× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Not only Bangladesh but all countries are reducing reserves
google_news print-icon

শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশেই কমছে রিজার্ভ

শুধু-বাংলাদেশ-নয়-সব-দেশেই-কমছে-রিজার্ভ
চীনের রিজার্ভ গত সাত মাসে ২০০ বিলিয়ন ডলার কমে ৩ হাজার ২৫০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩ হাজার ৫০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। দ্বিতীয় স্থানে জাপানের রিজার্ভ ১০০ বিলিয়ন ডলার কমে ১ হাজার ৪০০ বিলিয়ন থেকে ১ হাজার ৩০০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। ভারতের রিজার্ভ নেমে এসেছে ৫৭২ বিলিয়ন ডলারে। পাকিস্তানের রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির সূচকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে এখন বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ নিয়ে। বিশেষ করে গত ১২ জুলাই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসার পর থেকে সেই আলোচনার আগুনে ঘি পড়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তাহলে কি বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কা হতে চলেছে?

কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় ওলট-পালট হয়ে যাওয়া এই পৃথিবীতে শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশের রিজার্ভই এখন কমছে। বিশ্বে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকে চীনে। সেই চীনের রিজার্ভ গত সাত মাসে ২০০ বিলিয়ন ডলার কমে ৩ হাজার ২৫০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩ হাজার ৫০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। দ্বিতীয় স্থানে জাপানের রিজার্ভ ১০০ বিলিয়ন ডলার কমে ১ হাজার ৪০০ বিলিয়ন থেকে ১ হাজার ৩০০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। তৃতীয় স্থানের সুইজারল্যান্ডের রিজার্ভ ৯৫০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৮৪০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

আর পাশের দেশ ভারতের রিজার্ভ নেমে এসেছে ৫৭২ বিলিয়ন ডলারে। যা গত ২০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। গত ১৫ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে ৫৭২ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও ভারতের রিজার্ভ ৬০০ বিলিয়ন ডলারের উপরে অবস্থান করছিল।

অর্থনীতির অন্যান্য সূচকগুলোর মতো রিজার্ভ নিয়ে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের আর কোনো তুলনাই চলে না। বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নামার পরও পাকিস্তানের চেয়ে আড়াই গুণের বেশি। পাকিস্তানের রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটে থাকা শ্রীলঙ্কার রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলারেরও কম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের তথ্য ঘেঁটে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।

আর্থিক বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, আমদানি ব্যয় মেটানো, স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন রোধ, মুদ্রানীতি জোরদারকরণ, বাজারে আস্থা ধরে রাখাসহ বাজেট বাস্তবায়ন, বৃহৎ প্রকল্পে অর্থের জোগান, বৈদেশিক দায় পরিশোধ নিশ্চিত করতে সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সম্পদের মজুত হিসেবে ফরেন এক্সচেঞ্জ বা বৈদেশিক মুদ্রা মজুত রাখে। অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, যেকোনো দেশেরই নিজস্ব মুদ্রার বাইরে বিদেশি মুদ্রায় তা রাখা উচিত। নিয়মটি সারা বিশ্ব মেনে চলে।

শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশেই কমছে রিজার্ভ

সাধারণত বৈদেশিক মুদ্রার মজুত হিসেবে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ মার্কিন ডলারকে বেছে নেয়। তবে দেশভেদে মার্কিন ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড, ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো, চীনা ইউয়ান ও জাপানি ইয়েনে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত রাখা হয়। অবশ্য বিদেশি মুদ্রার পাশাপাশি ব্যাংক নোট, বন্ড, আমানত, ট্রেজারি বিল ও অন্যান্য সরকারি সিকিউরিটিজের মাধ্যমেও বৈদেশিক মুদ্রা মজুত রাখা যেতে পারে।

বিদেশি মুদ্রা মজুতে গত বছরের জুলাই মাসে রাশিয়াকে পেছনে ফেলে চতুর্থ স্থানে উঠে আসে ভারত। প্রথমবারের মতো দেশটির রিজার্ভ ৬০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করার মধ্য দিয়ে রাশিয়াকে টপকায় ভারত।

