আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পাশের আগে আগে পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়ছে। সেই সঙ্গে টানা দুই দিন বাড়ল সাধারণ সূচকও।
চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ২৬ পয়েন্ট দরপতনের পাশাপাশি লেনদেন নেমে আসে ছয় শ কোটি টাকার নিচে। সেদিন পর্যন্ত টানা ছয় কর্মদিবস লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমে যায়। তবে সোমবার বিকেলে হঠাৎ করে যে ক্রয় চাপ দেখা দেয়, পর দিনও তা অব্যাহত থাকে।
মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে লেনদেন ছাড়ায় ৮১৮ কোটি ৮২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা আগের দিন যা ছিল ৭০০ কোটি ৭৬ লাখ ২৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ দুই দিনেই লেনদেন বেড়েছে দুই শ কোটি টাকার বেশি।
দিন শেষে ১৯৯টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির পর ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্সে যোগ হয়েছে ২২ পয়েন্ট, আগের দিন বেড়েছিল ১৯ পয়েন্ট।
গত তিন সপ্তাহ ধরেই দুর্বল কোম্পানির দর বৃদ্ধির যে প্রবণতা দেখা গেছে, সেখান থেকে অবশ্য বের হতে পারেনি পুঁজিবাজার। সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটিই লোকসানি, যেগুলোর লভ্যাংশের ইতিহাস কোনোভাবেই আশাপ্রদ নয়।
পুঁজিবাজারে গত সেপ্টেম্বর থেকে মন্দার মধ্যে গত ৯ জুন বাজেট প্রস্তাবের আগে আগে বাজারে শেয়ারদর ও সূচক এবং লেনদেন বাড়তে থাকে। গত সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া সংশোধন, এরপর ইউক্রেনে রুশ হামলা, শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মনস্তাত্ত্বিক চাপ কাটিয়ে উঠার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে ১৯ বছর পর বদলির খবর আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুঁজিবাজার নিয়ে রক্ষণশীল নানা সিদ্ধান্তের পেছনে তার ভূমিকা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
তবে আগামী অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ না রাখার ঘটনায় ছড়ায় হতাশা। কমপক্ষে ১০ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে, এমন কোম্পানির করপোরেট কর ২ শতাংশ কমানো ছাড়া পুঁজিবাজার নিয়ে আর কোনো কথাই বলেননি অর্থমন্ত্রী। আবার এই সুবিধা ব্যাংক, বিমা, আর্থিক খাত, টেলিযোগাযোগ ও তামাক কোম্পানি পাবে না।
বাজেট পেশের পর টানা দরপতনের মধ্যেও ১৬ জুন পর্যন্ত লেনদেন বাড়ছিল। সেদিন একমাস পর লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়।
কিন্তু দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটির পর পরের কর্মদিবস ১৯ জুন থেকে লেনদেনে ক্রমাগত ভাটা পড়তে থাকে। এর মথ্যে গত রোববার তা নেমে আসে ৫৯৪ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজারে। গত ২৬ মের পর এত কম লেনদেন কখনও হয়নি।
পর দিনই লেনদেনের গতি ছিল কম। তবে বেলা দুইটা থেকে হঠাৎ দেখা দেয় ক্রয়চাপ। শেষ আধা ঘণ্টায় দুই শ কোটি টাকার মতো শেয়ার হাতবদল হয়।
পরদিন দিনভর বাজার ছিল ইতিবাচক। প্রথম ১৮ মিনিটেই সূচক বাড়ে ৩০ পয়েন্ট। এরপর উঠানামা করতে করতে লেনদেন এগিয়ে যায়। লেনদেন শেষ হওয়ার একেবারে আগ মুহূর্তেও তা আগের দিনের চেয় ৩১ পয়েন্ট বেশি ছিল। তবে শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ে সেখান থেকে কিছুটা কমে শেষ হয় লেনদেন।
মঙ্গলবারের লেনদেন নিয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিদের চিফ অপারেটিং অফিসার মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, 'জুনের এই সময়টাতে আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি যে, অনেক ফান্ড ইনজেক্ট হয়। জুন ক্লোজিংকে টার্গেট করে বিনিয়োগকারীরা কিছু কোম্পানি বিনিয়োগের জন্য বেছে নেন। ফলে প্রতি বছরই কিছু ফান্ড ইনভেস্ট হয় পুঁজিবাজারে, যার কারণে লেনদেন বাড়ছে। তবে এই বছর তুলনামূলক ফান্ডের ইনজেকশন কম।'
