বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আর তাই দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়ানো ও সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন রাষ্ট্রপ্রধান।
ঢাকায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ ইসা আলদুহাইলান সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০৩০ উপলক্ষে সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের একটি চিঠি রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন সৌদি দূত।
এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুপক্ষীয় বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তা প্রদানে সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। আবদুল হামিদের আশা, ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা থাকবে এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে সৌদি আরব।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাড়তি দামে কিনতে না চাওয়ায় ডিম ও মুরগির দাম কমে গেছে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দামে স্বস্তি ফিরে আসলেও অস্থিরতা দেখা গেছে সবজির দোকানে। ৪০ টাকার নিচে কোনো ধরনের সবজি নেই বললেই চলে। বাজারে আসা নতুন শিমের কেজি ২০০ টাকা ছুঁয়েছে।
নিত্যপণ্যের মূল্যে ঊর্ধ্বগতিতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিই কাঁচাপণ্যের ঊর্ধ্বমুখিতার কারণ বলছেন বিক্রেতারা। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে উঠে এসেছে এমন চিত্র।
কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। দেশে চার ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরে হুহু করে বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা ছাড়ায়। দর কমে আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
চাহিদা কমে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগির দর কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা। কারওয়ান বাজারের ‘মা রোকেয়া চিকেন ব্রয়লার হাউসের’ কামরুল হাসান বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমে গেছে। মানুষ ব্রয়লার খাচ্ছে না। আর দুই-তিন দিন সরকারি ছুটি থাকায় ঢাকায় মানুষই নাই। বাজারেও মানুষ কম আসছে।’
আরেক বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন লিটন বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম তো কমেনি। যার কারণে পাবলিকের পকেটে টাকা নাই। তারা মুরগি কিনবেন কী করে, তাই মুরগির চাহিদা কমে গেছে, দামও কমে গেছে।’
কিছুটা দাম বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির। গত সপ্তাহে ২৭০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি।
ব্রয়লার মুরগির দাম দেড় শ টাকার নিচে থাকা সমীচীন বলছেন ক্রেতারা। জয়নাল আবেদীন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগি মানুষ খেত না একসময়। আর এর উৎপাদন খুব দ্রুত সময়ে করা যায়। কীভাবে এর দাম ১৮০ টাকা বা ২০০ টাকা হয় মাথায় আসে না। এর দাম দেড় শ টাকার নিচে হওয়া উচিত।’
এদিকে ডিমের দাম প্রতি ডজনে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে এক ডজন বাদামি ডিম ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যেটি কয়েক দিন আগে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
আর সাদা ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ডজন। যেটি আগে ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এ ছাড়া দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
ডিম ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘দেড় শ টাকার ওপরে ছিল ডিমের দাম। গতকাল থেকে কমছে। মানুষ ডিম কেনা কমিয়ে দিয়েছে।’
ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বাজারে নতুন আসায় শিম সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শিম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
শিমের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে টম্যাটো ও গাজর। টম্যাটো ১০০ থেকে ১৩০ টাকা এবং গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে। এ ছাড়া প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
শসার কেজি ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিক্রেতা রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘একটু পরে এই শসাই ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হবে।’
অন্যান্য সবজি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লাউ রকমভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মরিচের কেজি আগের মতোই ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আদা ও রসুন ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
বিক্রেতা আরিফুল ইসলাম জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও আলুর। পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।
সবজির দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। বেসরকারি চাকরিজীবী তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বেতন তো এক জায়গাতেই আছে। কিন্তু সবজির দাম তো বাড়ছেই। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি কেনা যায় না। আমরা খাবটা কী?’
