প্রায় দুই দশক পর প্রথমবার ইউরোপের অভিন্ন মুদ্রা ইউরোকে ছুঁয়ে ফেলল যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার। ডলার আর ইউরোর মান এখন সমান।
বুধবার বাংলাদেশের আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে লেগেছে ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। আর এক ইউরোর জন্য খরচ করতে হয়েছে ৯৩ টাকা ৭৮ পয়সা।
বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ইউরো আর ডলারের মান সমান হয়ে গেছে বলে সিএনএনের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়।
ইউরোপের অভিন্ন মুদ্রা ইউরো প্রবর্তিত হয় ১৯৯৯ সালে। সেই হিসাবে ইউরোর ২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটল—মার্কিন ডলার ও ইউরোর মান সমান হয়ে গেল।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে এখন এক ডলারের বিনিময়ে ঠিক এক ইউরো মিলেছে। অর্থাৎ এ বছর ইউরোর দরপতন হয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ইউরোপ, আমেরিকাসহ সারা বিশ্বেই মূল্যস্ফীতির সূচক রেকর্ড ছুঁয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার হ্রাস করেছে। এই বাস্তবতায় ইউরোপসহ আমেরিকায় চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে মন্দার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ইউরো আর ডলার সমান হয়ে গেল।
যুদ্ধের আগে ইউরোপের ৪০ শতাংশ গ্যাস আসত রাশিয়া থেকে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার কারণে ইউরোপ রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ মেয়াদে রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাসের চেষ্টা করছে তারা। এর জবাবে রাশিয়াও ইউরোপের অনেক দেশে গ্যাস সরবরাহ হ্রাস করেছে। ফলে উৎপাদন সংকটে পড়েছে ইউরোপ।
তবে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ এ পর্যন্ত নীতি সুদহার ৭৫ ভিত্তি পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছে। সে কারণে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে আমেরিকায় বন্ডে বিনিয়োগ করছেন। ফলে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ডলারের চাহিদা বেড়েছে।
এদিকে শুধু ইউরো নয়, এ কারণে গোটা এশিয়াতেই স্থানীয় মুদ্রা এখন দুর্বল। চীনের ইউয়ান, জাপানের ইয়েনসহ সব দেশের মুদ্রারই পতন ঘটছে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মুদ্রারও পতন হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এক বছরে আমেরিকান ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ।
২০২১ সালের ৬ জুলাই প্রতি ডলারের জন্য খরচ করতে হয়েছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার লেগেছে ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা।
বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম যেভাবে স্থির হয়, সেই চাহিদা আর জোগানের অঙ্ক মেনেই বিদেশি মুদ্রার সাপেক্ষে দেশীয় মুদ্রার দাম নির্ধারিত হয়। বিদেশি মুদ্রার প্রয়োজন হয় বৈদেশিক বাণিজ্যের কাজে। বিশ্ব বাণিজ্যে ডলারের একক আধিপত্যের কারণে ডলার এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:সম্মাননা ও উপহার প্রদান, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিসহ ১৫ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে ১৫ আগস্টে শহিদ হওয়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৫ সদস্যকে বিশেষভাবে স্মরণ করেছে বেসরকারি এনআরবিসি ব্যাংক।
শোকের মাস আগস্টের ১ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত ১৫টি করে নতুন হিসাব, ১৫ লাখ ঋণ বিতরণ ও ১৫ লাখ টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। ‘শোক নয় শক্তি’ স্লোগানে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ব্যাংকটির কিশোরগঞ্জ ও ভৈরব শাখার আওতাধীন ১৫টি শাখা-উপশাখা।
বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় এনআরবিসি ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখা প্রাঙ্গণে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মাননা ও পুরস্কার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রাশিয়ার সাধারণ সম্পাদক এস এম পারভেজ তমাল।
শহীদ হওয়ার মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুর পরিহিত পোশাক স্মরণে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানকে উপহার হিসেবে সাদা গেঞ্জি, পাঞ্জাবি ও চেক লুঙ্গি দেয়া হয়।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পান খেতে পছন্দ করতেন। এই মহীয়সী নারীর স্মরণে রত্মগর্ভা আম্বিয়া আক্তারকে পানের বাটা উপহার দিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের স্মরণে ১১ বছরের শিশু এস এম জুবায়েরকে একটি লাল রঙের সাইকেল উপহার দেয়া হয়।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের স্মরণে তাড়াইল ফুটবল একাডেমিকে ক্রীড়া সরঞ্জাম এবং শেখ জামাল স্মরণে ছাত্র অবনী সরকারের হাতে গিটার তুলে দেয়া হয়।
শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকু স্মরণে অ্যাথলেট জুনাইদ হাসানকে সম্মাননা এবং শেখ জামালের স্ত্রী পারভীন জামাল রোজী স্মরণে নববধূ মনিরা আক্তারকে উপহার সামগ্রী দেয়া হয়।
এভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৫ সদস্যকে স্মরণ করে ১৫ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে এনআরবিসি ব্যাংক।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের সমুচিত জবাব দেয়া হবে। এনআরবিসি ব্যাংক গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছে।’
আরও পড়ুন:দেশের অর্থনীতি নিয়ে নানা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়েই চলেছে। জুলাই মাসের পর আগস্টেও বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের গতি বেশ ঊর্ধ্বমুখী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, আগস্ট মাসের ১৬ দিনেই ১১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৯৫ টাকা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার ১২৪ কোটি টাকা, যা গত বছরের আগস্টের একই সময়ের চেয়ে ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি।
এ হিসাবে প্রতিদিন এসেছে ৭ কোটি ২৬ লাখ ডলার বা প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।
বাজারে ডলারের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ব্যাংকগুলো ১০৫/১০৬ টাকা দরেও রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে। সে হিসাব বিবেচনায় নিলে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ আরও বেশি।
মাসের বাকি ১৫ দিনেও এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকার আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও সিরাজুল ইসলাম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জুলাই মাসের মতো আগস্টেও ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসবে।’
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার (২.১ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল গত ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে বেশি ছিল ১২ শতাংশ।
এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরের প্রথম দেড় মাসে (১ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট) ৩২৮ কোটি ৮০ লাখ (৩.২৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
প্রতি ডলার ৯৫ টাকা হিসাবে টাকার অঙ্কে ওই অর্থের পরিমাণ ৩১ হাজার ৪৬ কোটি টাকা।
করোনা মহামারির পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ধাক্কায় ওলটপালট হয়ে যাওয়া অর্থনীতিতে গত ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দেশজুড়ে ক্ষোভ-হতাশা এবং আগামী দিনগুলোতে কী হবে? এই প্রশ্ন সবার মধ্যে তখন স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো এই অর্থের প্রবাহ। মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবছরের কথা। ভরা করোনা মহামারির মধ্যেও ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
‘মহামারির মধ্যে ওই সময় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন প্রবাসীরা’-এই মন্তব্য করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় অর্থনীতিতে যে নতুন সংকট দেখা দিয়েছে, সেই সংকট কাটাতেও সবার আগে এগিয়ে এসেছেন প্রবাসীরা। আবার বেশি বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন।’
‘এই সময় এটারই খুব দরকার ছিল।’
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্সের বিস্ময়কর উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তৈরি হবে নতুন রেকর্ড। এতে অনেকটাই চাপমুক্ত হবে দেশ। ইতোমধ্যে সে লক্ষণও দেখা যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) তেমনটি বলেছে। বাংলাদেশ সংকটে নেই; চলমান বৈশ্বিক সংকটে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার শক্তি বাংলাদেশের আছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ বাংলাদেশ নিয়ে এ কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গত বছরের ১ থেকে ১৬ আগস্ট ১০০ কোটি ৭০ লাখ (১ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দেড় মাসে (২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট) ২৮৭ কোটি ৮০ লাখ (২.৮৮ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, চলতি আগস্ট মাসের ১৬ দিনে গত বছরের আগস্টের একই সময়ে চেয়ে ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর দেড় মাসের হিসাবে বেশি এসেছে ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে মন্দা দেখা দেয়। পুরো অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি (২১.০৩ বিলিয়ন) ডলার এসেছিল; গড়ে প্রতিদিন ৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন ঘটে ২০২০-২১ অর্থবছরে। সে সময় ২ হাজার ৪৭৮ কোটি (২৪.৭৮ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। ওই অর্থবছরে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৭৯ ডলার প্রবাসী আয় হিসেবে দেশে এসেছিল।
