পুঁজিবাজারে যারা স্মার্টলি বিনিয়োগ করেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে বরং অনেক টাকা আয় করেন বলে মন্তব্য করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
তিনি বলেছেন, বিনিয়োগ শিক্ষা থাকলে পুঁজিবাজারে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না, বরং অনেক লাভবান হবেন। তাই এই জ্ঞান নিয়েই বিনিয়োগে আসা উচিত।
ময়মনসিংহের টাউন হলের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী ‘বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স ২০২২’-এর সমাপনী দিন শনিবার সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘রিস্ক নিয়ে ভালো লাভ করার ইচ্ছা থাকলে আপনাকে স্মার্ট ইনভেস্টর হতে হবে। স্মার্ট ইনভেস্টর হলে কখনও আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না। আমাদের এ মার্কেটে যারা স্মার্টলি ইনভেস্ট করেন, তারা কিন্তু অনেক টাকা আয় করেন।
‘অন্যদিকে যারা না বুঝে বা বিভিন্ন জনের কথা শুনে বিনিয়োগ করেন, তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ জন্য আপনাকে বিনিয়োগের বিষয়ে অধিক সচেতন হতে হবে। এ ধরনের শিক্ষা বা জ্ঞানবুদ্ধি নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আসতে হবে।’
বিএসইসি এবং বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম) যৌথভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের এ আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটুসহ অন্যরা।
সমাপনী দিনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে ভয় পেলে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ক্যাপিটাল মার্কেটে দুটি প্রডাক্ট আছে, যা ভালো রিটার্ন দিচ্ছে; সেটি অলমোস্ট ফিক্সড অ্যান্ড সিকিউরড। একটি হলো মিউচুয়াল ফান্ড, যারা ১ থেকে ২০ শতাংশ রিটার্ন দিচ্ছে। আরেকটি হলো বন্ড মার্কেট, যা ফিক্সড কুপন রেটে পেমেন্ট করে। এ দুটি ক্ষেত্রে আপনাদের কিছুই করতে হবে না। সময়ান্তে তারা অ্যাকাউন্টে ডিভিডেন্ড বা ফিক্সড কুপন পেমেন্ট পাঠিয়ে দেবে।’
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ফিক্সড ডিপোজিটের রেট কমে যাওয়া ও ইনফ্লেশনের রেট বেড়ে যাওয়ার কারণে সঞ্চয়ের যে সুযোগ ছিল, তা এখন নেই। তাই এখন আপনাকে হাইয়ার রিটার্নের দিকে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি বিচার-বিশ্লেষণে ভয় পেলে মিউচুয়াল ফান্ড বা বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন।’
পুঁজিবাজার থেকে ভালো আয় করতে চাইলে জেনে-বুঝে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন অধ্যাপক শিবলী। বলেন, ‘আর আপনি যদি রিস্ক নিতে চান, তাহলে জেনে-বুঝে, স্পেকুলেশন, অ্যাডভাইস ও ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করুন।’
তিনি যোগ করেন, ‘আজকের এ অনুষ্ঠানে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে বিচার-বিশ্লেষণ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার সক্ষমতা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জ্ঞান না থাকলে কোনো কিছুই করা উচিত নয়। বিনিয়োগ শিক্ষার জন্য আমাদের দুটি প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। সেই মেসেজটা আজ দিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের বিনিয়োগ শিক্ষার সুযোগ উন্মুক্ত।’
স্বার্থ উদ্ধারে বিভিন্ন মহল পুঁজিবাজারে গুজব ছড়ায় বলে জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান। এসব গুজবে কান না দেয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
বলেন, ‘এখানে অনেক বুদ্ধিমান লোক আছে, যারা ইচ্ছে করেই গুজব ছড়িয়ে দেয়। তাদের এ গুজব ছড়ানোর বিষয়ে কোনো উদ্দেশ্য থাকে। অনেক সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও গুজব ছড়ানো হয়। প্যানিক ক্রিয়েট করা হয়। তাই গুজবে কান দেবেন না। আননেসেসারি প্যানিকড হবেন না। বিনিয়োগ শিক্ষা আজ ও আগামীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ময়মনসিংহ শহরের অধিকতর উন্নয়নে পুঁজিবাজার সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন এই অধ্যাপক। বলেন, ‘ময়মনসিংহ শহর একদিকে সরকারের রাজস্ব খাতের টাকা থেকে উন্নত হবে, আরেকদিকে আমরাও ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে অল্টারনেটিভ ফাইন্যান্সের মাধ্যমে এই শহর, বিভাগ ও জেলার উন্নয়নের অনেক সলিউশন বের করে দেব। অল্টারনেটিভ ফাইন্যান্সের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের যেসব শহরের উন্নতি হয়েছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর জন্য ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল বন্ডসহ আরও অনেক ইনস্ট্রুমেন্ট রয়েছে।’
স্বাগত বক্তব্যে বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিনিয়োগকারী যাতে সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে পারে তার জন্য কাজ করছে বিএসইসির ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি ডিপার্টমেন্ট এবং দুটি অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম)।’
আগামীতে সর্বস্তরে বিনিয়োগ শিক্ষা ছড়িয়ে দিয়ে এই খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নেয়ার কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ পুঁজিবাজারের বিনিয়োগের নিরাপদ ব্যবস্থাপনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধারণ করতে এবং শিখতে হবে, তবেই তারা লাভবান হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর্থিক স্বস্তি এবং সঞ্চয়ের জন্যই বিনিয়োগ। সুতরাং বিনিয়োগের সুরক্ষা প্রয়োজন।’
প্রতিমন্ত্রী পুঁজিবাজারের কল্যাণে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘আমরা বলে থাকি বাংলাদেশের শেয়ারবাজার শুধু ওঠানামা করে। কিন্তু এটাই স্বভাবিক। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব জায়গায় একই অবস্থা বিরাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুজব থেকে সব সময় আমাদের দূরে থাকতে হবে। গুজব সৃষ্টিকারীরা নিজের নয়, দেশের ক্ষতি করছে। সুতরাং গুজব থেকে দূরে থাকতে হবে এবং এটাকে পরিহার করতে হবে।’
আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম, সাবেক কমিশনার আরিফ খান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব কামরুল হক মারুফ, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ময়মনসিংহের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক দেবদাস ভট্টাচার্য, ময়নসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, ময়মনসিংহের চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আমিনুল হক শামীম।
এ ছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও, রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান, বিএএসএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, রিপন কুমার দেবনাথ, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য