দাম বেড়েছে ইলিশ মাছের। রকমভেদে ইলিশের কেজিতে বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
প্রতি কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। আগে এই ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়।
দেড় কেজি ওজনের ইলিশ গত সপ্তাহে ১৫০০ টাকায় পাওয়া গেলেও সেটি আজ বিক্রি হয়েছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায়। দুই কেজি ওজনের ইলিশের দাম পড়েছে ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকা।
বিক্রেতা মিলন বলেন, ‘ভালো ইলিশের (চাঁদপুরের ইলিশ বুঝিয়েছেন) সরবরাহ কম। আইতেছে না, যার কারণে একটু বেশি দাম।’
অন্যান্য মাছের দামে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। রকমভেদে রুই ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ১৬০ থেকে ১৯০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা, কই ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন:চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চলতি বছরের নভেম্বরে বালিতে অনুষ্ঠেয় জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
উইদোদো বলেন, ‘শি চিনপিং আসবেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনও আসবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।’
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, উইদোদোই প্রথম ব্যক্তি যিনি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের জি-২০ সম্মেলনে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেন।
ইউক্রেনে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার হামলা এবং তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছার পর বালির সম্মেলনটিই হতে যাচ্ছে বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রথম কোনো জমায়েত।
সম্মেলনে যোগ দিলে ২০২০ সালের জানুয়ারির পর এটিই হবে শির প্রথম বিদেশযাত্রা। করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ওই বছরের শুরুতে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল চীন।
সে সময় থেকে একবারের মতো চীনের মূল ভূখণ্ড ছেড়েছিলেন শি। চীনের কাছে দেশটির বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংকে ফেরত দেয়ার ২৫তম বার্ষিকী ছিল চলতি বছরের পয়লা জুলাই। ওই দিন হংকংয়ে যান তিনি।
বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক দেশগুলোর জোট জি-টোয়েন্টির বহুল প্রতীক্ষিত বালি সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে, তবে সম্মেলনে তিনি পুতিনের মুখোমুখি হবেন কি না, সেটি নিশ্চিত নয়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের আগে কিংবা সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে মুখোমুখি হতে পারেন বাইডেন ও শি।
রাজশাহীর একটি বাজারে ম্যাজিস্ট্রেট দেখে ডিমের দাম ৬ টাকা কমানোর খবর জানা গেছে।
নগরের সাহেব বাজারে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছিল ৪৬ টাকা দরে। দুপুর ১২টার দিকে সাহেব বাজারে অভিযানে যান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দল। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট দেখে মুহূর্তেই ডিমের দাম ৬ টাকা কমে তড়িঘড়ি করে তালিকা বদলে লেখা হলো ৪০ টাকা।
তবে এ সময় মূল্য তালিকা ও বেশি দাম রাখার কারণে দুই ডিমের দোকানিকে জরিমানা করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা কার্যালয়ের যৌথ নেতৃত্বে রাজশাহী মহানগরের খড়খড়ি, আশরাফের মোড় এবং নলখোলা মোড় ডিমের আড়ত ও পাইকারি দোকান এবং সাহেব বাজারের খুচরা ডিমের দোকান ও মুরগির মাংসের দোকানে তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়।
‘এ সময় পাইকারি আড়তে সাদা ডিমের দাম হালি ৩৭-৩৮ টাকা, লাল ডিমের পাইকারি দর হালিতে ৩৮-৪০ টাকা পাওয়া যায়। তবে এই দর নিয়ে খুচরা বাজারে গেলে সেখানে ক্রেতারা অভিযোগ করেন, সকালেই এখানে ৪৬ টাকা হালি দরে লাল ডিম বিক্রি হয়েছে।’
সহকারী পরিচালক হাসান আরও বলেন, ‘তারা আগেই খবর পেয়েছিল কি না জানি না। আমরা বাজারে ঢোকামাত্রই ৬ টাকা দর কমে গেছে। আমরা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিমের দাম ৪০ টাকা হয়ে গেছে।
