ঈদের পরে তিন কর্মদিবসেই পুঁজিবাজারে পতনের পর সেটি আরও দীর্ঘায়িত হলো। নতুন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববারও দরপতন দেখল বিনিয়োগকারীরা। তবে এর মধ্যে চাঙা ছিল জাঙ্ক শেয়ার নামে পরিচিত দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ার।
উৎপাদনে নেই, দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে রয়েছে, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে পারে না এবং স্বল্পমূলধনি কোম্পানির আধিপত্য ছিল লেনদেনে। দর বৃদ্ধির তালিকার প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে এসব কোম্পানি।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে আটটিই জেড ক্যাটাগরির শেয়ার। কয়েকটির লোকসান আকাশচুম্বি। এক দশক ধরে লভ্যাংশ দিতে পারে না-এমন কোম্পানি বেশ কয়েকটি।
সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া মিথুন নিটিং উৎপাদনে নেই ২০১৭ সাল থেকে। কোম্পানিটি সম্প্রতি নিলামে বিক্রি হয়ে গেছে।
তালিকায় রয়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, যেটি আগে ছিল ওরিয়েন্টাল ব্যাংক। ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া ব্যাংকটি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কখনও লভ্যাংশ দিতে পারেনি। বিপুল পরিমাণ পুঞ্জিভূত লোকসানের কারণে যদি কোনো বছর মুনাফাও করে, তারপরেও লভ্যাংশ দেয়া সম্ভব নয়।
এমন দুটি কোম্পানির দর বেড়েছে ১০ শতাংশ করে।
গত দুই বছর শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়া স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ২ টাকা ২০ পয়সা করে লোকসান দিয়েছে। এই কোম্পানির দর বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ।
তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে কখনও লভ্যাংশ দিতে না পারা মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ও মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের দর প্রতি বছরই লভ্যাংশ ঘোষণার আগে আগে লাফ দেয়।
এবারও তাই হয়েছে। এই দুটি কোম্পানির দর গত এক মাস ধরেই ব্যাপকভাবে বাড়ছে। আজ বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব, ততটাই।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্পেক তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত এই কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান ৫ টাকা ৩৪ পয়সা। শেয়ার প্রতি কোনো সম্পদ নেই, উল্টো দায় ৭৩ টাকা ১৫ পয়সা।
এমন কোম্পানির দর দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা। এক দিনে বাড়ল ৯.৯১ শতাংশ।
মেঘটা পেটি ইন্ডাস্ট্রিজের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান ১৮ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি দায় ৪ টাকা ৭৩ পয়সা।
এমন কোম্পানির দর দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ১০ পয়সা। এক দিনে বাড়ল ৯.৯২ শতাংশ।
ষষ্ঠ স্থানে থাকা গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৬৮ পয়সা। গত তিন বছর কখনও শেয়ার প্রতি এক টাকাও আয় করতে পারেনি।
এই কোম্পানির দর ৯.৫১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৮ টাকা।
২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি ৯৪ টাকা ২৭ পয়সা লোকসান দেয়ার পর বিআইএফসি আর কখনও আর্থিক হিসাবও প্রকাশ করেনি। এই কোম্পানির শেয়ার দর এক দিনে বেড়েছে ৮.০৬ শতাংশ। শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৬.৭ টাকা।
২০২১ সালে শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ চলতি অর্থবছরে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২১ পয়সা লোকসান দেয়ায় বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
৮ শতাংশ বেড়ে এই কোম্পানির শেয়ারদর ৩৫ টাকা থেকে হয়েছে ৩৭ টাকা ৮০ পয়সা।
লোকসানে ডুবে যাওয়া তাল্লু স্পিনিং চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৪৭ পয়সা। ২০১৫ সালের পর থেকে লভ্যাংশ দিতে না পারা কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৭.৯২ শতাংশ।
তালিকায় দশম স্থানে থাকা ইনটেক অনলাইনের আর্থিক ভিত্তি ভালা নয় কোনোভাবেই। ২০১৯ সালে কোনো লভ্যাংশ না দেয়া কোম্পানিটি পরের বছর শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়ে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ফেরে।
চলতি বছর তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১৯ পয়সা আয় করা কোম্পানিটির দর সম্প্রতি বাড়ছে। ৭.৮৪ শতাংশ বেড়ে শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪০ পয়সা।
কেবল শীর্ষ ১০ নয়, শীর্ষ বিশেও একই প্রবণতা দেখা গেছে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জাঙ্ক শেয়ারের দাম বাড়ার কারণ বিনিয়োগকারীরা সেগুলোতে ঝুঁকেছেন। কোনো কিছু হিসাব না করেই তারা হুজুগে কিনছেন। যখন যেই হুজুগ চলে তখন সেই দিকে ছোটেন তারা। অন্য কোনো কারণ নেই।’
সব মিলিয়ে যতগুলো শেয়ারের দাম বেড়েছে তার চেয়ে প্রায় আড়াইগুণ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। ৯৯টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৩৬টির। আগের দামেই লেনদেন হয়েছে ৪৭টি কোম্পানির শেয়ার।
দিনের শুরু থেকেই নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। দিন শেষে ব্যাপক দর পতনে আগের দিনের চেয়ে ২০ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩০৪ পয়েন্টে।
লেনদেন তলানিতেই থেকে গেছে। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবারে হাতবদল হয়েছিল ৫৮০ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকার। ১২ কোটি ৮৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকা বেড়ে দিনভর হাতবদল হয়েছে ৫৯৩ কোটি ৪৯ লাখ ৮১ হাজার টাকার।
লেনদেনের বিষয়ে ক্যাল সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী রাজেশ সাহা বলেন, ‘ঈদের পরে দ্রুতই বাজার ভালো হয়, এমনটা অতীতেও দেখা যায়নি। আমার মতে, আরেকটু সময় লাগবে। আগস্টের দিকে হয়তো কিছু ফান্ড ইনজেক্ট হতে পারে।’
একই কথা বললেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেনও। তার বক্তব্য এমন: ‘নতুন অর্থবছরে এখন পর্যন্ত কোনো ফান্ডের ইনজেকশন দেখতে পাচ্ছি না। হয়তো অনেকেই গোছাচ্ছেন। অর্থবছর শুরু হয়েছে মাত্র, আরেকটু সময় গেলে হয়তো নতুন অর্থ ঢুকতে দেখা যাবে।’
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য