ঈদের পরে তিন কর্মদিবসেই পুঁজিবাজারে পতনের পর সেটি আরও দীর্ঘায়িত হলো। নতুন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববারও দরপতন দেখল বিনিয়োগকারীরা। তবে এর মধ্যে চাঙা ছিল জাঙ্ক শেয়ার নামে পরিচিত দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ার।
উৎপাদনে নেই, দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে রয়েছে, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে পারে না এবং স্বল্পমূলধনি কোম্পানির আধিপত্য ছিল লেনদেনে। দর বৃদ্ধির তালিকার প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে এসব কোম্পানি।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে আটটিই জেড ক্যাটাগরির শেয়ার। কয়েকটির লোকসান আকাশচুম্বি। এক দশক ধরে লভ্যাংশ দিতে পারে না-এমন কোম্পানি বেশ কয়েকটি।
সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া মিথুন নিটিং উৎপাদনে নেই ২০১৭ সাল থেকে। কোম্পানিটি সম্প্রতি নিলামে বিক্রি হয়ে গেছে।
তালিকায় রয়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, যেটি আগে ছিল ওরিয়েন্টাল ব্যাংক। ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া ব্যাংকটি তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কখনও লভ্যাংশ দিতে পারেনি। বিপুল পরিমাণ পুঞ্জিভূত লোকসানের কারণে যদি কোনো বছর মুনাফাও করে, তারপরেও লভ্যাংশ দেয়া সম্ভব নয়।
এমন দুটি কোম্পানির দর বেড়েছে ১০ শতাংশ করে।
গত দুই বছর শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়া স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ২ টাকা ২০ পয়সা করে লোকসান দিয়েছে। এই কোম্পানির দর বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ।
তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে কখনও লভ্যাংশ দিতে না পারা মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ও মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের দর প্রতি বছরই লভ্যাংশ ঘোষণার আগে আগে লাফ দেয়।
এবারও তাই হয়েছে। এই দুটি কোম্পানির দর গত এক মাস ধরেই ব্যাপকভাবে বাড়ছে। আজ বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব, ততটাই।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্পেক তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত এই কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান ৫ টাকা ৩৪ পয়সা। শেয়ার প্রতি কোনো সম্পদ নেই, উল্টো দায় ৭৩ টাকা ১৫ পয়সা।
এমন কোম্পানির দর দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা। এক দিনে বাড়ল ৯.৯১ শতাংশ।
মেঘটা পেটি ইন্ডাস্ট্রিজের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান ১৮ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি দায় ৪ টাকা ৭৩ পয়সা।
এমন কোম্পানির দর দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ১০ পয়সা। এক দিনে বাড়ল ৯.৯২ শতাংশ।
ষষ্ঠ স্থানে থাকা গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৬৮ পয়সা। গত তিন বছর কখনও শেয়ার প্রতি এক টাকাও আয় করতে পারেনি।
এই কোম্পানির দর ৯.৫১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৮ টাকা।
২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি ৯৪ টাকা ২৭ পয়সা লোকসান দেয়ার পর বিআইএফসি আর কখনও আর্থিক হিসাবও প্রকাশ করেনি। এই কোম্পানির শেয়ার দর এক দিনে বেড়েছে ৮.০৬ শতাংশ। শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৬.৭ টাকা।
২০২১ সালে শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ চলতি অর্থবছরে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২১ পয়সা লোকসান দেয়ায় বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
৮ শতাংশ বেড়ে এই কোম্পানির শেয়ারদর ৩৫ টাকা থেকে হয়েছে ৩৭ টাকা ৮০ পয়সা।
লোকসানে ডুবে যাওয়া তাল্লু স্পিনিং চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৪৭ পয়সা। ২০১৫ সালের পর থেকে লভ্যাংশ দিতে না পারা কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৭.৯২ শতাংশ।
তালিকায় দশম স্থানে থাকা ইনটেক অনলাইনের আর্থিক ভিত্তি ভালা নয় কোনোভাবেই। ২০১৯ সালে কোনো লভ্যাংশ না দেয়া কোম্পানিটি পরের বছর শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়ে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ফেরে।
চলতি বছর তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১৯ পয়সা আয় করা কোম্পানিটির দর সম্প্রতি বাড়ছে। ৭.৮৪ শতাংশ বেড়ে শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪০ পয়সা।
কেবল শীর্ষ ১০ নয়, শীর্ষ বিশেও একই প্রবণতা দেখা গেছে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জাঙ্ক শেয়ারের দাম বাড়ার কারণ বিনিয়োগকারীরা সেগুলোতে ঝুঁকেছেন। কোনো কিছু হিসাব না করেই তারা হুজুগে কিনছেন। যখন যেই হুজুগ চলে তখন সেই দিকে ছোটেন তারা। অন্য কোনো কারণ নেই।’
সব মিলিয়ে যতগুলো শেয়ারের দাম বেড়েছে তার চেয়ে প্রায় আড়াইগুণ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। ৯৯টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৩৬টির। আগের দামেই লেনদেন হয়েছে ৪৭টি কোম্পানির শেয়ার।
দিনের শুরু থেকেই নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। দিন শেষে ব্যাপক দর পতনে আগের দিনের চেয়ে ২০ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩০৪ পয়েন্টে।
লেনদেন তলানিতেই থেকে গেছে। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবারে হাতবদল হয়েছিল ৫৮০ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকার। ১২ কোটি ৮৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকা বেড়ে দিনভর হাতবদল হয়েছে ৫৯৩ কোটি ৪৯ লাখ ৮১ হাজার টাকার।
লেনদেনের বিষয়ে ক্যাল সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী রাজেশ সাহা বলেন, ‘ঈদের পরে দ্রুতই বাজার ভালো হয়, এমনটা অতীতেও দেখা যায়নি। আমার মতে, আরেকটু সময় লাগবে। আগস্টের দিকে হয়তো কিছু ফান্ড ইনজেক্ট হতে পারে।’
একই কথা বললেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেনও। তার বক্তব্য এমন: ‘নতুন অর্থবছরে এখন পর্যন্ত কোনো ফান্ডের ইনজেকশন দেখতে পাচ্ছি না। হয়তো অনেকেই গোছাচ্ছেন। অর্থবছর শুরু হয়েছে মাত্র, আরেকটু সময় গেলে হয়তো নতুন অর্থ ঢুকতে দেখা যাবে।’
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য