× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
There is nothing to fear I have done good even in bad times
google_news print-icon

ভয়ের কিছু নেই, খারাপ সময়েও ভালো করেছি

ভয়ের-কিছু-নেই-খারাপ-সময়েও-ভালো-করেছি
বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী-রুবাইয়াত-উল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলব, মার্কেটে অনাস্থার কিছু নেই। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। খারাপ সময় যেহেতু ভালো করেছি, নিশ্চয় ভালো সময় আরও ভালো করব: বিএসইসি চেয়ারম্যান

পুঁজিবাজার নিয়ে এই মুহূর্তে সারা বিশ্বেই চ্যালেঞ্জ আছে জানিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বেই পুঁজিবাজারে অস্থিরতা চলছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি তাও কিছুটা ভালো।

সম্প্রতি নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে পুঁজিবাজারের বর্তমান সংকট, সম্ভাবনা, বিএসইসির নেয়া অতীতের নানা উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

এ সাক্ষাৎকারটি নেয়া হয় জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের আগে। ফলে এই সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে যে প্রতিক্রিয়া, সে বিষয়টি অবশ্য উঠে আসেনি।

অবশ্য তখনও পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতন হচ্ছিল। ফলে বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গেও সে সময়ের অবস্থার মিল ছিল।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলব, মার্কেটে অনাস্থার কিছু নেই। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। খারাপ সময় যেহেতু ভালো করেছি, নিশ্চয় ভালো সময় আরও ভালো করব।’

দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় দুই বছরের জার্নিটা কেমন ছিল?

সমস্যা যেটা হয়েছে, আমরা আজ পর্যন্ত যে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি থাকে, সেটা পাইনি। ২০২০ সালের মে মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই বছর করোনা ছিল। কোভিডের পর আমরা যখন একটা নরমাল স্টেটে আসছি, তখন শুরু হয়ে গেল ইউক্রেনের যুদ্ধ। ইউক্রেনের যুদ্ধের পর এপ্রিল থেকে আবার শ্রীলঙ্কার ব্যাংক রাপ্টসি এলো, লেবাননে একই ইস্যু আসছে, আশপাশে পাকিস্তান, নেপালের অবস্থা খুবই ভঙ্গুর। তখন আমাদের দেশেও একটা অস্থিরতা এলো।

আরেকটি বড় ইমপ্যাক্ট এসেছে এক্সচেঞ্জ রেটের কারণে। আমরা যখন দেশে-বিদেশে রোড শো করে বিনিয়োগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করছি। দেশ-বিদেশ থেকে বিনিয়োগকারীদের সাড়া পাচ্ছি, তখনই সংকট দেখা দিচ্ছে।

গতকালও চাইনিজ ইনভেস্টর গ্রুপ আমার সঙ্গে দেখা করে গেছে। আমেরিকানরা আসছে, ইউরোপিয়ানরা আসছে, যারা রোডশো তে ছিল। গতকালই আমরা এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের ব্যাপারে আলাপ করেছি। সবাই এখন বাংলাদেশমুখী।

এই পর্যায়ে এক্সচেঞ্জ রেটটা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের এখানে যে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল, সেটা এক্সচেঞ্জ রেট লসের কারণে কমে যাচ্ছিল। যার কারণে হঠাৎ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বড় একটা টাকা নিয়ে গেছে।

তারা দেখছিল ৮৫ টাকা ডলারে ২০ টাকা লাভ করায় ১০৫ টাকা হয়েছে। এখন ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় যদি এক্সচেঞ্জের জন্য চলে যায় তাহলে লাভ থাকে না। তাড়াতাড়ি কিছু প্রফিট নিয়ে তারা চলে যায়। যার কারণে গত মাসে আমরা কিছুটা চাপে পড়ে যাই।

আশা করছি যে আমাদের সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিউ রোল প্লে করে ভোলাটাইল সিচুয়েশন স্ট্যাবল করবে। সব মিলিয়ে একটা স্পর্শকাতর মার্কেট নিয়ে আমরা ডিল করি। কখনও সুস্থ একটা সময় পাইনি। সেটা পেলে হয়তো আরও অনেক কিছু করতে পারতাম।