তবে, ভারতের রিজার্ভ কমার পর দুই দেশের রিজার্ভ এখন কাছাকাছি। জুলাইয়ের প্রথম দিকে রাশিয়ার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৫৮০ বিলিয়ন ডলারের মতো।

ষষ্ঠ থেকে দশম স্থানে থাকা দেশগুলোর মজুতের পরিমাণ হচ্ছে যথাক্রমে তাইওয়ান, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুর ডলার।

তাইওয়ানের রিজার্ভের পরিমাণ এখন ৫৪ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৫৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

এভাবে বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ছোট-বড় সব দেশের রিজার্ভই এখন কমছে।

বিদেশী মুদ্রার মজুতে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পেছনেই রয়েছে বাংলাদেশ। তবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে ৪০তম।

গত সপ্তাহের শেষ দিন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৩৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার।

গত বছরের আগস্টে এই রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় বাজারে ডলারের সংকট দেখা দেওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধারাবাহিকভাবে বাজারে ডলার বিক্রি করায় রিজার্ভ কমে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই রিজার্ভ থেকে এক অর্থবছরে এত ডলার বিক্রি করা হয়নি।

সেই ধারাবাহিকতায় ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের ২১ দিনে (১ থেকে ২১ জুলাই) প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।

বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

শুধু বাংলাদেশ নয়, ডলারের বিপরীতে রুপির পতন ঠেকাতে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বাজারে ডলার ছাড়ছে। আর এর জেরেই রিজার্ভ এতটা কমেছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অযথাই ভয় পাচ্ছে দেশের মানুষ। অনেকে আবার ইচ্ছে করে, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। আমি মনে করি বর্তমানের বাংলাদেশে যে রিজার্ভ আছে তা যথেষ্ট ভালো; সন্তোষজনক। এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামার আগ পর্যন্ত বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।

‘আর আমার বিশ্বাস, সেটা এই দেশে কখনই হবে না। সরকার ব্যয় সংকোচনের জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদেক্ষেপে আমদানি ব্যয় কমতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্যসহ অনেক পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। আমার বিশ্বাস, এ সব কিছুর ইতিবাচক ফল খুব শিগিগিরই পাওয়া যাবে। সংকট কেটে যাবে।

মাত্র ১২ কোটি ডলার থেকে শুরু

স্বাধীনতার পর প্রায় এক দশক বাংলাদেশের রিজার্ভের কোনো তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নেই।

প্রথম যে তথ্য পাওয়া যায়, ১৯৮১-৮২ অর্থবছরের, তখন রিজার্ভ ছিল মাত্র ১২ কোটি ১০লাখ ডলার।

পাঁচবছর পর ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছর শেষে সেই রিজার্ভ বেড়ে হয় ৭১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ১৯৯১-৯২ অর্থবছরশেষে রিজার্ভ ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) ডলারের ‘ঘর’ অতিক্রম করে ১ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে উঠে।

শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশেই কমছে রিজার্ভ

১৯৯২-৯৩ অর্থবছর শেষেই রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে ২ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। ৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর শেষে।

১৯৯৫-৯৬ অর্থবছর শেষে তা কমে ২ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে তা আরও কমে ১ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।

এরপর ১৯৯৭-৯৮ থেকে ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছর পর্যন্ত রিজার্ভ দেড় থেকে দুই বিলিয়ন ডলারের মধ্যে উঠানামা করে।

২০০০-০১ অর্থবছরে রিজার্ভ কমে ১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি নেমে আসে। ওই অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার থাকলেও অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে তা ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছিল।

এরপর অবশ্য কখনই রিজার্ভ ১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি আসেনি। ২০০১-০২ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ বেড়ে হয় ১ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার।

২০০৫-০৬ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ৫ বিলিয়ন ডলার অত্রিক্রম করে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।

এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। বেড়েই চলেছে অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক।

২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। পরের বছর ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ২০১৬ সালের জুনে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ২৪ জুন সেই রিজার্ভ আরও বেড়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।

৪০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়ায় ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর।