‘আমরা অন্তত ৩০টি দোকানে গিয়েছি, সবখানেই মূল্য তালিকা আছে। চকচকা মূল্য তালিকায় লেখা আছে ১৮ আগস্ট ২০২২ লাল ডিম ৪০ টাকা, সাদা ডিম ৩৮ টাকা। এটি অদ্ভুত একটি বিষয়। মনে হলো জাদুর মতো কাজ হলো।’
ভোক্তা অধিকারের এই কর্মকর্তা জানান, সাহেব বাজারের অভিযানে আল মদিনা ট্রেডার্সে মূল্য তালিকা না থাকায় এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মধু ঘর তাদের মূল্য তালিকায় ৪২ টাকা লিখে রাখলেও বিক্রি করছিল ৪৪ টাকা। একজন ভোক্তা হাতেনাতে তাকে ধরিয়ে দিলে ওই দোকানমালিককে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জামাল উদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘সকালেই ৪৬ টাকা হালি ডিম কিনেছি। এখন ম্যাজিস্ট্রেট আসার সঙ্গে সঙ্গেই দাম কমে গেল। এটা কী করে সম্ভব। ওরা বলে বেশি দামে কিনেছে সে কারণে বেশি দামে বিক্রি করছে। এখন তাহলে ৪০ টাকা করে কীভাবে বিক্রি করছে। আসলে সব শক্তের ভক্ত, নরমের যম। নিয়মিত বাজার মনিটরিং থাকলে আমরা একটু স্বস্তি পাই। ম্যাজিস্ট্রেট আসলে সব কিছুরই দাম কিছুটা কমে।’
ডিম ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান জীবনের দাবি, আসলে ম্যাজিস্ট্রেট আসার কারণে নয়, তারা দাম কমিয়েছেন নতুন রেট পাওয়ার কারণে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সকালে ৪৬ টাকা দামেই ডিম বিক্রি করছিলাম কারণ আগের দিনের দাম ছিল এটা। আমাদের কেনাও হয়েছিল বেশি দামে। দুপুরের দিকে আমরা যখন দিনের নতুন রেট পেলাম, তখনই সেটা ৪০ টাকা দামে বিক্রি শুরু করি। আজকেও আমরা ৪০ টাকা হালি দামেই বিক্রি করছি। আবার নতুন রেট পেলে দাম কম-বেশি হতে পারে।’
আরও পড়ুন:৫০ ছাড়িয়ে যাওয়া ডিমের হালি কেউ যদি ৪৫ টাকা রাখে, আবার বিনা মূল্যে ঘরে পৌঁছে দেয়?
কেবল ডিম নয়, ঘরে বসেই বাজারদরের চেয়ে কম দামে পণ্য পাওয়ার সুযোগ আছে। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে অনলাইন ঘাঁটলে এমন অনেক সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ১২ থেকে ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কম দাম নিচ্ছে তারা।
রাজধানীতে অনলাইন অর্ডারে পণ্য পৌঁছে দিতে ডেলিভারি চার্জও নিচ্ছে না বেশির ভাগ অনলাইন শপ। তবে কোনোটিতে জুড়ে দেয়া হচ্ছে শর্ত। কোথাও নির্দিষ্ট পরিমাণ কেনাকাটা করলে বিনা পয়সায় বাসায় পৌঁছে দেবে বলছে।
বাজারদরের তুলনায় এত কমে পণ্য বিক্রির কারণ হিসেবে উঠে এসেছে কয়েকটি বিষয়। বেশি বিক্রি কম লাভ- এই নীতিতে কোনো কোনো শপ পাইকারি দামে বিক্রি করে। কোনো কোম্পানি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গ্রাহক ধরছে।
৪৫ টাকা হালিতে ডিম কিনুন
নিত্যপণ্যের মধ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি কথা যেটি নিয়ে, সেই ডিম বাজারদরের চেয়ে ২০ শতাংশ কমে কেনার সুযোগ দিচ্ছে অনলাইন গ্রোসারি শপ ‘অথবা ডট কম’।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, বৃহস্পতিবার ঢাকার বাজারে ফার্মের মুরগির এক হালি বাদামি ডিমের দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে অনলাইন ঘাঁটলে এমন অনেক সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ১২ থেকে ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কম দাম নিচ্ছে তারা। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
৫৫ টাকা হালি ধরে হিসাব করলে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা। তবে ‘অথবা ডট কম’ বিক্রি করছে ১১ টাকা ২৬ পয়সা করে।
অর্থাৎ বাজারদরের চেয়ে প্রায় আড়াই টাকা বা ১৮ দশমিক ১০ শতাংশ কমে দামে ডিম কেনা যাবে।
তবে এখানে এক হালি করে কেনার সুযোগ নেই। একসঙ্গে কিনতে হবে সাড়ে সাত হালি বা ৩০টি। আর এই ডিম ক্রেতাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে কোনো ডেলিভারি চার্জ ছাড়াই।
ডায়াপার্স বিডি ডট কমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘সোপ বিডি ডট কম’ নামের অনলাইন শপে কেনা যাচ্ছে এক ডজন ডিমও। তারা ১২টি ডিমের দাম নিচ্ছে ১৪৫ টাকা। প্রতিটির দাম পড়ছে ১২ টাকা ৮ পয়সা, যা বাজারের চেয়ে ১ টাকা ৬৭ পয়সা বা ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ কম।
