টানা নয় মাস সংশোধনে থাকা পুঁজিবাজার নতুন অর্থবছরের প্রথম কর্মদিবসেও হতাশ করল।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম কর্মদিবস রোববার দেশের পুঁজিবাজারে দেখা দিল নেতিবাচক প্রবণতা। কমল বেশিরভাগ শেয়ারের দর, কমল সূচক, ভাটা দেখা দিল লেনদেনও।
গত বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ কর্মদিবসে দিনভর উঠানামার মধ্যে একে শেষ ১৪ মিনিটে ব্যাপক লেনদেন ও সূচকের লাফ দেখা দিলেও ইতিবাচর প্রবণতার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি পরের দিনের বেশিরভাগ সময়।
কেবল লেনদেন শুরুর মিনিট পাঁচেক সময়ে সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়েছিল। কিন্ত সেখান থেকে নেমে আসতে সময় নেয়নি। এরপর সূচক প্রায় পুরোটা সময় ছিল নেতিবাচক।
গত অর্থবছরের শুরুটা ঝলমলে থাকলেও সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিন থেকে পুঁজিবাজারে টানা যে দর সংশোধন শুরু হয়, এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মতভেদ, পরে বছর শেষের সমন্বয়, এরপর নতুন বছর শুরু হতে না হতেই আন্তর্জাতিক নানা ঘটনাপ্রবাহ, ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়, ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন- পুঁজিবাজারে আস্থা তৈরি হওয়ার মতো যেন কোনো একটি ঘটনাও নেই।
এর মধ্যে বড় বিনিয়োগকারীরা হাত গুটিয়ে বসে, ছোট বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশও কেনাবেচা করতে পারছে না। শেয়ারদর কমে যাওয়ায় টাকা আটকে গেছে হাজারো মানুষের। এই পতন থেকে বেরিয়ে আসা যাবে কবে-এ নিয়ে অপেক্ষার যেন শেষ নেই।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছিলেন, অর্থবছরের শেষে বিভিন্ন কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা দেখে বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগের ছক আঁকেন। বাজারে নতুন ফান্ড ইনজেক্ট হয়। যার কারণে ইতিবাচক চাঞ্চল্য দেখা যায়। বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের মনে আশা সঞ্চার করে। তবে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই পতনে বিনিয়োগকারীদের সেই আশায় গুঁড়েবালি।
শেষ পর্যন্ত ১৭ পয়েন্ট কমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে।
লেনদেনে বড় ভাটা পড়েছে। আগের কর্মদিবসের চেয়ে ২৮২ কোটি ৯১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা কমে হাতবদল হয়েছে ৬৫৪ কোটি ৮৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকার।
বৃহস্পতিবার ৯৩৭ কোটি ৭৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।
অর্থবছরের প্রথম দিন বছরের যতগুলো শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে তার প্রায় দ্বিগুণ। ১২০টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে হ্রাস পেয়েছে ২১৯টির। আগের দামেই লেনদেন হয়েছে ৪৩টি কোম্পানির শেয়ার।
লেনদেনের বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের চিফ অপারেটিং অফিসার মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘ঈদের আগে আর চারদিন লেনদেন হবে। এই সময়ের বাজারটা কাউন্ট না করা-ই ভালো। কারণ, এখন অনেকেই নিজেদের জায়গায় অনড় থাকবেন। যারা মার্জিন লোন নিয়ে ট্রেড করেন, তারা এই অল্প কয়েকদিনের জন্য সুদ টানতে চাইবেন না। সুতরাং ঈদের পরে যে বাজারটা দাঁড়াবে, সেটা দেখে আমরা বলতে পারব যে, বাজার কোন দিকে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন সম্পর্কে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো ধীরে ধীরে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে। বিনিয়োগকারীদের নজর থাকবে তাতে। সুতরাং ঈদের পরে বোঝা যাবে আসল পরিস্থিতি, এখনই বাজারকে কোনোভাবে মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
বুধবার গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে বিটিআরসির নিষেধাজ্ঞার পর গ্রামীণফোনের দর পতনের বিপরীতে শেয়ার দর বাড়তে শুরু করে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের। বৃহস্পতিবারের পর আজও দর বেড়েছে ৩ টাকা বা ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
শেয়ারটি সর্বশেষ ৩৩ টাকা ১০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। ৪ হাজার ৭২১ বারে মোট ৫৮ লাখ ২০৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেঘনা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের দর লাগামহীন ঘোড়ার মতো ছুটছে। নতুন তালিকাভুক্ত মেঘনা কোম্পানিটি ৮ জুন লেনদেন শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই দিনের সর্বোচ্চ সীমা বা এর কাছাকাছি দর বেড়েছে শেয়ারটির। আজ ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ দর বেড়ে সর্বশেষ ৫৪ টাকা ২০ পয়সায় প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়।
এর পরেই দর বেড়েছে লোকসানি শ্যামপুর সুগারমিলসের। তালিকাভুক্তির প্রতি বছরই বড় অংকের লোকসান গুনছে কোম্পানিটি। ফলে লভ্যাংশের মুখ দেখেননি বিনিয়োগকারীরা।
৯ দশমিক ৯০ শতাংশ দর বেড়ে ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে যথাক্রমে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, জিলবাংলা সুগার মিল, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন, বিডি ওয়েল্ডিং, একমি পেস্টিসাইডস, আইপিডিসি ফাইন্যান্স এবং লোকসানি দুলামিয়া কটন।
দর পতনের শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড। শেয়ারটির দর ৫০ পয়সা বা ২ শতাংশ কমে সর্বশেষ ২৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে লেনদেন হয়।
১ হাজার ৯৬৪ বারে কোম্পানিটির ৫৮ লাখ ৬৭ হাজার ৭৭৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজার মূল্য ১৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লুজার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শেয়ারটির দর ৩ টাকা ৬০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমেছে। শেয়ারটি সর্বশেষ ১৭৭ টাকা ৪০ পয়সা দরে লেনদেন হয়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। দর ৫০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে সর্বশেষ ২৪ টাকা ৭০ পয়সা লেনদেন হয়।
লুজার তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে- প্রাইম ব্যাংক, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, গ্রামীণফোন, আইসিবি, ন্যাশনাল টি ও প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
বুধবার গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। পরের দুই দিনই কোম্পানিটির দর কমল সর্বোচ্চ।
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ১৯ দশমিক ১০ পয়েন্ট সূচক কমেছে গ্রামীণফোনের কারণে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আগের দিনেও কাছাকাছি পয়েন্ট সূচক কমেছিল গ্রামীণফোনের দর পতনে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট কমিয়েছে ওয়ালটন হাইটেকের কারণে। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
এর পরেই রেনাটার দর ১ দশমিক ৩২ শতাংশ দর কমার কারণে সূচক কমেছে ৪ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট।
এছাড়া আইসিবি, স্কয়ার ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকার টোব্যাকো, তিতাস গ্যাস, ইসলামী ব্যাংক ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি কমিয়েছে ৫২ দশমিক ২২ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৩২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে রবি। এদিন কোম্পানিটির দর ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়েছে। বৃহস্পতিবারেও সর্বোচ্চ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছিল কোম্পানিটি।
সূচকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট যোগ করেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ। দর ১ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো লিমিটেড সূচকে যোগ করেছে ৩ দশমিক ২১ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এ ছাড়া আইপিডিসি, বার্জার পেইন্টস, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, ইউনাইটেড পাওয়ার, সোনালী পেপার, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও সাইফ পাওয়ার সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য