অল্প অল্প করে হলেও টানা তৃতীয় দিন সূচক বাড়ল পুঁজিবাজারে। তলানি থেকে দুই দিনে উঠে আসা লেনদেনও ধরে রেখেছে তার অবস্থান।
আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের পর থেকে ঝিমুতে থাকা পুঁজিবাজারে বাজেট পাসের আগে আগে কিছুটা হলেও প্রাণ ফেরার চিত্র দেখা যাচ্ছে।
প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতের শেয়ারে এদিন আগ্রহ ছিল বেশি। লেনদেনের ৩০ দশমিক ৬২ শতাংশই হয়েছে এই দুই খাতে। আগের দিনও সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল বস্ত্র খাতে।
বেশ কিছুদিন পর ব্যাংক খাতে বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় বস্ত্র খাতও বেশ ভালো করেছে। প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতেও বেশির ভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে।
দর বাড়ার শীর্ষে আবার স্বল্প মূলধনি বা দুর্বল কোম্পানির প্রাধান্য দেখা গেছে। অন্যদিকে মৌলভিত্তির কোম্পানিতে লেনদেন দেখা গেছে কম।
আবারও বিপুলসংখ্যক কোম্পানির শেয়ার দিনের দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা ছুঁয়ে ফেলার পর ক্রেতাশূন্য হয়ে যায়। এর মধ্যে পাঁচ বছর পর উৎপাদন শুরু করার ছয় মাস পর তেল বাজারজাত করার ঘোষণা দেয়া এমারেল্ড অয়েলও ছিল।
আগের দিন রাজধানীতে অনুষ্ঠান করে ধানের কুঁড়ার তেল স্পন্দন বাজারজাত করার পাশাপাশি ছয় মাসেই ব্রেক ইভেনে অর্থাৎ না লাভ, না লোকসানে চলে আসার ঘোষণা দেয় কোম্পানিটি। এতে দিনের শুরুতে শেয়ারদর কিছুটা বাড়লেও শেষ পর্যন্ত দর হারিয়ে শেষ করে লেনদেন।
চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ২৬ পয়েন্ট দরপতনের পাশাপাশি লেনদেন নেমে আসে ৬০০ কোটি টাকার নিচে। সেদিন পর্যন্ত টানা ছয় কর্মদিবস লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমে যায়। তবে সোমবার বিকেলে হঠাৎ করে যে ক্রয় চাপ দেখা দেয়, পর দিনও তা অব্যাহত থাকে। সেদিন লেনদেন ছাড়ায় ৮১৮ কোটি টাকা।
বুধবার পুঁজিবাজারে সূচকের টানাটানি লক্ষ্য করা গেছে। লেনদেনের শুরুতেই সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৯ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছিল। আগের দুই দিনের চিত্রের কারণে সে সময় লেনদেন নিয়ে আশাবাদ তৈরি হয়। কিন্তু এর পরের এক ঘণ্টায় পড়ে সূচক আগের দিনের অবস্থানে নেমে আসে। এরপর আবার ওঠানামা করতে করতে বেলা শেষে আগের দিনের চেয়ে ৭ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন।
বেলা শেষে লেনদেন হয়েছে ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৮১৮ কেটি ৮২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
দিন শেষে বেড়েছে ১৫৭টির কোম্পানির দর, বেড়েছে ১৭২টির দর, ৫২টির দর ছিল অপরিবর্তিত।
মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন বলেন, ‘অনেক কোম্পানির অর্থবছর চলতি মাসেই শেষ হবে, নতুন বছর শুরু হবে দুদিন পর থেকে। কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরে পছন্দের শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন বিনিয়োগকারীরা। এতে লেনদেন বাড়বে।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দর বৃদ্ধি যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভু্ক্ত কোম্পানি মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের। ৮ জুন লেনদেন শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ও এর কাছাকাছি পর্যন্ত।
৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ দর বেড়ে ৪০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে ৪৪ টাকা ৯০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে প্রতিটি শেয়ার। এক হাজার ৬৪২ বারে ৫৫ হাজার ৩১০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ওই দামে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড। দর ২ টাকা বা ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়ে হাতবদল হয়েছে ২২ টাকা ৮০ পয়সায়। শেয়ারটির দর প্রায়ই ওঠানামা করতে দেখা যায়। তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দর ছিল ২২ মে, ১৯ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছরগুলোর তুলনায় গত দুই বছরের শেয়ার প্রতি আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। যার কারণে কমেছে লভ্যাংশের পরিমাণ।
এর পরেই দর বেড়েছে এমবি ফার্মা লিমিটেডের। ৪২ টাকা ৯০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৩৩ টাকা ৯০ পয়সায়।
১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্বল মূলধনি কোম্পানিটি ২০২১ সালে শেয়ার প্রতি ৫ টাকার বেশি লোকসান দেয়ার পর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি বিনিয়োগকারীরা।
এ ছাড়াও দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে পেপার প্রসেসিং, লোকসানি ইমাম বাটন, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কস, আজিজ পাইপস, সোনালী পেপার ও বিডি মনোস্পুল।
দর পতনের শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৮ টাকা ৮০ পয়সায়। ৫৪ বারে ১২ হাজার ১৬৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৯ লাখ টাকা।
কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন আপডেট করা নেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। তবে ২০১৫ সালে ৫ শতাংশ ছাড়া আর কোনো বছর নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেনি কোম্পানিটি। চলতি বছরের শুরু থেকেই দর পতন হচ্ছে কোম্পানির শেয়ারের।
জনতা ইন্স্যুরেন্স তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শেয়ারটির দর ৭০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে ৩৪ টাকা ৬০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। ৭ জুন থেকে ১৪ কর্মদিবস দর কমল শেয়ারটির। যদিও গত পাঁচ বছর ধারাবাহিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে।
দেশ গার্মেন্টস দর পতনের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ১৬৩ টাকা ৩০ পয়সা লেনদেন হয়।
দর পতনের শীর্ষ দশের বাকিগুলো হলো: সাভার রিফ্যাক্টরিজ, বঙ্গজ, ফরচুন সুজ, ড্যাফোডিল কম্পিউটারস, রুপালী ইন্স্যুরেন্স, জেনেক্স ইনফোসিস ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স।
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। দর কোম্পানিটির ২ দশমিক ৭২ শতাংশ দর বেড়েছে।
ট্রাস্ট ব্যাংকের দর ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট।
সোনালী পেপার সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এ ছাড়া স্কয়ার ফার্মা, ইবিএল, এনআরবিসি ব্যাংক, রেনাটা, ম্যারিকো, যমুনা অয়েল ও পূবালী ব্যাংক সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট সূচক কমেছে গ্রামীণফোনের কারণে। কোম্পানিটির দর কমেছে শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমিয়েছে বিকন ফার্মা। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বেক্সিমকোর দর শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ দর কমার কারণে সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বার্জার পেইন্টস, বেক্সিমকো ফার্মা, আইসিবি, বেক্সিমকো সুকুক বন্ড, র্যাক সিরামিকস, আইপিডিসি ও পাওয়ার গ্রিডের দরপতনে সূচক কিছুটা কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি কমিয়েছে ৩১ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য