করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় টাকার অব্যাহত দরপতনে ওলটপালট হয়ে যাওয়া অর্থনীতিতে একটি সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর সুখবরটি হচ্ছে দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশে উঠে ২০২১-২২ অর্থবছর শেষ হয়েছে।
এই প্রবৃদ্ধি সাড়ে তিন বছরের মধ্যে (৪৩ মাস) সবচেয়ে বেশি।
গত ৩০ জুন নতুন মুদ্রানীতি (২০২২-২৩) ঘোষণার সময় সাবেক গভর্নর ফজলে কবির বলেছিলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি হবে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ।
কিন্তু বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো নিয়ে হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, জুন মাসে গত বছরের জুনের চেয়ে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে।
তবে এতে আমেরিকার মুদ্রা ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনের অবদান রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা। তারা বলেছেন, দেশের বাজারে ডলারের দাম বাড়ার কারণে গ্রাহককে এলসি (ঋণপত্র) খুলতে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে। আর এটি বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, টানা আট মাস ধরে বাড়তে বাড়তে ২০২২ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকটি ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে ১১ দশমিক ০৭ শতাংশে উঠেছিল।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় ফেব্রুয়ারিতে এই প্রবৃদ্ধি কমে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশে নেমে আসে। মার্চে তা দশমিক ৫৭ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশে ওঠে। এপ্রিল মাসে তা ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে ১২ দশমিক ৪৮ শতাংশে ওঠে। মে মাসে তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ওঠে।
সবশেষ জুন মাসে ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশে উঠেছে।
এর অর্থ হলো ২০২১ সালের জুন মাসের চেয়ে এই বছরের জুন মাসে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি ঋণ পেয়েছেন।
এরপরও মুদ্রানীতিতে যে লক্ষ্য ধরা হয়েছিল, তার থেকে ১ দশমিক ১৪ শতাংশ পয়েন্ট কম নিয়েই শেষ হয়েছে অর্থবছর।
২০২১-২২ অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।
গ ত বছরের জুন শেষে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ। এরপর থেকেই কমতে থাকে এই সূচক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুন শেষে বেসরকারি খাতে বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দিাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। ২০২১ সালের জুন শেষে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা।
এ হিসাবেই ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
অর্থনীতির বিশ্লেষক গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরেই বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ছিল। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার যে প্রণোদণা ঘোষণা করেছিল, তাতে এর অবদান ছিল। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় দেশে বিনিয়োগের একটি অনুকুল পরিবেশও দেখা দিয়েছিল। পদ্মা সেতু, মেট্টোরেল, বঙ্গবন্ধু কর্ণফূলী টানেলসহ কয়েকটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঘিরে উদ্যোক্তারা নতুন পরিকল্পনা সাজিয়ে বিনিয়োগে নেমেছেন। ব্যাংকগুলো তাতেও বিনিয়োগ করছে।’
‘সব মিলিয়ে বেসরকারি খাতের ঋণের একটি গতি এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারকদের এলসি খুলতে বেশি টাকা লেগেছে। তাতেও ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে।’
‘তবে আর নয়। এখন যে করেই হোক টাকাকে শক্তিশালী করতে হবে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়িয়ে দ্রুত এটা করতে হবে। এখন আর নয়-ছয় নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। রাশিয়া যেমন ঋণের সুদের হার বাড়িয়ে তাদের রুবলকে শক্তিশালী করেছে আমাদেরও তাই করতে হবে। মতো
আহসান মনসুর বলেন, ‘ডলারের এই অস্বাভাবিক উল্লম্ফন আমাদের অর্থনীতিকে প্রতি মুহূর্তে তছনছ করে দিচ্ছে। বড় ধরনের সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে আমাদের। আমদানি কমাতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। ডলার ছুটছে তো ছুটছেই। এখন আমাদের সামনে একটাই পথ খোলা আছে, সুদের হার কমানো। আর সেটা এখনই করতে হবে।’
