বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের ঘোষণায় পরপর দুই দিন বড় দরপতন হলো দেশের পুঁজিবাজারে। কোম্পানির মৌলভিত্তি, আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা ছাড়া ঢালাও পড়ছে দর।
৩৮২টি কোম্পানির মধ্যে ৩৪৪টির দরপতনের দিন বিপুল পরিমাণ কোম্পানির দর কমেছে এক দিনে যতটা কমা সম্ভব ততটাই। দাম আরও কমে যাবে, এমন আশঙ্কার কারণে সর্বনিম্ন সীমায়ও শেয়ারের ক্রেতা নেই।
এর বিপরীতে বেড়েছে কেবল ১৬টির দর, অপরিবর্তিত ছিল বাকি ২১টির দর।
ফলে লেনদেনও নেমেছে তলানিতে। আগের দিন তাও টেনেটুনে ৫০০ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করেছিল। সেটি এবার ৩০০ কোটি টাকা পার করল কোনোমতে।
বুধবারের ৩১৯ কোটি ৩৫ লাখ ২ হাজার টাকার লেনদেন চলতি বছর তো বটেই, গত প্রায় এক বছরেরও সর্বনিম্ন।
গত বছর লকডাউন আতঙ্কে ৫ এপ্রিল ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকার লেনদেনই কেবল গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আগের দিন ৮৭ পয়েন্টের পর মঙ্গলবার আধা ঘণ্টা যেতেই ৮০ পয়েন্ট সূচক কমে যায়। পরে একপর্যায়ে সেখান থেকে আরও ৭ পয়েন্ট কমে আগের দিনের মতোই ৮৭ পয়েন্ট কমে যায় বেলা ১টায়। তবে লেনদেনের একেবারে শেষ বেলায় হারানো সূচক থেকে কিছুটা ফিরে পেলেও শেষ পর্যন্ত পতন হয় ৬৩ পয়েন্ট।
সূচকের এই অবস্থান গত ২২ মের পর সর্বনিম্ন। সেদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক ছিল ৬ হাজার ১৪২ পয়েন্ট। এটি ছিল চলতি বছরের সর্বনিম্ন।
পুঁজিবাজারে পরপর দুই দিন বড় ধসই বলে দিচ্ছে বিনিয়োগকারীদের মনে আতঙ্ক জেঁকে বসেছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি দূর করতে সরকারের পদক্ষেপ এতে আরও ঘি ঢেলেছে।
গতকাল প্রধান খাতগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বিমা, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের সবগুলো কোম্পানি দর হারায়। তবে আজকেও খাতগুলোর দুই-একটি করে কোম্পানির দর বেড়েছে।
ছোট খাতগুলোর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি, সিরামিকস, টেলিকমিউনিকেশনস, কাগজ ও আনুষঙ্গিক, পাট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে গতকালের মতোই শতভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে।
মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বায়ার না থাকার কারণে আতঙ্কে সেল প্রেসার বাড়াচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বায়ার পেলেই শেয়ার বিক্রি করছেন, যার কারণে ২ শতাংশ দাম কমেই বামে হল্ট হয়ে যাচ্ছে।
‘মার্চেন্ট ব্যাংক ও অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনছে না। তাদেরকে শেয়ার কেনায় ফিরিয়ে আনতে পারলে এমনটা হবে না।’
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর শেয়ার না কেনার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এক্সপোজার লিমিট কস্ট প্রাইসে গণনা করার দাবি অনেক দিনের। নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেয়ার পরে শুনেছি তিনি এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। ফলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো হয়তো এই মুহূর্তে বাজারে প্রেসার ক্রিয়েট করে তাদের দাবিটা আদায় করে নিতে চাচ্ছে।’
তবু জাঙ্ক শেয়ারের পোয়াবারো
গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় দর বৃদ্ধির তালিকার বেশিরভাগই জাঙ্ক শেয়ারের দখলে। ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিআইএফসির দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশ ৮ দশমিক ২১ শতাংশ। আগের দিনও দর বেড়েছিল ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
ধারাবাহিক লোকসানে থাকা কোম্পানিটিকে ২০১৭ সালে শেয়ার প্রতি ৬৯ টাকা ৫৫ পয়সা লোকসান গুনতে হয়েছিল। এর পর আর কোনো তথ্য নেই ডিএসইর ওয়েবসাইটে।
এর পরেই সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে মিথুন নিটিংয়ের, দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। রোববার দর বৃদ্ধির শীর্ষে, সোমবার তৃতীয় স্থানে ছিল জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিটির। ধারাবাহিকভাবে দর বাড়লেও কোম্পানিটি উৎপাদনে নেই ২০১৭ সাল থেকে। সম্প্রতি নিলামে বিক্রি হয়ে গেছে এটি।
