বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং ও সরকারি অফিস সময় কমানো বা হোম অফিসের ঘোষণা আসার পর পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হলো।
এক দিনে কোম্পানির দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে আড়াই শটিরও বেশি কোম্পানি। সব মিলিয়ে দর হারিয়েছে ৩৫২টি, বিপরীতে বেড়েছে কেবল ১৪টির দর। আর দর ধরে রাখতে পারে ১৬টি কোম্পানি।
গত অর্থবছরের মতোই অর্ধবার্ষিকীতে শেয়ার প্রতি সাড়ে ১২ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করা গ্রামীণ ফোনও দর হারিয়েছে। বড় মূলধনি ও মৌলভিত্তির কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির দর কমেছে একদিনে যতটা কমা সম্ভব ততটাই।
৮৭ পয়েন্ট দরপতনে সূচকের অবস্থান নেমে গেছে প্রায় দুই মাস আগের অবস্থানে।
গত ২৫ মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সাধারণ সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ১৮৭ পয়েন্ট। আর সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৬ পয়েন্টে।
দরপতনের মধ্যেও বেশিরভাগ শেয়ারের ক্রেতা ছিল না। এর ফলে লেনদেন নেমে এসেছে একেবারে তলানিতে। কোনো রকমে পাঁচ শ কোটির ঘর অতিক্রম করেছে তা।
দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৫১৫ কোটি ২৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
চলতি বছর এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছে হাতে গোনা কয়েক দিন।
ইউক্রেনে রুশ হামলার পর পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে দেশে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে ব্যাপক হারে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ডলারের বিপরীতে মুদ্রার অবমূল্যায়ন।
বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি। ডলার সংকটের সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে এক বছরে সাত বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করার পর রিজার্ভ নেমে গেছে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
নানা পদক্ষেপে আমদানি ব্যয় কিছুটা কমলেও এই মুহূর্তে লেনদেনের ভারসাম্য বাংলাদেশের প্রতিকূলে। অর্থাৎ রপ্তানি ও রেমিট্যান্স থেকে যে আয় হয়, তার চেয়ে বেশি ব্যয় হচ্ছে পণ্য কিনে আনতে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার জ্বালানি সাশ্রয়ে সারা দেশে ২ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এলাকাভিত্তিক সূচি প্রকাশ শুরু করেছে। পাশাপাশি জরুরি সেবা ছাড়া অফিস সময় কমানো বা হোম অফিস করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা জানিয়েছে।
এসব সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলেছে। এমনিতে অর্থনৈতিক চাপের কারণে নানা ধরনের গুজব ও গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছিল। তার সরকারের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী সুমন দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মার্কেট ধসের কারণ হলো রিটেইল বেসড মার্কেট। মানুষ প্যানিকড হয়ে শেয়ার ছেড়ে দিয়েছে।’
প্যানিক সেলের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘মানি মার্কেট হার্ট হয়েছে। সাপ্লাই কম। তার ওপর মুদ্রাস্ফীতি, রিজার্ভ কমে গেছে। রিজার্ভের যে অঙ্কের কথা বলা হচ্ছে, সেটা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। বিদ্যুতের ব্যাপারে সরকার যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে সেটাও মানুষ ইতিবাচকভাবে নেয়নি। এই বিষয়গুলো সমন্বিতভাবে প্যানিক সেল বাড়িয়েছে।’
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কি সেল প্রেসার বাড়িয়েছে, জানতে চাইলে সুমন দাস বলেন, ‘সব জায়গা থেকেই প্রেসার আসবে। মার্জিন লোনের ফোর্স সেল আসবে।’
জুলাই বা আগস্টে নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনা কতটুকু? উত্তরে ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজের সিইও বলেন, ‘মানি মার্কেট যখন হার্ড হয় তখন অনেকটাই মুশকিল হয়। সবাই মানি মার্কেট কনসার্নড, ক্যাপিটাল মার্কেট নয়। বিনিয়োগকারীরা অনেকটা ওয়েট অ্যান্ড সি-তে চলে গেছেন। তাই বিনিয়োগ হবে কি হবে না তা বলা যাচ্ছে না।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
আগের দিনের মতোই দর বৃদ্ধির তালিকার বেশিরভাগই জাঙ্ক শেয়ারের দখলে। গতকালের মতো আজকেও ১০ শতাংশের কাছাকাছি দর বেড়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের। তালিকার শীর্ষে থাকা ব্যাংকটির দর ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৬ টাকায়।
