পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ানো, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় ইত্যাদি ইস্যুতে নতুন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারকে নিয়ে বেশ আশাবাদী পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, বন্ডে বিনিয়োগ ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার বাইরে রাখা, ডুবে যাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেনে তোলাসহ নানা বিষয়ে গভর্নরের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনি বেশ আশাবাদী এসব বিষয়ে।
নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন শিবলী রুবাইয়াত। তিনি জানান, পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা যেমন চলছে, তেমনি রুগ্ন কোম্পানিগুলোতে প্রাণ ফেরানোর উদ্যোগও চলছে।
আগামী এক বছরের মধ্যে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানি উৎপাদনে ফিরে আসবে বলেও আশাবাদী বিএসইসি প্রধান।
মার্কেটে মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হলেই একটি আলোচনা সামনে চলে আসে যে, দুটি রেগুলেটরের এর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। মানি মার্কেটের রেগুলেটর হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক মেজারস নেয় যেটা স্টক মার্কেটের রেগুলেটর হিসেবে আপনাদের জানা থাকে না। সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তোলা হয়। এই সমন্বয়হীনতা কতদিন চলবে এবং এটাকে প্রশমিত করার জন্য আপনারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
হ্যাঁ, যেটা বলছেন সেটা ঠিক যে, ২০১২ সালের আইন অনুযায়ী পুঁজিবাজারের কোনো বিষয়ে কথা বলতে হলে তা রেগুলেটরের সঙ্গে আলোচনা করে করতে হয়। কারণ মার্কেটটা খুবই স্পর্শকাতর।
কিন্তু আমরা খেয়াল করেছি আমাদের সেন্ট্রাল ব্যাংক সেটা আগে করেনি। অন্যদিকে, আমরা যখন গভর্নেন্সকে গুরুত্ব দিচ্ছিলাম, করপোরেট গভর্নেন্স আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে এনআরসি কমিটি করতে বলার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, কমিটি করতে হবে না, সেটাও আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে।
এতে যেটা হয়, তালিকাভুক্ত ব্যাংকের গভর্নেন্সগুলোর যে সকল বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি, আমরা কিছু একটা বলছি সেটা আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে উনারা না করে দিলে আমরা অপমানিত হই। গভর্নেন্স ইস্যুটা উপেক্ষিত হয়।
তারপরও আমাদের বাজারের বিভিন্ন এক্সপোজার লিমিট, বা আইসিবিকে বিভিন্নভাবে বিব্রত করা বা বন্ড, যেটা সারা পৃথিবীর উন্নতির চাবিকাঠি সেটাতে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হতে হয়।
আপনি বন্ড মার্কেটকে ভাইব্রেন্ট করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু বন্ডে বিনিয়োগ ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিটের মধ্যে গণনা করা হলে বন্ড মার্কেটকে ভাইব্রেন্ট করবেন কীভাবে?
আমি তো সেটা ডে ওয়ান থেকে বলার চেষ্টা করছি। আমার চোখের সামনে এক লাখ থেকে দুই লাখ, দুই লাখ থেকে তিন লাখ, করতে করতে এখন বাংলাদেশের পাঁচ লাখ, ছয় লাখ টাকার বাজেট হচ্ছে। প্রত্যেক বছর এই যে লাখ কোটি টাকার বাজেট বেড়ে যায়, ওই পরিমাণ টাকা কি ট্যাক্স থেকে আহরণ করতে পারবেন? এরকম ৫০ হাজার এক লাখ কোটি টাকা এক বছরের মধ্যে?
এটা কোনোদিন সম্ভব না। কিন্তু অ্যানুয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম নিতেই হবে। যে গতিতে উন্নয়ন হচ্ছে, ধরা যাক পদ্মা ব্রিজ, ৩০ হাজার কোটি টাকা লাগল শুধু ব্রিজেই, এরকম ব্রিজ কিছু বানাতে গেলেই দুই, চার, পাঁচ হাজার কোটি টাকা লাগবে। হাইওয়ে, রোড, সামনে এয়ারপোর্ট করতে লাগলে হাজার হাজার কোটি টাকা লাগবে। অন্যের কাছ থেকে লোন নেবেন নাকি নিজের টাকায় করবেন?
বড় বড় স্থাপনাকে মার্কেটে আনা হয়, সে রকম পরিকল্পনা দেবার ইচ্ছে আছে কি?
