× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
50 thousand rupees can be sent to the bank from mobile
google_news print-icon

মোবাইল থেকে ব্যাংকে পাঠানো যাবে ৫০ হাজার টাকা

মোবাইল-থেকে-ব্যাংকে-পাঠানো-যাবে-৫০-হাজার-টাকা

মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব থেকে ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দেয়ার সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে বিকাশ, রকেটের মতো মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাংক হিসেবে দৈনিক যত খুশি ততবারে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে পারবেন গ্রাহকরা। আগে এ সীমা ছিল ৩০ হাজার টাকা। তবে আগের মতো মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন তিন লাখ টাকা রাখার সুযোগ অপরিবর্তিত আছে।

মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ।

নির্দেশনাটি সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সব মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডারের কাছে পাঠানো হয়।

নতুন এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

আগের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।

আগে এক নির্দেশনায় বলা হয়, মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে দৈনিক ৩০ হাজার টাকা ও মাসে ২ লাখ টাকা জমা করতে পারবেন। আর ব্যাংকের হিসাব বা কার্ড থেকে দিনে ৫০ হাজার টাকা ও মাসে ৩ লাখ টাকা জমা করা যাবে।

গ্রাহকেরা দৈনিক ২৫ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

এমএফএসের গ্রাহকেরা একে অপরকে অর্থাৎ ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে (পিটুপি) দৈনিক ২৫ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা পাঠাতে পারবেন। আগে প্রতি মাসে এমএফএসের একজন গ্রাহক অন্য গ্রাহককে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা পাঠাতে পারতেন।

আরও পড়ুন:
বেড়েছে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা
কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রলি দিল ইসলামী ব্যাংক
ব্যাংক মাস্কাট থেকে সিটি ব্যাংকের ৪৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক ও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি
ব্যাংকে আবারও ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Customers of Janata Bank Tamai branch also have money
ক্যাশভল্টের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার হিসাবে গরমিল

জনতা ব্যাংক তামাই শাখার গ্রাহকদের টাকাও ‘হাওয়া’

জনতা ব্যাংক তামাই শাখার গ্রাহকদের টাকাও ‘হাওয়া’ আটকের পর সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানায় ব্যাংক ম্যানেজার আল আমিনসহ তিনজন। ছবি: নিউজবাংলা
ব্যাংকিং নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজের মর্জিমাফিক কার্যক্রম চালিয়েছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আল আমিন। একে একে বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য। অনেক গ্রাহকের হিসাবের টাকাও তুলে নেয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে- তাহলে কি হিসাবে গরমিলের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকাই শেষ কথা নয়?

ব্যাংকিং নিয়মে নয়, নিজের বানানো নিয়মে ব্যাংকের কার্যক্রম চালাতেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচির জনতা ব্যাংকের তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন। নিজের ইচ্ছেমতো গ্রাহকের হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও জমা দিতেন।

এদিকে ব্যাংকের ক্যাশ ভল্টের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার হদিস এখনও মেলিনি।

বুধবার সকালে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখায় গিয়ে দেখা যায়, গ্রাহকদের হিসাবে থাকা টাকা তাদের অজান্তে তুলে নেয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ক্যাশ ভল্টের ওই পরিমাণ টাকাই শেষ কথা নয়? গ্রাহকদের অজান্তে তাদের হিসাবে জমা বিপুল পরিমাণ টাকাও হাতিয়ে নেয়া হয়েছে?