টিসিবির হিসাবে বৃহস্পতিবার ঢাকার বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি পিস ডিমের দাম ছিল ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা। তবে ‘অথবা ডট কম’ বিক্রি করছে ১১ টাকা ২৬ পয়সা করে। ডায়াপার্স বিডি ডট কমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘সোপ বিডি ডট কম’-এ পাওয়া গেছে ১২ টাকা ৮ পয়সায়। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
সোপ বিডি কম কমে ডিম ছাড়াও বাজারদরের চেয়ে কমে পাওয়া যাচ্ছে অন্য নিত্যপণ্যও।
বাজারে পেঁয়াজের দর ৪০ থেকে ৫৫ টাকা। তবে এই শপে পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৩৮ করে। ৩০ টাকা কেজি মূল্যের আলু এখানে মিলছে ২৫ টাকায়।
এই শপ ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পণ্য দেবে, এ জন্য কোনো বাড়তি চার্জও নিচ্ছে না।
গ্রাহক পর্যায়ে পরিচিত বাড়াতে লোকসানে পণ্য বিক্রির কথা জানিয়েছেন ডায়াপার্স বিডির কাস্টমার-কেয়ার কর্মী মোস্তফা ইমন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের নতুন ওয়েবসাইট। গ্রাহক পর্যায়ে পরিচিত হওয়ার জন্য পণ্যের কেনা রেটের চেয়েও দুই-এক টাকা কম দামে আমরা বিক্রি করছি।’
৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কম দাম
ওয়ালটনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওয়ালকার্ট আদা, রসুনের দামে ৩১ থেকে ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে। থাই আদার প্রতি কেজিতে ৪০ টাকা বা ৩৬ শতাংশ ছাড় দিয়ে ৭০ টাকায় বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। যেটি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি। আর বাজারের চেয়ে ৩৮ টাকা কমে চায়না রসুন দিচ্ছে ১২০ টাকায়, যার বাজারমূল্য ১৫৮ টাকা।
ওয়ালকার্টের কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ নাহিয়ান হামিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা পাইকারি দামে অনেক পণ্য কিনি এবং সেটা কম দামে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করছি। ফলে আমরা খুচরা বাজারের চেয়ে কম দামে পণ্য দিতে পারছি।’
৯৫০ টাকার যেকোনো পণ্যে ছাড় ১১০ টাকা
চেইন সুপার শপ মীনা বাজারে গিয়ে পণ্য কেনার চেয়ে ঘরে বসে কেনা অনেক বেশি লাভজনক।
এই প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মীনা ক্লিকে ৯৪৯ টাকার পণ্য অর্ডার করলে দিতে হবে ৮৩৯ টাকা। অর্থাৎ ১১০ টাকা ছাড় দিচ্ছে তারা। এই পণ্য বাসায় নিয়ে আসার পর কার্ড সোয়াপের মেশিনের মাধ্যমে বিল পরিশোধের সুযোগ থাকছে। ফলে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডেও সেই টাকা পরিশোধের সুযোগ আছে।
এই পণ্য হাতে পেতে আবার কোনো ডেলিভারি চার্জ দিতে হবে না।
কোনো কোনো ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে সুপারশপে কেনাকাটায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাকের সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে গ্রাহকের ছাড় আসলে আরও বেশি।
প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ম্যানেজার (ব্র্যান্ড ও কমিউনিকেশন) মর্তুজা আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লাভ-লোকসান এভাবে হিসাব করা যায় না। আমাদের প্রমোশনের জন্য মার্কেটিং বাজেট থেকে অ্যালোকেট করা হয়। এটার কারণে আমরা কম দামে দিতে পারি।’
শুক্রবার সুপারশপে ছাড়ের ছড়াছড়ি
নাজিরশাইল প্রিমিয়াম যে চালের দর কেজিতে ৭৮ টাকায় বিক্রি হয়, গত দুই শুক্রবার মীনা বাজার সেটি বিক্রি করেছে ৬৮ টাকায়।
কেবল চাল নয়, প্রতিটি শপই শুক্রবার রীতিমতো বড় আকারের লিফলেট ছেপে বিভিন্ন পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়ে থাকে।
প্রাণের অনলাইন শপ ডেইলি শপিংয়ের পক্ষ থেকে ছাড় দেয়ার আগের দিন হোয়াটস অ্যাপে কোন পণ্য কত টাকায় বিক্রি করা হবে, সে তথ্য জানিয়ে এসএমএস পাঠানো হয়।
স্বপ্ন সুপার শপ পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। আর ছুটির দিন ছাড়াও এসব শপে দুটির সঙ্গে একটি বা তিনটির সঙ্গে একটি এমনকি একটির সঙ্গে একটি ছাড় থাকে।