তার পরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময় গাইডেন্স দিয়েছেন, এই করোনার মধ্যেও আমি ওনার সঙ্গে অনেকবার দেখা করেছি। ওনার সাহায্য-সহযোগিতা-উপদেশ সবই নিয়েছি। সে কারণেই হয়তো ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার পর্যন্ত ইনডেক্স এসেছে, এখনও আছে। মাঝখানে ৭ হাজার অতিক্রম করেছিল। আমার বিশ্বাস, আমরা যেভাবে মার্কেটের ডেপথ নিয়ে কাজ করছি, ভালো ভালো আইপিও বাড়ানোর চেষ্টা করছি, তাতে আশা করি ইনডেক্স আরও এগিয়ে যাবে।

বাইরের বাজারে এমন পরিস্থিতিতে মার্কেট মেকারদের রোল প্লে করতে দেখা যায়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সে রকম পরিস্থিতি তৈরি করা যায়নি। বহু বছর ধরে বলি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই। যারাও আছে, তাদের আচরণ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মতোই। আমাদের বাজার কার্যত ট্রেডার ড্রিভেন। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন, কিন্তু আর কী পদক্ষেপ নেবেন?

এখানেও অনেকগুলো লিমিট, এটাকে লিমিটেড করে ফেলছে। মার্চেন্ট ব্যাংক ও অন্য ব্যাংকগুলো এসব লিমিটের কারণে কাজ করতে পারছে না। তারাও যখন মার্জিন লোন বা অন্য কাউকে লোন দেয়, তখন সেখানেও এক্সপোজার লিমিট ও অন্যান্য সমস্যায় পড়ে যায়।

সব মিলিয়ে এই মার্কেটটাকে বড় হওয়ার ক্ষেত্রে এমন লিমিট দিয়ে রেখেছে, মনে হয় পড়ে যাবে। পড়ে যাবে বলেই আমরা সব সময় সার্কিট ব্রেকার দিয়ে প্রস্তুত থাকি। এই কারণে মানুষের আস্থার জায়গা কাজ করছে না। সবার মধ্যে ভীতি কাজ করে। হঠাৎ করে বোধহয় আগের মতো ইনডেক্স অনেক পড়ে যেতে পারে।

এ জন্য কাজ করতে গিয়ে আমরা এখন দেশি-বিদেশি ইনভেস্টমেন্ট এমনভাবে আনার চেষ্টা করছি, রিটেইলার ড্রিভেন মার্কেটকে ইনস্টিটিউশনাল এবং রিটেইলার ড্রিভেন করার চেষ্টা করছি, যাতে একটার শক আরেকটা অ্যাবজর্ব করতে পারে। এই অবস্থায় আগে ছিল না। এখন হয়ে গেছে।

খেয়াল করে দেখবেন, কিছু না হলেও ইনডেক্স দুই-তিন হাজার পড়ে গিয়েছিল, এখন করোনার মধ্যে দুই-তিন হাজার পড়ে না। হার্ডলি দুই, চার, পাঁচশ পড়ে। সেটাও আবার উঠিয়ে ফেলি যখন মার্কেট ভালো হয়ে যায়।

যারা বুদ্ধিমান ইনভেস্টর, তারা নামা মার্কেটের জন্য অপেক্ষা করে, তারা কেনে, যাতে তাদের ভালো লাভ হয়।

যারা রেগুলার রিটেইল ইনভেস্টর তাদের শেখা উচিত যে কমার মার্কেটে কেনা এবং ওঠার মার্কেটে বিক্রি করা উচিত। কমলেই ভয় পাওয়া উচিত না, বরং কেনার জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত। এই অভ্যাসগুলো আমাদের এসে গেলেই দেখবেন যখন মার্কেট পড়তে থাকবে, তখন সবাই কিনতে থাকবে, যখন উঠতে থাকবে, তখন বিক্রি করবে। এভাবে মার্কেটে একটা ব্যালান্স ক্রিয়েট হবে।

আনুষ্ঠানিক পরামর্শক লাইসেন্স দেয়া হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আইটেম কেনাবেচা হয়। এটাকে কীভাবে দেখছেন?

আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া ইউনিট আছে, এগুলো ট্র্যাক করে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বেশ কিছু এ রকম আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থাও নিয়েছে।

আমরা মনে করি, কেউ নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে করে। তার হয়তো কোনো পার্টিকুলার শেয়ার আছে, ওইটার প্রাইস বাড়ানোর জন্য করে। কোনোটা বিক্রি করার প্রয়োজন, সেটা করার জন্য করে। আমাদের কিছু নিরীহ বিনিয়োগকারী তাদের ট্র্যাপে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন।

আমাদের লাইসেন্স দেয়ার নিয়ম আছে। এটার জন্য যেগুলো শর্ত পূরণ করতে হয়, এ রকম মাত্র একটা দরখাস্ত পেয়েছি। যাচাই-বাছাই করলে আমরা সেই কনসালটেন্সি গ্রুপকে দিয়ে দেব, তারা লিগ্যালি কনসালটেন্সি করবে।

আপনারা তো বিনিয়োগ আকৃষ্টে রোড শো করলেন। কী প্রভাব পড়েছে?

বিদেশিরা অল্প টাকা বিনিয়োগ করে না। তাদের সাইজ বড়ই থাকে। কিন্তু বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও জিওপলিটিকস পরিস্থিতির কারণে আমরা একটু ধাক্কা খেয়েছি। ওই যে বললাম, নরমাল সিচুয়েশন একটাও পাচ্ছি না।

করোনা ঠিক হয়, যুদ্ধ শুরু হয়। একটু নরমাল পেলে বড় কিছু করার সুযোগ পেতাম। ভেবেছিলাম, গত বছরের শেষ থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত ভালো একটা ক্যাপিটাল মার্কেট দিতে পারব। আশা করতে করতেই যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।

তার পরও আমরা আশাবাদী। আমার মনে হয়, তার পরও সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। বাঙালি যেহেতু বীরের জাতি, যেকোনো সিচুয়েশনে অল্পদিনেই অ্যাডাপটিভ হয়ে যায়। যুদ্ধ যেটা সেটা কবে শেষ হবে বোঝাও যাচ্ছে না, কিন্তু আমরা অ্যাডজাস্ট করে নিচ্ছি আস্তে আস্তে।

আবার এক্সচেঞ্জ রেটের অ্যাডভান্টেজ নেয়ার জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। কারণ এখন এলে সে ৯৫ টাকা করে পাচ্ছে। সুতরাং পরে যদি এক্সচেঞ্জ রেট বেটার হয়, অর্থাৎ টাকা স্ট্রং হয় তখন যে ৯৫ টাকা এনেছে সে দুইটা গেইন পাবে। ক্যাপিটাল গেইন, এক্সচেঞ্জ গেইন। লাভ বেশি হবে।

গত কয়েক সপ্তাহ আমরা খেয়াল করেছি, ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা চলে এসেছে। আরও আসছে। যে ভিজুয়ালাইজ করেছি, তাতে জুলাইয়ে একটা ভালো অ্যামাউন্ট আসা উচিত।

স্বল্প সময়ে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় অনেক নেতিবাচক প্রচার শোনা যায়। এ ব্যাপারে আপনার মত কী?

মানুষ কোনটাকে নেতিবাচক বলল, এ ক্ষেত্রে সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। আমরা বাইরে যাচ্ছি যে কারণে তা হলো, বাইরের মানুষের মাইন্ডসেটটা চেঞ্জ করা, পারসেপশন চেঞ্জ করা, বাংলাদেশের সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য। আমার দেশে সমালোচক আছে, যারা ক্রিয়েট করতে পারে না তারা ক্রিটিসাইজ করতে পারে। যত ভালো কাজ হোক, তারা ক্রিটিসাইজ করবে।

আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে রি-ব্র্যান্ডিং করার কাজ। ওয়ার্ল্ডওয়াইড এটা রিকগনাইজড। মহাকাশে স্যাটেলাইট থেকে শুরু করে মাটিতে কৃষি পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে। এটা সবাই জানে, বোঝে। কিন্তু সব জায়গায় খবরটা যাচ্ছে না। এ জন্যই আমাদের আসলে যেতে হয়েছে অনেক জায়গায়।

কেউ হয়তো নেগেটিভ বলতে পারে। কিন্তু আমার কাছে জাপানিজ অ্যাম্বাসেডর বলছেন, জাপানে রোড শো করতে। আমি অ্যাম্বাসিতে গিয়ে ওনার সঙ্গে দেখা করেছি। ওনার অনুরোধে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

কোরিয়া থেকে স্যামসাং গ্রুপ আমাদের ইনভাইট করছে। বাংলাদেশের স্যামসাংয়ের যারা এজেন্ট তারাও অনুরোধ করছে যাওয়ার জন্য।

