জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকার অঞ্চলভিত্তিক লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা করার পর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই খাতের সবগুলো কোম্পানি দর হারিয়েছে। এর মধ্যে এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা দুই শতাংশের কাছাকাছি দর কমেছে বেশির ভাগের।
সোমবার পুঁজিবাজারে যে বড় দরপতন হয়, তা থেকে বাদ যায়নি কোনো খাত। এর মধ্যে প্রধান খাতগুলোর মধ্যে শতভাগ দরপতন হয় বিমা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক।
ছোট খাতগুলোর মধ্যে চামড়া ও আনুষঙ্গিক, তথ্যপ্রযুক্তি, সিমেন্ট, টেলিকমিউনিকেশনস, কাগজ ও আনুষঙ্গিক, পাট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতেও শতভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ২৩টি। এর মধ্যে বেশির ভাগের দর কমেছে দিনের সর্বোচ্চ সীমায়।
এর মধ্যে নিয়মিত ভালো লভ্যাংশ দিয়ে আসছে, গত বছরের চেয়ে বেশি আয় করে এবার আরও বেশি লভ্যাংশ দেয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে এমন কোম্পানি যেমন আছে, তেমনি সরকারি খাতের দারুণ লাভজনক কোম্পানিও আছে।
বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর চিত্র
ডোরেন পাওয়ারের দর কমেছে সর্বোচ্চ সীমায়। ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ১ টাকা ৫০ পয়সা দাম কমে শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৭৩ টাকা ৮০ পয়সায়।
ইউনাইটেড পাওয়ারের দর ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ বা ৪ টাকা ৮০ পয়সা কমে সর্বশেষ দর দাঁড়িয়েছে ২৪৩ টাকা ৫০ পয়সায়।
শাহজিবাজার পাওয়ারের দর ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ বা ১ টাকা ৪০ পয়সা কমে ৭৩ টাকায় লেনদেন শেষ করেছে।
বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের দর কমেছে ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ বা ৬০ পয়সা। আজ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৩২ টাকায়। গতকাল লেনদেন হয়েছিল ৩২ টাকা ৬০ পয়সায়।
জিবিবি পাওয়ারের দর ১ দশমিক ৮২ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬০ পয়সায়।
বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের দর ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে লেনদেন হয়েছে ২৩ টাকা ৩০ পয়সায়।
সামিট পাওয়ার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বা ৫০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৫০ পয়সায়।
খুলনা পাওয়ারের দর ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমেছে। সর্বশেষ দর দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৫০ পয়সা।
বিদ্যুৎ বিতরণে সরকারি দুটি সংস্থাও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি ১ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ১ টাকা ১০ পয়সা কমে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন শেষ করেছে।
ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) দর কমেছে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। অর্থাৎ ৭০ পয়সা দর কমেছে শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা।
বিদ্যুৎসামগ্রী তৈরির প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের দর কমেছে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ৭০ পয়সা কমে ৩৮ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
তেল-গ্যাস কোম্পানি
রাষ্ট্রায়ত্ত মেঘনা পেট্রোলিয়ামের দর ১ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ৩ টাকা ৯০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ২০১ টাকা ১০ পয়সা।
পদ্মা অয়েল কোম্পানির দর ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ৩ টাকা ৬০ পয়সা কমে হয়েছে ২১০ টাকা ১০ পয়সা।
যমুনা অয়েলের দর কমেছে শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ। এতে ১ টাকা ৭০ পয়সা কমে শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৭০ টাকা ৮০ পয়সা।
বেসরকারি কোম্পানি লুব-রেফ বাংলাদেশের দর ১ দশমিক ৮২ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৮০ পয়সায়।
এমজেএল বাংলাদেশের ১ দশমিক ১১ শতাংশ বা ১ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯ টাকা ১০ পয়সা।
রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস গ্যাস দর হারিয়েছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ৯০ পয়সা। সবশেষ দর দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৯০ পয়সা।
ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিংয়ের দর ৬০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে। দর দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৩০ পয়সায়।
অন্যান্য কোম্পানি
রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের দর কমেছে দিনের সর্বোচ্চ সীমায়। অর্থাৎ ২ শতাংশ বা ৪১ টাকা ৫০ পয়সা কমে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৩৮ টাকা ৩০ পয়সায়।
জ্বালানি তেল পরিশোধনে বেসরকারি সংস্থা লোকসানি কোম্পানি সিভিও পেট্রো-কেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেডের দর কমেছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ৩ টাকা ৬০ পয়সা। সর্বশেষ ১৭৯ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে শেয়ার।
অক্সিজেন কোম্পানি
মুনাফায় থাকা অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের দর কমেছে ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ৩৭ টাকায়।
বহুজাতিক কোম্পানি লিনডে বাংলাদেশের দর শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ বা ৭ টাকা ৯০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪১২ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া বন্ধ কোম্পানি বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোডের দর কমেছে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৮০ পয়সা।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য