ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে বিনিয়োগকারীদের হাসিটা স্ফীত হতে পারত, এমনকি লেনদেন ঘণ্টা দুয়েক অতিবাহিত হওয়ার পরও এমনটা ভাবা হচ্ছিল, তবে শেষ মুহূর্তের দরপতনে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পুঁজিবাজার।
ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বিপুলসংখ্যক শেয়ারের দরপতনে সূচকের মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সামান্য ইতিবাচক ছিল, কিন্তু সূচকে যোগ হয়েছে এক পয়েন্টেরও কম। শূন্য দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে সূচক অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে।
অন্যদিকে পতন হয়েছে শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক ডিএসইএস, কমেছে ১ পয়েন্ট। বড় মূলধনি কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত ব্লু-চিপ বা ডিএস৩০ সূচক থেকে হারিয়ে গেছে ৬ পয়েন্ট।
দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি ঈদের দুই দিনের ছুটি শেষে পুঁজিবাজারে আবার লেনদেন চলবে মঙ্গলবার।
লেনদেনের ২৪ মিনিটেই সূচক আগের দিনের ১৯ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর দরপতনে কিছুটা কমে গেলেও বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে আবারও ২০ পয়েন্ট যোগ হয়ে লেনদেন হয়। এরপর দরপতন সূচক টেনে নিয়ে যায় ৬ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে, যা আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কম। শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ে সামান্য সবুজ থেকে লেনদেন শেষ হয়।
প্রায় সমানসংখ্যক শেয়ার দর বৃদ্ধি ও পতন হয়েছে। ১৬৬টি শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৪৯টির। অপরিবর্তিত দামে লেনদেন হয়েছে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ার।
লেনদেন আগের দিনের চেয়ে একটু বেশি হয়েছে। দিনভর হাতবদল হয়েছে ৭৮৮ কোটি ৬৬ লাখ ১২ হাজার টাকার শেয়ার, যা গতকালের চেয়ে ৪১ কোটি ৭০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বেশি।
এ নিয়ে সপ্তাহের তিন দিনে সূচক পড়েছে ৩৫ পয়েন্ট, বিপরীতে দুই দিনে যোগ হয়েছে ২৬ পয়েন্টের কাছাকাছি।
তবে ঈদের আগে পুঁজিবাজারের মন্দা পরিস্থিতি এবারই প্রথম নয়। গত ৩ মে ঈদ উল আজহার আগের শেষ কর্মদিবস ছিল ২৮ এপ্রিল। সেদিন ২১ পয়েন্ট সূচকের সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে ৬২ কোটি কমতে দেখা যায়। এ ছাড়া ঈদের পরেও বেশ কিছু দিন মন্দার মধ্যেই ছিল পুঁজিবাজার।
চলতি বছরের শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক নানা ঘটনাপ্রবাহ, ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়, ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন- ইত্যাদি কারণে মন্দা যেন কাটছিল না। এমতাবস্থায় নতুন অর্থবছরে নতুন বিনিয়োগে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে এমন আশার বাণী শোনান পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।
তবে অর্থবছরের শুরুতেই ঈদের কারণে আবারও কিছু ঝিমিয়ে পড়েছে পুঁজিবাজার। ঈদের আগে বাজারকে কোনোভাবে মূল্যায়ন করতে চান না সংশ্লিষ্টরা।
মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন বলেন, ‘ঈদের আগে বাজার নেতিবাচক হওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। বাজার কোন দিকে যাবে তা নিয়ে এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না। জুলাইয়ে কিছু ফান্ড ইনজেক্ট হয়, ঈদের পরে হয়তো সেটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু যারা বিনিয়োগ করবেন, তাদেরকে তো ফান্ড কালেক্ট করতে হবে। এখন তারা কতটুকু সমর্থ হবেন, সেটাই দেখার বিষয়। এই মুহূর্তে পুঁজিবাজার নিয়ে মন্তব্য করার মতো কিছু নেই।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দর বৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে লোকসানি কোম্পানি জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ দাম ৯ টাকা ১০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে শেয়ারপ্রতি ৬০ পয়সায় আয় হয়েছিল কোম্পানির। এরপর টানা তিন বছর লোকসান গুনছে। ফলে এই তিন বছর কোনো লভ্যাংশ পাননি বিনিয়োগকারীরা। তবে তার আগে ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ দর বেড়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইলসের। ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৫ বছর সময়ে এক বছর ছাড়া প্রতিবারই লোকসান দিয়েছে কোম্পানি। ২০১৯ সালে মাত্র ৯৩ পয়সা আয় দেখিয়েছিল সোনারগাঁও। গত অর্থবছরের শেয়ারপ্রতি ১৩ টাকা ৩৫ পয়সা লোকসান হয়েছে কোম্পানি।