ফ্রান্সের অ্যাম্বাসেডর সাহেব আমাদের বারবার যেতে বলছেন। মালয়েশিয়ান চেম্বার আমাদের অনুরোধ করছে যাওয়ার জন্য। আমরা এসব জায়গা থেকে সাড়া পাচ্ছি। এগুলো তো আমরা ইনিশিয়েটিভ নিচ্ছি না। তার মানে আমরা আগে যে ইনিশিয়েটিভগুলো নিয়েছিলাম, তার পরিপ্রেক্ষিতে দেশ-বিদেশে ভালো ফলাফল আসছে বলেই এখন এসব দেশ থেকে আমাদের যাওয়ার জন্য কল করছে।

আমি তো মনে করি এই সিগন্যালটা-ই আমাদের জন্য যথেষ্ট যে, রোড শো আমাদের জন্য উপকারী।

২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজ রেগুলেশন করা। কিন্তু বাজারে আলোচনা রয়েছে, বিএসইসি ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার দিয়ে ইনডেক্স নিয়ন্ত্রণ করছে। ইনডেক্স নিয়ন্ত্রণ করা তো বিএসইসির কাজ নয়, এ বিষয়ে কী বলবেন?

আমরা বিনিয়োগকারীর অনুরোধেই করেছি। এটাকে ফোর্স ম্যাজিউর বলে। ফোর্স ম্যাজিউর সিচুয়েশন হচ্ছে, যখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলো, তখন এর ইমপ্যাক্ট সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া শুরু করল।

আমেরিকা, ইংল্যান্ড, হংকং, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, সেখানে ম্যাসিভ ইনডেক্স ফল হচ্ছিল, ২০, ৩০ শতাংশ। আমরা সেদিক থেকে ভালো আছি। আমাদের এভারেজ ৪ বা ৫ শতাংশের বেশি ফল হয়নি। যদিও সেটাতে অনেক বিনিয়োগকারী সন্তুষ্ট না। তার পরও যদি তুলনা করা হয়, রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওয়ার্ল্ড মার্কেট কেমন ভোলাটাইল ছিল আর বাংলাদেশ মার্কেট কেমন ভোলাটাইল ছিল। তখন আমাদের মার্কেটটা যে অনেক স্ট্যাবল ছিল তা বোঝা যাবে।

এটির কারণ হচ্ছে, রেগুলেটরের কাজ কীভাবে মার্কেটকে সব সময় ঠিক রাখতে হবে তা নয়, রেগুলেশনস করা। কিন্তু জনগণের স্বার্থটা দেখাও আমাদের কাজ। তাই এমনটা করা হয়েছিল।

মিউচুয়াল ফান্ডগুলো তো আশা পূরণ করতে পারছে না।

মিউচুয়াল ফান্ড সারা পৃথিবীতেই মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশনের জন্য কাজ করে। আমাদের এখানে মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রিটা, আমি বলব, পাঁচ থেকে সাত বছরের। বিএসইসিরও কিছু মনিটরিং, সুপারভিশনের দোষ ছিল, যে কারণে একটু মনিবের অনুপস্থিতির মতো হয়ে গিয়েছিল। তাতে মিউচুয়াল ফান্ডের প্রাইস, অনেক রুলস রেগুলেশন না মানা এবং এটার প্রতি জনগণের একটা অবহেলার মতো ব্যাপার চলে আসছিল। কিন্তু রিসেন্টলি গত এক-দুই বছর ধরে সবগুলো মিউচুয়াল ফান্ডকে মনিটরিং বা সুপারভিশনে রেখে কমপ্লায়েন্সের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।

গত বছর সব কোম্পানি ১০ থেকে ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এতে যে ডিভিডেন্ড ভালো পাচ্ছে, সে আরও বিনিয়োগ করছে। মিউচুয়াল ফান্ডের কনট্রিবিউশন এই মার্কেটের স্ট্যাবিলাইজেশনের জন্য সবচেয়ে বেশি হবে। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর আনুমানিক ১ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে মিউচুয়াল ফান্ডে। আরও হচ্ছে।

ইটিএফ আসছে। খুব শিগগির লেনদেন হবে। আশা কী? মার্কেটে রোল প্লে করবে কীভাবে?