মহামারি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় আমদানি বাড়তে থাকায় আগস্ট থেকে ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে; দুর্বল হতে থাকে টাকা। এখনও সেটা অব্যাহত আছে। তার আগে এক বছরেরও বেশি সময় ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় ‘স্থির’ ছিল ডলারের দর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত এক বছরে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে (ব্যাংক রেট) টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর ব্যাংক ও কার্ব মার্কেটে বেড়েছে ৩০ শতাংশের মতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশে এখন বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকেই দেশে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা হোঁচট খেয়েছিল। মার্চে থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘নতুন শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনি যন্ত্রপাতি বা ক্যাপিটাল মেশিনারি, শিল্পের মধ্যবর্তী কাঁচামালসহ শিল্প খাতের অন্য সব সরঞ্জাম আমদানি বেড়েছিল। সে কারণেই বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছিল। নানা পদক্ষেপের কারণে এখন অবশ্য আমদানি ব্যয় কমে আসছে। আশা করছি ডলঅরের বাজারও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
নতুন অর্থবছরেও বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই অর্থনীতিবিদ।
গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তার আগের মাস নভেম্বরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১০ দশমিক ১১ শতাংশ; অক্টোবরে ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ আর সেপ্টেম্বরে হয়েছিল ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আগস্ট ও জুলাইয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ ও ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
দীর্ঘদিন ধরে দেশে বিনিয়োগে মন্দা চলছিল। এর অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের চিত্রও ছিল হতাশাজনক। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে তা আরও কমতে থাকে।
প্রতি মাসেই কমতে কমতে গত বছরের মে মাসে তা ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমে আসে, যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
অতীত ঘেঁটে দেখা যায়, বাংলাদেশের বর্ধিষ্ণু অর্থনীতিতে ব্যাংকের ঋণ বাড়তেই থাকে। ২০০৯-১০ অর্থবছর শেষে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ২৪ শতাংশের বেশি। বছরওয়ারি হিসেবে এর পর তা সব সময়ই ১০ শতাংশের বেশি ছিল। এমনকি এক পর্যায়ে তা ২৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তা দুই অঙ্কের নিচে (ডাবল ডিজিট), ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশে নেমে আসে। এরপর দুই বছর বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি এক অঙ্কের নিচে (সিঙ্গেল ডিজিট) অবস্থান করে।
গত বছরের নভেম্বরে তা দুই অঙ্কের (ডাবল ডিজিট) ঘরে, ১০ দশমিক ১১ শতাংশে উঠে।
মহামারির ছোবলে ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি কমে ৮ দশমিক ৬১ শতাংশে নেমে আসে। এরপর সরকারের প্রণোদনা ঋণে ভর করে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এই প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ হয়। আগস্টে তা আরও বেড়ে ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশে এবং সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশে ওঠে।
কিন্তু অক্টোবরে এই প্রবৃদ্ধি কমে ৮ দশমিক ৬১ শতাংশে নেমে আসে। নভেম্বরে তা আরও কমে ৮ দশমিক ২১ শতাংশ হয়। ডিসেম্বরে সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ হয়।
২০২১ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ৫১ ও ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এপ্রিলে নেমে আসে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে। মে মাসে তা আরও কমে নেমে যায় ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে।
তবে করোনার প্রকোপ কমতে থাকায় গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ঋণ প্রবৃদ্ধি খানিকটা বেড়ে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশে উঠে কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়। তারপর থেকে ঋণপ্রবাহ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণাকাজে সহায়তার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) একটি বাস উপহার দিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