এভাবে বাড়তে বাড়তেই গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল।

আরও পড়ুন:
ডলার বিক্রি করেই চলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দুই বছর পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়নের নিচে
রিজার্ভ থেকে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ডলার বিক্রি
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হারে তিন দশকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি
রিজার্ভ দেড় বছরে সর্বনিম্ন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Bank Asia to acquire foreign bank Alfalah

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া
পাকিস্তানের করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি

করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Dutch Bengal agent bank is accused of looting money by making the employee unconscious

কর্মচারীকে অজ্ঞান করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা লুটের অভিযোগ

কর্মচারীকে অজ্ঞান করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা লুটের অভিযোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব‍্যাংক কর্মচারী সাগর শেখ। ছবি: নিউজবাংলা
ব্যাংক এজেন্ট বিপ্লব হোসেন জানান, প্রতিদিন ব্যাংকে অনেক টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। এর সঙ্গে প্রতিদিনের লেনদেনের আরও টাকা থাকে। তাই কত টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে তা সঠিক হিসাব না করে বলা যাচ্ছে না।

মেহেরপুরের মুজিবনগরে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকের কর্মচারীকে অজ্ঞান করে ব্যাংক থেকে টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার শিবপুরে সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় কর্মচারী সাগর শেখকে অজ্ঞান করে টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত দুইজন।

ঘটনার বেশ কিছু সময় পরে স্থানীয়রা অসুস্থ অবস্থায় সাগর শেখকে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শিবপুর গলাকাটা বাজারে বিপ্লব হোসেন এজেন্ট হিসেবে ব্যাংক পরিচালনা করে আসছেন। সোমবার দুপুরে ব্যাংক কর্মচারী সাগর শেখ কাজ করছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতরা ব্যাংকে প্রবেশ করে তাকে অজ্ঞান করে। আশপাশের লোকজন টের পাওয়ার আগেই তারা ব্যাংক থেকে টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা আরও জানায়, ঘটনার আগে তারা ব্যাংকে অজ্ঞাত দুজনকে প্রবেশ করতে দেখেছিলেন, তবে তারাই যে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। তাদের প্রবেশের কিছুক্ষণ পরে সাগরকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখেন স্থানীয়রা।

ব্যাংক এজেন্ট বিপ্লব হোসেন জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরা ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। অজ্ঞাতরা এ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করে ডাকাতি করেছে বলে ধারণা তার।

বিপ্লব হোসেন আরও জানান, প্রতিদিন ব্যাংকে অনেক টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। এর সঙ্গে প্রতিদিনের লেনদেনের আরও টাকা থাকে। তাই কত টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে তা সঠিক হিসাব না করে বলা যাচ্ছে না।

মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ব্যাংক কর্মচারীর শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। চোখ খুলে তাকাচ্ছে, কিন্তু তার চেতনা ফেরেনি। তাকে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়েছে না চোখে চেতনানাশক স্প্রে করা হয়েছে তা নিশ্চিত হতে সময় লাগবে।’

মুজিবনগর থানার ওসি উজ্জ্বল দত্ত জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হাসপাতালে ভর্তি কর্মচারী সুস্থ হলে তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার আশা করা হচ্ছে, তবে পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ভল্ট ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ: র‌্যাব
রুমার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে কুকি চিন জড়িত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রুমার পর এবার থানচিতে দিনদুপুরে দুই ব্যাংকে ডাকাতি, লুট
১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ১১ হাজার মানুষকে অর্থসহায়তা দিল এনআরবিসি ব্যাংক

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In the current financial year the majority of remittances have come to Dhaka district
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ্লেষণ

চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ এসেছে ঢাকা জেলায়

চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ এসেছে ঢাকা জেলায়
জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় ৫২৩ কোটি ও চট্টগ্রাম জেলায় ১৪২ কোটি ডলার এসেছে। এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ও নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

প্রবাসীদের আয়ের একটি বড় অংশ‌ই আসে ঢাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখাগুলোতে। অর্থাৎ প্রবাসীদের পরিবারের বেশিরভাগই ঢাকায় থাকেন বা তাদের অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট ঢাকার ব্যাংক শাখায়।

