টানা পাঁচ কর্মদিবস লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমার পর একই প্রবণতা ছিল সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার। লেনদেন শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা বাকি থাকতে কোনো রকমে টেনেটুনে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়ায় লেনদেন। কিন্তু পরের আধা ঘণ্টায় পাল্টে যায় পুরো চিত্র।
শেষ আধা ঘণ্টায় ২০০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনের পাশাপাশি দিনভর সূচকের টানাটানির মধ্যে ১ ঘণ্টা টানা বাড়ল সূচক।
বেলা দেড়টার সময়ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কম ছিল এবং তা ক্রমেই নিচে নামছিল। কিন্তু সেখান থেকে শেষ ১ ঘণ্টায় সূচক বাড়ে ২২ পয়েন্ট। আর আগের দিনের চেয়ে ১৯ পয়েন্ট যোগ করে শেষ হয় লেনদেন।
বস্ত্র, সাধারণ বিমা, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারধারীরা হাসিমুখে শেষ করেছেন লেনদেন। শেষ পর্যন্ত যে ২৩১টি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ে, তার মধ্যে একটি বড় অংশই এই তিন খাতের।
বস্ত্র খাতে ৫৯টি কোম্পানির মধ্যে বাড়ে ৪৭টির দর, অপরিবর্তিত থাকে সাতটির দর, কমে পাঁচটির।
সাধারণ বিমা খাতের ৪১টি কোম্পানির মধ্যে বাড়ে ৩৮টির দর, কমে দুটির আর একটির দর থাকে অপরিবর্তিত।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩১টি কোম্পানির মধ্যে বাড়ে ১৯টির দর। অপরিবর্তিত থাকে চারটির দর আর দর হারায় আটটি কোম্পানি।
বেশ কয়েক দিন চাপে থাকার পর ব্যাংক খাতেও কিছুটা হাঁফ ছেড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এই খাতে তিনটি কোম্পানির দর হারানোর বিপরীতে বাড়ে ১৭টি। তবে দর বৃদ্ধির হার খুবই কম।
আর্থিক খাতে পাঁচটির দর হারানোর বিপরীতে বেড়েছে ১১টির দর। এ ছাড়া প্রধান বাকি সব খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা।
এদিন প্রবণতা বলতে আবার দুর্বল ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে অনেকটাই। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে টানা ছয় বছর লোকসান দেয়ার পর চলতি বছর সামান্য মুনাফা দেখানো অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির পাঁচটিই হয় লোকসানি, ৯ টানা লোকসানের মধ্যে সামান্য মুনাফার মুখ দেখা কোম্পানি, যেগুলোর লভ্যাংশের ইতিহাস বেশ হতাশাজনক।
দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ৭০০ কোটি ৭৬ লাখ ২৭ হাজার টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের চেয়ে ১০৬ কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বেশি।
গত ১৬ জুন লেনদেন ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর পুঁজিবাজারে আশার সঞ্চার হলেও এর পরদিন থেকে প্রতিদিনই লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে।
দিনভর দেখা গেছে উত্থান-পতন। প্রথম ৪৮ মিনিটেই আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০ পয়েন্ট সূচক হ্রাস পায়। পরবর্তী ২ ঘণ্টায় হারানো দর ফিরে পেতে থাকে শেয়ারগুলো। দুপুর ১২টা ৫ মিনিট পর্যন্ত সময়ে সূচকে যোগ হয় ৩১ পয়েন্ট। তবে সেটা স্থায়ী হয়নি। আবারও দরপতনে সূচক থেকে বেলা দেড়টার মধ্যে ৩ পয়েন্ট হারিয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত ক্রয় চাপে কিছুটা উত্থানে শেষ হয়েছে লেনদেন।
ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা-সিইও সুমন দাস বলেন, ‘ভলিউমটা অনেক কম হয়ে যাচ্ছে, লেনদেন ৮০০ কোটির নিচে ঘোরাফেরা করছে। প্রফিট গেইন, অ্যাডজাস্টমেন্ট এবং মানি মার্কেট অনেক কঠিন হয়ে যাওয়ার কারণে এমনটা ঘটছে।’
দুর্বল কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিষয়ে মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন বলেন, ‘চাহিদা বাড়লে অনেক সময় দুর্বল কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ে। তবে ধারাবাহিক এমন দর বৃদ্ধি অবশ্যই সন্দেহজনক। এগুলোর পেছনে অনৈতিক কিছু ঘটা অস্বাভাবিক নয়। আর এমন দাম বাড়ার কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও এটার পেছনে দৌড়ান।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষে আবার দুর্বল কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ বেড়েছে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের। ২০১৫ সালে ৪ শতাংশ নগদ ও ৬ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশের পর আর লভ্যাংশের মুখ দেখেননি বিনিয়োগকারীরা। টানা ছয় বছর লোকসান দেয়ার পর চলতি বছর সামান্য মুনাফা দেখিয়েছে কোম্পানিটি।
গত ২১ জুন থেকে ধারাবাহিক দর বাড়ছে শেয়ারের। ওই দিন ২২ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ার আজ সর্বশেষ হাতবদল হয়েছে ২৫ টাকা ৫০ পয়সায়।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভু্ক্ত কোম্পানি মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের। এ নিয়ে টানা ১৪ কর্মদিবস দিনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত বাড়ল মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর। গত ৮ জুন ১০ টাকায় লেনদেন শুরু করে কোম্পানিটি।
রোববার ৩৩ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হওয়ার পরদিন ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ২০ পয়সা।