বুধবার সকালে ঢাবি নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের কাছে বাসটি হস্তান্তর করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল।
ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাস উপহার পেয়ে ব্যাংকটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘এই আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। তার শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রয়াসে এনআরবিসি ব্যাংকের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকল্পে এনআরবিসি ব্যাংকের এই উদ্যোগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণাকাজ এগিয়ে নেয়া সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। পৃথিবীর সব দেশে শিক্ষা-গবেষণায় বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ রয়েছে। এনআরবিসি ব্যাংকের এই উপহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকাজকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।’
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, ‘দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা গর্বিত।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহম্মদ সামাদ, ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ও ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাদ মুজিব লালন, ব্যাংকের ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশিদ, সাপোর্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের প্রধান পারভেজ হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এনআরবিসি ব্যাংকের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) তহবিলের শিক্ষা খাত থেকে এই উপহার দেয়। বাসটি ৪২ আসনের।
আরও পড়ুন:অতি মুনাফার লোভে যারা কার্বমার্কেট বা খোলাবাজার থেকে ১২০ টাকায় ডলার কিনেছিলেন তাদের মাথায় হাত। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা ডলার হোঁচট খেয়ে এখন উল্টো দিকে হাঁটছে; ১০৯ টাকায় নেমে এসেছে। শক্তিশালী হতে শুরু করেছে টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে আমেরিকান মুদ্রা ডলারের সরবরাহ বেশ বেড়েছে। সবাই বিক্রি করতে আসে; কেউ কিনতে আসে না। এতোদিন যারা বেশি লাভের আশায় ডলার কিনে মজুত করেছিলেন, তারা সবাই এখন বিক্রি করতে আসছেন। সে কারণেই দুর্বল হচ্ছে ডলার, মান বাড়ছে টাকার। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ডলারের দর ১০৫ টাকায় নেমে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
বুধবার সকালে খোলাবাজারে প্রতি ডলারের জন্য ১১০ টাকা নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা; বিকেলে তা ১০৯ টাকায় নেমে আসে। মঙ্গলাবার প্রতি ডলার ১১৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১১৩ টাকা ৩০ পয়সায় বিক্রি হয়েছিল।
সোমবার ছিল জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন। তার আগের দিন রোববার প্রতি ডলারের জন্য ১১৪ টাকা ৫০ পয়সা নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
আমদানি কমায় ডলারের চাহিদা কমে এসেছে। সে কারণে বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়ায় দর কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যাংকগুলোও নগদ ডলারের দাম কমাতে শুরু করেছে। বেসরকারি সিটি ব্যাংক মঙ্গলবার প্রতি ডলারের জন্য নিয়েছিল ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার নিয়েছে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। তবে অন্য ব্যাংকগুলো আগের দামেই নগদ ডলার বিক্রি করছে।
খোলাবাজারে গত সপ্তাহে ডলারের দর এক লাফে ১২০ টাকায় উঠেছিল। বৃহস্পতিবার তা এক টাকা কমে বিক্রি হয় ১১৯ টাকায়। এর পর থেকে টাকার বিপরীতে প্রতিদিনই কমছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের দর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খোলাবাজারের এক ডলার ব্যবসায়ী বুধবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে ডলারের সরবরাহ এখন প্রচুর। সবাই বিক্রি করতে আসে; কেউ কিনতে আসে না। দু-একজন আসে দাম শুনে; তবে কেনে না। সকালে ১১০ টাকায় সামান্য কিছু ডলার বিক্রি করেছি আমরা। বিকেলে ১০৯ টাকা দিয়েও কেনা পাওয়া যায়নি।’
‘এতোদিন যারা বেশি লাভের আশায় ডলার কিনে মজুদ করেছিলেন, দাম কমতে দেখে তারা সবাই এখন বিক্রি করতে আসছে। সে কারণেই সরবরাহ বেড়েছে। দাম কমছে।’
