পুঁজিবাজার নিয়ে এই মুহূর্তে সারা বিশ্বেই চ্যালেঞ্জ আছে জানিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বেই পুঁজিবাজারে অস্থিরতা চলছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি তাও কিছুটা ভালো।
সম্প্রতি নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে পুঁজিবাজারের বর্তমান সংকট, সম্ভাবনা, বিএসইসির নেয়া অতীতের নানা উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
এ সাক্ষাৎকারটি নেয়া হয় জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের আগে। ফলে এই সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে যে প্রতিক্রিয়া, সে বিষয়টি অবশ্য উঠে আসেনি।
অবশ্য তখনও পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতন হচ্ছিল। ফলে বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গেও সে সময়ের অবস্থার মিল ছিল।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলব, মার্কেটে অনাস্থার কিছু নেই। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। খারাপ সময় যেহেতু ভালো করেছি, নিশ্চয় ভালো সময় আরও ভালো করব।’
দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় দুই বছরের জার্নিটা কেমন ছিল?
সমস্যা যেটা হয়েছে, আমরা আজ পর্যন্ত যে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি থাকে, সেটা পাইনি। ২০২০ সালের মে মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই বছর করোনা ছিল। কোভিডের পর আমরা যখন একটা নরমাল স্টেটে আসছি, তখন শুরু হয়ে গেল ইউক্রেনের যুদ্ধ। ইউক্রেনের যুদ্ধের পর এপ্রিল থেকে আবার শ্রীলঙ্কার ব্যাংক রাপ্টসি এলো, লেবাননে একই ইস্যু আসছে, আশপাশে পাকিস্তান, নেপালের অবস্থা খুবই ভঙ্গুর। তখন আমাদের দেশেও একটা অস্থিরতা এলো।
আরেকটি বড় ইমপ্যাক্ট এসেছে এক্সচেঞ্জ রেটের কারণে। আমরা যখন দেশে-বিদেশে রোড শো করে বিনিয়োগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করছি। দেশ-বিদেশ থেকে বিনিয়োগকারীদের সাড়া পাচ্ছি, তখনই সংকট দেখা দিচ্ছে।
গতকালও চাইনিজ ইনভেস্টর গ্রুপ আমার সঙ্গে দেখা করে গেছে। আমেরিকানরা আসছে, ইউরোপিয়ানরা আসছে, যারা রোডশো তে ছিল। গতকালই আমরা এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের ব্যাপারে আলাপ করেছি। সবাই এখন বাংলাদেশমুখী।
এই পর্যায়ে এক্সচেঞ্জ রেটটা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের এখানে যে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল, সেটা এক্সচেঞ্জ রেট লসের কারণে কমে যাচ্ছিল। যার কারণে হঠাৎ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বড় একটা টাকা নিয়ে গেছে।
তারা দেখছিল ৮৫ টাকা ডলারে ২০ টাকা লাভ করায় ১০৫ টাকা হয়েছে। এখন ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় যদি এক্সচেঞ্জের জন্য চলে যায় তাহলে লাভ থাকে না। তাড়াতাড়ি কিছু প্রফিট নিয়ে তারা চলে যায়। যার কারণে গত মাসে আমরা কিছুটা চাপে পড়ে যাই।
আশা করছি যে আমাদের সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিউ রোল প্লে করে ভোলাটাইল সিচুয়েশন স্ট্যাবল করবে। সব মিলিয়ে একটা স্পর্শকাতর মার্কেট নিয়ে আমরা ডিল করি। কখনও সুস্থ একটা সময় পাইনি। সেটা পেলে হয়তো আরও অনেক কিছু করতে পারতাম।
তার পরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময় গাইডেন্স দিয়েছেন, এই করোনার মধ্যেও আমি ওনার সঙ্গে অনেকবার দেখা করেছি। ওনার সাহায্য-সহযোগিতা-উপদেশ সবই নিয়েছি। সে কারণেই হয়তো ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার পর্যন্ত ইনডেক্স এসেছে, এখনও আছে। মাঝখানে ৭ হাজার অতিক্রম করেছিল। আমার বিশ্বাস, আমরা যেভাবে মার্কেটের ডেপথ নিয়ে কাজ করছি, ভালো ভালো আইপিও বাড়ানোর চেষ্টা করছি, তাতে আশা করি ইনডেক্স আরও এগিয়ে যাবে।
বাইরের বাজারে এমন পরিস্থিতিতে মার্কেট মেকারদের রোল প্লে করতে দেখা যায়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সে রকম পরিস্থিতি তৈরি করা যায়নি। বহু বছর ধরে বলি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই। যারাও আছে, তাদের আচরণ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মতোই। আমাদের বাজার কার্যত ট্রেডার ড্রিভেন। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন, কিন্তু আর কী পদক্ষেপ নেবেন?
