অল্প অল্প করে হলেও টানা তৃতীয় দিন সূচক বাড়ল পুঁজিবাজারে। তলানি থেকে দুই দিনে উঠে আসা লেনদেনও ধরে রেখেছে তার অবস্থান।
আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের পর থেকে ঝিমুতে থাকা পুঁজিবাজারে বাজেট পাসের আগে আগে কিছুটা হলেও প্রাণ ফেরার চিত্র দেখা যাচ্ছে।
প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতের শেয়ারে এদিন আগ্রহ ছিল বেশি। লেনদেনের ৩০ দশমিক ৬২ শতাংশই হয়েছে এই দুই খাতে। আগের দিনও সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল বস্ত্র খাতে।
বেশ কিছুদিন পর ব্যাংক খাতে বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় বস্ত্র খাতও বেশ ভালো করেছে। প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতেও বেশির ভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে।
দর বাড়ার শীর্ষে আবার স্বল্প মূলধনি বা দুর্বল কোম্পানির প্রাধান্য দেখা গেছে। অন্যদিকে মৌলভিত্তির কোম্পানিতে লেনদেন দেখা গেছে কম।
আবারও বিপুলসংখ্যক কোম্পানির শেয়ার দিনের দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা ছুঁয়ে ফেলার পর ক্রেতাশূন্য হয়ে যায়। এর মধ্যে পাঁচ বছর পর উৎপাদন শুরু করার ছয় মাস পর তেল বাজারজাত করার ঘোষণা দেয়া এমারেল্ড অয়েলও ছিল।
আগের দিন রাজধানীতে অনুষ্ঠান করে ধানের কুঁড়ার তেল স্পন্দন বাজারজাত করার পাশাপাশি ছয় মাসেই ব্রেক ইভেনে অর্থাৎ না লাভ, না লোকসানে চলে আসার ঘোষণা দেয় কোম্পানিটি। এতে দিনের শুরুতে শেয়ারদর কিছুটা বাড়লেও শেষ পর্যন্ত দর হারিয়ে শেষ করে লেনদেন।
চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ২৬ পয়েন্ট দরপতনের পাশাপাশি লেনদেন নেমে আসে ৬০০ কোটি টাকার নিচে। সেদিন পর্যন্ত টানা ছয় কর্মদিবস লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমে যায়। তবে সোমবার বিকেলে হঠাৎ করে যে ক্রয় চাপ দেখা দেয়, পর দিনও তা অব্যাহত থাকে। সেদিন লেনদেন ছাড়ায় ৮১৮ কোটি টাকা।
বুধবার পুঁজিবাজারে সূচকের টানাটানি লক্ষ্য করা গেছে। লেনদেনের শুরুতেই সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৯ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছিল। আগের দুই দিনের চিত্রের কারণে সে সময় লেনদেন নিয়ে আশাবাদ তৈরি হয়। কিন্তু এর পরের এক ঘণ্টায় পড়ে সূচক আগের দিনের অবস্থানে নেমে আসে। এরপর আবার ওঠানামা করতে করতে বেলা শেষে আগের দিনের চেয়ে ৭ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন।
বেলা শেষে লেনদেন হয়েছে ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৮১৮ কেটি ৮২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
দিন শেষে বেড়েছে ১৫৭টির কোম্পানির দর, বেড়েছে ১৭২টির দর, ৫২টির দর ছিল অপরিবর্তিত।
মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন বলেন, ‘অনেক কোম্পানির অর্থবছর চলতি মাসেই শেষ হবে, নতুন বছর শুরু হবে দুদিন পর থেকে। কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরে পছন্দের শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন বিনিয়োগকারীরা। এতে লেনদেন বাড়বে।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দর বৃদ্ধি যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভু্ক্ত কোম্পানি মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের। ৮ জুন লেনদেন শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ও এর কাছাকাছি পর্যন্ত।
৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ দর বেড়ে ৪০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে ৪৪ টাকা ৯০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে প্রতিটি শেয়ার। এক হাজার ৬৪২ বারে ৫৫ হাজার ৩১০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ওই দামে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড। দর ২ টাকা বা ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়ে হাতবদল হয়েছে ২২ টাকা ৮০ পয়সায়। শেয়ারটির দর প্রায়ই ওঠানামা করতে দেখা যায়। তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দর ছিল ২২ মে, ১৯ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছরগুলোর তুলনায় গত দুই বছরের শেয়ার প্রতি আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। যার কারণে কমেছে লভ্যাংশের পরিমাণ।
এর পরেই দর বেড়েছে এমবি ফার্মা লিমিটেডের। ৪২ টাকা ৯০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৩৩ টাকা ৯০ পয়সায়।
১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্বল মূলধনি কোম্পানিটি ২০২১ সালে শেয়ার প্রতি ৫ টাকার বেশি লোকসান দেয়ার পর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি বিনিয়োগকারীরা।
এ ছাড়াও দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে পেপার প্রসেসিং, লোকসানি ইমাম বাটন, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কস, আজিজ পাইপস, সোনালী পেপার ও বিডি মনোস্পুল।
দর পতনের শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৮ টাকা ৮০ পয়সায়। ৫৪ বারে ১২ হাজার ১৬৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৯ লাখ টাকা।
কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন আপডেট করা নেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। তবে ২০১৫ সালে ৫ শতাংশ ছাড়া আর কোনো বছর নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেনি কোম্পানিটি। চলতি বছরের শুরু থেকেই দর পতন হচ্ছে কোম্পানির শেয়ারের।
জনতা ইন্স্যুরেন্স তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শেয়ারটির দর ৭০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে ৩৪ টাকা ৬০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। ৭ জুন থেকে ১৪ কর্মদিবস দর কমল শেয়ারটির। যদিও গত পাঁচ বছর ধারাবাহিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে।
দেশ গার্মেন্টস দর পতনের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ১৬৩ টাকা ৩০ পয়সা লেনদেন হয়।
দর পতনের শীর্ষ দশের বাকিগুলো হলো: সাভার রিফ্যাক্টরিজ, বঙ্গজ, ফরচুন সুজ, ড্যাফোডিল কম্পিউটারস, রুপালী ইন্স্যুরেন্স, জেনেক্স ইনফোসিস ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স।
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। দর কোম্পানিটির ২ দশমিক ৭২ শতাংশ দর বেড়েছে।
ট্রাস্ট ব্যাংকের দর ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট।
সোনালী পেপার সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এ ছাড়া স্কয়ার ফার্মা, ইবিএল, এনআরবিসি ব্যাংক, রেনাটা, ম্যারিকো, যমুনা অয়েল ও পূবালী ব্যাংক সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট সূচক কমেছে গ্রামীণফোনের কারণে। কোম্পানিটির দর কমেছে শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমিয়েছে বিকন ফার্মা। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বেক্সিমকোর দর শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ দর কমার কারণে সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বার্জার পেইন্টস, বেক্সিমকো ফার্মা, আইসিবি, বেক্সিমকো সুকুক বন্ড, র্যাক সিরামিকস, আইপিডিসি ও পাওয়ার গ্রিডের দরপতনে সূচক কিছুটা কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি কমিয়েছে ৩১ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য