‘যারা পাগলের মতো ডলার কিনেছিলেন তারা সবাই ধরা। সবাই এখন বিক্রি করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। সরবরাহ বেড়েছে; তাই দাম কমছে। আরও কমবে বলে মনে হচ্ছে,’বলেন ওই ব্যবসায়ী।
‘আমার মনে হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ডলারের দর ১০৫ টাকায় নেমে আসবে।’
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক গত কয়েক দিনের মতো বুধবারও ১০৪ টাকা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে। জনতা ব্যাংক থেকে কিনতে লেগেছে ১০৪ টাকা ২৫ পয়সা। বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংক বিক্রি করেছে ১০৭ টাকায়। এসআইবিএল নিয়েছে ১০৫ টাকা।
গত সপ্তাহের মতো বুধবার ৯৫ টাকায় ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটাকে আন্তব্যাংক বা ইন্টারব্যাংক রেট বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এই রেট গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে কার্যত অচল।
ব্যাংকগুলো এখনও এই দরের চেয়ে ৯ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। আবার প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে ১০৪-১০৫ টাকা দিয়ে। আমদানি ঋণপত্র খুলতে নিচ্ছে ১০৪-১০৫ টাকা।
বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে আমেরিকান মুদ্রা ডলারের দৌড় থামাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দেড় মাসে (১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট) প্রায় ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এরপরও বাজারে ডলারের সংকট কাটছে না।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম আশার কথা শুনিয়ে বলেছেন, শিগগিরই ডলারের সংকট কেটে যাবে। বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ইতোমধ্যে কার্ব মার্কেটে বেশ খানিকটা কমেছে।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণেই বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। সেই চাহিদা পূরণের জন্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাজারে ডলার ছাড়া হচ্ছে। আসলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ এটি। যখন বাজারে ডলারের ঘাটতি দেখা দেবে তখন ডলার বিক্রি করা হবে। আবার যখন সরবরাহ বেশি হবে তখন কেনা হবে।
‘ডলার বিক্রির ক্ষেত্রে রিজার্ভ পরিস্থিতিও সব সময় বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে। ঢালাও বিক্রি করলে রিজার্ভ কমে আসবে। সেক্ষেত্রে অন্য সমস্যা হবে। সে কারণেই ভেবেচিন্তে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি বিক্রি করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দুই বছরের বেশি সময় ধরে করোনা মহামারির ধাক্কা কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তাণ্ডবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সব দেশের মতো আমাদেরও আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। সে কারণে রিজার্ভের ওপরও চাপ পড়েছে।
‘তবে সুখের খবর হচ্ছে, আমদানি কমতে শুরু করেছে। রপ্তানির পাশাপাশি রেমিট্যান্সও বাড়ছে। শিগগিরই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
এর আগে মে মাসে যখন ডলারের দর ১০০ টাকা ছাড়িয়েছিল, তখনও সবাই অতি মুনাফার আশায় জমানো টাকা দিয়ে ডলার কিনেছিলেন। অনেকে পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে, ধারদেনা করেও ডলার কিনেছিলেন। পরে অবশ্য ডলারের দাম ১০০ টাকার নিচে নেমে এসেছিল।
আরও পড়ুন:
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বা এসআইবিএলের ২৮টি নতুন এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট উদ্বোধন করা হয়েছে।
এসআইবিএলের প্রধান কার্যালয়ে বুধবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মো. মাহবুব উল আলম এর উদ্বোধন করেন।
ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান কাজী ওবায়দুল আল-ফারুক, চিফ রেমিট্যান্স অফিসার মো. মোশাররফ হোসাইন, মার্কেটিং অ্যান্ড ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ডিভিশনের প্রধান মো. মনিরুজ্জামান এবং এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশনের প্রধান মো. মশিউর রহমান।
কোর ব্যাংকিং সিস্টেম আপগ্রেড করার জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে টানা ৩০ ঘণ্টা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএমসহ সব ধরনের ই-ব্যাংকিং সেবা বন্ধ থাকবে।
অর্থাৎ শুক্রবার বেলা ২টা পর্যন্ত ব্যাংকটির গ্রাহকরা অনলাইনভিত্তিক বেশ কয়েকটি সেবা নিতে পারবেন না।
