× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
LC decreases by 82 million dollars in 1 month relief to the economy
google_news print-icon

১ মাসে এলসি কমেছে ৮২ কোটি ডলার, অর্থনীতিতে স্বস্তি

১-মাসে-এলসি-কমেছে-৮২-কোটি-ডলার-অর্থনীতিতে-স্বস্তি
পণ্য আমদানিতে এলসি কমতে শুরু করায় অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। তারা বলছেন, আমদানির লাগাম টেনে ধরতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে।

দেশে ডলারের চাহিদা সামাল দিতে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের সুফল মিলতে শুরু করেছে। কমছে পণ্য আমদানির ঋণপত্র বা এলসি খোলার পরিমাণ।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য ৭৩৮ কোটি ২৬ লাখ (৭.৩৮ বিলিয়ন) ডলারের এলসি খুলেছেন দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা, যা গত ৯ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগের মাসে ৮২০ কোটি ডলারের এলসি খোলেন ব্যবসায়ীরা। এর অর্থ এক মাসের ব্যবধানে প্রায় ৮২ কোটি ডলার সাশ্রয় হয়েছে।

আমদানির লাগাম টেনে ধরতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে এলসি খোলার পরিমাণ কমছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা করোনা মহামারির সঙ্গে ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ লফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। যার চাপ পড়ে অর্থনীতিতে। আমদানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স না বাড়ায় বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। এটি দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

আমদানি বাড়ায় বাজারে ডলারের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে গিয়েছিল। অস্থির হয়ে উঠেছিল মুদ্রাবাজার; এখনও আছে সেই অস্থিরতা। এক বছরের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকা ১১ শতাংশের মতো দর হারিয়েছে।

গত বছরের ২১ জুলাই আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দর ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। বছর ধরে বাড়তে বাড়তে রোববার তা উঠেছে ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সায়।

আমদানি বাড়ায় বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট) ঘাটতি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ১৭ বিলিয়ন পেরিয়ে গেছে। আমদানি খরচ বাড়ায় অর্থনীতির আরেক স্পর্শকাতর সূচক মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে উঠেছে, যা গত ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

এ পরিস্থিতিতে পণ্য আমদানিতে এলসি কমতে শুরু করায় অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি কমাতে একটার পর একটা পদক্ষেপ নিয়েছে। তারই ইতিবাচক ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে আমদানি আরও কমবে বলে মনে হচ্ছে। কেননা জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। খাদ্যপণ্যসহ অন্য পণ্যের দামও বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী। মনে হচ্ছে সংকট কেটে যাবে।’

সরকার ব্যয় সংকোচনের জন্য বিদ্যুতের লোডশেডিংসহ অন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে শিগগিরই তারও সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করেন মঞ্জুর হোসেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য আমদানির জন্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ী-শিল্পোদ্যোক্তারা মোট ৯ হাজার ২২৩ কোটি ৪৯ লাখ (৯২.২৩ বিলিয়ন) ডলারের এলসি খুলেছেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি।

২০২০-২১ অর্থবছরে এলসি খোলার পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৭০৩ কোটি ৭৪ লাখ (৬৭.০৩ বিলিয়ন) ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, করোনা মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই আমদানি খাতে খরচ বাড়তে থাকে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য ৪৯৪ কোটি ৬৪ লাখ (৪.৯৪ বিলিরয়ন) ডলারের এলসি খোলা হয়। আগস্টে তা এক লাফে ৪৫ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়ে ৭১৮ কোটি ৪১ ডলারে ওঠে। সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে ৭৭৭ কোটি ডলার দাঁড়ায়। অক্টোবরে এলসি খোলা হয় ৭৪২ কোটি ১৬ লাখ ডলারের।

নভেম্বরে এলসি খোলা হয় ৮১০ কোটি ৬৯ লাখ (৮.১০ বিলিয়ন) ডলারের। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক মাসে এলসি খোলার পরিমাণ ৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় ওই মাসে। ডিসেম্বরে এলসি খোলার পরিমাণ ছিল ৮৬৪ কোটি ৬২ লাখ ডলার।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৮২৮ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের এলসি খোলেন ব্যবসায়ীরা। পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে অবশ্য কমে ৭১০ কোটি ডলারে নেমে আসে। ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিন হওয়ায় এলসি খোলার পরিমাণও কমেছিল বলে জানান ব্যাংকাররা।