এসব হিসাব থেকে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্সে রয়েছে ঊর্ধ্বগতি। এই প্রবণতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে এবং এই অর্থবছরে নতুন রেকর্ড তৈরি হবে বলে মনে করছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘গত অর্থবছরে সাড়ে ৭ লাখ লোক কাজের সন্ধানে বিভিন্ন দেশে গেছেন। তারা ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স পাঠাতে শুরু করেছেন। সে কারণেই ঈদের পরও রেমিট্যান্স বাড়ছে। এই ইতিবাচক ধারা পুরো অর্থবছর জুড়েই অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশা করছি।’
সাধারণত দুই ঈদের আগে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ে; ঈদের পর কমে যায়। তবে এবার কোরবানির ঈদের আগে যে গতিতে রেমিট্যান্স এসেছে, সেই ধারা ঈদের পরেও অব্যাহত আছে।
দেশে গত ১০ জুলাই কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়। ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহে ঢল নামে। ঈদের ৯০ কোটি ৯৩ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ঈদের পরে ২১ দিনে এসেছে ১১৮ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের কিছু বেশি।
ঈদের পরেও কেন রেমিট্যান্স বাড়ছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত কয়েক মাসে ডলারের দর বেশ খানিকটা বেড়েছে। প্রণোদনার পরিমাণ দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। এসব কারণে প্রবাসীরা এখন ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। সে কারণেই বাড়ছে রেমিট্যান্স।’
তিনি বলেন, ‘এই সময়ে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির খুবই দরকার ছিল। নানা পদক্ষেপের কারণে আমদানি ব্যয় কমতে শুরু করেছে। রপ্তানির পাশাপাশি রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণে আশা করছি এখন মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।’
আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে বুধবার প্রতি ডলার ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ব্যাংকগুলো এই দরে ডলার কিনেছে। তবে ডলারের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ব্যাংকগুলো ১০৬ টাকা পর্যন্ত দরে প্রবাসীদের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করেছে।
সে হিসাবে কোনো প্রবাসী এখন ব্যাংকিং চ্যানেলে ১ ডলার দেশে পাঠালে ১০৬ টাকার সঙ্গে নগদ প্রণোদনার ২ টাকা ৫০ পয়সা যুক্ত হয়ে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা পাচ্ছেন।
কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলারের দর প্রায় একই। সে কারণেই প্রবাসীরা এখন অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়ে দেশে টাকা না পাঠিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন বলে জানান ব্যাংকাররা।
১.৮৫ বিলিয়ন ডলার বিক্রি
ডলারের বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেই চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি অর্থবছরের ১ মাস ১৬ দিনে (১ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট) বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ থেকে ১৮৫ কোটি ৩০ লাখ (১.৮৫ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলছে কয়েক মাস ধরে। বেড়েই চলছিল বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর এই মুদ্রার দর। কমছিল টাকার মান। তবে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম কমে ১০৯ টাকা নেমে এসেছে। ব্যাংকগুলোতে কয়েক দিন ধরে একই দামে ‘স্থির’ রয়েছে ডলার দর।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরের পুরো সময়ে ৭ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি আয়ে উল্লম্ফন ও আমদানি ব্যয় কমায় বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজার থেকে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রিজার্ভ ৩৯.৫৩ বিলিয়ন ডলার
প্রতিদিন ডলার বিক্রির কারণে রিজার্ভ চাপের মধ্যে রয়েছে। বুধবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। জুলাই মাসের ৫ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারের আমদানি খরচ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে সাত মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
১২ জুলাই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। চাহিদা মেটাতে রিজার্ভ থেকে অব্যাহতভাবে ডলার বিক্রির ফলে আরও কমে গেছে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই সূচক।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণাকাজে সহায়তার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) একটি বাস উপহার দিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
বুধবার সকালে ঢাবি নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের কাছে বাসটি হস্তান্তর করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল।
ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাস উপহার পেয়ে ব্যাংকটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘এই আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। তার শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রয়াসে এনআরবিসি ব্যাংকের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকল্পে এনআরবিসি ব্যাংকের এই উদ্যোগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণাকাজ এগিয়ে নেয়া সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। পৃথিবীর সব দেশে শিক্ষা-গবেষণায় বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ রয়েছে। এনআরবিসি ব্যাংকের এই উপহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকাজকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।’
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, ‘দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা গর্বিত।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহম্মদ সামাদ, ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ও ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাদ মুজিব লালন, ব্যাংকের ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশিদ, সাপোর্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের প্রধান পারভেজ হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এনআরবিসি ব্যাংকের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) তহবিলের শিক্ষা খাত থেকে এই উপহার দেয়। বাসটি ৪২ আসনের।
আরও পড়ুন:অতি মুনাফার লোভে যারা কার্বমার্কেট বা খোলাবাজার থেকে ১২০ টাকায় ডলার কিনেছিলেন তাদের মাথায় হাত। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা ডলার হোঁচট খেয়ে এখন উল্টো দিকে হাঁটছে; ১০৯ টাকায় নেমে এসেছে। শক্তিশালী হতে শুরু করেছে টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে আমেরিকান মুদ্রা ডলারের সরবরাহ বেশ বেড়েছে। সবাই বিক্রি করতে আসে; কেউ কিনতে আসে না। এতদিন যারা বেশি লাভের আশায় ডলার কিনে মজুত করেছিলেন, তারা সবাই এখন বিক্রি করতে আসছেন। সে কারণেই দুর্বল হচ্ছে ডলার, মান বাড়ছে টাকার। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ডলারের দর ১০৫ টাকায় নেমে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
বুধবার সকালে খোলাবাজারে প্রতি ডলারের জন্য ১১০ টাকা নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা; বিকেলে তা ১০৯ টাকায় নেমে আসে। মঙ্গলাবার প্রতি ডলার ১১৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১১৩ টাকা ৩০ পয়সায় বিক্রি হয়েছিল।
সোমবার ছিল জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন। তার আগের দিন রোববার প্রতি ডলারের জন্য ১১৪ টাকা ৫০ পয়সা নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
আমদানি কমায় ডলারের চাহিদা কমে এসেছে। সে কারণে বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়ায় দর কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যাংকগুলোও নগদ ডলারের দাম কমাতে শুরু করেছে। বেসরকারি সিটি ব্যাংক মঙ্গলবার প্রতি ডলারের জন্য নিয়েছিল ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার নিয়েছে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। তবে অন্য ব্যাংকগুলো আগের দামেই নগদ ডলার বিক্রি করছে।
খোলাবাজারে গত সপ্তাহে ডলারের দর এক লাফে ১২০ টাকায় উঠেছিল। বৃহস্পতিবার তা এক টাকা কমে বিক্রি হয় ১১৯ টাকায়। এর পর থেকে টাকার বিপরীতে প্রতিদিনই কমছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের দর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খোলাবাজারের এক ডলার ব্যবসায়ী বুধবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে ডলারের সরবরাহ এখন প্রচুর। সবাই বিক্রি করতে আসে; কেউ কিনতে আসে না। দু-একজন আসে দাম শুনে; তবে কেনে না। সকালে ১১০ টাকায় সামান্য কিছু বিক্রি করেছি আমরা। বিকেলে ১০৯ টাকা দিয়েও ক্রেতা পাওয়া যায়নি।’
‘এতদিন যারা বেশি লাভের আশায় ডলার কিনে মজুদ করেছিলেন, দাম কমতে দেখে তারা সবাই এখন বিক্রি করতে আসছে। সে কারণেই সরবরাহ বেড়েছে। দাম কমছে।’
‘যারা পাগলের মতো ডলার কিনেছিলেন তারা সবাই ধরা। সবাই এখন বিক্রি করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। সরবরাহ বেড়েছে; তাই দাম কমছে। আরও কমবে বলে মনে হচ্ছে’- বলেন ওই ব্যবসায়ী।
‘আমার মনে হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ডলারের দর ১০৫ টাকায় নেমে আসবে।’
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক গত কয়েক দিনের মতো বুধবারও ১০৪ টাকা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে। জনতা ব্যাংক থেকে কিনতে লেগেছে ১০৪ টাকা ২৫ পয়সা। বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংক বিক্রি করেছে ১০৭ টাকায়। এসআইবিএল নিয়েছে ১০৫ টাকা।
গত সপ্তাহের মতো বুধবার ৯৫ টাকায় ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটাকে আন্তব্যাংক বা ইন্টারব্যাংক রেট বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এই রেট গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে কার্যত অচল।