ইটিএফ সারা ওয়ার্ল্ডে, এক্সচেঞ্জের টপ ৩০টা বা তারা পিক করে মার্কেটে জায়গা দখল করে আছে যেসব ভালো ভালো শেয়ার সেগুলোকে। এই ফান্ডগুলোর সাইজ হয় অনেক বড়।

আমরা অলরেডি দেশি একটি ও বিদেশি একটি ইটিএফের দরখাস্ত পেয়েছি। মার্কেট মেকার লাইসেন্সও দুটি চাওয়া হয়েছে। এগুলো হয়ে গেলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং মিউচুয়াল ফান্ডের পার্টিসিপেশন বেড়ে যাবে।

ইটিএফের ক্ষেত্রে এখন যে আইন আছে, এটায় তো মার্কেট মেকার অবশ্যই লাগবে, এই দুটির ক্ষেত্রে কি শৈথিল্য দেবেন?

নিশ্চয়। আইন তো ব্যবসাকে হেল্প করার জন্য, আটকানোর জন্য নয়। ব্যবসার খারাপ দিকটা অবশ্যই আটকানোর জন্য। কিন্তু ইটিএফের জন্য কোনো আইন বাধা হলে আমরা অবশ্যই সেটা ঠিক করে ফেলব।


ফান্ডটা কীভাবে কাজ করবে?

ফান্ডগুলো এক্সচেঞ্জের ভালো কিছু শেয়ারকে টার্গেট করে কাজ করে। প্রাথমিকভাবে তারা নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারকে টার্গেট করে। যেমন ডিএস৩০ হতে পারে।

বিদেশিরা আমাদের জিজ্ঞেস করেছিল যে, আমরা কি এটা করব নাকি তোমরা চাও আমরা পিক করে করব? আমরা বলেছি, তোমাদের জন্য যেটা সুয়েটেবল সেটা করতে পারো।

এক্সচেঞ্জের বেস্ট পারফরমিং যারা তাদের দেখে তারা ওই ফান্ডটা নিয়ে খেলে। কেনার জায়গাটা এটুকুর মধ্যেই থাকে। আমার কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব আসছে। তারা চাচ্ছে ডিএস৩০ মধ্যে থাকতে।

পরের পর্বে থাকছে: ‘নতুন গভর্নর নিয়ে আমরা খুব আশাবাদী’

আরও পড়ুন:
স্বল্প পুঁজি নিয়ে ঝুঁকি, মার্জিন ঋণ নয়: শিবলী রুবাইয়াত
স্থিতিশীলতা তহবিলের সঙ্গে আমানতের সম্পর্ক নেই: বিএসইসি চেয়ারম্যান
লেনদেনের কমিশন কমাতে আগ্রহী, তবে এখনই নয়: বিএসইসি
টাকা তুললে লভ্যাংশ দিতে হবে: শিবলী রুবাইয়াত
পুঁজিবাজারে আসছে বড় অঙ্কের বিদেশি বিনিয়োগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার

পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার

পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।

লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।

ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।

ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।

৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।

অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।

চট্টগ্রামেও বড় পতন

.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।

লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।

সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।

এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The index has dropped again in the capital market of Dhaka Chittagong

আবারও সূচক কমল ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন

আবারও সূচক কমল ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।

সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।

তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে
শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market In the first hour of the rise in Dhaka the fall in Chittagong

পুঁজিবাজার: প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন

পুঁজিবাজার: প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন ডিএসই ও সিএসইর লোগো। কোলাজ: ইউএনবি
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।

লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে
শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু লেনদেন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market More than 1 crore transactions in two hours

পুঁজিবাজার: দুই ঘণ্টায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন

পুঁজিবাজার: দুই ঘণ্টায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন প্রতীকী ছবি
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।

টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।

সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।

আরও পড়ুন:
সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Week transaction began in Chittagong to fall in Dhaka

সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে

সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে ডিএসই ও সিএসইর লোগোর মাঝে সূচকের উত্থানের গ্রাফিক্স। ছবি: ইউএনবি
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।

অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market Starting the week with rise

পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু

পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু প্রতীকী ছবি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু লেনদেন
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সব সূচকের পতন
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান, চট্টগ্রামে বড় পতন
উত্থানের ধারা বজায় রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেন

মন্তব্য

p
উপরে