বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের ঘোষণায় পরপর দুই দিন বড় দরপতন হলো দেশের পুঁজিবাজারে। কোম্পানির মৌলভিত্তি, আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা ছাড়া ঢালাও পড়ছে দর।
৩৮২টি কোম্পানির মধ্যে ৩৪৪টির দরপতনের দিন বিপুল পরিমাণ কোম্পানির দর কমেছে এক দিনে যতটা কমা সম্ভব ততটাই। দাম আরও কমে যাবে, এমন আশঙ্কার কারণে সর্বনিম্ন সীমায়ও শেয়ারের ক্রেতা নেই।
এর বিপরীতে বেড়েছে কেবল ১৬টির দর, অপরিবর্তিত ছিল বাকি ২১টির দর।
ফলে লেনদেনও নেমেছে তলানিতে। আগের দিন তাও টেনেটুনে ৫০০ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করেছিল। সেটি এবার ৩০০ কোটি টাকা পার করল কোনোমতে।
বুধবারের ৩১৯ কোটি ৩৫ লাখ ২ হাজার টাকার লেনদেন চলতি বছর তো বটেই, গত প্রায় এক বছরেরও সর্বনিম্ন।
গত বছর লকডাউন আতঙ্কে ৫ এপ্রিল ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকার লেনদেনই কেবল গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আগের দিন ৮৭ পয়েন্টের পর মঙ্গলবার আধা ঘণ্টা যেতেই ৮০ পয়েন্ট সূচক কমে যায়। পরে একপর্যায়ে সেখান থেকে আরও ৭ পয়েন্ট কমে আগের দিনের মতোই ৮৭ পয়েন্ট কমে যায় বেলা ১টায়। তবে লেনদেনের একেবারে শেষ বেলায় হারানো সূচক থেকে কিছুটা ফিরে পেলেও শেষ পর্যন্ত পতন হয় ৬৩ পয়েন্ট।
সূচকের এই অবস্থান গত ২২ মের পর সর্বনিম্ন। সেদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক ছিল ৬ হাজার ১৪২ পয়েন্ট। এটি ছিল চলতি বছরের সর্বনিম্ন।
পুঁজিবাজারে পরপর দুই দিন বড় ধসই বলে দিচ্ছে বিনিয়োগকারীদের মনে আতঙ্ক জেঁকে বসেছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি দূর করতে সরকারের পদক্ষেপ এতে আরও ঘি ঢেলেছে।
গতকাল প্রধান খাতগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বিমা, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের সবগুলো কোম্পানি দর হারায়। তবে আজকেও খাতগুলোর দুই-একটি করে কোম্পানির দর বেড়েছে।
ছোট খাতগুলোর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি, সিরামিকস, টেলিকমিউনিকেশনস, কাগজ ও আনুষঙ্গিক, পাট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে গতকালের মতোই শতভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে।
মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বায়ার না থাকার কারণে আতঙ্কে সেল প্রেসার বাড়াচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বায়ার পেলেই শেয়ার বিক্রি করছেন, যার কারণে ২ শতাংশ দাম কমেই বামে হল্ট হয়ে যাচ্ছে।
‘মার্চেন্ট ব্যাংক ও অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনছে না। তাদেরকে শেয়ার কেনায় ফিরিয়ে আনতে পারলে এমনটা হবে না।’
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর শেয়ার না কেনার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এক্সপোজার লিমিট কস্ট প্রাইসে গণনা করার দাবি অনেক দিনের। নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেয়ার পরে শুনেছি তিনি এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। ফলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো হয়তো এই মুহূর্তে বাজারে প্রেসার ক্রিয়েট করে তাদের দাবিটা আদায় করে নিতে চাচ্ছে।’
তবু জাঙ্ক শেয়ারের পোয়াবারো
গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় দর বৃদ্ধির তালিকার বেশিরভাগই জাঙ্ক শেয়ারের দখলে। ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিআইএফসির দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশ ৮ দশমিক ২১ শতাংশ। আগের দিনও দর বেড়েছিল ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
ধারাবাহিক লোকসানে থাকা কোম্পানিটিকে ২০১৭ সালে শেয়ার প্রতি ৬৯ টাকা ৫৫ পয়সা লোকসান গুনতে হয়েছিল। এর পর আর কোনো তথ্য নেই ডিএসইর ওয়েবসাইটে।
এর পরেই সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে মিথুন নিটিংয়ের, দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। রোববার দর বৃদ্ধির শীর্ষে, সোমবার তৃতীয় স্থানে ছিল জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিটির। ধারাবাহিকভাবে দর বাড়লেও কোম্পানিটি উৎপাদনে নেই ২০১৭ সাল থেকে। সম্প্রতি নিলামে বিক্রি হয়ে গেছে এটি।