এখানেও অনেকগুলো লিমিট, এটাকে লিমিটেড করে ফেলছে। মার্চেন্ট ব্যাংক ও অন্য ব্যাংকগুলো এসব লিমিটের কারণে কাজ করতে পারছে না। তারাও যখন মার্জিন লোন বা অন্য কাউকে লোন দেয়, তখন সেখানেও এক্সপোজার লিমিট ও অন্যান্য সমস্যায় পড়ে যায়।
সব মিলিয়ে এই মার্কেটটাকে বড় হওয়ার ক্ষেত্রে এমন লিমিট দিয়ে রেখেছে, মনে হয় পড়ে যাবে। পড়ে যাবে বলেই আমরা সব সময় সার্কিট ব্রেকার দিয়ে প্রস্তুত থাকি। এই কারণে মানুষের আস্থার জায়গা কাজ করছে না। সবার মধ্যে ভীতি কাজ করে। হঠাৎ করে বোধহয় আগের মতো ইনডেক্স অনেক পড়ে যেতে পারে।
এ জন্য কাজ করতে গিয়ে আমরা এখন দেশি-বিদেশি ইনভেস্টমেন্ট এমনভাবে আনার চেষ্টা করছি, রিটেইলার ড্রিভেন মার্কেটকে ইনস্টিটিউশনাল এবং রিটেইলার ড্রিভেন করার চেষ্টা করছি, যাতে একটার শক আরেকটা অ্যাবজর্ব করতে পারে। এই অবস্থায় আগে ছিল না। এখন হয়ে গেছে।
খেয়াল করে দেখবেন, কিছু না হলেও ইনডেক্স দুই-তিন হাজার পড়ে গিয়েছিল, এখন করোনার মধ্যে দুই-তিন হাজার পড়ে না। হার্ডলি দুই, চার, পাঁচশ পড়ে। সেটাও আবার উঠিয়ে ফেলি যখন মার্কেট ভালো হয়ে যায়।
যারা বুদ্ধিমান ইনভেস্টর, তারা নামা মার্কেটের জন্য অপেক্ষা করে, তারা কেনে, যাতে তাদের ভালো লাভ হয়।
যারা রেগুলার রিটেইল ইনভেস্টর তাদের শেখা উচিত যে কমার মার্কেটে কেনা এবং ওঠার মার্কেটে বিক্রি করা উচিত। কমলেই ভয় পাওয়া উচিত না, বরং কেনার জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত। এই অভ্যাসগুলো আমাদের এসে গেলেই দেখবেন যখন মার্কেট পড়তে থাকবে, তখন সবাই কিনতে থাকবে, যখন উঠতে থাকবে, তখন বিক্রি করবে। এভাবে মার্কেটে একটা ব্যালান্স ক্রিয়েট হবে।
আনুষ্ঠানিক পরামর্শক লাইসেন্স দেয়া হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আইটেম কেনাবেচা হয়। এটাকে কীভাবে দেখছেন?
আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া ইউনিট আছে, এগুলো ট্র্যাক করে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বেশ কিছু এ রকম আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থাও নিয়েছে।
আমরা মনে করি, কেউ নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে করে। তার হয়তো কোনো পার্টিকুলার শেয়ার আছে, ওইটার প্রাইস বাড়ানোর জন্য করে। কোনোটা বিক্রি করার প্রয়োজন, সেটা করার জন্য করে। আমাদের কিছু নিরীহ বিনিয়োগকারী তাদের ট্র্যাপে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
আমাদের লাইসেন্স দেয়ার নিয়ম আছে। এটার জন্য যেগুলো শর্ত পূরণ করতে হয়, এ রকম মাত্র একটা দরখাস্ত পেয়েছি। যাচাই-বাছাই করলে আমরা সেই কনসালটেন্সি গ্রুপকে দিয়ে দেব, তারা লিগ্যালি কনসালটেন্সি করবে।
আপনারা তো বিনিয়োগ আকৃষ্টে রোড শো করলেন। কী প্রভাব পড়েছে?