ইউএনবি জানায়, রেমিট্যান্সের জেলাভিত্তিক চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। সিলেট তৃতীয় এবং কুমিল্লা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।

এরপরে রয়েছে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নরসিংদীর অবস্থান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয় প্রতিবেদনে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২১৬ কোটি ডলার। তার আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় ছিল ২১০ কোটি ডলার।

জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়কালে ঢাকা জেলায় এসেছে ৫২৩ কোটি ডলার এবং চট্টগ্রাম জেলায় এসেছে ১৪২ কোটি ডলার।

এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন ডলার, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ডলার এবং নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ডলার এবং নরসিংদীতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার এসেছে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলো থেকে বেশি প্রবাসী আয় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হচ্ছে না। কারণ অনেক প্রবাসী বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন। বরং তারা (প্রবাসীরা) দেশে থাকা সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অর্থ পাচার বাড়ছে।

আরও পড়ুন:
ঈদের আগের সপ্তাহে এসেছে সাড়ে ৪৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স
ঈদ সামনে রেখেও রেমিট্যান্স প্রবাহে নিম্নগতি
ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৬ কোটি ডলার
চলতি মাসে দিনে গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার
ফেব্রুয়ারির ১৬ দিনে এসেছে ১২,৬০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In the week before Eid remittances of 45 million dollars came

ঈদের আগের সপ্তাহে এসেছে সাড়ে ৪৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স

ঈদের আগের সপ্তাহে এসেছে সাড়ে ৪৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় দর বাড়ার ঘটনায় মার্চে রেমিট্যান্স দুশ’ কোটি ডলারের নিচে নেমে আসে। এপ্রিলের প্রথম পাঁচ দিনে রেমিট্যান্সে এই বাড়তি গতির মূল কারণ প্রবাসীরা ঈদ উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন।

ঈদের আগের সপ্তাহে (১ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত) প্রবাসী বাংলাদেশিরা ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। রেমিট্যান্সে এই বাড়তি গতির মূল কারণ প্রবাসীরা ঈদ উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন।

ব্যাংকাররা বলছেন, গত মার্চ মাসে প্রতি সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। সে হিসাবে, এপ্রিলের প্রথম ৫ দিনে রেমিট্যান্স ভালোই এসেছে। মূলত, প্রবাসীরা ঈদ উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে অর্থ পাঠানোর কারণেই বেড়েছে রেমিট্যান্স।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, টানা দু’মাস রেমিট্যান্স আয়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকার পর ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় দর বাড়ার ঘটনায় মার্চে রেমিট্যান্স দুশ’ কোটি ডলারের নিচে নেমে আসে।

মার্চে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৯৯ কোটি ডলার দেশে পাঠান। ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ২১৬ কোটি ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, আগের বছরের একই মাসের ২০২ কোটি ডলারের তুলনায় গত মার্চে ১ দশমিক ২৪ শতাংশ রেমিট্যান্স কম এসেছে।

ব্যাংক-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মার্চ মাসের বেশিরভাগ দিনে ডলারের বিনিময় দর কমে দাঁড়ায় ১১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১৩ টাকায়। সে তুলনায় জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ডলারের দর ছিল ১২০ থেকে ১২২ টাকা পর্যন্ত।

তারা বলছেন, ডলারের দাম কমার এই ঘটনা প্রবাসীদের বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে। আর তার প্রভাব পড়ে রেমিট্যান্সের সার্বিক চিত্রে।

আরও পড়ুন:
প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের নতুন রেকর্ড
রেমিট্যান্সে গতি, ডিসেম্বরে ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে: বিশ্বব্যাংক
নভেম্বরে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স
বিদেশি মুদ্রায় দেশের ব্যাংকে আমানত রাখার সুযোগ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Basic Bank is merging with City Bank

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক
সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ১৯ মার্চ একীভূতকরণের সুপারিশ করার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংযুক্তিকরণ সত্ত্বেও আগামী তিন বছর দুই ব্যাংক আলাদাভাবে তাদের আর্থিক হিসাব দেবে।

দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চলেছে বেসিক ব্যাংক। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং সিটি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৈঠকে সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিনের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এই কৌশলগত একীভূতকরণের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্র: ইউএনবি