তবে অজানা কারণে ২৩ নভেম্বর থেকে ধারাবাহিক দর বৃদ্ধি পাচ্ছে কোম্পানিটির শেয়ারের। ওই দিন শেয়ার দর ১৬ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটি দর বেড়ে আজ সর্বশেষ ৫১ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
দর বৃদ্ধির তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইনডেক্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের। ধারাবাহিক তিন কর্মদিবস দর বাড়ল কোম্পানিটি। ২০২১ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি প্রথম বছরেই ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের।
তালিকার দশে স্থান পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে এর পরের স্থানে রয়েছে যথাক্রমে নূরানী ডায়িং, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, প্রাইম টেক্সটাইল, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, সাফকো স্পিনিংস মিলস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ও লোকসানি কোম্পানি তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডায়িং লিমিটেড।
দর পতনের শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত মেঘনা ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির দর দিনের সর্বোচ্চ অর্থাৎ ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে হাতবদল হয়েছে ৫৪ টাকায়। এ নিয়ে তিন কর্মদিবস কোম্পানিটির দর কমল। এর আগে ৮ জুন লেনদেন শুরুর পর ঘোড়ার বেগে দর বেড়েছে শেয়ারটির।
একই সমান দর কমেছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। ৮০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৮ টাকা ৮০ পয়সায়।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি ২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০১৫ সালে ৫ শতাংশ নগদ ছাড়া সবই বোনাস।
পতনের তালিকায় এর পরেই রয়েছে লোকসানি জিলবাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের। সর্বোচ্চ সীমা অর্থাৎ ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ দর পতনের মাধ্যমে শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ১৭৭ টাকা ৯০ পয়সা।
১৯৮৮ সালে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোম্পানিটি কোনো দিন লাভের মুখ দেখেনি। লভ্যাংশ জোটেনি বিনিয়োগকারীদেরও। তবে কোম্পানির শেয়ারের দাম ব্যাপক ওঠানামা করে। ২৬ জুন ১৬৫ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেনের পরে কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪ জুন পর্যন্ত। এরপর তিন কর্মদিবস কমল।
দর দর পতনের শীর্ষ দশে রয়েছে যথাক্রমে নর্দার্ন ইসলামি ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ক্যাবলস, জুট স্পিনার্স লিমিটেড, রেনউইক যজ্ঞেশর, রবি, শ্যামপুর সুগার মিলস এবং সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স।
সূচক বাড়াল যারা
সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৩২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স। এদিন কোম্পানিটির দর ৬ দশমিক শূন্য ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।
সূচকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট যোগ করেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। দর শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৮ পয়েন্ট।
তিতাস গ্যাস সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ১৬ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১ দশমিক ৬২ শতাংশ।
এ ছাড়া ইউনাইটেড পাওয়ার, ওয়ালটন হাইটেক, বেক্সিমকো সুকুক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, খুলনা পাওয়ার ও বিকন ফার্মা সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১ দশমিক ৪১ পয়েন্ট।
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৬১ পয়েন্ট সূচক কমেছে গ্রামীণফোনের কারণে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৮৭ পয়েন্ট কমিয়েছে রবি। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ৯২ শতাংশ।
এর পরই বেক্সিমকো লিমিটেডের দর শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ২৩ পয়েন্ট।
এ ছাড়া আইসিবি, বেক্সিমকো ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, আল আরাফাহ ব্যাংক ও ফরচুন সুজের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি কমিয়েছে ৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য