আবার মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো সেবা ব্যবহার করলেও দিনে ৫০ থেকে ১০০ টাকা ছাড় পাওয়ার সুযোগ আছে। স্বাভাবিক ছাড়ের সঙ্গে এই ছাড় আবার বাড়তি।
আরও পড়ুন:বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্যসংকট দেখা দিলেও বাংলাদেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই বলে সুখবর দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারের নানা পদক্ষেপ বাংলাদেশকে এই সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থাটি।
খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক হালনাগাদ প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে নিয়ে এই তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কবলে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ মূল্যস্ফীতির তোপে পড়লেও বাংলাদেশ সুবিধাজনক জায়গায় আছে। ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি হয়নি। তবে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাত মিলে দক্ষিণ এশিয়ায় গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১৫ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মূলত খাদ্য ঘাটতিই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছে সংস্থাটি।
খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। তবে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ও নেপালে বড় ধরনের খাদ্য ঘাটতি দেখা যায়নি। পাকিস্তানে সারের অভাব এবং তাপপ্রবাহের কারণে গম ও চালের উৎপাদন কম হয়েছে। ভুটান এবং শ্রীলঙ্কা অভ্যন্তরীণ খাদ্য সরবরাহে উল্লেখযোগ্য ঘাটতি অনুভব করছে। শ্রীলঙ্কায় সারের ঘাটতির কারণে কৃষি উৎপাদন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমেছে এবং খাদ্য আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার অভাব রয়েছে। সার ও জ্বালানির (জমি প্রস্তুতি, পরিবহন এবং ফসল সংগ্রহের কার্যক্রমের জন্য) অভাব খাদ্য সরবরাহকে আরও সীমিত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশে উঠেছে। পাকিস্তানে ২৬ শতাংশ। বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই সূচকটি সে তুলনায় অনেক কম, এক অঙ্কের ঘরে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার খাদ্য নিরাপত্তার উদ্বেগ মোকাবিলায় চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে। এ ছাড়া কৃষি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছে, সারে ভর্তুকি বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।
এ ক্ষেত্রে ভারতও স্বস্তিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দেশটি ৪৪ হাজার টন ইউরিয়ার প্রথম চালান পেয়েছে। ভারতীয় চালের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন।
আর ভুটানে সরকার পাইকারি বিক্রেতা এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছে প্রত্যক্ষভাবে এবং রেয়াতি কাজের মূলধনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী মজুত করছে।
আরও পড়ুন:সম্মাননা ও উপহার প্রদান, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিসহ ১৫ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে ১৫ আগস্টে শহিদ হওয়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৫ সদস্যকে বিশেষভাবে স্মরণ করেছে বেসরকারি এনআরবিসি ব্যাংক।
শোকের মাস আগস্টের ১ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত ১৫টি করে নতুন হিসাব, ১৫ লাখ ঋণ বিতরণ ও ১৫ লাখ টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। ‘শোক নয় শক্তি’ স্লোগানে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ব্যাংকটির কিশোরগঞ্জ ও ভৈরব শাখার আওতাধীন ১৫টি শাখা-উপশাখা।
বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় এনআরবিসি ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখা প্রাঙ্গণে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মাননা ও পুরস্কার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রাশিয়ার সাধারণ সম্পাদক এস এম পারভেজ তমাল।