বেসিক ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের মধ্যে একীভূতকরণ স্বেচ্ছায়ই হতে যাচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়। ১৯ মার্চ সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ একীভূতকরণের সুপারিশ করার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও উভয় ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।

সংযুক্তিকরণ সত্ত্বেও আগামী তিন বছর দুই ব্যাংক আলাদাভাবে তাদের আর্থিক হিসাব দেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

দেশে ব্যাংক একীভূতকরণের বিস্তৃত প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বর্তমানে বেশ কয়েকটি ব্যাংক সম্ভাব্য সংযুক্তিকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করছে। এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পর জনগণকে জানানো হবে।

এ নিয়ে মোট আটটি ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যাংক পাঁচটি আর বেসরকারি ব্যাংক তিনটি। গত মার্চ মাসে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চুক্তি করেছে পদ্মা ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে ব্যাংক একীভূত করার ধারা শুরু হয়।

এ ছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Distribution of food items among fasting people of Islami Bank

রোজাদারদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ইসলামী ব্যাংকের

রোজাদারদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ইসলামী ব্যাংকের রমজান উপলক্ষে রাজধানীর মহাখালীর আমতলী ঈদগাহ মাঠে ইসলামী ব্যাংক পিএলসি বৃহস্পতিবার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে। ছবি: সংগৃহীত
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা সেন্ট্রাল জোন প্রধান মাহমুদুর রহমান।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির (পিএলসির) উদ্যোগে ঢাকায় রোজাদারদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

রাজধানীর মহাখালীর আমতলী ঈদগাহ মাঠে বৃহস্পতিবার এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এবং ঢাকা-১৭ আসনের এমপি মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা সেন্ট্রাল জোনপ্রধান মাহমুদুর রহমান।

ওই সময় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান সার্কেল-১ শাখাপ্রধান এ এস এম নাসির উদ্দিনসহ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
IMF insists on meeting reserve targets to get third tranche loan

তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জোর আইএমএফের

তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জোর আইএমএফের
পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আইএমএফ নিট রিজার্ভের প্রয়োজনীয়তা সহজ করলেও বাংলাদেশের পক্ষে মার্চের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন। বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি বাংলাদেশের জন্য নিট রিজার্ভের নতুন মান নির্ধারণ করতে পারে বা ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড় বিলম্বিত করতে পারে।’

বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেয়ার শর্ত হিসেবে ২০২৪ সালের মার্চে নির্ধারিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি তাদের অবস্থান তুলে ধরে।

ঋণের তৃতীয় কিস্তির ৪৭০ কোটি ডলার দেয়ার আগে আর্থিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য বাংলাদেশ সফর করছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।

আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী ২০২৪ সালের মার্চে ১ হাজার ৯২৬ কোটি ডলার রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু প্রকৃত রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘শর্ত পূরণে আইএমএফ কিছুটা কঠোর হওয়ায় সংস্থাটির ঋণের তৃতীয় কিস্তি নিয়ে জটিলতা ও অনিশ্চয়তা রয়েছে।’

‘রিজার্ভ ঘাটতির কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা বেশ কিছু ধারণা জানিয়েছেন। আইএমএফ শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে ইতিবাচক হবে বলে আমরা আশা করছি।’

ডলার সংকট নিরসনে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে সরকার। ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে আইএমএফের একটি পর্যালোচনা মিশন বাংলাদেশ সফর করছে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আইএমএফ নিট রিজার্ভের প্রয়োজনীয়তা সহজ করলেও বাংলাদেশের পক্ষে মার্চের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন।

‘বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি বাংলাদেশের জন্য নিট রিজার্ভের নতুন মান নির্ধারণ করতে পারে বা ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড় বিলম্বিত করতে পারে।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশকে ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
আইএমএফের শিথিল শর্তেও রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি
আইএমএফের ঋণের শর্ত পূরণে ব্যাংক থেকে ডলার কিনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
সংস্কারে সন্তুষ্ট আইএমএফ, ডিসেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়

মন্তব্য

p
উপরে