আগের দিন ১৮ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটির বর্তমান দর ১৯ টাকা ৫০ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে লোকসানি আরামিট সিমেন্ট। ২০১৬ সালে ১২ শতাংশ নগদ প্রদানের পর বিনিয়োগকারীদের আর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। চার বছর পর গত বছর শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা আয় করলেও কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। তবে চলতি অর্থবছরে বড় লোকসানে থাকলেও অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দিয়েছে।
৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ৩৪ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ১০ টাকার শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৭ টাকা ৬২ টাকা।
চতুর্থ স্থানে থাকা এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেডের দর ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ১০৬ টাকা ২০ পয়সায় প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
পঞ্চম স্থানে থাকা কেডিএস অ্যাক্সেসরিজের দর বেড়েছে ৪ দশমিক ০১ শতাংশ।
ষষ্ঠ স্থানে থাকা সাভার রিফ্যাক্টরিজের লভ্যাংশ দেয়ার কোনো ইতিহাস নেই। এই কোম্পানির দর ৯ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ২৫৫ টাকা ৭০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেড ও আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমায় দুই শতাধিক কোম্পানি
দর পতনের শীর্ষে রয়েছে জি কিউ বলপেন, বিডি ল্যাম্পস ও রহিমা ফুডের। তিনটি দুটি কোম্পানির দরই কমেছে ২ শতাংশ করে।
শীর্ষ তালিকায় ২ শতাংশ বা কাছাকাছি দর কমেছে কে অ্যান্ড কিউ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, লিবরা ইনফিউশন, সী পার্ল বীচ, রেনউইক যজ্ঞেশর, ইস্টার্ন ও সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের।
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারিত থাকায় ১০ টাকার নিচের শেয়ারের দর এক দিনে ১০ পয়সার বেশি কমতে পারে না। ১০ থেকে ১৫ টাকার নিচের শেয়ার কমতে পারে ২০ পয়সা, ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকার নিচের শেয়ার কমতে পারে ৩০ পয়সা, ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকার নিচের শেয়ার কমতে পারে ৪০ পয়সা।
এভাবে দুই শরও বেশি কোম্পানির দর এই দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন শেষ করেছে।
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ১০ পয়েন্ট সূচক কমেছে গ্রামীণফোনের কারণে। কোম্পানিটির দর কমেছে এক দশমিক ১১ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমিয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো লিমিটেড। কোম্পানির দর কমেছে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
ওয়ালটন হাইটেকের দর ১ দশমিক ১৩ শতাংশ দর কমার কারণে সূচক কমেছে ৫ দশমিক ১৮ পয়েন্ট।
এ ছাড়া রবি, বেক্সিমকো, আইসিবি, লাফার্জ হোলসিম, রেনাটা, তিতাস গ্যাস ও সামিট পাওয়ার দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৩১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট।
সূচকে পয়েন্ট যোগ করল যারা
সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বাড়িয়েছে বার্জার পেইন্টস। কোম্পানিটির দর শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ দর বেড়েছে।
ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ০৩ পয়েন্ট।
ইসলামী ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।
এ ছাড়া সিটি ব্যাংক, পদ্মা অয়েল, কেডিএস অ্যাক্সেসরিজ, স্কয়ার ফার্মা, ট্রাস্ট ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা ও এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেড সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য