জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকার অঞ্চলভিত্তিক লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা করার পর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই খাতের সবগুলো কোম্পানি দর হারিয়েছে। এর মধ্যে এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা দুই শতাংশের কাছাকাছি দর কমেছে বেশির ভাগের।
সোমবার পুঁজিবাজারে যে বড় দরপতন হয়, তা থেকে বাদ যায়নি কোনো খাত। এর মধ্যে প্রধান খাতগুলোর মধ্যে শতভাগ দরপতন হয় বিমা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক।
ছোট খাতগুলোর মধ্যে চামড়া ও আনুষঙ্গিক, তথ্যপ্রযুক্তি, সিমেন্ট, টেলিকমিউনিকেশনস, কাগজ ও আনুষঙ্গিক, পাট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতেও শতভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ২৩টি। এর মধ্যে বেশির ভাগের দর কমেছে দিনের সর্বোচ্চ সীমায়।
এর মধ্যে নিয়মিত ভালো লভ্যাংশ দিয়ে আসছে, গত বছরের চেয়ে বেশি আয় করে এবার আরও বেশি লভ্যাংশ দেয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে এমন কোম্পানি যেমন আছে, তেমনি সরকারি খাতের দারুণ লাভজনক কোম্পানিও আছে।
বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর চিত্র
ডোরেন পাওয়ারের দর কমেছে সর্বোচ্চ সীমায়। ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ১ টাকা ৫০ পয়সা দাম কমে শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৭৩ টাকা ৮০ পয়সায়।
ইউনাইটেড পাওয়ারের দর ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ বা ৪ টাকা ৮০ পয়সা কমে সর্বশেষ দর দাঁড়িয়েছে ২৪৩ টাকা ৫০ পয়সায়।
শাহজিবাজার পাওয়ারের দর ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ বা ১ টাকা ৪০ পয়সা কমে ৭৩ টাকায় লেনদেন শেষ করেছে।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের দর কমেছে ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ বা ৬০ পয়সা। আজ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৩২ টাকায়। গতকাল লেনদেন হয়েছিল ৩২ টাকা ৬০ পয়সায়।
জিবিবি পাওয়ারের দর ১ দশমিক ৮২ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬০ পয়সায়।
বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের দর ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে লেনদেন হয়েছে ২৩ টাকা ৩০ পয়সায়।
সামিট পাওয়ার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বা ৫০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৫০ পয়সায়।
খুলনা পাওয়ারের দর ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমেছে। সর্বশেষ দর দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৫০ পয়সা।
বিদ্যুৎ বিতরণে সরকারি দুটি সংস্থাও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি ১ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ১ টাকা ১০ পয়সা কমে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন শেষ করেছে।
ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) দর কমেছে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। অর্থাৎ ৭০ পয়সা দর কমেছে শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা।
বিদ্যুৎসামগ্রী তৈরির প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের দর কমেছে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ৭০ পয়সা কমে ৩৮ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
তেল-গ্যাস কোম্পানি
রাষ্ট্রায়ত্ত মেঘনা পেট্রোলিয়ামের দর ১ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ৩ টাকা ৯০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ২০১ টাকা ১০ পয়সা।
পদ্মা অয়েল কোম্পানির দর ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ৩ টাকা ৬০ পয়সা কমে হয়েছে ২১০ টাকা ১০ পয়সা।
যমুনা অয়েলের দর কমেছে শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ। এতে ১ টাকা ৭০ পয়সা কমে শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৭০ টাকা ৮০ পয়সা।
বেসরকারি কোম্পানি লুব-রেফ বাংলাদেশের দর ১ দশমিক ৮২ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৮০ পয়সায়।
এমজেএল বাংলাদেশের ১ দশমিক ১১ শতাংশ বা ১ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯ টাকা ১০ পয়সা।
রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস গ্যাস দর হারিয়েছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ৯০ পয়সা। সবশেষ দর দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৯০ পয়সা।
ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিংয়ের দর ৬০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে। দর দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৩০ পয়সায়।
অন্যান্য কোম্পানি
রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের দর কমেছে দিনের সর্বোচ্চ সীমায়। অর্থাৎ ২ শতাংশ বা ৪১ টাকা ৫০ পয়সা কমে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৩৮ টাকা ৩০ পয়সায়।
জ্বালানি তেল পরিশোধনে বেসরকারি সংস্থা লোকসানি কোম্পানি সিভিও পেট্রো-কেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেডের দর কমেছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ৩ টাকা ৬০ পয়সা। সর্বশেষ ১৭৯ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে শেয়ার।
অক্সিজেন কোম্পানি
মুনাফায় থাকা অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের দর কমেছে ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৩৭ টাকায়।
বহুজাতিক কোম্পানি লিনডে বাংলাদেশের দর শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ বা ৭ টাকা ৯০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪১২ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া বন্ধ কোম্পানি বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোডের দর কমেছে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৮০ পয়সা।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য