শাখাটিতে অবস্থানকালে সাংবাদিকদের কথা হয় তামাই বাজারের মেসার্স মুসলিম উইভিং ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী আব্দুল মোতালেব জোয়ারদারের সঙ্গে।

তিনি জানান, তার একটি ৪৮ লাখ টাকার সিসি লোন করা ছিল। তবে তিনি এখনও লোনটি উত্তোলন করেননি। অথচ তার ব্যাংক হিসাব ঘেটে দেখা যায় যে তিনি পুরো টাকাই উত্তোলন করেছেন। তার এই টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে তার সিরিয়ালের চেক ব্যবহার করা হয়নি। অন্য একটি চেকে ওই পরিমাণ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

এমন ঘটনায় মোতালেব জোয়ারদার হতবাক! এ অবস্থায় তার করণীয় কী হতে পারে বুঝতে পারছেন না।

শুধু আব্দুল মোতালেব নন, আরও অনেক গ্রাহকের ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটেছে। একই এলাকার ব্যবসায়ী চান টেক্সটাইলের আকন্দের হিসাব থেকে তার অজান্তেই ১০ লাখ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। আল ফারুক স্টোরের শহিদুল ইসলামের ২৪ লাখ টাকার সিসি লোনের মধ্যে তার অজান্তেই চেক জালিয়াতে করে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

ব্যক্তিগত সঞ্চয় হিসাবেও এমন জালিয়াতির ঘটনা উঠে আসছে। ঝিন্না মোল্লার ব্যক্তিগত হিসাবে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯১০ টাকা থাকার কথা। কিন্তু ওই হিসাবে আছে মাত্র এক লাখ ৫ হাজার ১১২ টাকা।

তাৎপর্যের বিষয় হল, এসব লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাওয়ার কথা থাকলেও কোন এসএমএস আসেনি। গ্রাহকরা এ বিষয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বললে তিনি তাদেরকে জানান- সার্ভারে ত্রুটি থাকার কারণে গ্রাহক এসএমএস পাচ্ছেন না।

বুধবার সকালে দেখা যায়, তামাই শাখার নতুন ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পাঁচজন সদস্য বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।

জনতা ব্যাংক হেড অফিসের এজিএম সাদিকুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আরও রয়েছেন- ব্যাংকের এসপিও মোস্তফা কামাল, সিনিয়র অফিসার মাসুদুর রহমান, প্রিন্সিপাল অফিসার শরীফ মোহাম্মদ ইশতিয়াক ও এরিয়া ম্যানেজার সঞ্জিত কুমার।

এর আগে ২৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া অফিসের যুগ্ম পরিচালক এস এম সাজ্জাদ হোসেনকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তামাই শাখার ক্যাজুয়াল পিয়ন শহিদুল ইসলাম জানান, গত ৭ /৮ মাস ধরে শাখা ব্যবস্থাপক আল আমিনের কথা অনুসারে তিনি বিভিন্ন গ্রাহকের চেকে নিজে স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলন করেছেন। ব্যবস্থাপকের কথায় অনেক জমা ভাউচারেও তিনি স্বাক্ষর করেছেন।

কেন স্বাক্ষর করেছেন- এমন প্রশ্নে শহিদুল বলেন, ‘আমরা তাদের চাকরি করি। তিনি যা অর্ডার করতেন আমাদের তাই করতে হতো। আমি তো শুধু স্বাক্ষর দিয়েছি, ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তার আইডির মাধ্যমে টাকাগুলো দেয়া হতো। অনেক সময় গ্রাহকের হিসাবে টাকা না থাকলেও ম্যানেজার নিজে এসে তাদের টাকা দিতেন।’

এসব বিষয়ে নতুন ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান বলেন, ‘তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে স্যাররাই ব্যবস্থা নেবেন।’

তদন্ত কমিটির প্রধান এজিএম সাদিকুর রহমান বলেন, ‘ঠিক কত টাকা গরমিল হয়েছে তার তদন্ত চলছে। গ্রাহকদের টাকার বিষয়ে হেড অফিস সিদ্ধান্ত নেবে। যেসব গ্রাহকের হিসাবে ঝামেলা হয়েছে তাদেরকে দরখাস্ত দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এর বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

ব্যাংকের বিপুল টাকার হদিস না পাওয়ার এই ঘটনায় রোববার রাতে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- সিরাজগঞ্জের বেলকুচি জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন, সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম ও ব্যাংক অফিসার রাশেদুল ইসলাম।