মার্চে ৮৯০ কোটি ২৬ লাখ ডলারের এলসি খোলেন ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা, যা ছিল এক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি এলসি খোলার পরিমাণ।

এপ্রিলে তা কমে ৮২৮ কোটি ৯৭ লাখ ডলারে নেমে আসে। মে মাসে এলসি খোলা হয় ৮২০ ডলারের। সর্বশেষ জুনে ৮২ কোটি ডলার বা ১০ শতাংশ কমে ৭৩৮ কোটি ২৭ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।

আমদানি কমাতে প্রথম পদক্ষেপ নেয়া হয় ১৭ এপ্রিল। ওইদিন এক সার্কুলারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শিশুখাদ্য, জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প এবং কৃষি খাতসংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানি ছাড়া অন্য সব পণ্য আমদানির বিপরীতে ঋণপত্র স্থাপনের (এলসি) নগদ মার্জিন হার ন্যূনতম ২৫ শতাংশ সংরক্ষণের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়।

এরপর ১০ মে বিলাসপণ্য আমদানি কমাতে আরও কড়াকড়ি আরোপ করে আরেকটি সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই সার্কুলারে বলা হয়, সকল ধরনের মোটরকার, হোম অ্যাপ্লায়েন্স হিসেবে ব্যবহৃত ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে অতি জরুরি পণ্য ছাড়া অন্য সব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে।

৫ জুলাই আরও কড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সব ধরনের মোটরকার, হোম অ্যাপ্লায়েন্স হিসেবে ব্যবহৃত ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, প্রসাধনী, স্বর্ণালংকার, তৈরি পোশাক, গৃহস্থালি বৈদ্যুতিক সামগ্রী বা হোম অ্যাপ্লায়েন্স, পানীয়সহ বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে ব্যাংক থেকে কোনো ধরনের ঋণ সুবিধা পাবেন না আমদানিকারকরা।

এসব পণ্যের আমদানি ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে শতভাগ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে, এর আগে যা ছিল ৭৫ শতাংশ।

রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ব্যয় সংকোচনের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। অতি প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের কর্তাদেরও বিদেশ সফর বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কম গুরুত্বপূর্ণ আমদানিনির্ভর প্রকল্পের বাস্তবায়ন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

১ মাসে এলসি কমেছে ৮২ কোটি ডলার, অর্থনীতিতে স্বস্তি

চলমান জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সরকার একগুচ্ছ সাশ্রয়ী নীতি নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিদ্যুতের চাহিদা আয়ত্তে রাখতে গত মঙ্গলবার থেকে অঞ্চলভেদে লোডশেডিং করা হচ্ছে।

এসব পদক্ষেপের ফলে আমদানি খরচ কমছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমদানি কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধারাবাহিকভাবে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত এলসি মার্জিন আরোপ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বেশ কিছু পণ্যের আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক বসানো হয়েছে। সেসবের ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। এলসি কমতে শুরু করেছে। আগামী দিনগুলোতে আরও কমবে বলে আশা করছি।’

বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের জিনিসের দাম বেড়ে গেছে; বেড়েছে জাহাজ ভাড়া। এ কারণে আমদানিতে খরচ বেড়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেলসহ বেশ কয়েকটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঘিরে দেশে বিনিয়োগের একটি আবহ তৈরি হয়েছে।

‘উদ্যোক্তারা নতুন পরিকল্পনা সাজিয়ে নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য ক্যাপিটাল মেশিনারিসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি-সরঞ্জাম আমদানি করেছিলেন। এসব কারণে আমদানি খরচ বেড়ে গিয়েছিল। এখন কমতে শুরু করেছে। এটা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আমাদের অর্থনীতির জন্য মঙ্গল হবে। ডলারের বাজারেও স্বস্তি ফিরে আসবে।’

আকুর বিলও কমছে

আমদানি ব্যয় কমার তথ্য এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিলেও পাওয়া যাচ্ছে। গত ১২ জুলাই মে-জুন মেয়াদের ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর আগে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মার্চ-এপ্রিল মেয়াদের ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের আকুর দেনা পরিশোধ করা হয়েছিল। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের বিল শোধ করা হয় ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।

মে-জুন মেয়াদের আকুর বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। এখনও ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে অবস্থা করছে।