সেটাই আমি বলতে চাচ্ছিলাম। মানুষকে ট্যাক্সের বা রাজস্বের চাপে ফেলে বা যেকোনোভাবে চাপে ফেলে টাকা এনে অ্যানুয়াল ডেভেলপমেন্ট করা সম্ভব না। পৃথিবীর কোনো দেশ পারে নাই।
এত পরিমাণ টাকা হয়তো তেল সমৃদ্ধ দেশ ছাড়া কেউ অন্য কোনো উৎস থেকে না নিয়ে করতে পারেনি। বন্ড এসব ক্ষেত্রে হেল্প করে। ব্যাংক লোন, বিদেশি লোন, সরকারের রাজস্ব, এগুলো ছাড়া বন্ড হচ্ছে অলটারনেটিভ ফাইন্যান্সের বড় উৎস।
এখন যদি বলা হয়, বন্ডের এক্সপোজার লিমিট এতটুকু, তাহলে মানুষ বিনিয়োগ করতে পারবে না। জনগণ বিনিয়োগ করার সাথে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ লাগবে।
এখন সামনে হয়তো একটা ব্রিজ হবে বন্ডের টাকায়। রাজস্ব খাত থেকে টাকা এ বছর হয়তো পাচ্ছি না, দুইটা ছয় লেনের রাস্তা করতে হবে, ম্যাগনেটেড রেল করতে হবে ঢাকা টু কক্সবাজার বা চিটাগং, এগুলো সব প্রজেক্ট তো আপনি রাজস্ব খাত দিয়ে পারবেন না। তখনই বন্ড হয় একটা অলটারনেটিভ সোর্স।
এটাকে কোনো লিমিটের মধ্যে, এক্সপোজার লিমিটের মধ্যে বেঁধে রাখলে তখন আর কোনো উন্নতি হয় না। যদি লোন দেয়ার ক্ষেত্রে লিমিট না দেয়া হয় তাহলে বন্ডে লিমিট কেন?
তারপর আবার এত অল্প লিমিট দেয়া হয়েছে যে বন্ডের আর উন্নতি হচ্ছে না। এগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি, বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমি খুব আশাবাদী যে, নতুন গভর্নর আসছেন, উনার সঙ্গে বন্ড নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে।
লিস্টেড নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট, যেগুলো খুবই পঙ্গু অবস্থায় আছে সেগুলোকে কীভাবে রিভাইভ করে আমানতকারীর টাকা ফিরিয়ে দিয়ে বা বিনিয়োগকারীকে সুরক্ষা করা যায়, এগুলো নিয়ে উনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি খুবই বিনয়ী একজন লোক। আশা করি, ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করে আমরা অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পারব।
সুকুক বন্ড বাজারে এসেছে, ট্রাকজেকশন হচ্ছে। ট্রেডের ক্ষেত্রে হাওলা চার্জ একটি বড় বাধা বলে আপত্তি রয়েছে বিনিয়োগকারীদের। এ বিষয়ে কী বলবেন?
সেটার জন্য ট্রেড করতে অসুবিধা হলে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আমাদের সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। আমরা এমন কিছু করব না, যেটা ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ করতে অসুবিধা হয়। আমাদের কমিশন সার্ভিস চার্জ কোনো অন্তরায় হলে অবশ্যই তা রিভিউ করব।
বেশ কিছু কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করে উৎপাদনে আনার প্রক্রিয়া চালু করেছেন আপনারা। এর মধ্যে ফ্যামিলিটেক্সও আছে। এই কোম্পানিটির পুনর্গঠিত বোর্ড থেকে তো সুনির্দিষ্ট তথ্য জানানো হচ্ছে না।
ফ্যামিলি টেক্স উৎপাদনে আছে। একবার বলা হয়েছিল বন্ধ হয়ে গেছে। তারা মনে হয় সাবকনট্রাক্ট করছে, প্রোপার এক্সপোর্ট করছে না। আমরা তাদের বোর্ডে স্বতন্ত্র পরিচালক দিয়ে চেষ্টা করেছি। তাদের ম্যানেজমেন্টকে হেল্প করে কোনোভাবে বের করে আনা যায় কি না।
কিন্তু স্বতন্ত্র পরিচালকরাও বলছেন, কোম্পানির কারেন্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য এখান থেকে বের হয়ে আসাটা কঠিন হবে। সঙ্গে ব্যাংক লায়াবিলিটিটাও হয়ে গেছে অনেক। সেক্ষেত্রে আমাদেরকে অন্য চিন্তা করতে হবে। কোম্পানিটিকে নতুন ম্যানেজমেন্ট, নতুন ওনার, বা কোনো স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানে ফেলে রিভাইভ করা যায় কি না।
এরকম অনেক কোম্পানিকে আমরা রিভাইভ করেছি। ১২ থেকে ১৩টি কোম্পানি প্রোডাকশনে চলে গেছে। আরও ২০, ৫০ কোম্পানি ২, ৩ বছরের মধ্যে প্রোডাকশনে চলে আসছে। এর মাধ্যমে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে।
২০, ৩০ বছর ধরে যেসব বিনিয়োগকারী হতাশ হয়েছেন, কোনোদিন তাদের বিনিয়োগ ফেরত পাবেন কি না, এটা নিয়ে একটা সাংঘাতিক রকমের দুশ্চিন্তায় ছিলেন, তারা কিন্তু বের হয়ে আসছে।
আমরা এভাবে চেষ্টা করছি, কোনো কোম্পানি বন্ধ না করে, বন্ধ হওয়ার কারণ খুঁজে বের করে কোম্পানি চালু রাখতে।
কোম্পানি বন্ধের কারণ হতে পারে বিভিন্ন। আমাদের সেখানে দৃষ্টিপাত করতে হবে। কিন্তু বন্ধ হতে দেয়া যাবে না। কারণ এত টাকা বিনিয়োগ করে, ক্যাপিটাল ইনভেস্ট করে, জমিজমা, মেশিন, বিল্ডিং করার পর কিছু ম্যানেজমেন্টের গাফিলতির কারণে এটা বন্ধ হতে দেয়া যাবে না।
কতগুলো কোম্পানিকে চালু করতে পেরেছেন?