আল আমিন সিরাজগঞ্জের ধানবান্দি পৌর এলাকার মো. হারান শেখের ছেলে, রেজাউল করিম বগুড়ার ধুনট থানার বেলকুচি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং রাশেদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের বনবাড়িয়া কাদাই গ্রামের জিয়াউল হকের ছেলে। তারা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ রোববার জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই শাখার ক্যাশ ভল্টে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার গরমিল ধরা পড়ে।

পরে এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জের এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম তামাই শাখার ম্যানেজারসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ তিন জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। হিসাব অনুসারে ভল্টে মোট ৭ কোটি ১১ লাখ ২৪০ টাকা থাকার কথা থাকলেও পাওয়া গেছে এক কোটি ৭৭ লাখ ৬১ হাজার ২৪০ টাকা। বাকি ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কোনো খোঁজ মেলেনি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Tribute to Islami Bank on Independence Day

স্বাধীনতা দিবসে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা স্বাধীনতা দিবসে ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্যাংকের ডিরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এফসিএমএ।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।

ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্যাংকের ডিরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এফসিএমএ।

ওই সময় অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Cash dollars in banks are increasing due to RFCD accounts

আরএফসিডি হিসাবের সুবাদে ব্যাংকে নগদ ডলার বাড়ছে

আরএফসিডি হিসাবের সুবাদে ব্যাংকে নগদ ডলার বাড়ছে ফাইল ছবি।
ব্যাংকাররা বলছেন, ব্যাংকগুলো আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া ডলারের ওপর ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এই হিসাবের ডলার দেশ-বিদেশে গিয়ে খরচ করা যাচ্ছে। প্রতিবার বিদেশ ভ্রমণের সময় এই হিসাব থেকে নগদ ১০ হাজার ডলার জমা রাখার অফার ঘোষণা করেছে একাধিক ব্যাংক। এসব কারণে ব্যাংকে ক্যাশ ডলার বাড়ছে।

দেশের ব্যাংকগুলোতে ক্যাশ ডলার হোল্ডিং বাড়তে শুরু করেছে। মূলত বাংলাদেশিদের বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্ট খোলা ও পরিচালনার অনুমতি দেয়া এবং অনাবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের জন্য সুবিধাজনক রিটার্নের বিনিময়ে ডলার জমা রাখার সুবিধার্থে অফশোর ব্যাংকিং আইন প্রণয়নের ফলে ডলার হোল্ডিং ক্রমাগত বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকে নগদ ডলারের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ডলারে। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ৩২ মিলিয়ন এবং জানুয়ারিতে ছিল ২৮ মিলিয়ন ডলার।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী রোববার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সাম্প্রতিক অফশোর ব্যাংকিং আইন পাসের পর বিদেশি আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগিরই বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি।’

ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আরএফসিডি (রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট) অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া ডলারের ওপর ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এই হিসাবের ডলার কোনো বাছবিচার ছাড়াই দেশে ও বিদেশে গিয়ে খরচ করা যাচ্ছে। প্রতিবার বিদেশ ভ্রমণের সময় এই হিসাব থেকে নগদ ১০ হাজার ডলার জমা রাখার অফার ঘোষণা করেছে একাধিক ব্যাংক। এসব কারণে এখন ব্যাংকে ক্যাশ ডলার বাড়ছে।

বর্তমানে নগদ ডলারের বড় অংশ মজুত আছে ইস্টার্ন, দি সিটি, ব্র্যাক, ডাচ্-বাংলা, প্রাইম, পূবালী, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, এইচএসবিসি, ইসলামীসহ আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংকে। ডলারের পাশাপাশি পাউন্ড, ইউরো, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডিয়ান ডলার, সিঙ্গাপুরি ডলারেও আরএফসিডি হিসাব খোলা যায়।

