বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থার দুর্বলতা ও খেলাপি ঋণের উচ্চহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত প্রতিনিধিদল।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছে আইএমএফ। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সুশাসনের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থমন্ত্রণায়ের একটি সূত্র নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৈঠকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীমউল্লাহসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আর্থিক খাত নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল। রোববার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে তারা।
এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও অর্থ বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাদের।
আগামী ২২ জুলাই ঢাকা ছাড়বেন প্রতিনিধি দল। যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সফরের ফলাফল তুলে ধরবেন।
বাংলাদেশের আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আইএমএফের পাঁচ সদস্যের স্টাফ মিশন গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন। এর আগে গত মার্চে তারা প্রথম এসেছিলেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চায় আইএমএফ। সংস্থাটি বলেছে, সরকার খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পরও তা কমেনি। বরং আগের চেয়ে বেড়েছে। এর কারণ জানতে চায় আইএমএফ।
জবাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। এই চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।
বর্তমানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা, যা শতকরা হারে সাড়ে ৮ শতাংশের বেশি। বেশির ভাগ খেলাপি সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর।
এলডিসি উত্তরণ প্রস্ততি
এর আগে সকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফ। সূত্র জানায়, এ বৈঠকে বাংলাদেশের রপ্তানির সক্ষমতা, এলডিসি উত্তরণে প্রস্ততি– ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ আর কয়েক বছর পর এলডিসি থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাবে। তখন রপ্তানি বাণিজ্যে প্রভাব পড়তে পারে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে– আইএমএফের এ প্রশ্নের জবাবে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, নতুন বাজার খোঁজা হচ্ছে, পণ্যের বৈচিত্র আনা হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি বা পিটিএ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এসব উদ্যোগের ফলে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য আগামীতে আরও গতিশীল হবে। তা ছাড়া এলডিসি উত্তরণে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ভালো।
আইএমএফ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরও বলেন, এলডিসি পরবর্তী বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ, বাংলাদেশ যে সব পোশাক রপ্তানি করে, তার বেশির ভাগই মৌলিক পণ্য। এসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে তুলনামূলক সস্তা। কাজেই এগুলোর চাহিদা সবসময়ই আছে এবং থাকবে।
আরও পড়ুন:অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আগামী সাতদিনের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। একইসঙ্গে তিনি বর্তমান সরকারের কাছে আরও সাতটি দাবি তুলে ধরেছেন।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানান তিনি।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ও বেআইনি সংগঠন ঘোষণা করতে হবে। গত ১৬ বছরে দেশের সব সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য একমাত্র ছাত্রলীগ দায়ী। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সারাদেশে যত শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে, সব করেছে পুলিশ ও ছাত্রলীগের বাহিনী।’
মতবিনিময় সভায় সরকারের প্রতি বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে মাহমুদুর রহমান বলেন- ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে এক সপ্তাহের মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। যমুনা সেতুকে শহীদ আবু সাঈদের নামে নামকরণ করতে হবে, যাতে মানুষ সেখান দিয়ে পার হওয়ার সময় শতাব্দীর পর শতাব্দী আবু সাঈদকে দেখতে পায়।’
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালের পর থেকে ভারতের সঙ্গে যতগুলো চুক্তি হয়েছে তার প্রতিটির ধারা-উপধারা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। জনগণকে জানাতে হবে ভারতের সঙ্গে কী কী চুক্তি হয়েছে এবং সেগুলো পুনর্বিবেচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে, যেখানে ভারতের ও ফ্যাসিবাদের দোসর থাকতে পারবে না।’
আমার দেশ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এভিনিউকে শহীদ আবরারের নামে নামকরণ করতে হবে। কারণ শহীদ আবরার এই ফ্যাসিবাদ আন্দোলনের প্রথম শহীদ।
‘মনে রাখতে হবে শেখ মুজিব বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচারী নেতা। আর শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের আইকন হচ্ছেন শেখ মুজিব।’
দাবি তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নমিনেশন অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে। কেননা পুতুলকে নমিনেশন দেয়া হয়েছিল জালিয়াতির মাধ্যমে।
‘আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে কারাগারে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে হবে।’
আরও পড়ুন:প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে পর্যটকদের আপাতত ভ্রমণ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ২৪ দিন এই দুটি জেলা ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন রোববার বিকেল ৪টায় জানান, অনিবার্য কারণবশত ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভ্রমণপ্রত্যাশী পর্যটকদের বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন থেকে জারি করা এক নির্দেশনায়ও ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে ভ্রমণ না করার অনুরোধ জানানো হয়।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।
বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ১০৫টি শিশু নিহত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নিহত প্রতিটি শিশুর পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ রোববার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এক কোটি ২০ লাখ বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। তাদের ৪৩ ভাগই ভাতা পাওয়ার যোগ্য নয় বলে ইউনিসেফ একটি পরিসংখ্যান দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। এজন্য তালিকাটি যাচাই-বাছাই করা হবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের পর নির্বাচন হবে। নির্বাচন নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।
সমাজসেবা কার্যালয় ও উপজেলা রোগী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের মোট ৮২ লাখ ৭০ হাজার ৮৯৮ টাকার সেবা দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ পুলিশের দেড়শ’ বছরের পুরনো আইন সংস্কারসহ এটিকে জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে যা যা করা দরকার সেসব নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশ জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সফর রাজ হোসেন।
রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সফর রাজ হোসেন বলেন, ‘পুলিশকে জনগণের আস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বেঁধে দেয়া সময় তিন মাসের মধ্যে সব পর্যায়ের মানুষের মতামত নেয়া হবে। প্রয়োজনে ওয়েবসাইট তৈরি করে সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হবে।’
এ সময় সেখানে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কমিশনকে কারিগরি সহায়তা দেয়া হবে। তিন মাস পর সুপারিশ পেলেই শুরু হবে পুলিশ বাহিনী পুনর্গঠন ও সংস্কারের কাজ।’
এর আগে গত ৩ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির গেজেট প্রকাশ করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ সাজ্জাদ আলী, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ মো. গোলাম রসুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা এবং মানবাধিকার কর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান। এছাড়া কমিশনে আরও থাকবেন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন:সৎ, নীতিবান ও নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলীসম্পন্ন সেনা কর্মকর্তারা উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি পদোন্নতির জন্য কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনি পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা দেন।
সেনাবাহিনী সদরদপ্তরে রোববার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’-এর উদ্বোধনকালে এ নির্দেশনা দেন।
প্রথম পর্বের এ পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তারা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।
পদোন্নতি পর্ষদের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যেসব কর্মকর্তা সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন, সেসব কর্মকর্তাকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে।’
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ছাত্র-জনতার বিপ্লবে নিহতদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী, চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেয়ার পাশাপাশি পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
আরও পড়ুন:জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উজান ও ভাটির দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রাজধানীতে রোববার মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘ক্ষমতায়ন: জলবায়ু সহিষ্ণু সমাজের জন্য নারী (ফেজ ২)’ প্রকল্পের ‘অ্যানুয়েল কমিউনিটি অফ প্র্যাকটিস (কপ) নেটওয়ার্ক কনভেনশন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব উজান ভাটির সবগুলো দেশে সমভাবে পড়বে, যে কারণে ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধে আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রয়োজন। উজানের দেশগুলোকে আগে থেকে মাটির দেশকে বৃষ্টিপাত, স্ট্রাকচারের অবস্থা ও পানি ছাড়ার সময় জানাতে হবে।
তিনি জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে খাদ্য সংকট এড়াতে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জিরো কার্বন নির্গমন ও লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড থেকে অর্থ আনতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, অভিযোজনের জাতীয় পরিকল্পনায় নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের হেড অফ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মারিয়া স্ট্রিডসম্যান ও ইউএন উইমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ গীতাঞ্জলি সিং।
অনুষ্ঠানে ‘উইমেন্স ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক’ ঘোষণা করার পাশাপাশি পাঁচ নারী উদ্যোক্তাকে ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক পদক দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু সহনশীলতা এবং জেন্ডার সমতার ওপর বিভিন্ন প্যানেল আলোচনা, কর্মশালা ও উপস্থাপনা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:ফারজানা মমতাজকে বিদ্যুৎ বিভাগে এবং মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
পাশাপাশি বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানকে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে রোববার এ সংক্রান্ত আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগের নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারজানা মমতাজ। তাকে সচিব পদে পদোন্নতির পর এ নিয়োগ দেয়া হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হাবিবুর রহমান আগামী ৯ অক্টোবর অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাচ্ছেন। অন্যদিকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব হয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। তাকেও সচিব পদে পদোন্নতির পর এ নিয়োগ দিয়ে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ওএসডি অতিরিক্ত সচিব সুরাইয়া আখতার জাহানকে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
এদিকে নতুন করে ওএসডি করা হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানকে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য