রোববার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার।

গত বছরের ২৪ আগস্ট এই রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। ওই সময় ওই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ১০ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যেত। তখন অবশ্য প্রতি মাসে ৪ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হতো।

বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পরপর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়।

আরও পড়ুন:
গাড়ি আমদানিতে চট্টগ্রামকে ডিঙিয়ে মোংলার রেকর্ড
ভারতীয় সিনেমা আমদানিতে সম্মত চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠন
কাগজ আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি
কিছুতেই লাগাম পরানো যাচ্ছে না আমদানিতে
আমদানি কমাতে ১৩৫ পণ্যে শুল্কারোপ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Gold prices fell for the third consecutive day

টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম

টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম
বৃহস্পতিবার ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে ৬৩০ টাকা। সে হিসাবে ভালো মানের স্বর্ণের ভরি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। আগের দিন বুধবার তা ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।

দেশের বাজারে টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম। ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে ৬৩০ টাকা। সে হিসাবে স্বর্ণের ভরি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। আগের দিন বুধবার তা ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকে স্বর্ণের নতুন নির্ধারিত দাম কার্যকর হবে।

বাজুস এর আগে চলতি এপ্রিল মাসের ৬, ৮ ও ১৮ তারিখ তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর ম‌ধ্যে ভালো মানের স্বর্ণের ভরিতে ৬ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়। মাঝে ২০ এপ্রিল ভরিতে ৮৪০ টাকা দাম কমানোর পরদিন ২১ এপ্রিল আবার ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এবার শুরু হয় দাম কমানোর পালা। সবশেষ দাম বাড়ানোর দু’দিন পর ২৩ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে তিন হাজার ১৩৮ টাকা ও ২৪ এপ্রিল দু’হাজার ৯৯ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। আর বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ টানা তিন দিনে স্বর্ণের দাম ভ‌রি‌তে ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।

সোনার দামে এমন উত্থান-পতনের কারণ জানতে চাইলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন নতুন পদ্ধতি বা পলিসি অনুসরণ করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করি। সেটি হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল পলিসি।

‘এতদিন আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করতাম। সেক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে যখন স্বর্ণের দাম কমত তখন আমরা কমাতাম। আর যখন বাড়ত তখন বাড়াতাম।’

তিরি আরও বলেন, ‘এখন আমরা আমাদের স্বর্ণের সবচেয়ে বড় বাজার তাঁতীবাজারের বুলিয়ান মার্কেট ফলো করে দর নির্ধারণ করি। এই বাজারে স্বর্ণের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় উঠা-নামা করে। সেটা অনুসরণ করে আমরা নতুন দর নির্ধারণ করে থাকি। সেক্ষেত্রে দিনে দু’বারও গোল্ডের দাম বাড়ানো-কমানো হতে পারে।’

আরও পড়ুন:
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা
মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ আটক ২
স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা
কমলো স্বর্ণের দাম

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The manipulation of a few traders behind the instability in the capital market

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে গুটিকয়েক ট্রেডারের কারসাজি

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে গুটিকয়েক ট্রেডারের কারসাজি ফাইল ছবি
শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক সময়ের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর এক দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিএসইর আদেশে জানানো হয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাতে সমগ্র বিশ্ব যখন টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে পতিত হয়, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বের দরবারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়।

যদিও একটি শ্রেণি বাজারে নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে বরাবরই সক্রিয় ছিল। তবে দূরদর্শী নেতৃত্বগুণে বিনিয়োগকারীদের অর্থের সুরক্ষা দিতে বারবার বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতে দেননি অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অস্বাভাবিক আচরণ করছে পুঁজিবাজার। নিয়ন্ত্রক সংস্থাও এ পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে বাজারকে স্থিতিশীল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এমনকি পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে গতকাল ফ্লোর প্রাইসমুক্ত সব শেয়ারে একদিনের দর কমার নিম্নসীমা (সার্কিট ব্রেকার) ৩ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসির সময়োপযোগী এমন পদক্ষেপ বাজারকে আবারও টেনে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সন্দেহভাজন বেশকিছু লেনদেন পরিলক্ষিত হয়েছে বাজারে। এতে বিশেষ একটি শ্রেণি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বাজারকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করছে। কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও এতে জড়িত রয়েছে। বাজারে অবাঞ্ছিত বিক্রির আদেশ দিয়ে তারা অস্থিরতা তৈরি করছে। তাছাড়া বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে বাজারে একটা শ্রেণি স্বার্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে বাজার কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে।

এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বেশ কিছু ট্রেডার নিজেদের মধ্যে যোগশাজসের মাধ্যমে প্রথমে কম দরে শেয়ার বিক্রি করত। পরে তাদের দেখাদেখি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যখন প্যানিক হয়ে শেয়ার বিক্রি করত তখন তারা আবার কম দরে শেয়ারগুলো কিনে নিত। এভাবে তারা নিজেদের মধ্যে শেয়ার লেনদেন করে প্যানিক সৃষ্টির মাধ্যমে ভালো শেয়ারগুলোর দাম কমাত। এই কাজে তাদের বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও সহযোগিতা করত।’

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেয়ারের দর কমার কথা নয়। গুটি কয়েক অসাধু ট্রেডারের কারসাজিতে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে বড় বড় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল-আমিন বলেন, ‘এক শ্রেণির অসাধু বিনিয়োগকারী চাচ্ছেন বর্তমান কমিশন বিদায় হয়ে নতুন কেউ দায়িত্বে আসুক, যাতে তারা নতুন করে আরও সুযোগ নিতে পারেন। তারাই বিভিন্ন দুর্বল শেয়ারে কারসাজি করে সুবিধা নিচ্ছেন।

‘ফোর্সড সেলের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার তারা কম দরে কিনে নিচ্ছেন। কমিশনের উচিত হবে কারসাজিকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, যাতে তারা বারবার বাজারকে ম্যানিপুলেট করার সাহস না পায়।’

এদিকে শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক সময়ের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।

ওই আদেশে বলা হয়, এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর এক দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। বর্তমানে দরভেদে কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত দরপতন হতে পারে।

দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আদেশে জানানো হয়েছে। সার্কিট ব্রেকারের এ সিদ্ধান্ত বুধবার থেকে কার্যকর করতে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আজকের এই সার্কিট ব্রেকার আরোপ বাজারে কারসাজি রোধ করবে। এটি সন্দেহভাজন লেনদেন বন্ধ করবে। আর এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি সক্রিয় হবে বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো শেয়ার বর্তমানে আন্ডারভ্যালুতে আছে। এখানে তারা বিনিয়োগ করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’

সার্কিট ব্রেকার বাজারের দরপতন ফেরাতে ব্যর্থ হলে আবারও ফ্লোর প্রাইস দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি না জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আশা করছি, আমাদের বাজারে আর কখনও ফ্লোর প্রাইস দিতে হবে না। শিগগিরই বাজার একটা স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরবে।’

আরও পড়ুন:
শেয়ারের দাম দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমবে না
ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of gold in the country has dropped another round to 114151 rupees

দেশে স্বর্ণের দাম আরেক দফা কমে ভরি ১১৪১৫১ টাকা

দেশে স্বর্ণের দাম আরেক দফা কমে ভরি ১১৪১৫১ টাকা
বাজুস মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে ওই দিন থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করে। সে হিসাবে দু’দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা।

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম একদিনের ব্যবধানে আরেক দফা কমেছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে দু’হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বলা হয়েছে,

স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নতুন নির্ধারিত দাম বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে কার্যকর হবে।

বাজুস এর আগের দিন মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে ওই দিন থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করে। সে হিসাবে দুদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা।

নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৯৫ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের ভরি ১ হাজার ৭১৪ টাকা কমিয়ে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা।

অবশ্য স্বর্ণালঙ্কার কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের এর চেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সে সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৫৮ টাকা।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার ভরি ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।

আরও পড়ুন:
কমানোর পর দিনই বাড়ল স্বর্ণের দাম
স্বর্ণের দাম এবার কমেছে, তবে নামমাত্র
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা
স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Infinix Inbook Y2 Plus An affordable powerhouse for everyday use

ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস: নিত্যদিনের ব্যবহারের জন্য সাশ্রয়ী পাওয়ারহাউজ

ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস: নিত্যদিনের ব্যবহারের জন্য সাশ্রয়ী পাওয়ারহাউজ ইনবুক ওয়াইটু প্লাস নামের ল্যাপটপটি দিচ্ছে চমৎকার ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ী দামের প্রতিশ্রুতি। কোলাজ: নিউজবাংলা
ল্যাপটপটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫৮ হাজার ৯৯০ টাকা। অনুমোদিত ইনফিনিক্স রিটেইলার থেকে ল্যাপটপটি কেনা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের বাজারে গত বছর প্রথমবারের মতো ল্যাপটপ নিয়ে আসে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। ইনবুক ওয়াইটু প্লাস নামের ল্যাপটপটি দিচ্ছে চমৎকার ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ী দামের প্রতিশ্রুতি। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী ও এক্সিকিউটিভদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে এ ল্যাপটপ।

দেখে নেওয়া যাক কী আছে ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস ল্যাপটপটিতে। এর ফিচার, পারফরম্যান্স ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাই বা কেমন।

ডিজাইন ও গঠন

স্লিক ও হালকা ডিজাইনের ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস সহজেই সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। শিক্ষার্থী ও ব্যস্ত এক্সিকিউটিভদের জন্য এ ল্যাপটপ যথার্থ। এর পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক মেটালিক ডিজাইন স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে দেয় প্রিমিয়াম অনুভূতি। স্লিক প্রোফাইল ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লের সঙ্গে যুক্ত সরু বেজেল ল্যাপটপটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। ফলে বাজারের একই ধরনের দামি ল্যাপটপের সমকক্ষ হয়ে ওঠে ওয়াইটু প্লাস।

তা ছাড়া এর মসৃণ এজি গ্লাস টাচ প্যানেলের কারণে সিল্কি-স্মুথ ও স্থায়ী টাচের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। ১.৫ মিলিমিটার কি ট্র্যাভেল এবং ব্যাকলাইটিংযুক্ত রেসপনসিভ কি-বোর্ড টাইপিংকে করে তোলে সহজ ও আরামদায়ক। তাই কম আলোতেও টাইপ করতে কোনো সমস্যা হয় না।

পারফরম্যান্স ও প্রোডাক্টিভিটি

১১তম প্রজন্মের কোর আই৫ প্রসেসর ও ৮ জিবি র‍্যাম রয়েছে ইনফিনিক্স ওয়াইটু প্লাসে। স্টোরেজের প্রয়োজন মেটাতে এতে আছে ৫১২ জিবি এনভিএমই পিসিআইই এসএসডি। প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়্যার, ওয়েব ব্রাউজ করা কিংবা কনটেন্ট স্ট্রিম করাসহ সব ধরনের উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানো যায় খুব সহজেই। এর ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিকস সাধারণ গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া এডিটিংয়ের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় গ্রাফিকস পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। উইন্ডোজ ১১ পরিচালিত ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের অপারেটিং সিস্টেম সবার পরিচিত ও ব্যবহার করা সহজ।

ডিসপ্লে ও মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতা

উজ্জ্বল রং ও ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে স্পষ্ট ও পরিষ্কার ভিজ্যুয়াল দেয় ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লেযুক্ত ইনবুক ওয়াইটু প্লাস। ৮৫ শতাংশ স্ক্রিন-টু-বডি রেশিওর সঙ্গে চমৎকার মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতার জন্য ডিসপ্লেটি দারুণ। কাজেই আপনার প্রিয় নেটফ্লিক্স সিরিজ দেখা কিংবা ফটো এডিট করা— সবই হবে স্বাচ্ছন্দ্যে।

ল্যাপটপটিতে আছে ডুয়েল এলইডি ফ্ল্যাশ ও এআই নয়েজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তিযুক্ত ১ হাজার ৮০ পিক্সেলের ফুল এইচডি+ ক্যামেরা। এর ফলে ভিডিও কলের অভিজ্ঞতা হবে আরও উন্নত।

ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং

ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের ৫০ ওয়াট-আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কোনো চার্জ ছাড়াই প্রতিদিনের কাজে আট ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। পাশাপাশি এর ৪৫ ওয়াট টাইপ-সি পোর্টযুক্ত চার্জারে ডিভাইসটি দ্রুত ও সহজেই চার্জ করা যায়। ফলে ভারী চার্জার বহনের প্রয়োজন হয় না।