ব্যাংকগুলো এখনও এই দরের চেয়ে ৯ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। আবার প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে ১০৪-১০৫ টাকা দিয়ে। আমদানি ঋণপত্র খুলতে নিচ্ছে ১০৪-১০৫ টাকা।
বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে আমেরিকান মুদ্রা ডলারের দৌড় থামাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দেড় মাসে (১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট) প্রায় ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এরপরও বাজারে ডলারের সংকট কাটছিল না।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম আশার কথা শুনিয়ে বলেছেন, শিগগিরই ডলারের সংকট কেটে যাবে। বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ইতোমধ্যে কার্ব মার্কেটে বেশ খানিকটা কমেছে।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণেই বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। সেই চাহিদা পূরণের জন্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাজারে ডলার ছাড়া হচ্ছে। আসলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ এটি। যখন বাজারে ডলারের ঘাটতি দেখা দেবে তখন ডলার বিক্রি করা হবে। আবার যখন সরবরাহ বেশি হবে তখন কেনা হবে।
‘ডলার বিক্রির ক্ষেত্রে রিজার্ভ পরিস্থিতিও সব সময় বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে। ঢালাও বিক্রি করলে রিজার্ভ কমে আসবে। সেক্ষেত্রে অন্য সমস্যা হবে। সে কারণেই ভেবেচিন্তে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি বিক্রি করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দুই বছরের বেশি সময় ধরে করোনা মহামারির ধাক্কা কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের তাণ্ডবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সব দেশের মতো আমাদেরও আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। সে কারণে রিজার্ভের ওপরও চাপ পড়েছে।
‘তবে সুখের খবর হচ্ছে, আমদানি কমতে শুরু করেছে। রপ্তানির পাশাপাশি রেমিট্যান্সও বাড়ছে। শিগগিরই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
এর আগে মে মাসে যখন ডলারের দর ১০০ টাকা ছাড়িয়েছিল, তখনও সবাই অতি মুনাফার আশায় জমানো টাকা দিয়ে ডলার কিনেছিলেন। অনেকে পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে, ধারদেনা করেও ডলার কিনেছিলেন। পরে অবশ্য ডলারের দাম ১০০ টাকার নিচে নেমে এসেছিল।
আরও পড়ুন:সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বা এসআইবিএলের ২৮টি নতুন এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট উদ্বোধন করা হয়েছে।
এসআইবিএলের প্রধান কার্যালয়ে বুধবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মো. মাহবুব উল আলম এর উদ্বোধন করেন।
ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান কাজী ওবায়দুল আল-ফারুক, চিফ রেমিট্যান্স অফিসার মো. মোশাররফ হোসাইন, মার্কেটিং অ্যান্ড ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ডিভিশনের প্রধান মো. মনিরুজ্জামান এবং এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশনের প্রধান মো. মশিউর রহমান।
কোর ব্যাংকিং সিস্টেম আপগ্রেড করার জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে টানা ৩০ ঘণ্টা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএমসহ সব ধরনের ই-ব্যাংকিং সেবা বন্ধ থাকবে।
অর্থাৎ শুক্রবার বেলা ২টা পর্যন্ত ব্যাংকটির গ্রাহকরা অনলাইনভিত্তিক বেশ কয়েকটি সেবা নিতে পারবেন না।
তবে এই নির্দেশনা শুধু ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস ডেবিট কার্ডের গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।
৩০ ঘণ্টা ব্যাংকটির এটিএম বুথ, সিআরএম, পিওএস, ই-কমার্স ও ই-ব্যাংকিং সেবা পাবেন না গ্রাহকরা। বন্ধ থাকবে ব্যাংকটির এনপিএসবি ও আইবিএফটি সেবা। ইনওয়ার্ড ও আউট ওয়ার্ড রেমিট্যান্স সেবাও পাবেন না ব্যাংকটির গ্রাহকরা।
ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের কোর ব্যাংকিং সেবাও এ সময় বন্ধ থাকবে।
দেশজুড়ে ব্যাংকটির ৪ হাজার ৭৬৬ এটিএম বুথ আছে।
আরও পড়ুন:ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট সোমবার জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাংকের পরিচালক জয়নাল আবেদীন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী, ওমর ফারুক খান ও জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাইয়ার আজম, সিদ্দিকুর রহমান, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার, আবুল ফয়েজ মুহাম্মাদ কামালউদ্দিন ও মুহাম্মদ শাব্বির, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরী ও আইবিটিআরএর প্রিন্সিপাল এস এম রবিউল হাসানসহ ব্যাংকের নির্বাহী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে ব্যাংকটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য