বন্ধ ছিল রিং শাইন। এখন সেটা চালু হয়েছে। সেটার জন্য বায়ার আসছে। এমারেল্ড অয়েল চালু হয়ে গেছে। ইউনাইটেড এয়ারের টেকনিক্যাল অডিট, রেগুলার অডিট হয়ে গেছে। এখন সিভিল অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে কাজ চলছে।
ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এখন চালু, যেটা সাংঘাতিকভাবে ইরোশান হচ্ছিল সেখান থেকে বের হয়ে এখন প্রফিটে চলে আসছে।
সিএনএ টেক্সটাইল বন্ধ ছিল। চালু হয়ে গেছে। আরেকটি গ্রুপের সহায়তায় প্রোডাকশনে যাচ্ছে। এ রকম অনেক মুভমেন্ট হচ্ছে এখন। বলে শেষ করতে পারব না, এরকম অনেক। আমাদের হাতে দরখাস্ত আছে প্রায় ২০ বা ২৫টা। যারা বন্ধ কোম্পানি টেকওভার করে চালু করতে চায়।
বাংলাদেশে এখন প্রচুর টেক্সটাইল ও গার্মেন্টেসের অর্ডার আসছে। প্রচুর রাসায়নিক, ফুটওয়্যার, চামড়াজাত পণ্যের অর্ডার আসছে। এই ধরনের যত বন্ধ কোম্পানি ছিল, সেগুলো চালু করার জন্য আবেদন আছে। নতুন কোম্পানি চালু করতে যে সময় লাগবে, তার বিপরীতে এক্সিস্টিং একটা কোম্পানিকে রিপেয়ার করে, মেইনটেন্স্যাসের কাজ শেষ করে, লাইসেন্স রিনুয়াল করে তাড়াতাড়ি শুরু করা যাবে।
যারা বন্ধ ছিল, খুব স্লো চলছি, তারাও এখন অর্ডার পাচ্ছে। কিন্তু ব্যাংক লায়াবিলিটির জন্য হেল্প পাচ্ছে না। তখন নতুন দুই চারজন ডাইরেক্টর বা ইনভেস্টর ঢুকিয়ে, সেগুলোকে উজ্জীবিত করা হচ্ছে।
আমার মনে হয় না এক বছর পরে আর বেশি কোম্পানি থাকবে যেগুলো ওটিসিতে পড়ে ছিল বা মেইন বোর্ডে থেকেও বন্ধ ছিল। আমরা সব ইনশাল্লাহ চালু করে দিতে পারব।
স্বল্পমূলধনি কোম্পানিকে মূলধন বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের মূলধন বাড়ানোর প্রয়োজন কি-না তা কোম্পানি বলবে। রেগুলেটর পারে কি?