দাম

ল্যাপটপটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫৮ হাজার ৯৯০ টাকা। অনুমোদিত ইনফিনিক্স রিটেইলার থেকে ল্যাপটপটি কেনা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
২ বছরের সফটওয়্যার আপডেটসহ দেশজুড়ে মিলছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ
ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি আনল ইনফিনিক্স
যে তিন কারণে আলাদা ইনফিনিক্স ল্যাপটপ
বাজারে এলো ইনফিনিক্সের গেমিং স্মার্টফোন হট ৪০ প্রো

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Organized Workshop on Smart Transformation of PFM Services of Local Government Institute

স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের পিএফএম সেবার স্মার্ট রূপান্তরকরণ নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের পিএফএম সেবার স্মার্ট রূপান্তরকরণ নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয় স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন ও অবহিতকরণবিষয়ক কর্মশালা। ছবি: সংগৃহীত
উদ্যোগের পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন ও অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রায় ৬০ জনের অংশগ্রহণে তিন দিনব্যাপী কর্মশালার প্রথম দিন মঙ্গলবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়।

‘ডিজিটাল আর্কিটেকচার ট্রান্সফরমেশন ইন লোকাল গভর্মেন্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক উদ্যোগের পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন ও অবহিতকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহীতে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নির্দেশিত স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র জনাব এএইচএম খায়রুজ্জামা (লিটনের) পরামর্শক্রমে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) অর্থায়ন এবং এটুআই, আইসিটি ডিভিশনের বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের ৫টি পাবলিক ফাইন্যানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট (হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন ধরনের সনদ যেমন জাতীয়তা সনদ, রিকশা/ভ্যান লাইসেন্স, বিদ্যুৎ/গ্যাসসহ বিভিন্ন ধরনের বিল) সংক্রান্ত সেবার স্মার্ট রূপান্তরের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল আর্কিটেকচার ট্রান্সফরমেশন ইন লোকাল গভর্মেন্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক উদ্যোগ রাজশাহীতে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

উদ্যোগের পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন ও অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রায় ৬০ জনের অংশগ্রহণে ৩ দিনব্যাপী কর্মশালার প্রথম দিন মঙ্গলবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়। এ উদ্যোগটি রাজশাহী সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।

উক্ত উদ্যোগের প্রধান সমন্বায়ক এটুআই, আইসিটি ডিভিশন চিফ ই-গর্ভনেন্স ড. ফরহাদ জাহিদ শেখ বর্ণিত কর্মশালায় স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন এবং পাইলটিং কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রাজশাহী জেলা পরিষদ, পবা উপজেলা পরিষদ, চারঘাট পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ, কাটাখালী পৌরসভা ও পারিলা, হরিপুর, হরিয়ান, হুজরীপাড়া ও ইউনিয়নের সম্মানিত মেয়র, চেয়ারম্যান, মেম্বার, কাউন্সিলর, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব, সিস্টেম অ্যানালিস্ট এবং এটুআই আইসিটি ডিভিশনের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
শিক্ষার সঙ্গে কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে রাজধানীতে কর্মশালা
চরমপন্থা রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকায় গুরুত্বারোপ
সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদ বন্ড মার্কেট উন্নতিতে বাধা
তরুণদের অনলাইনে নিরাপদ রাখতে টিকটকের ক্যাম্পেইন ‘সাবধানে অনলাইনে’
উন্নয়নের জন্য সুশাসন অপরিহার্য: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Biggest post election challenge in India Unemployment Survey

ভারতে নির্বাচন পরবর্তী বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব: জরিপ

ভারতে নির্বাচন পরবর্তী বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব: জরিপ ভারতের দিল্লিতে পণ্যবাহী গাড়ি টেনে নিচ্ছেন এক শ্রমিক। ছবি: রয়টার্স
গত ১৬ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ২৬ জন অর্থনীতিবিদের ওপর জরিপ চালায় রয়টার্স, যাদের মধ্যে ১৫ জনই বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর সরকারের জন্য বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হবে বেকারত্ব।

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসা সরকারের জন্য বেকারত্ব সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

বার্তা সংস্থাটি অর্থনীতিবিদদের ওপর চালানো জরিপের ফল বুধবার এক প্রতিবেদনে তুলে ধরে।

জরিপে অংশ নেয়া অর্থনীতিবিদদের আশা, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বড় অর্থনীতিগুলোর ‍তুলনায় দ্রুততম গতিতে ভারতের প্রবৃদ্ধি হলেও বিপুল ও ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটি।