বেসরকারি একটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান বলেন, আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে ছাড় দেয়ার কারণে ব্যাংকের ক্যাশ ডলার বাড়তে পারে। কারণ এখানে মানুষ এখন কোনও প্রশ্ন ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ শেষে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত রাখতে পারছে। একটা মুনাফাও পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এখন কার্ব মার্কেট ও ব্যাংকের দেয়া ডলার রেটের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। কার্ব মার্কেটে ১১৭-১১৮ টাকা পেলেও ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারের বিপরীতে ১১৪-১১৫ টাকা করে দিচ্ছে। তাই যাদের কাছে ক্যাশ ডলার আছে, তারা ব্যাংকেই রাখছেন।

তবে ক্যাশ ডলার বাড়লেই যে ব্যাংক সেটা বিক্রি করতে পারবে তেমন নয়। কারণ অনেকে আছেন যারা নিয়মিত বিদেশ ভ্রমণ করেন, কয়েক দিন পর আবার প্রয়োজন হতে পারে, স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টে রাখতে পারেন, চিকিৎসার আগে বিদেশে যাওয়ার জন্যও রাখতে পারেন। তবে এগুলো নির্ধারিত সময় পর তারা নিয়ে যাবেন। এগুলো ব্যাংকের পক্ষে বিক্রয়যোগ্য নয়। তাই এগুলো কতটা টেকসই ডলার আগে সেটা দেখতে হবে, যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের ৩ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে মানুষের ঘরে রাখা ডলার ব্যাংকে ফেরাতে আবাসিক বৈদেশিক মুদ্রা আমানত বা রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (আরএফসিডি) হিসাবের ওপর সুদসহ বাড়তি সুবিধা দেয়ার সুযোগ করে দেয়।

এরপরই দি সিটিসহ কিছু ব্যাংক বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে এই হিসাব খুলতে শুরু করে। বিদেশ থেকে এসেছেন, বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে– এমন যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক ব্যাংকে গিয়ে আরএফসিডি হিসাব খুলতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে কবে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন তা মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হলো, বিদেশে গেছেন তার প্রমাণপত্র অর্থাৎ পাসপোর্ট ও ভিসার নথিপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। হিসাব খোলার জন্য আরও প্রয়োজন দুই কপি ছবি, নমিনি, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন)।

এই হিসাবের বিপরীতে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কোনো চেক বই না দিয়ে ডেবিট কার্ড দেয়, যা থেকে খরচে কোনো অনুমোদন লাগে না।

একজন নাগরিক প্রতিবার বিদেশ ভ্রমণের জন্য ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত আরএফসিডি হিসাবে জমা রাখতে পারবেন। ফলে গত এক বছরে যদি কেউ ১০ বার বিদেশ ভ্রমণ করে থাকেন, তিনি চাইলে তার হিসাবে কোনো নথিপত্র ছাড়াই এক লাখ ডলার পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন।

তবে প্রতিবার ভ্রমণের ক্ষেত্রে এর বেশি পরিমাণ ডলার জমা দিতে চাইলে তাকে বেশি ডলার দেশে আনার জন্য কাস্টমসের ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো এখন এই হিসাবের বিপরীতে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, এই হিসাবে জমা অর্থের ওপর ব্যাংকগুলো বেঞ্চমার্ক রেটের সঙ্গে আরও অন্তত দেড় শতাংশ সুদ দেবে।

সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (সোফর) এখন ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। সে অনুযায়ী আরএফসিডি হিসাবে সুদ হার দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
ডলারের তেজ কমে আসছে, বাড়ছে টাকার মান

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The strength of the dollar is decreasing and the value of the rupee is increasing

ডলারের তেজ কমে আসছে, বাড়ছে টাকার মান

ডলারের তেজ কমে আসছে, বাড়ছে টাকার মান
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমদানি ব্যয় কমায় এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স বাড়ায় বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। সে কারণেই ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে। এই ধারা ধরে রাখতে পারলে দুই বছর ধরে চলা ডলারের অস্থির বাজারে স্বস্তি ফিরে আসবে। তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে সামগ্রিক অর্থনীতিতেও।’