এর পরেই ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ দর বেড়েছে লোকসানি সোনারগাঁও টেক্সটাইলসের। গত পাঁচ বছরে লোকসানে থাকলেও ২০১৯ সালে ৩ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। আর চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে কিছুটা আয় দেখিয়েছে কোম্পানি।
আর্থিক সঙ্গতি ভালো না হলেও সাত মাস ধরে দর বাড়ছে সোনারগাঁও টেক্সটাইলসের। গত বছরের ২২ নভেম্বর ১৬ টাকা ৭০ পয়সায় শেয়ার লেনদেনের পর কিছুটা ওঠনামা করলেও ধারাবাহিক বেড়েছে দাম।
রোববার ৪১ টাকা বেচাকেনা হওয়া শেয়ার আজকে হাতবদল হয়েছে ৪৪ টাকা ২০ পয়সায়।
প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। এ নিয়ে টানা চার কর্মদিবস ফান্ডটির ইউনিট দর বাড়ল। ১৭ টাকা ১০ পয়াস থেকে হাতবদল হয়েছে ১৮ টাকা ৪০ পয়সায়। ২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত হলেও ২০১৪ সাল থেকে ধারাবাহিক লভ্যাংশ দিয়ে আসছে কোম্পানিটি।
দর বৃদ্ধির তালিকায় পরের স্থানেই রয়েছে আরেক মিউচ্যুয়াল ফান্ড সিএমপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড। ২০১৯ ও ২০২১ সালে মুনাফা হওয়া বিনিয়োগকারীরা যথাক্রমে ৮ শতাংশ ও ১৩ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়েছেন। তবে মাঝে ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ৪৮ পয়সা লোকসানের কারণে ওই বছর কোনো লভ্যাংশ দেয়া হয়নি।
আগের দিনের মতো আজকেও দর বৃদ্ধির তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে সাভার রিফ্যাক্টরিজ। রোববার ২৩৪ টাকায় হাতবদল হওয়া শেয়ারের দর ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ২৪৭ টাকায়।
১ কোটি ৩৯ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনোদিন লভ্যাংশ দিতে পারেনি। তারপরেও অজানা কারণে শেয়ারটির দাম অনেক বেশি।
দর বৃদ্ধির তালিকার সপ্তম স্থানে থাকা রহিমা ফুডের দর ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়ে ২৭৩ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে।
গত ৫ বছরের মধ্যে তিন বছরই লোকসান দিয়েছে কোম্পানিটি। কোম্পানির মালিকানা পরিবর্তনের পাশাপাশি ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কোম্পানি জানায়, ট্রায়াল প্রোডাকশন শেষে কোম্পানি ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নারকেল তেল উৎপাদন ও বিপণন করবে। সঙ্গে সয়াবিন ও মাস্টার্ড অয়েল বোতলজাত ও বিপণনের কথা বলা হয়।
এরপর ৩১ মে ডিএসইর নিউজে আবার বলা হয়, ৩১ মে ট্রায়াল প্রোডাকশনের পরে কাজু বাদাম প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্যাকিং এব দেশে-বিদেশে বিপণনের জন্য বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে কোম্পানি।
এ ছাড়া প্রাইম টেক্সটাইল, জুট স্পিনার্স ও মালেক স্পিনিং মিলসের দর ৫ শতাংশের বেশি বেড়ে যথাক্রমে ৩২ টাকা ৬০ পয়সা, ১৪৪ টাকা ৫০ পয়সা এবং ৩০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়েছে।
দর পতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফরচুন সুজ লিমিটেড। শেয়ারটির দর ১ টাকা ৯০ পয়সা বা ২ শতাংশ কমেছে। সর্বশেষ ৯৩ টাকা ৩০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। এদিন ৪৩৯ বারে কোম্পানিটির ২ লাখ ৭৯ হাজার ৬৯৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এমারেল্ড অয়েল লুজার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ৯০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে সর্বশেষ ৪৪ টাকা ৬০ পয়সা দরে লেনদেন হয়।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা পেপার প্রসেসিং লুজারের দর ৩ টাকা ৫০ পয়সা বা ১.৯৮ শতাংশ কমেছে। শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ১৭৩ টাকা ৫০ পয়সা।
দর পতনের শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানি হলো- বিডি মনোস্পুল পেপার, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, ফাইন ফুডস, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কস ও সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ওয়ালটন হাইটেক। দর কোম্পানিটির শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ দর বেড়েছে।
বেক্সিমকো সুকুক বন্ডের দর ৫ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৩১ পয়েন্ট।
ব্র্যাক ব্যাংক সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ০৫ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ২ দশমিক ০৬ শতাংশ।
এ ছাড়া রেনাটা, ইউনাইটেড পাওয়ার, পূবালী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ইউনিক হোটেল, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস ও লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে গ্রামীণফোনের কারণে। কোম্পানিটির দর কমেছে শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমিয়েছে বার্জার পেইন্টস। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ।
বিকন ফার্মার দর ১ দশমিক ১৫ শতাংশ দর কমার কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক ১৮ পয়েন্ট।
এ ছাড়া রবি, আইসিবি, আইপিডিসি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল ব্যাংক ও ফরচুন সুজের দরপতনে সূচক কিছুটা কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি কমিয়েছে ১৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য