দুর্বল কোম্পানিগুলোর ধারাবাহিক দর বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, 'বাজারে মৌলভিত্তির শেয়ারগুলোর মুভমেন্ট কম হচ্ছে, যার কারণে দুর্বল কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর বাড়ছে। মৌলভিত্তির শেয়ার যে সব বিনিয়োগকারী ধরে রেখেছেন, তাদের হয়তো প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, আরও অপেক্ষা করতে চাচ্ছেন।'
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাজেট ভাবনা খুব একটা আছে বলেও মনে করেন না মাহবুব উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই পুঁজিবাজারের জন্য ভালো কিছু থাকে না। ফলে এ নিয়ে বিনিয়োগকারীরা খুব বেশি ভাবছেন বলে মনে হয় না।’
দরপতনের শীর্ষে আবার লোকসানি কোম্পানি
গত তিন সপ্তাহ ধরে লোকসানি কোম্পানির দর বৃদ্ধির যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তার আরও একটি নমুনা দেখা গেল এদিন।
সবচেয়ে বেশি ৯.৯৪ শতাংশ দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের। লেনেদেন শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই দর বেড়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৮৭ শতাংশ দর বেড়েছে ২০১০ সালের পর থেকে কখনও লভ্যাংশ দিতে না পারা ইমাম বাটন।
লোকসানি খান ব্রাদার্সের দর ৯.৭৫ শতাংশ, বন্ধ থাকা কোম্পানি অ্যাপোলো ইস্পাত ৭.৯৫ শতাংশ, ইস্টার্ন ক্যাবলের দর ৬.০৭ শতাংশ এবং অলিম্পিক অ্যাকসেসোরিজের দর বেড়েছে ৫.৩৫ শতাংশ।
এর বাইরে ইয়ানিক পলিমারের দর ৯.৭৬ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমারের ৬.০১ শতাংশ, অ্যামবি ফার্মার দর ৫.৯৫ শতাংশ এবং রূপালী লাইফের দর বেড়েছে ৪.৯৮ শতাংশ।
খাতওয়ারি হিসাব করলে সবচেয়ে ভালো দিন গেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির, কমেছে চারটির আর দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
ভালো দিন গেছে প্রকৌশল খাতেও। এই খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩০টির। কমেছে ৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩টির দর।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৩টির, কমেছে সাতটির আর অপরিবর্তিত থাকে একটির দর।
বস্ত্র খাতে দর বেড়েছে ৩২টি কোম্পানির, কমেছে ১৫টির, অপরিবর্তিত থাকে ১২টির।
ব্যাংক, আর্থিক ও খাদ্য খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। আগের দিন সাধারণ বিমা খাত চাঙা থাকলেও এদিন এই খাতে দেখা গেছে নিম্নমুখি প্রবণতা।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি থেকে দর পতনের সর্বোচ্চ সীমায়
এই তালিকার শীর্ষে ছিল আর্থিক খাতের আইপিডিসি, যার দর কমেছে সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ৫৫ টাকা। কমার সুযোগ ছিল ১ টাকা ১০ পয়সা। কমেছে ততটাই।
কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ, সাভার রিফ্রাকটরিজ, এস আলম কোল্ডরোল স্টিল, নিউলাইন ক্লথিং, প্রগ্রেসিভ লাইফ, জনতা ইন্স্যুরেন্স, সিএপিএমআইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফরচুন সুজ, ডেফোডিল কম্পিউটারস এবং গ্লোবাল হেভি ক্যামিকেলসের দরও কমেছে এক দিন যতটা কমা সম্ভব ততটাই।
এই ১০টির মধ্যে দুটি কয়েকটি কোম্পানি আগের দিন সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধির তালিকায় ছিল। এর মধ্যে সিএপিএমআইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৬.৮৯ সাভার রিফ্রাকটরিজের দর আগের দিন ৬.১৯ শতাংশ বেড়েছিল।
অন্যদিকে লোকসানি গ্লোবাল হেভি ক্যামিকেলসের দর গত কয়েক দিন ধরেই বাড়ছিল। গত ২১ জুন শেয়ারদর ছিল ৩১ টাকা ১০ পয়সা। তিন কর্মদিবসে বেড়ে ৩৭ টাকা ৭০ পয়সা হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য