তবে এই নির্দেশনা শুধু ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস ডেবিট কার্ডের গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।
৩০ ঘণ্টা ব্যাংকটির এটিএম বুথ, সিআরএম, পিওএস, ই-কমার্স ও ই-ব্যাংকিং সেবা পাবেন না গ্রাহকরা। বন্ধ থাকবে ব্যাংকটির এনপিএসবি ও আইবিএফটি সেবা। ইনওয়ার্ড ও আউট ওয়ার্ড রেমিট্যান্স সেবাও পাবেন না ব্যাংকটির গ্রাহকরা।
ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের কোর ব্যাংকিং সেবাও এ সময় বন্ধ থাকবে।
দেশজুড়ে ব্যাংকটির ৪ হাজার ৭৬৬ এটিএম বুথ আছে।
আরও পড়ুন:ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট সোমবার জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাংকের পরিচালক জয়নাল আবেদীন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী, ওমর ফারুক খান ও জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাইয়ার আজম, সিদ্দিকুর রহমান, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার, আবুল ফয়েজ মুহাম্মাদ কামালউদ্দিন ও মুহাম্মদ শাব্বির, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরী ও আইবিটিআরএর প্রিন্সিপাল এস এম রবিউল হাসানসহ ব্যাংকের নির্বাহী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে ব্যাংকটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে।
সোমবার এ উপলক্ষে ব্যাংকটির উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে সারা দেশের কর্মকর্তারা মহান এই রাষ্ট্রনায়কের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন তার বক্তব্যে জনগণের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর আজীবন আন্দোলনের কথা এবং দেশ ও দেশবাসীর প্রতি ভালোবাসা কথা তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার আহ্বান এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার ভিশনের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘একজন স্বপ্নদর্শী নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন ও দীক্ষা কাল ও প্রজন্মকে ছাড়িয়ে যাবে।’
এছাড়া মঙ্গলবার ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় জাতীয় শোক দিবস উপল একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস পালনের অংশ হিসাবে ব্র্যাক ব্যাংক আগস্ট মাস জুড়ে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। যার মধ্যে আছে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম, দু:স্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং শাখাগুলোতে শোক ব্যানার লাগানো।
মঙ্গলবার প্রতিটি শাখায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বিদেশি মুদ্রায় স্বল্প মেয়াদে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আগের চেয়ে কম সুদে ঋণ নিতে পারবেন রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তারা।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ।
সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রবণতা বিবেচনা করে বার্ষিক সব খরচের সীমা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বিদেশি মুদ্রায় বিনিয়োগে সুদ হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমানোর কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, লাইবর রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ হারে বার্ষিক সুদে ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়া যাবে। আগে এই সুদ হার ছিল সাড়ে ৩ শতাংশ।
লাইবর রেট হচ্ছে- ইংল্যান্ডের কোনো ব্যাংক অন্য কোনো ব্যাংককে যে সুদে ঋণ দেয় তার ৩ মাসের হার। বর্তমানে তা এসওএফআর নামে পরিচিত।
নির্দেশনায় বলা হয়, বিদেশি মুদ্রায় বিনিয়োগে সংশ্লিষ্ট দেশের মুদ্রার সুদ হারের সঙ্গে বার্ষিক সুদ সবোর্চ্চ ৩ শতাংশ যোগ করতে পারবে ব্যাংকগুলো।
এছাড়া ডলারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লাইবর রেট যতদিন কার্যকর রয়েছে ততদিন তা অনুসরণ করা যাবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের মুদ্রার সুদ হারকে ‘বেঞ্চমার্ক রেট’ হিসেবে ধরা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বল্প মেয়াদে ট্রেড ফাইন্যান্সের বেলায় ডলারের ক্ষেত্রে লাইবর রেট (ইংল্যান্ডের আন্তঃব্যাংকের ৩ মাসের গড় সুদ হার) অনুসরণ করা যাবে।
এখন বেঞ্চমার্ক রেফারেন্স রেট ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বৈদেশিক মুদ্রায় স্বল্পমেয়াদি আমদানি-রপ্তানির সময় অর্থায়নে এই রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ সুদ পাবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য