পুঁজিবাজারে দরপতন ঠেকাতে ফ্লোর প্রাইস (দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা) কার্যকরের প্রথম কর্মদিবস রোববার প্রথম ১৫ মিনিটেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ১০০ পয়েন্ট। আধা ঘণ্টাতে ১০৫ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হতে থাকে।
সর্বশেষ পাঁচ কর্মদিবসের এডজাস্টমেন্ট (দর সমন্বয়) ও বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচক বেড়েছে।
লেনদেনের প্রথম ১৫ মিনিটে ১০০ পয়েন্ট বেড়ে সূচকের অবস্থান হয় ৬ হাজার ৭৭ পয়েন্টে। দর বেড়ে লেনদেন হতে থাকায় আধা ঘণ্টায় সূচক বাড়ে ১০৫ পয়েন্ট।
একই সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক বাড়ে ১৪৭ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টায় ডিএসইতে ৩৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ৩৪১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে; কমেছে ১০টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দাম।
লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৮৫ পয়েন্টে দাঁড়ায়। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক বাড়ে ২২ পয়েন্ট। ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৬ পয়েন্ট বাড়ে।
এ সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয় ৭৬ কোটি ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৩ কোটি ৪২ লাখ ৪৪ হাজার টাকার।
একই অবস্থায় লেনদেন হচ্ছে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। এ সময়ে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ৭৪৪ পয়েন্টে দাঁড়ায়। এ সময়ে লেনদেন হয় ৬৩ লাখ ২৪ হাজার ৮৫৩ হাজার টাকার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪২৮ হাজার টাকার।
সিএসইতে ৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৭১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে দুটির দাম।
বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতনের মধ্যে আবার প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
২০২০ সালে দেশে করোনা সংক্রমণের পর বাজারে ধস ঠেকাতে এই উদ্যোগ সফল হয়েছিল। এবারও এই উদ্যোগ ধস ঠেকাবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে, যা আগামী কর্মদিবস থেকেই কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দর সংশোধনে যাওয়ার পর পুঁজিবাজার আর ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। এর মধ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার পর থেকে শুরু হয় নতুন এক সংকট।
১৩ মাস পর মূল্যসূচক প্রথমবারের মতো নেমে যায় ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে। এর মধ্যে গত সপ্তাহের পুরোটা, তার আগের সপ্তাহের শেষ তিন দিন এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ধসের মধ্য দিয়ে টানা ৯ কর্মদিবসে সূচক পড়ে ৩১৪ পয়েন্ট।
বিএসইসি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান জানান, ফ্লোর প্রাইস তাদের পছন্দ না হলেও বাস্তবতার আলোকে দিতে হয়েছে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সবসময় যেটা বলি, এখনই তাই বলব, রেগুলেটর হিসেবে এভাবে ইন্টারফেয়ার করা মার্কেটের জন্য ভালো নয়। ঠিকও না।
‘যখন দেখলাম যে, বৈশ্বিক অর্থনীতির কারণে পুঁজিবাজারে যে পতন এতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের খুব ব্লিডিং হচ্ছে, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়েছে।’
ফ্লোর প্রাইস দেয়ার ফলে আগের মতোই লেনদেন কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন শিবলী রুবাইয়াত, তবে এতে আতঙ্ক কমবে বলে মনে করেন তিনি।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দরপতন থেমে যাবে, কিন্তু ট্রানজেকশন কমে যাবে, কিন্তু আমার কিছু করার নাই। আগের মতো তিন-চার হাজারে সূচক নিয়ে গিয়ে মানুষকে ধ্বংস করবে না। তার আগে ছয় হাজারেই থামাই।’
বিএসইসির আদেশে জানানো হয়েছে, গত ৫ কর্মদিবসের ক্লোজিং প্রাইসের গড় হবে প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস।
প্রথম যখন ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়, তখন রাইট বা বোনাস শেয়ারের পরও দর সমন্বয় হতো না। পরে সেটি সংশোধন করে রাইট ও বোনাস শেয়ারের সঙ্গে সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত হয়।
এবার ফ্লোর প্রাইস দেয়ার আদেশেই এই বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোম্পানির বোনাস শেয়ার বা রাইট শেয়ারের কারণে ফ্লোর প্রাইসে থাকা সিকিউরিটিজের দর সমন্বয় হবে।
নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রথম দিনের লেনদেনের ক্লোজিং প্রাইসকে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে পুঁজিবাজারে ধস নামে। প্রতিদিনই শেয়ারদর ক্রমেই কমার পাশাপাশি কমে আসছিল লেনদেন।
এই পরিস্থিতিতে ওই বছরের ১৯ মার্চ প্রতিটি শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বেঁধে দিয়ে ঘোষণা করা হয় ফ্লোর প্রাইস। আগের পাঁচ কর্মদিবসের দরের গড় হিসাব করে এই ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়।
এই সিদ্ধান্তে বাজারে আতঙ্ক থামে। পরে কয়েক ধাপে তুলে নেয়া হয় ফ্লোর প্রাইস।
২০২০ সালের মে মাস থেকে পুঁজিবাজার উত্থানে ফেরে। প্রথমে ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়।
এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছিল কমই। আর ফ্লোর প্রত্যাহারে প্রথম কয়েক দিন দর ঢালাওভাবে কমার পর সেসব কোম্পানির দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ করে দেয়া হয়। এরপর দেখা যায়, এই ৬৬টি কোম্পানির শেয়ারের ব্যাপক লেনদেন হচ্ছে আর একপর্যায়ে বেশির ভাগ কোম্পানির দর ফ্লোর প্রাইসকে ছাড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয় দফায় ৩ জুন বাকি ৩০টি কোম্পানির ফ্লোর প্রত্যাহারের পরেও একই চিত্র দেখা দেয়।
এই ৯৬টি কোম্পানির চিত্র পর্যালোচনা করে ১৭ জুন ফ্লোর প্রাইস পুরোপুরি তুলে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য