বিদেশিরা অল্প টাকা বিনিয়োগ করে না। তাদের সাইজ বড়ই থাকে। কিন্তু বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও জিওপলিটিকস পরিস্থিতির কারণে আমরা একটু ধাক্কা খেয়েছি। ওই যে বললাম, নরমাল সিচুয়েশন একটাও পাচ্ছি না।
করোনা ঠিক হয়, যুদ্ধ শুরু হয়। একটু নরমাল পেলে বড় কিছু করার সুযোগ পেতাম। ভেবেছিলাম, গত বছরের শেষ থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত ভালো একটা ক্যাপিটাল মার্কেট দিতে পারব। আশা করতে করতেই যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।
তার পরও আমরা আশাবাদী। আমার মনে হয়, তার পরও সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। বাঙালি যেহেতু বীরের জাতি, যেকোনো সিচুয়েশনে অল্পদিনেই অ্যাডাপটিভ হয়ে যায়। যুদ্ধ যেটা সেটা কবে শেষ হবে বোঝাও যাচ্ছে না, কিন্তু আমরা অ্যাডজাস্ট করে নিচ্ছি আস্তে আস্তে।
আবার এক্সচেঞ্জ রেটের অ্যাডভান্টেজ নেয়ার জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। কারণ এখন এলে সে ৯৫ টাকা করে পাচ্ছে। সুতরাং পরে যদি এক্সচেঞ্জ রেট বেটার হয়, অর্থাৎ টাকা স্ট্রং হয় তখন যে ৯৫ টাকা এনেছে সে দুইটা গেইন পাবে। ক্যাপিটাল গেইন, এক্সচেঞ্জ গেইন। লাভ বেশি হবে।
গত কয়েক সপ্তাহ আমরা খেয়াল করেছি, ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা চলে এসেছে। আরও আসছে। যে ভিজুয়ালাইজ করেছি, তাতে জুলাইয়ে একটা ভালো অ্যামাউন্ট আসা উচিত।
স্বল্প সময়ে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় অনেক নেতিবাচক প্রচার শোনা যায়। এ ব্যাপারে আপনার মত কী?
মানুষ কোনটাকে নেতিবাচক বলল, এ ক্ষেত্রে সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। আমরা বাইরে যাচ্ছি যে কারণে তা হলো, বাইরের মানুষের মাইন্ডসেটটা চেঞ্জ করা, পারসেপশন চেঞ্জ করা, বাংলাদেশের সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য। আমার দেশে সমালোচক আছে, যারা ক্রিয়েট করতে পারে না তারা ক্রিটিসাইজ করতে পারে। যত ভালো কাজ হোক, তারা ক্রিটিসাইজ করবে।
আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে রি-ব্র্যান্ডিং করার কাজ। ওয়ার্ল্ডওয়াইড এটা রিকগনাইজড। মহাকাশে স্যাটেলাইট থেকে শুরু করে মাটিতে কৃষি পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে। এটা সবাই জানে, বোঝে। কিন্তু সব জায়গায় খবরটা যাচ্ছে না। এ জন্যই আমাদের আসলে যেতে হয়েছে অনেক জায়গায়।
কেউ হয়তো নেগেটিভ বলতে পারে। কিন্তু আমার কাছে জাপানিজ অ্যাম্বাসেডর বলছেন, জাপানে রোড শো করতে। আমি অ্যাম্বাসিতে গিয়ে ওনার সঙ্গে দেখা করেছি। ওনার অনুরোধে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
কোরিয়া থেকে স্যামসাং গ্রুপ আমাদের ইনভাইট করছে। বাংলাদেশের স্যামসাংয়ের যারা এজেন্ট তারাও অনুরোধ করছে যাওয়ার জন্য।
ফ্রান্সের অ্যাম্বাসেডর সাহেব আমাদের বারবার যেতে বলছেন। মালয়েশিয়ান চেম্বার আমাদের অনুরোধ করছে যাওয়ার জন্য। আমরা এসব জায়গা থেকে সাড়া পাচ্ছি। এগুলো তো আমরা ইনিশিয়েটিভ নিচ্ছি না। তার মানে আমরা আগে যে ইনিশিয়েটিভগুলো নিয়েছিলাম, তার পরিপ্রেক্ষিতে দেশ-বিদেশে ভালো ফলাফল আসছে বলেই এখন এসব দেশ থেকে আমাদের যাওয়ার জন্য কল করছে।
আমি তো মনে করি এই সিগন্যালটা-ই আমাদের জন্য যথেষ্ট যে, রোড শো আমাদের জন্য উপকারী।
২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজ রেগুলেশন করা। কিন্তু বাজারে আলোচনা রয়েছে, বিএসইসি ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার দিয়ে ইনডেক্স নিয়ন্ত্রণ করছে। ইনডেক্স নিয়ন্ত্রণ করা তো বিএসইসির কাজ নয়, এ বিষয়ে কী বলবেন?