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গত দুই বছরে অনেকটা ওলোটপালট করে দিয়েছে ডলার। উচ্চ মূল্যের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রাটির সরবরাহ সংকট প্রভাব ফেলেছে দেশের অর্থনীতির সার্বিক ক্ষেত্রে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রাটির তেজ কমতে শুরু করেছে। এর বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকা।

কয়েক দিন আগেও ১২৪ টাকা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্সের ডলার কিনেছে ব্যাংকগুলো। তারাই এখন প্রতি ডলার ১১৪ টাকা হারে কিনছে। বুধবার আমদানি বিল নিষ্পত্তিতে ডলারের দাম নেয়া হয়েছে ১১৮ থেকে ১১৯ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ১২২ থেকে ১২৪ টাকা।

খোলা বাজার বা কার্ব মার্কেটেও ডলারের দরে বড় পতন হয়েছে। বুধবার এই বাজারে প্রতি ডলার ১১৮ টাকা ৪০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। মাসখানেক আগেও তা ছিল ১২৬ থেকে ১২৭ টাকা।

সব মিলিয়ে ডলারের বাজারে অস্বস্তি কমে আসছে। এই ধারা ধরে অব্যাহত থাকলে ডলারের ‘অস্থির’ বাজার ‘সুস্থির’ হবে- এমন আশা কথা শুনিয়েছেন অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।

তবে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দর এখনও অনেক কম, ১১০ টাকা। অর্থাৎ এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক থেকে ১১০ টাকা দরে ডলার কিনছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে বাংলাদেশ ব্যাংক যে ডলার বিক্রি করছে, সোয়াপ কারেন্সির আওতায় টাকা-ডলার অদলবদল করছে সেটাও ১১০ টাকা দরে।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমদানি ব্যয় কমায় এবং রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ায় বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। সে কারণেই ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে। এই ধারা ধরে রাখতে পারলে দুই বছর ধরে চলা ডলারের অস্থির বাজারে স্বস্তি ফিরে আসবে। তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে সামগ্রিক অর্থনীতিতেও।’

২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রায় এক দশক দেশে মুদ্রার বিনিময় দর একটি স্থিতিশীল অবস্থানে ছিল। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ‌এর সুবিধা পেয়েছে, যার ইতিবাচক প্রভাব সামষ্ট্রিক অর্থনীতিতেও পড়েছে।

করোনা মহামারি কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে তখনই এসে লাগে যুদ্ধের ধাক্কা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ্ববাজারে পণ্য ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যায়। এর প্রভাবে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটতে থাকে।

কয়েক মাসের মধ্যেই প্রতি ডলারের দাম ৮৫/৮৬ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। রপ্তানিকারক, আমদানিকারক এবং রেমিট্যান্স প্রেরকদের মতো বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক বিনিময় হার বাস্তবায়ন সত্ত্বেও ডলারের বিপরীতে টাকার পতন অব্যাহত থাকে।

২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিকে দেশের মুদ্রাবাজারে বিনিময় দরে নজিরবিহীন অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর দেশের মুদ্রা বাজারে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে। তাতে করে সংশ্লিষ্টরা কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। এখন সার্বিকভাবে চাহিদা কমে আসায় অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংকই আর চড়া দামে ডলার কিনছে না।

ওদিকে দাম আরও বাড়বে এই আশায় প্রবাসী বাংলাদেশিসহ যারা ডলার সঞ্চয় করে রেখেছিলেন, টাকার মূল্য বাড়তে থাকায় তারাও সেসব ডলার বাজারে ছাড়তে শুরু করেছেন। এমন বাস্তবতায় চাহিদার তুলনায় দেশে ডলার আসছে বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনের শুরুতে ব্যাংকগুলোতে ডলারসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার নিট পজিশন ছিল ৩১ কোটি ২০ লাখ ডলার। সেটা বেড়ে বুধবার দিনশেষে ৭৫ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এ সময়ে বেশিরভাগ ব্যাংকের কাছে উদ্বৃত্ত ডলার ছিল।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘ডলার সংকট কাটাতে বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সেগুলোরই একটা প্রভাব এখন বাজারে পড়ছে। ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ বাড়ায় দামও কমছে।’