আগে ব্যাংকটির নাম ছিল ওরিয়েন্টাল ব্যাংক। ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া ব্যাংকটি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কখনও লভ্যাংশ দিতে পারেনি। বিপুল পরিমাণ পুঞ্জিভূত লোকসানের কারণে যদি কোনো বছর মুনাফাও করে, তারপরেও লভ্যাংশ দেয়া সম্ভব নয়।
এর পরেই দর বেড়েছে জেড ক্যাটাগরিতে থাকা বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির। ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ দর বেড়ে সর্বশেষ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭ টাকা ৩০ পয়সায়।
ধারাবাহিক লোকসানে থাকা কোম্পানিটিকে ২০১৭ সালে শেয়ার প্রতি ৬৯ টাকা ৫৫ পয়সা লোকসান গুনতে হয়েছিল। এর পর আর কোনো তথ্য নেই ডিএসইর ওয়েবসাইটে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে মিথুন নিটিংয়ের। গতকাল দর বৃদ্ধির তালিকায় সবার ওপরে ছিল কোম্পানিটি। কোম্পানিটি উৎপাদনে নেই ২০১৭ সাল থেকে। সম্প্রতি নিলামে বিক্রি হয়ে গেছে কোম্পানিটি।
আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গতকাল ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস আজ দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩০ পয়সায়।
তালিকার চতুর্থ স্থানে থাকা সাভার রিফ্যাক্টরিজ লিমিটেডের দর বেড়েছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ বা ৬ টাকা ৫০ পয়সায়। গতকাল শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ২৩৯ টাকা ৭০ পয়সা, সেটা আজকে হয়েছে ২৪৬ টাকা ২০ পয়সা।
পঞ্চম স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ২ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ১০০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়েছে। ২০ কোটির পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটি ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছরই ১০ শতাংশের ওপরে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে বিনিয়োগকারীদের।
এ ছাড়া দর বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে লিবরা ইনফিউশন, ব্যাংক এশিয়া, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, এইচ আর টেক্সটাইল এবং ট্রাস্ট ব্যাংক।
দর পতনের শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে মেঘনা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। শেয়ারটির দর সর্বোচ সীমায় অর্থাৎ ২ শতাংশ বা ১ টাকা কমেছে।
৮ জুন লেনদেন শুরুর পর টানা বাড়তে থাকে কোম্পানিটির। ৪ জুলাইয়ে দর দাঁড়ায় ৫৭ টাকা ৩০ পয়সায়। সেখান থেকে কয়েকদিন দর কমে আজ সর্বশেষ ৪৯ টাকায় লেনদেন হয়।
কুইন সাউথ টেক্সটাইল লুজার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শেয়ারটির দর ৫০ পয়সা বা ২ শতাংশ কমেছে।
এই তালিকার সব কোম্পানির দর কমেছে দুই শতাংশের কাছাকাছি। অন্য কোম্পানিগুলো হলো রিজেন্ট টেক্সটাইল, স্যালভো কেমিক্যাল, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, কে অ্যান্ড কিউ, রহিমা ফুড, বিডি ল্যাম্পস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ও ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
একই তালিকায় ছিল আড়াই শরও বেশি কোম্পানি।
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ৮ দশমিক ০৬ পয়েন্ট সূচক কমেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর কারণে। কোম্পানিটির দর কমেছে এক দশমিক ৮০ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট কমিয়েছে রবি। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ।
ওয়ালটন হাইটেকের দর শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ দর কমার কারণে সূচক কমেছে ৪ দশমিক ২৯ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ইউনাইটেড পাওয়ার, বেক্সিমকো, স্কয়ার ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, বেক্সিমকো ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক ও বার্জার পেইন্টসের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৩৪ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট।
সূচক বাড়াল যারা
ব্যাপক দর পতনের কারণে কোনো কোম্পানি এককভাবে এক পয়েন্টও সূচকে যোগ করতে পারেনি।
সবচেয়ে বেশি শূন্য দশমিক ৫১ পয়েন্ট বাড়িয়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। কোম্পানিটির দর শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ দর বেড়েছে।
ব্যাংক এশিয়ার দর শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।
ইউনিলিভার সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ২৮ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এ ছাড়া ট্রাস্ট ব্যাংক, আল-আরব ব্যাংক, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি, ওরিয়ন ইনফিউশন, বাটা সু, লিবরা ইনফিউশন ও মিথুন নিটিং সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য