গত ১৬ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ২৬ জন অর্থনীতিবিদের ওপর জরিপ চালায় রয়টার্স, যাদের মধ্যে ১৫ জনই বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর সরকারের জন্য বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হবে বেকারত্ব।

অন্যদিকে আট অর্থনীতিবিদ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশটির গ্রামাঞ্চলে ভোগকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন। অন্যদিকে দুজন অর্থনীতিবদ মূল্যস্ফীতি এবং একজন দারিদ্র্যকে বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন দল বিজেপি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল। চলতি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারে দলটি।

বিজেপির প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেকারত্বের হার পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে না।

আরও পড়ুন:
ভারতীয় পণ্য বর্জন বাস্তবসম্মত কি না, প্রশ্ন কাদেরের
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের সময় পাশে ছিল ভারত: কাদের
বিহারে নির্মাণাধীন সেতু ধসে একজন নিহত
দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার
গুজরাটে ‘তারাবির নামাজ পড়ায়’ হামলা, আহত ৫ বিদেশি ছাত্র

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Hotel resorts in Ruma and Thanchi are empty due to lack of tourists

পর্যটক-শূন্যতায় রুমা ও থানচির হোটেল রিসোর্ট ফাঁকা

পর্যটক-শূন্যতায় রুমা ও থানচির হোটেল রিসোর্ট ফাঁকা বান্দরবানের থানচি উপজেলার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট তমা তুঙ্গী। ফাইল ছবি
বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংকে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর পার্বত্য জেলা বান্দরবানে পর্যটন খাতে কালো ছায়া পড়েছে। ভয়ে-আতঙ্কে পর্যটকরা বুকিং বাতিল করছেন। ফলে ভরা মৌসুমেও লোকসানের মুখে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসা-সংশ্লিষ্টরা।

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে প্রতি বছর ঈদ, পহেলা বৈশাখ ও সাংগ্রাই উৎসব ঘিরে ব্যাপক পর্যটকের সমাগম হয়। বছর ঘুরে এসব উৎসব এলেও এবারের পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। বিশেষত জেলার রুমা ও থানচিতে পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছে। হোটেল-রিসোট পড়ে থাকছে ফাঁকা। দেখা মিলছে না দেশি-বিদেশি পর্যটকের।

সম্প্রতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংকে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর পর্যটন খাতে কালো ছায়া পড়েছে। ভয়ে ও আতঙ্কে পর্যটকরা আগে থেকে করে রাখা বুকিং বাতিল করছেন। ফলে ভরা মৌসুমেও লোকসানের মুখে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসা-সংশ্লিষ্টরা।

পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে অবস্থানকারী জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম বান্দরবান। জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচির অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণ। ইতোমধ্যে এসব স্পটের খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে থানচির অবস্থান। আর রোয়াংছড়ি ২০ কিলোমিটার ও রুমার দূরত্ব ৬৯ কিলোমিটার।

বান্দরবান-থানচি সড়কের মাঝামাঝি জীবননগর নামক স্থানে রয়েছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট নীলগিরি। নীল দিগন্ত বিস্তৃত এলাকাটি ম্রো অধ্যুষিত।

থানচি-আলিকদম সংযোগ সড়কে থানচি সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে ক্রাউডং (মারমা) ডিম পাহাড় (বাংলা)। নৌপথে সাংগু নদী বেয়ে তিন্দু ইউনিয়নে রয়েছে রাজা পাথর (বাংলা)।

এরপর রয়েছে রেমাক্রী খাল। জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের রোয়াংছড়ি উপজেলার শীলবাঁধা পাড়ায় দেবতাখুমের অবস্থান। এছাড়াও রয়েছে অনেক পর্যটন স্পট।

বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত প্রাকৃতিক হ্রদ হলো বগা লেক। রুমা উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে তিন হাজার সাতশ’ ফুট উচুঁতে এর অবস্থান। লেকটি পাহাড় চূড়ায় ১৫ হাজার একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত।

বগা লেক নিয়ে নানা কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হল বিজয় (তাজিং ডং)। সমতল থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ৫শ’ ফুট। রুমা উপজেলার রেমাক্রী পাংশা ইউনিয়নে এর অবস্থান।

রুমা উপজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। শীত মৌসুমে এই পর্বত দেখতে হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে।