বিদেশি মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, ‘অনেকেরই ধারণা ছিল ডলারের দাম আরও বাড়বে। তবে আমরা বলেছিলাম দাম বাড়ার কোনও কারণ নেই। তার প্রতিফলন আমরা ইতোমধ্যে দেখতে পাচ্ছি।

‘আমাদের চাহিদ-জোগানের গ্যাপ কমে আসার কারণে ইনফরমাল মার্কেটেও ডলারের রেট কমে এসেছে। আশা করছি সামনে আরও কমবে। বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’

ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে টানা বাড়ছে প্রবাসী আয়। রপ্তানি আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। অন্যদিকে আমদানি ব্যয়ও কমে গেছে। এর প্রভাবে চলতি হিসাবেও উদ্বৃত্ত অবস্থা বজায় রয়েছে। ব্যাংকগুলো এখন এলসি খুলতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে টাকা-ডলার বিনিময় চালু করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
রপ্তানি আয় ৫.৩১ বিলিয়ন, তবু আগের ডিসেম্বরের চেয়ে কম
রপ্তানির ১২ বিলিয়ন ডলার দেশে আসেনি
বিদেশি মুদ্রায় দেশের ব্যাংকে আমানত রাখার সুযোগ
ডলারের দর কমলো আরও ২৫ পয়সা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
New Eid notes will be available from March 31

ঈদের নতুন নোট ৩১ মার্চ থেকে

ঈদের নতুন নোট ৩১ মার্চ থেকে
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা এবং ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৮০টি শাখা থেকে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বিনিময় করা হবে। তবে একজন ব্যক্তি নতুন নোটের জন্য একাধিকবার টাকা বদল করতে পারবেন না।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩১ মার্চ ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে নতুন নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া সাধারণ মানুষ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন নোট বদল করতে পারবেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ৩১ মার্চ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার কাউন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় করা হবে।

এছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৮০টি শাখা থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বিনিময় করা হবে। তবে একজন ব্যক্তি নতুন নোটের জন্য একাধিকবার টাকা বদল করতে পারবেন না।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Distribution of books and Iftar among children by NRBC Bank

শিশুদের মধ্যে বই ও ইফতার বিতরণ এনআরবিসি ব্যাংকের

শিশুদের মধ্যে বই ও ইফতার বিতরণ এনআরবিসি ব্যাংকের
১৭ মার্চ দিবসটি উপলক্ষে প্রধান কার্যালয়সহ সারাদেশের বিভিন্ন শাখা-উপশাখার মাধ্যমে হতদরিদ্র, এতিম, পথশিশু ও শিশু-কিশোরদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই বিতরণ করা হয়েছে।

স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক।

১৭ মার্চ দিবসটি উপলক্ষে প্রধান কার্যালয়সহ সারাদেশের বিভিন্ন শাখা-উপশাখার মাধ্যমে হতদরিদ্র, এতিম, পথশিশু ও শিশু-কিশোরদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই বিতরণ করা হয়েছে।

এসব কর্মসূচিতে রংপুরের মিঠাপুকুরের সংসদ সদস্য জাকির হোসেন সরকার ও এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল সহ ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস উপলক্ষে মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোরদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদানসহ অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর জীবনী, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি জাকির হোসেন সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই শোষণের নাগপাশ ছিড়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। শিশু-কিশোরদেরকে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে জানানোর জন্য এনআরবিসি ব্যাংকের এই কর্মকান্ড সত্যই প্রশংসনীয়।

