পুঁজিবাজারে যারা স্মার্টলি বিনিয়োগ করেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে বরং অনেক টাকা আয় করেন বলে মন্তব্য করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
তিনি বলেছেন, বিনিয়োগ শিক্ষা থাকলে পুঁজিবাজারে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না, বরং অনেক লাভবান হবেন। তাই এই জ্ঞান নিয়েই বিনিয়োগে আসা উচিত।
ময়মনসিংহের টাউন হলের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী ‘বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স ২০২২’-এর সমাপনী দিন শনিবার সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘রিস্ক নিয়ে ভালো লাভ করার ইচ্ছা থাকলে আপনাকে স্মার্ট ইনভেস্টর হতে হবে। স্মার্ট ইনভেস্টর হলে কখনও আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না। আমাদের এ মার্কেটে যারা স্মার্টলি ইনভেস্ট করেন, তারা কিন্তু অনেক টাকা আয় করেন।
‘অন্যদিকে যারা না বুঝে বা বিভিন্ন জনের কথা শুনে বিনিয়োগ করেন, তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ জন্য আপনাকে বিনিয়োগের বিষয়ে অধিক সচেতন হতে হবে। এ ধরনের শিক্ষা বা জ্ঞানবুদ্ধি নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আসতে হবে।’
বিএসইসি এবং বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম) যৌথভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের এ আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটুসহ অন্যরা।
সমাপনী দিনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে ভয় পেলে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ক্যাপিটাল মার্কেটে দুটি প্রডাক্ট আছে, যা ভালো রিটার্ন দিচ্ছে; সেটি অলমোস্ট ফিক্সড অ্যান্ড সিকিউরড। একটি হলো মিউচুয়াল ফান্ড, যারা ১ থেকে ২০ শতাংশ রিটার্ন দিচ্ছে। আরেকটি হলো বন্ড মার্কেট, যা ফিক্সড কুপন রেটে পেমেন্ট করে। এ দুটি ক্ষেত্রে আপনাদের কিছুই করতে হবে না। সময়ান্তে তারা অ্যাকাউন্টে ডিভিডেন্ড বা ফিক্সড কুপন পেমেন্ট পাঠিয়ে দেবে।’
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ফিক্সড ডিপোজিটের রেট কমে যাওয়া ও ইনফ্লেশনের রেট বেড়ে যাওয়ার কারণে সঞ্চয়ের যে সুযোগ ছিল, তা এখন নেই। তাই এখন আপনাকে হাইয়ার রিটার্নের দিকে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি বিচার-বিশ্লেষণে ভয় পেলে মিউচুয়াল ফান্ড বা বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন।’
পুঁজিবাজার থেকে ভালো আয় করতে চাইলে জেনে-বুঝে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন অধ্যাপক শিবলী। বলেন, ‘আর আপনি যদি রিস্ক নিতে চান, তাহলে জেনে-বুঝে, স্পেকুলেশন, অ্যাডভাইস ও ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করুন।’
তিনি যোগ করেন, ‘আজকের এ অনুষ্ঠানে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে বিচার-বিশ্লেষণ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার সক্ষমতা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জ্ঞান না থাকলে কোনো কিছুই করা উচিত নয়। বিনিয়োগ শিক্ষার জন্য আমাদের দুটি প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। সেই মেসেজটা আজ দিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের বিনিয়োগ শিক্ষার সুযোগ উন্মুক্ত।’
স্বার্থ উদ্ধারে বিভিন্ন মহল পুঁজিবাজারে গুজব ছড়ায় বলে জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান। এসব গুজবে কান না দেয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
বলেন, ‘এখানে অনেক বুদ্ধিমান লোক আছে, যারা ইচ্ছে করেই গুজব ছড়িয়ে দেয়। তাদের এ গুজব ছড়ানোর বিষয়ে কোনো উদ্দেশ্য থাকে। অনেক সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও গুজব ছড়ানো হয়। প্যানিক ক্রিয়েট করা হয়। তাই গুজবে কান দেবেন না। আননেসেসারি প্যানিকড হবেন না। বিনিয়োগ শিক্ষা আজ ও আগামীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ময়মনসিংহ শহরের অধিকতর উন্নয়নে পুঁজিবাজার সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন এই অধ্যাপক। বলেন, ‘ময়মনসিংহ শহর একদিকে সরকারের রাজস্ব খাতের টাকা থেকে উন্নত হবে, আরেকদিকে আমরাও ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে অল্টারনেটিভ ফাইন্যান্সের মাধ্যমে এই শহর, বিভাগ ও জেলার উন্নয়নের অনেক সলিউশন বের করে দেব। অল্টারনেটিভ ফাইন্যান্সের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের যেসব শহরের উন্নতি হয়েছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর জন্য ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল বন্ডসহ আরও অনেক ইনস্ট্রুমেন্ট রয়েছে।’
স্বাগত বক্তব্যে বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিনিয়োগকারী যাতে সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে পারে তার জন্য কাজ করছে বিএসইসির ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি ডিপার্টমেন্ট এবং দুটি অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম)।’
আগামীতে সর্বস্তরে বিনিয়োগ শিক্ষা ছড়িয়ে দিয়ে এই খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নেয়ার কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ পুঁজিবাজারের বিনিয়োগের নিরাপদ ব্যবস্থাপনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধারণ করতে এবং শিখতে হবে, তবেই তারা লাভবান হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর্থিক স্বস্তি এবং সঞ্চয়ের জন্যই বিনিয়োগ। সুতরাং বিনিয়োগের সুরক্ষা প্রয়োজন।’
প্রতিমন্ত্রী পুঁজিবাজারের কল্যাণে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘আমরা বলে থাকি বাংলাদেশের শেয়ারবাজার শুধু ওঠানামা করে। কিন্তু এটাই স্বভাবিক। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব জায়গায় একই অবস্থা বিরাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুজব থেকে সব সময় আমাদের দূরে থাকতে হবে। গুজব সৃষ্টিকারীরা নিজের নয়, দেশের ক্ষতি করছে। সুতরাং গুজব থেকে দূরে থাকতে হবে এবং এটাকে পরিহার করতে হবে।’
আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম, সাবেক কমিশনার আরিফ খান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব কামরুল হক মারুফ, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ময়মনসিংহের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক দেবদাস ভট্টাচার্য, ময়নসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, ময়মনসিংহের চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আমিনুল হক শামীম।
এ ছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও, রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান, বিএএসএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, রিপন কুমার দেবনাথ, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য