শহীদ হওয়ার মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুর পরিহিত পোশাক স্মরণে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানকে উপহার হিসেবে সাদা গেঞ্জি, পাঞ্জাবি ও চেক লুঙ্গি দেয়া হয়।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পান খেতে পছন্দ করতেন। এই মহীয়সী নারীর স্মরণে রত্মগর্ভা আম্বিয়া আক্তারকে পানের বাটা উপহার দিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের স্মরণে ১১ বছরের শিশু এস এম জুবায়েরকে একটি লাল রঙের সাইকেল উপহার দেয়া হয়।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের স্মরণে তাড়াইল ফুটবল একাডেমিকে ক্রীড়া সরঞ্জাম এবং শেখ জামাল স্মরণে ছাত্র অবনী সরকারের হাতে গিটার তুলে দেয়া হয়।
শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকু স্মরণে অ্যাথলেট জুনাইদ হাসানকে সম্মাননা এবং শেখ জামালের স্ত্রী পারভীন জামাল রোজী স্মরণে নববধূ মনিরা আক্তারকে উপহার সামগ্রী দেয়া হয়।
এভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৫ সদস্যকে স্মরণ করে ১৫ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে এনআরবিসি ব্যাংক।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের সমুচিত জবাব দেয়া হবে। এনআরবিসি ব্যাংক গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছে।’
আরও পড়ুন:গাড়ি কেনার জন্য ঋণ পাওয়া আরও সহজ করেছে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড। শুধু নতুন কিংবা রিকন্ডিশন্ড নয়, ব্যবহৃত পুরোনো গাড়ি কেনার ঋণ সুবিধাও দিচ্ছে পদ্মা ব্যাংক। গাড়ির ক্রয়মূল্যের ৫০ শতাংশ অথবা সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত এই ঋণ পাওয়া যাবে। সে সুবাদে পদ্মা ব্যাংক অটো লোনের মাধ্যমে গ্রাহক তার সাধ্যের মধ্যেই গাড়ি কেনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন।
রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বুধবার পদ্মা ব্যাংক অটো লোনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বারভিডার (বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন) সভাপতি মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ ডন।
অনুষ্ঠানে তারেক রিয়াজ খান বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে পদ্মা ব্যাংক সব সময় সর্বাধুনিক সেবা ও সুবিধা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। গাড়ির ঋণের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। সবচেয়ে কম সময় ও নির্ঝঞ্ঝাটভাবে আমরা গ্রাহকদের সেবা দিয়ে থাকি। আর সবার থেকে আমরা একটু আলাদা। কেননা পুরোনো ব্যবহৃত গাড়ি কেনার জন্যও ঋণ দিচ্ছে পদ্মা ব্যাংক।
‘গ্রাহকদের অনুরোধ করব- পদ্মা ব্যাংকে আসুন, আমাদের সেবা সম্পর্কে জানুন এবং বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করে পাশে থাকুন।’
মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, ‘এমন ব্যতিক্রমী ঋণ পরিষেবা চালু করায় পদ্মা ব্যাংকের তারুণ্যনির্ভর পরিচালনা পর্ষদের পাশাপাশি মেধাবী কর্মী বাহিনীকে আমি ধন্যবাদ জানাই। এমন ঋণ সুবিধার সুযোগ নিয়ে এখন অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার তাদের গাড়ি কেনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।’
‘বারভিডা ও পদ্মা ব্যাংকের মধ্যে সম্পর্ক কীভাবে আরও বেশি ফলপ্রসূ করা যায়, আগামীতে তা নিয়ে আমরা কাজ করব।’
পদ্মা ব্যাংক অটো লোনে বিশেষ যে সুবিধা থাকছে তা হলো- প্রতিযোগিতামূলক ও সাশ্রয়ী সুদহার, দ্রুততম সম্ভাব্য তহবিল, সরল ডকুমেন্টেশন এবং একাধিক তালিকাভুক্ত অটো ডিলার থেকে গাড়ি বেছে নেয়ার সুযোগ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পদ্মা ব্যাংকের দুই উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আহসান চৌধুরী ও জাবেদ আমিন, সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম, রিটেইল অ্যান্ড এসএমই হেড রকিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকার ১১টি শাখার ব্যবস্থাপক ও বারভিডার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য