শেষ কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার আবারও ব্যাপক দরপতনের মধ্য দিয়ে ৫৭ পয়েন্ট সূচক হারাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর ফলে সূচক চলতি বছরের সর্বনিম্ন তো বটেই, ১৩ মাসের বেশি সময় পর ৬ হাজারের নিচে নামল।
ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে। সূচকের অবস্থান এর চেয়ে কম ছিল গত বছরের ৭ জুন। ওই দিন ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৯৭৫ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহের পুরোটা, তার আগের সপ্তাহের শেষ তিন দিন এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ধসের মধ্য দিয়ে টানা ৯ কর্মদিবসে সূচক পড়ে ৩১৪ পয়েন্ট।
এর মধ্যে গত সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার এবং চলতি সপ্তাহের রোববারে ব্যাপক ধস নামে। প্রবণতা হিসেবে তিন শর বেশি কোম্পানির দরপতন দেখা যায়।
এরপর সোম ও মঙ্গলবার কিছুটা ভালো দিন গেছে পুঁজিবাজারে। দুই কর্মদিবসে যথাক্রমে ৩০ ও ২৯ পয়েন্ট যোগ হয়েছে সূচকে।
এর ফলে পতন থেকে বেরিয়ে উত্থানের যে আশা জেগেছিল বিনিয়োগকারীদের মনে, তা মিলিয়ে যায় গতকালের ধসে।
আবারও তিন শর বেশি কোম্পানির দরপতন দেখা যায়। আগের দুই কর্মদিবসে যতটুকু পয়েন্ট বেড়েছিল তার চেয়ে আরও ১৪ পয়েন্টের বেশি কমে যায়।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর কমেছে ৩৩৩টির। বিপরীতে দর বেড়েছে ২৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দামেই।
ব্যাপক দরপতনের সঙ্গে ক্রেতা সংকট ছিল পুঁজিবাজারে। লেনদেন কমেছে ৩৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ৩৬ হাজার।
দিনভর হাতবদল হয়েছে ৪৪১ কোটি ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টাকার। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৭৭৮ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা।
লেনদেনের বিষয়ে এক্সপো ট্রেডার্সের সিইও শহিদুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের মনে বসে যাওয়া আতঙ্ক কাটেনি। হাত গুটিয়ে নিয়েছেন বড় বিনিয়োগকারীরাও। যার কারণে পুঁজিবাজারের এমন অবস্থা। কোনো কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এই অবস্থা কত দিন চলবে তা বলা মুশকিল।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে হা-ওয়েল টেক্সটাইলের। কোম্পানির শেয়ারদর বছরজুড়ে ওঠানামা করতে দেখা যায়।
দুই কর্মদিবস পতনের পরে আজ ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ দর বেড়েছে। প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৪৩ টাকা ৩০ পয়সায়।
২০২১ সালে শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ১ পয়সা আয়ের বিপরীতে ২০ শতাংশ বা ২ টাকা লভ্যাংশ পেয়েছিলেন এর বিনিয়োগকারীরা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে পুঁজিবাজারে গত বছর তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোনালী ইন্স্যুরেন্সের। ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ৫২ টাকা ২০ পয়সায় সর্বশেষ হাতবদল হয়েছে।
দর বৃদ্ধির তৃতীয় স্থানে রয়েছে এনভয় টেক্সটাইল। আগের দিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয় ৪৫ টাকা ২০ পয়সায়। আজ ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৮০ পয়সায়।
দর বৃদ্ধির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইটি কনসালট্যান্টস লিমিটেড, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স।
দর পতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকায় একটি ছাড়া সবগুলোর দরই দিনের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়েছে। শতকরা হিসেবের কারণে কোনোটির দাম কিছুটা কম কমতে পেরেছে এই যা।
তবে লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে কোনো মূল্যসীমা না থাকায় দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশের চেয়ে বেশি কমতে পেরেছে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের দর।
কোম্পানি ২০২১ সালের বিপুল পরিমাণ লোকসান দেয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ার দর হারায় ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা।
কোম্পানিটি গত বছর শেয়ার প্রতি ১৮ টাকা ৪৭ পয়সা লোকসান দেয়ার পর চলতি বছর জুন পর্যন্ত অর্ধবার্ষিকীতে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ১২ পয়সা লোকসান দিয়েছে।
এর পরেই দর কমেছে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের। সর্বোচ্চ সীমা অর্থাৎ ২ শতাংশ দর কমে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪ টাকা ৩০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৩৫ টাকা।
সমতা লেদারের দরও ২ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৮ টাকা ৬০ পয়সায়। এ নিয়ে বিগত ৮ কর্মদিবসের ৭ দিনই কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হলো।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইউনিক হোটেল, লিনডে বিডি, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, ক্রাউন সিমেন্ট, সোনালী পেপার, বঙ্গজ এবং জুট স্পিনার্স।
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট সূচক কমেছে ওয়ালটন হাইটেকের কারণে। এ দিন কোম্পানিটির দর কমেছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমিয়েছে রবি। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে এক দশমিক ৬৯ শতাংশ।
ইউনাইটেড পাওয়ারের দর শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, আইসিবি, বার্জার পেইন্টস, রেনাটা, ব্র্যাক ব্যাংক ও স্কয়ার ফার্মার দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২৯ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট।
সূচকে পয়েন্ট যোগ করল যারা
সবচেয়ে বেশি শূন্য দশমিক ৫৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ম্যারিকো। কোম্পানিটির দর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ দর বেড়েছে।
এনভয় টেক্সটাইলের দর ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৮ পয়েন্ট।
হা-ওয়েল টেক্সটাইল সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ২৬ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, ডেল্টালাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক এবং সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য