নতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে পুঁজিবাজারে চাপে থাকা গ্রামীণফোন বছরের ছয় মাসের জন্য ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণার পর দর হারিয়েছে।
সোমবার ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে এই সংবাদ আসার পর এক পর্যায়ে শেয়ারদর দিনের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত নেমে গেলেও পরে অবশ্য কিছুটা দর ফিরে পায়।
শেষ পর্যন্ত ৩০ পয়সা বা ০.১ শতাংশ দর হারিয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার।
আগের দিন দর ছিল ২৮৯ টাকা ৮০ পয়সা। সোমবার লেনদেন শুরু হয় একই দরে। এক পর্যায়ে তা উঠে যায় ২৯১ টাকা ৬০ পয়সায়। তবে পরে তা নেমে আসে ২৮৫ টাকা ৪০ পয়সায়। শেষদিকে সর্বনিম্ন অবস্থান থেকে বাড়ে ৩ টাকা ১০ পয়সা।
গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে যে তথ্য দেয়া হয়েছে, তাতে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা বাড়লেও নিট আয় কিছুটা কমে গেছে।
২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ৭ হাজার ৪২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা রাজস্ব অর্জন করেছে গ্রামীণফোন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব বৃদ্ধির হার ৫.২ শতাংশ।
অবশ্য পুঁজিবাজারে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেয়েছে, তাতে দেখা যায় কোম্পানিটি এই ছয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১২ টাকা ৮২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১২ টাকা ৮৯ পয়সা।
এই ৭ পয়সা কমার কারণ প্রথম প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের ঘাটতি। এই তিন মাসে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৬০ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ৮২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৩০ পয়সা।
এই হিসাবে দেখা যায় বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ১ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা। এ সময়ের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ১১ কোটি টাকা।
এই আয় কমার কারণ পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি। প্রধমার্ধে কোম্পানিটির পরিচালন ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির পরিচালন ব্যয় বেড়েছে ১১ শতাংশের বেশি।
দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটরটি বলেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) আরও ৯ লাখ নতুন গ্রাহক গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে, যার ফলে বছরের প্রথমার্ধ শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৪৬ লাখ।
মোট গ্রাহকের ৫৪.৬ শতাংশ বা ৪ কোটি ৬২ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৭ শতাংশ বেড়েছে।
গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘২০২২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক বাংলাদেশের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং সময় ছিলো। এ সময় দেশের উত্তরাঞ্চলে সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, যা ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি করে এবং লাখো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে আমরা বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ ও স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য মেডিকেল ক্যাম্প চালু করে ক্ষতিগ্রস্ত কমিউনিটির পাশে দাঁড়িয়েছি।
‘পাশাপাশি আমরা দুর্যোগকবলিত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণের জন্য একসঙ্গে কাজ করছি। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় এ প্রান্তিকে সামগ্রিক অবস্থার ওপর বৈশ্বিক মহামারীর প্রভাব স্থিতিশীল রয়েছে, যার ফলে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি ও তরঙ্গ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা ধারাবাহিকভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। ২০২২ সালের প্রথমার্ধ শেষে আমাদের মোট ফোরজি সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪০০।
‘নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতার উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী পণ্যের কারণে আমাদের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বছরপ্রতি ৩.২ শতাংশ এবং সর্বমোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৪৬ লাখে।’
গ্রামীণফোনের ফোরজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৫ কোটি, যা আগের বছরের তুলনায় ৩২.৭ শতাংশ বেশি।
গ্রামীণফোনের কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রামীণফোন উদ্ভাবন, নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য আমরা অনুমোদিত সর্বোচ্চ পরিমাণ তরঙ্গ অধিগ্রহণ করেছি। এ বিনিয়োগের মাধ্যমে সেবার মান শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন আরও শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে এবং বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনে অবদান রাখবে; পাশাপাশি, শহর ও গ্রামাঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন লিমিটেড নেটওয়ার্ক কাভারেজে উন্নয়ন ও বিস্তৃতিতে ৫৬০.২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ প্রান্তিক শেষে, গ্রামীণফোনের মোট সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৪৩৯টি।’
২০২২ সালের প্রথমার্ধে প্রতিষ্ঠানটি কর, ভ্যাট, ডিউটি, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দ ফি বাবদ ৫ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের মোট রাজস্বের ৭৩.১ শতাংশ।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য