ঈদের পরে প্রথম কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনে ভাটার মধ্যে বস্ত্র খাতে দেখা গেছে চাঙাভাব। এই খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনেও দেখা গেছে আগ্রহ।
একমাত্র খাত হিসেবে দেড় শ কোটির বেশি লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ২৪ শতাংশের বেশি।
১৫৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা লেনদেনের দিনে এ খাতের ৪৬টি কোম্পানির দর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১০টির। এছাড়া তিনটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে আগের দামেই।
আর কোনো খাতের লেনদেন ১০০ কোটি ছাড়ায়নি।
এরপরেই ৭০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিবিধ খাতে। ওই খাত দুটিতে লেনদেনের পরিমাণ ১১ শতাংশের বেশি।
এর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ৭৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা লেনদেনের ১১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
তবে খাতটিতে দরপতনের পাল্লা ভারী ছিল। ৭ কোম্পানির দর বাড়ার বিপরীতে কমেছে ১০টির। আর আগের দামেই লেনদেন হয়েছে পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার।
বিবিধ খাতে ৭৩ কোটি ৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
এ খাতেও দর পতন দেখা গেছে। মাত্র চারটি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে পতন হয়েছে দশটি কোম্পানির শেয়ারের।
এছাড়া আর কোন খাতের লেনদেন ১০ শতাংশ অতিক্রম করতে পারেনি। ৭ শতাংশের বেশি লেনদেন করে শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে প্রকৌশল ও জ্বালানি খাত।
বাকি খাতের লেনদেন ৬ শতাংশের নিচে ছিল।
শুরু থেকেই শেয়ারের দর কমার কারণে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। তবে বেলা দুইটার কিছু আগে সূচক ওঠার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ১১ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ হয়েছে।
সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন। হাতবদল হয়েছে ৬৭৯ কোটি ৪৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার। ঈদের আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৮৮ কোটি ৬৬ লাখ ১২ হাজার টাকা।
আজ যতগুলো শেয়ারের দাম বেড়েছে কমেছে তার প্রায় দ্বিগুণ। ১২৮টি শেয়ারের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২০৯টির। আর আগের দামেই লেনদেন হয়েছে ৪৪টি কোম্পানির শেয়ার।
ক্যাল সিকিউরিটিজের সিইও রাজেশ সাহা বলেন, ‘বস্ত্র খাতে আমাদের যে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা তা ১০ মাসেই পূরণ হয়ে গেছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় যেটা সহজে অর্জন করা সম্ভব নয় এমন। যেহেতু লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে সুতরাং এই সেক্টরটা বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ। এছাড়া সারা বিশ্বে সুতার দাম কমেছে। দীর্ঘ দিন থেকেই এ সেক্টরে একটা র্যালি আসবে ধরা হচ্ছিল, সেটা কিছুটা দেখা যাচ্ছে।’
সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাজার নিয়েও আশাবাদী তিনি। বলেন, ‘অতীতের ইতিহাস যেটা বলে যে, আমাদের দেশের টোটাল ইকোনোমির অবস্থা যখন খারাপ হয়, বিনিয়োগের জায়গা কম থাকে, তখন শেয়ার মার্কেট ভালো হয়। আশা করা যেতে পারে আগস্টের দিকে সেটা দেখা যেতে পারে।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ৮টিই বস্ত্র খাতের। আর শীর্ষ বিশে জায়গা করে নিয়েছে মোট ১৩টি।
তবে দর বাড়ার শীর্ষে রয়েছে গোল্ডেন সন লিমিটেড। শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯.৭৭ শতাংশ। এদিন শেয়ারটি সর্বশেষ ১৯ টাকা ১০ পয়সা দরে লেনদেন হয়।
২ হাজার ২০০ বারে কোম্পানির ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এর পরেই রয়েছে নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেড। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৭০ পয়সা বা ৯.৫৭ শতাংশ। সর্বশেষ ৮ টাকা দরে লেনদেন হয়।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আজ কোম্পানিটির দর ৭০ পয়সা বা ৭.৬৯ শতাংশ বেড়েছে।
গেইনার তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- সায়হাম টেক্সটাইল, সাফকো স্পিনিং, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, রিজেন্ট টেক্সটাইল, ইস্টার্ন কেবলস, ইভিন্স টেক্সটাইল ও এম এল ডায়িং লিমিটেড।
দর পতনের শীর্ষ ১০
দর পতনের শীর্ষ দশের চারটি বিমা খাতের।
সবচেয়ে বেশি দর কমেছে জনতা ইন্সুরেন্সের। ৬.৫৯ শতাংশ দর কমে সর্বশেষ ৩২ টাকা ৬০ পয়সায় হয়েছে।
৫.৫০ শতাংশ দর কমেছে প্রগতি ইন্সুরেন্সের। শেয়ারটি সর্বশেষ দর দাড়িয়েছে ৭৫ টাকা ৫০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে নিটল ইন্সুরেন্স। ২ শতাংশ দর কমে লেনদেন হয়েছে ৪০ টাকা ১০ পয়সায়।
দরপতনের শীর্ষ তালিকার অন্য কোম্পানিগুলো হলো সোনালী পেপার, অ্যাপেক্স ফুডস, কেঅ্যান্ডকিউ লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, মনোস্পুল পেপারস, রিলায়েন্স ইন্সুরেন্স ও ওরিয়ন ইনফিউশন।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য