আমরা বিনিয়োগকারীর অনুরোধেই করেছি। এটাকে ফোর্স ম্যাজিউর বলে। ফোর্স ম্যাজিউর সিচুয়েশন হচ্ছে, যখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলো, তখন এর ইমপ্যাক্ট সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া শুরু করল।
আমেরিকা, ইংল্যান্ড, হংকং, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, সেখানে ম্যাসিভ ইনডেক্স ফল হচ্ছিল, ২০, ৩০ শতাংশ। আমরা সেদিক থেকে ভালো আছি। আমাদের এভারেজ ৪ বা ৫ শতাংশের বেশি ফল হয়নি। যদিও সেটাতে অনেক বিনিয়োগকারী সন্তুষ্ট না। তার পরও যদি তুলনা করা হয়, রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওয়ার্ল্ড মার্কেট কেমন ভোলাটাইল ছিল আর বাংলাদেশ মার্কেট কেমন ভোলাটাইল ছিল। তখন আমাদের মার্কেটটা যে অনেক স্ট্যাবল ছিল তা বোঝা যাবে।
এটির কারণ হচ্ছে, রেগুলেটরের কাজ কীভাবে মার্কেটকে সব সময় ঠিক রাখতে হবে তা নয়, রেগুলেশনস করা। কিন্তু জনগণের স্বার্থটা দেখাও আমাদের কাজ। তাই এমনটা করা হয়েছিল।
মিউচুয়াল ফান্ডগুলো তো আশা পূরণ করতে পারছে না।
মিউচুয়াল ফান্ড সারা পৃথিবীতেই মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশনের জন্য কাজ করে। আমাদের এখানে মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রিটা, আমি বলব, পাঁচ থেকে সাত বছরের। বিএসইসিরও কিছু মনিটরিং, সুপারভিশনের দোষ ছিল, যে কারণে একটু মনিবের অনুপস্থিতির মতো হয়ে গিয়েছিল। তাতে মিউচুয়াল ফান্ডের প্রাইস, অনেক রুলস রেগুলেশন না মানা এবং এটার প্রতি জনগণের একটা অবহেলার মতো ব্যাপার চলে আসছিল। কিন্তু রিসেন্টলি গত এক-দুই বছর ধরে সবগুলো মিউচুয়াল ফান্ডকে মনিটরিং বা সুপারভিশনে রেখে কমপ্লায়েন্সের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
গত বছর সব কোম্পানি ১০ থেকে ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এতে যে ডিভিডেন্ড ভালো পাচ্ছে, সে আরও বিনিয়োগ করছে। মিউচুয়াল ফান্ডের কনট্রিবিউশন এই মার্কেটের স্ট্যাবিলাইজেশনের জন্য সবচেয়ে বেশি হবে। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর আনুমানিক ১ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে মিউচুয়াল ফান্ডে। আরও হচ্ছে।
ইটিএফ আসছে। খুব শিগগির লেনদেন হবে। আশা কী? মার্কেটে রোল প্লে করবে কীভাবে?
ইটিএফ সারা ওয়ার্ল্ডে, এক্সচেঞ্জের টপ ৩০টা বা তারা পিক করে মার্কেটে জায়গা দখল করে আছে যেসব ভালো ভালো শেয়ার সেগুলোকে। এই ফান্ডগুলোর সাইজ হয় অনেক বড়।
আমরা অলরেডি দেশি একটি ও বিদেশি একটি ইটিএফের দরখাস্ত পেয়েছি। মার্কেট মেকার লাইসেন্সও দুটি চাওয়া হয়েছে। এগুলো হয়ে গেলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং মিউচুয়াল ফান্ডের পার্টিসিপেশন বেড়ে যাবে।
ইটিএফের ক্ষেত্রে এখন যে আইন আছে, এটায় তো মার্কেট মেকার অবশ্যই লাগবে, এই দুটির ক্ষেত্রে কি শৈথিল্য দেবেন?
নিশ্চয়। আইন তো ব্যবসাকে হেল্প করার জন্য, আটকানোর জন্য নয়। ব্যবসার খারাপ দিকটা অবশ্যই আটকানোর জন্য। কিন্তু ইটিএফের জন্য কোনো আইন বাধা হলে আমরা অবশ্যই সেটা ঠিক করে ফেলব।
ফান্ডটা কীভাবে কাজ করবে?
ফান্ডগুলো এক্সচেঞ্জের ভালো কিছু শেয়ারকে টার্গেট করে কাজ করে। প্রাথমিকভাবে তারা নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারকে টার্গেট করে। যেমন ডিএস৩০ হতে পারে।
বিদেশিরা আমাদের জিজ্ঞেস করেছিল যে, আমরা কি এটা করব নাকি তোমরা চাও আমরা পিক করে করব? আমরা বলেছি, তোমাদের জন্য যেটা সুয়েটেবল সেটা করতে পারো।
এক্সচেঞ্জের বেস্ট পারফরমিং যারা তাদের দেখে তারা ওই ফান্ডটা নিয়ে খেলে। কেনার জায়গাটা এটুকুর মধ্যেই থাকে। আমার কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব আসছে। তারা চাচ্ছে ডিএস৩০ মধ্যে থাকতে।
পরের পর্বে থাকছে: ‘নতুন গভর্নর নিয়ে আমরা খুব আশাবাদী’
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য