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, বাংলাদেশের রূপকার ও বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার এনে দেওয়া স্বাধীনতা সত্যিকার অর্থে স্বার্থক হবে যখন বাংলার প্রতিটি মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করছে এনআরবিসি ব্যাংক। দারিদ্রমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত বাংলা গড়ার লক্ষে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের দোরগোড়ায় গিয়ে এনআরবিসি ব্যাংক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ঘরে বসে মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা এবং গ্রামকে শহরায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে বিনাজামানতে স্বল্পসুদে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করছে এনআরবিসি ব্যাংক।

এদিকে রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন এতিম খানার এতিম শিশু, হতদরিদ্র ও পথশিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। একই সাথে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস রিলিজ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Signing of Memorandum of Understanding between Padma and Exim Bank for merger

একীভূত হতে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

একীভূত হতে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই বাংলাদেশ ব্যাংকে সোমবার পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড। ছবি: নিউজবাংলা
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার কারণে নতুন কার্যক্রম চলবে এক্সিম ব্যাংকের নামে। একীভূত করা হলেও ব্যাংকটির কেউ চাকরি হারাবেন না। সবাই কর্মরত থাকবেন এক্সিম ব্যাংকের হয়ে। আমানতকারী এবং শেয়ারহোল্ডারদেরও কোনো ক্ষতি হবে না।’

একীভূত করার লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অফ বাংলাদেশ (এক্সিম ব্যাংক)। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফিরোজ হোসেন ও পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ খান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এক্সিম ব্যাংক ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকস (বিএবি)-এর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, পদ্মা ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিমসহ তিন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে পদ্মা ব্যাংকের কার্যক্রম এক্সিম ব্যাংক নামে চলবে। একীভূত ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে দুই পদ্ধতিতে একীভূতকরণ হয়ে থাকে। এর একটি হলো একুইজিশন (অধিগ্রহণ), অন্যটি মার্জ (একত্রিত করা)।

‘আমরা পদ্মা ব্যাংককে একুইজিশন করিনি, মার্জ করেছি। এর ফলে পদ্মা ব্যাংকের সব দায়-দেনা এখন এক্সিম ব্যাংক নিয়ে নিয়েছে। পদ্মা ব্যাংক আর থাকছে না। একীভূত করার মাধ্যমে ব্যাংকটির কার্যক্রম চলবে এক্সিম ব্যাংকের নামে। দুই ব্যাংকের পর্ষদ আলোচনার পর আজকে (সোমবার) এ বিষয়ে নীতিগত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হলো। এই মার্জ বাস্তবায়নে আরও ৩-৪ মাস সময় লাগতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা ব্যাংক একীভূত করার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো চাপ ছিল না। আমরা এটা করেছি দেশের স্বার্থে, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে। পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করা হলেও আমানতকারীদের কোনো সমস্যা হবে না, সবার আমানতই নিরাপদে থাকবে। পদ্মা ব্যাংকের আমানতকারীরা এক্সিম ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন।’

নজরুল ইসলাম মজুমদার আরও বলেন, ‘পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার কারণে নতুন কার্যক্রম চলবে এক্সিম ব্যাংকের নামে। একীভূত করা হলেও ব্যাংকটির কেউ চাকরি হারাবেন না। পদ্মা ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগে প্রায় ১২শ’ কর্মী রয়েছেন। তাদের কারও চাকরি যাবে না। সবাই কর্মরত থাকবেন এক্সিম ব্যাংকের হয়ে। আমাদের আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারদেরও কোনো ক্ষতি হবে না। সবকিছু আগের মতোই চলবে।’

চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে পরে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

তিনি বলেন, ‘ডিফল্টারদের পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দুটি অডিট ফার্ম নিয়োগ করা হবে। অডিটের মাধ্যমে পরিচালকদের দায়-দেনাও উঠে আসবে। আইনি প্রক্রিয়া ফলো করে আমরা সামনের দিকে আগাবো। যত দ্রুত সম্ভব দুটি ব্যাংক মার্জ হয়ে এক্সিম ব্যাংকে পরিণত হবে।’

আরও পড়ুন:
এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে পদ্মা ব্যাংক

মন্তব্য

p
উপরে