ নির্ধারণ করবে।’

লো বলেন, সিঙ্গাপুর পানি শোধন এবং বর্জ্য শক্তি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তাদের দক্ষতা ভাগাভাগি করতে পারলে খুশি হবে। তিনি উভয় দেশের খাদ্য সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার প্রস্তাব করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার সরকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে এবং সার্ককে দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে আরও ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে।

তিনি আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির জন্য সিঙ্গাপুরের সমর্থন চান। প্রতিক্রিয়ায় ডেরেক লো এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমাদের সর্বত্র বন্ধুত্ব করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ঢাকা তার পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মিত্রদের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং ঢাকায় সিঙ্গাপুরের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মাইকেল লি।

আরও পড়ুন:
গণভবন জাদুঘরে দুঃশাসনের আয়নাঘরের রেপ্লিকা থাকা উচিত
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্মেলন চান ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ
দুর্নীতি দমনে ডিজিটালাইজেশনে জোর প্রধান উপদেষ্টার
ঢাবিতে হেঁটে গ্রাফিতি দেখলেন প্রধান উপদেষ্টা, করলেন প্রশংসা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Swearing in the evening of the Advisory Council is increasing in size 

আকার বাড়ছে উপদেষ্টা পরিষদের, সন্ধ্যায় শপথ 

আকার বাড়ছে উপদেষ্টা পরিষদের, সন্ধ্যায় শপথ  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ছবি
সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন উপদেষ্টাদের বহন করার জন্য পাঁচটি গাড়ি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিধি বাড়ছে। এ তালিকায় রোববার যুক্ত হচ্ছেন আরও চার থেকে পাঁচ উপদেষ্টা।

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় নতুন উপদেষ্টারা শপথ নেবেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদের নাম এখনও জানা যায়নি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ২১ সদস্য নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হলেও এবার আরও পাঁচজন যুক্ত হতে পারেন। এর ফলে পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়াবে ২৬ জনে।

সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন উপদেষ্টাদের বহন করার জন্য পাঁচটি গাড়ি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের দৈনন্দিন কর্মসূচিতেও উপদেষ্টারদের শপথ পড়ানোর বিষয়টি রয়েছে।

আরও পড়ুন:
দেশকে জনগণের হাতে দিতে এসেছি: ফাওজুল কবির
ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভের অনুমতি নয়: শফিকুল
সাইবার নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে মামলাও বাতিল হবে: আইন উপদেষ্টা
ট্রেনের টিকিটপ্রাপ্তি সহজ করতে কাজ চলছে: উপদেষ্টা
বাংলাদেশ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বড় পরিবর্তন হবে না: তৌহিদ

মন্তব্য

p
উপরে