এছাড়াও রয়েছে কেওকারাডং, জলপ্রপাতের পানি ঝিরসহ অনেক পর্যটন স্পট। আবার জেলার থানচিতে পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে থাকা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে নাফাখুম ঝরনা, আমিয়াখুং ঝরনা, ভেলাখুং ঝরনা, সাত ভাই খুং ঝরনা, লাংলুক ঝরনা, লৈক্ষ্যং ঝরনা, চিংড়িৎ ঝরনা।

প্রকৃতি এতোসব সম্ভার সাজিয়ে বসে আছে। কিন্তু তা দেখার জন্য পর্যটকের আগমন ঘটছে না। সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ভয় আর আতঙ্কে তারা পার্বত্য এসব পর্যটন স্পট এড়িয়ে চলছেন।

পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা জানান, বান্দরবান জেলায় পর্যটকদের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানগুলো হচ্ছে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায়। বিরাজমান পরিস্থিতিতে এই তিন উপজেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। ফলে এসব দর্শনীয় স্থানে যাতায়াত করাটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন পর্যটকরা। অধিকাংশ এলাকায় দোকানপাট বন্ধ। যানবাহন চলাচলও সীমিত। সন্ধ্যার আগেই লোকজন ঘরবন্দি হয়ে পড়ছে।

রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচির হোটেল-রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ ও পহেলা বৈশাখ চলে গেল। এসব উৎসবের ছুটিতে এখানে হোটেল-মোটেলের শতভাগ রুম বুকিং হওয়ার কথা। কিন্তু এবার সেসবের কিছুই হয়নি।

হঠাৎ করে ২ এপ্রিল রাতে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে। পরদিন দুপুরে থানচি সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে অস্থির হয়ে পড়েছে বান্দরবান।

কেএনএফ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শুরু হয় যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান। আর এই খবর দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে ভয়-আতঙ্কে মুখ ফিরিয়ে নেয় পর্যটকরা। অথচ এই সময়টাতে থানচি রেমাক্রীতে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম হওয়ার কথা ছিল।

পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটক না আসার কারণে এই ঈদ মৌসুমে তাদেরকে লাখ লাখ টাকার লোকসান গুনতে হবে।

নৌকার এক মাঝি জানান, থানচিতে পর্যটকের ছুটে চলার একমাত্র মাধ্যম হলো নৌকা। এখানে নৌকার সংখ্যা রয়েছে পাঁচ শতাধিক। আর এসব নৌকা চালানোর জন্য সমসংখ্যক মাঝি রয়েছেন। তাদের প্রধান আয়ের উৎস পর্যটক। নৌকা চালাতে পারলে সংসারের চাকা ঘুরবে, অন্যথায় উপোস থাকতে হবে। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে তারা দিনশেষে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।

থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন বলেন, ‘সরকারিভাবে পর্যটকদের এই এলাকা ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। তবে এমন পরিস্থিতি শোনার পর আর কেউ এখানে ঘুরতে আসবে বলে মনেও হয় না। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিটরা অনেক কষ্ট ও লোকসানে পড়বে বোঝা যাচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফ-এর শতাধিক অস্ত্রধারী ২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমা উপজেলার ইউএনও অফিস সংলগ্ন মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে। তারা সোনালী ব্যাংকের টাকাসহ ডিউটিরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারা যাওয়ার সময় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেও অপহরণ করে। পরদিন থানচি উপজেলা শহরের সোনালী ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি হয়।

যৌথ অভিযান চালিয়ে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে র‌্যাব ও সেনাবাহিনী। এরপর কেএনএফের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণা দেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

এসব ঘটনায় আটটি মামলা করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই জড়িতদের ধরতে এবং সন্ত্রাসীদের নির্মূলে ৬ এপ্রিল যৌথ বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। দুদিনের অভিযানে ১৮ নারীসহ ৫৬ জনকে আটক করে যৌথ বাহিনী। বাকি সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন:
পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত কম্বিং অপারেশন চলবে: সেনাপ্রধান
বান্দরবানের ঘটনার প্রভাব পড়বে না পর্যটনে: টুরিস্ট পুলিশ
ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় বিদেশি মদদ নেই: কাদের
বান্দরবানে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
‘কেএনএফের হুমকি’: বান্দরবানের দুই উপজেলায় বন্ধ গণপরিবহন

মন্তব্য

p
উপরে