আগের দিন ১৮ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটির বর্তমান দর ১৯ টাকা ৫০ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে লোকসানি আরামিট সিমেন্ট। ২০১৬ সালে ১২ শতাংশ নগদ প্রদানের পর বিনিয়োগকারীদের আর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। চার বছর পর গত বছর শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা আয় করলেও কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। তবে চলতি অর্থবছরে বড় লোকসানে থাকলেও অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দিয়েছে।
৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ৩৪ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ১০ টাকার শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৭ টাকা ৬২ টাকা।
চতুর্থ স্থানে থাকা এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেডের দর ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ১০৬ টাকা ২০ পয়সায় প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
পঞ্চম স্থানে থাকা কেডিএস অ্যাক্সেসরিজের দর বেড়েছে ৪ দশমিক ০১ শতাংশ।
ষষ্ঠ স্থানে থাকা সাভার রিফ্যাক্টরিজের লভ্যাংশ দেয়ার কোনো ইতিহাস নেই। এই কোম্পানির দর ৯ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ২৫৫ টাকা ৭০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেড ও আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমায় দুই শতাধিক কোম্পানি
দর পতনের শীর্ষে রয়েছে জি কিউ বলপেন, বিডি ল্যাম্পস ও রহিমা ফুডের। তিনটি দুটি কোম্পানির দরই কমেছে ২ শতাংশ করে।
শীর্ষ তালিকায় ২ শতাংশ বা কাছাকাছি দর কমেছে কে অ্যান্ড কিউ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, লিবরা ইনফিউশন, সী পার্ল বীচ, রেনউইক যজ্ঞেশর, ইস্টার্ন ও সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের।
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারিত থাকায় ১০ টাকার নিচের শেয়ারের দর এক দিনে ১০ পয়সার বেশি কমতে পারে না। ১০ থেকে ১৫ টাকার নিচের শেয়ার কমতে পারে ২০ পয়সা, ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকার নিচের শেয়ার কমতে পারে ৩০ পয়সা, ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকার নিচের শেয়ার কমতে পারে ৪০ পয়সা।
এভাবে দুই শরও বেশি কোম্পানির দর এই দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন শেষ করেছে।
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ১০ পয়েন্ট সূচক কমেছে গ্রামীণফোনের কারণে। কোম্পানিটির দর কমেছে এক দশমিক ১১ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমিয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো লিমিটেড। কোম্পানির দর কমেছে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
ওয়ালটন হাইটেকের দর ১ দশমিক ১৩ শতাংশ দর কমার কারণে সূচক কমেছে ৫ দশমিক ১৮ পয়েন্ট।
এ ছাড়া রবি, বেক্সিমকো, আইসিবি, লাফার্জ হোলসিম, রেনাটা, তিতাস গ্যাস ও সামিট পাওয়ার দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৩১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট।
সূচকে পয়েন্ট যোগ করল যারা
সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বাড়িয়েছে বার্জার পেইন্টস। কোম্পানিটির দর শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ দর বেড়েছে।
ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ০৩ পয়েন্ট।
ইসলামী ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।
এ ছাড়া সিটি ব্যাংক, পদ্মা অয়েল, কেডিএস অ্যাক্সেসরিজ, স্কয়ার ফার্মা, ট্রাস্ট ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা ও এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেড সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য