দুইটা বিষয় আছে, একটা করে বলি। একটা হলো যে, ৩০ কোটির পেইড আপ ক্যাপিটাল থাকা উচিত। আপনারা দেখবেন, বাজারে যেসব শেয়ারের দাম অনেক বেশি ৫০০, ১০০০ বা ২০০০ টাকা সেসব কোম্পানিগুলোর বাজারে ফ্লোট কম। ফ্লোট কম হওয়ায় ভালো কোম্পানিগুলোর ডিমান্ড ক্রিয়েট হতে হতে প্রাইস এরকম হাই পর্যায়ে চলে গেছে।
পাঁচ কোটি বা দশ কোটি টাকার পেইড আপ ক্যাপিটাল, খুবই ভালো কোম্পানি, তাদেরকে বলি, এত কম পেইড আপ ক্যাপিটাল ও এত কম ফ্লোট শেয়ার রাখলে প্রাইস অ্যাবনরমাল হয়ে যাচ্ছে। আবার বেশি লোক আপনাদের শেয়ার হোল্ডার হতেও পারছে না। পেইড আপ ক্যাপিটালটা আমাদের আইন অনুযায়ী, আগে যখন করেছেন তখন এই আইনটা ছিল না। এখন হয়েছে, এখন কমপ্লাই করেন।
যেহেতু সেগুলো ভালো এবং বড় কোম্পানি। তারা বলছে, স্যার, আমাদের এই টাকাটা তো দরকার নাই। হঠাৎ যদি ২০, ৩০ কোটি টাকা রেইজ করে কী করব? লায়াবিলিটি বাড়বে, বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিতে হবে। এই মুহূর্তে নিজেরই রিটেইন আর্নিং আছে শত কোটি টাকা, পেইড আপ বাড়িয়ে আরও টাকা দিয়ে তো কোনো কাজে লাগবে না।
তারা আমাকে বলেছে, স্যার, আমরা বিএসইসির সবকিছু সম্মান করি। আমাদেরকে একটু সময় দেন। আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত বলেছিলাম তারা হয়তো আগামী বছর পর্যন্ত সময় চাচ্ছে। তবে গ্র্যাজুয়ালি একটা একটা করে কোম্পানি পেইড আপ বাড়াচ্ছে।
স্টক ডিভিডেন্ড দেয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। অনেক শর্ত দেয়া হচ্ছে, আবার ডাবল রেকর্ড ডেটের মধ্যে যেতে হচ্ছে, তাহলে?
এটা কিন্তু সবার জন্য না। যারা এ ক্যাটাগরির, বি ক্যাটাগরির তাদের কিন্তু লাগছে না। এটা তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা স্টক ডিভিডেন্ড দিয়ে যাচ্ছে, ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয় না। এদের সংখ্যা চার, পাঁচ, ছয় বা দশটা কোম্পানি, এর বেশি না।
সেটা করা হয়েছে কারণ, তারা কোনোদিন ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয় না, অথবা পাঁচ, ১০ বছর ধরে দেয় না। তাদেরকে বলি, আপনি স্টক দিতে দিতে পেইড আপ এত বেড়ে যাচ্ছে যে, কয়েকদিন পরে আপনার ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা থাকবে না। হয়তো সেই কোম্পানির লাভ হয় ১৫ কোটি টাকা, তার পেইড আপ হয়ে গেছে ২০০ কোটি টাকা। ২০০ কোটির ১০ শতাংশ হবে ২০ কোটি টাকা। তার লাভ হয় ১৫ কোটি, সে তো লভ্যাংশই দিতে পারবে না। সেই কারণে তাদেরকে আমরা স্টক দিয়ে পেইড আপ ক্যাপিটাল বাড়ানোটা নিরুৎসাহিত করি।
যখন দেখি তার প্রফিট প্রায়ই পেইড আপের ১০ শতাংশের কাছাকাছি হয়ে গেছে, তখন তো আর তাকে বোনাস দিতে দেয়া যাবে না। তাহলে জনগণ আর লভ্যাংশ পাবে না। যাদের কম তাদেরকে উৎসাহিত করি।
পরিচালকদের ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ নিয়ে সবশেষ কী পরিস্থিতি দাঁড়াল?
স্পন্সর ডিরেক্টরদের ২ শতাংশ আর সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ধারণ নিয়ে অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন। এটা কিন্তু আমরা খুব স্ট্রংলি ইমপ্লিমেন্ট করেছি।
সম্প্রতি তিনটা কোম্পানি ফুলফিল করে ফেলেছে। বাকি যে কোম্পানিগুলো আছে তাদের মধ্যে ছয়, সাতটা বন্ধ। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি, নতুন ম্যানেজমেন্ট দিয়ে রিভাইভ করতে।
যেহেতু তাদের মধ্যে এটা করার একটা চেষ্টা আছে, সেহেতু আমরা তাদের প্রতি রুড হয়নি। সময় দিচ্ছি। তারাও হয়তো ২, ৩ মাসের মধ্যে করে ফেলবে, যার কারণে এই বিষয়টা নিয়ে আমরা অতটা চিন্তিত না।
এসএমই বোর্ড চালু করেছেন। বিনিয়োগ শর্ত শিথিলের পরে বাবল তৈরি হয়েছে এরকম বলছে অনেকেই। আপনার বক্তব্য কী?
এসএমই বোর্ডে আগে ২০ শতাংশ দর বাড়তে পারতো। এটা কমিয়ে মেইন মার্কেটের মতো ১০ শতাংশ করে দিয়েছি। এই মার্কেটে ২০, ৩০ কোটি টাকা যে ট্রানজেকশন হয়, সেখানে অত বড় ঝুঁকি আমরা দেখি না।
শত শত কোটি টাকার মার্কেট হলে আমরা ভালোভাবে সেটাকে কোনো রুলস রেগুলেশন দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতাম।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য