মন্দা পুঁজিবাজারে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে দুর্বল কোম্পানির দর। টানা পঞ্চম দিন এই প্রবণতা দেখা গেল পুঁজিবাজারে।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটিই লোকসানি। একটি কোম্পানি এক বছরের বেশি সময় ধরে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়নি। সবশেষ যখন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেই লভ্যাংশ বিতরণ না করায় কোম্পানির পরিচালকদের জরিমানা করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের রবি থেকে প্রতি দিনই একই চিত্র দেখা গেছে। প্রতি দিনই সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিংহভাগই লোকসানি বা দুর্বল কোম্পানির আধিক্য দেখা গেছে।
গত ৯ জুন বাজেট ঘোষণার পরের কর্মদিবস ১২ জুন থেকেই টানা দরপতনের ধারায় পুঁজিবাজার। এর মধ্যে দুই সপ্তাহেই শেষ দুই কর্মদিবসে সূচক কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে। বাকি তিন দিন করে ছয় দিন পতন হয়েছে সূচকের।
এই নিয়ে বাজেট পেশের দুই সপ্তাহে পুঁজিবাজারে সূচক পড়ল ১৬২ পয়েন্ট।
চলতি সপ্তাহে টানা পাঁচ দিন লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে। সপ্তাহের শেষ দিন হাতবদল হয়েছে ৬৮৩ কোটি ৭৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকার শেয়ার, যা আগের দিন ছিল ৬৯৪ কোটি ৩৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা। সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার হাতবদল হয়েছিল ৮৯৫ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
অথচ আগের সপ্তাহে সূচক বাড়ুক আর কমুক, প্রতি দিনই লেনদেন আগের দিনকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ১৬ জুন লেনদেন এক হাজার ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ ২২ হাজার টাকা হয়ে যায়।
আগের সপ্তাহের মতোই প্রথম দিন সূচকের পতনের পর শেষ দুই দিন কিছুটা বাড়তে দেখা যায়। আগের সপ্তাহে প্রথম দিন ১১৮ পয়েন্ট কমার পর শেষ দুই দিনে বেড়েছিল ৬৪ পয়েন্ট।
আর চলতি সপ্তাহে প্রথম তিন দিন ১১৩ পয়েন্ট কমার পর বুধবার ৬ পয়েন্ট এবং পরদিন বাড়ল ৯ পয়েন্ট।
এদিন লেনদেন শুরুর ৩৮ মিনিটের মধ্যে সূচক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হতে দেখা যায়। এরপর থেকে পতনে সূচক স্থির থাকেনি।
টানা তিন কর্মদিবস পরে বুধবার ১৯৩টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়ে লেনদেন হতে দেখা গিয়েছিল। তবে আজ সূচকে পয়েন্ট যোগ হলেও কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির দর। ১৬২টি কোম্পানির দর কমে লেনদেন হয়েছে। বিপরীতে বেড়েছে ১৪৫টির ও অপরিবর্তিত দামে কেনাবেচা হয়েছে ৭৪ কোম্পানির শেয়ার।
লেনদেনের বিষয়ে ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের-ডিবিএ সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘জুনে বিভিন্ন কোম্পানির হিসাব-বছর শেষ হবে। আর কয়েক দিন পরই ঈদ। এসব কারণে বিনিয়োগকারীরা নিজেদের কিছুটা গুটিয়ে নিয়েছেন। প্রতি বছরই এমনটা দেখা গেছে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই থেকে পুঁজিবাজার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তখন কোম্পানির আর্থিক সংগতি বুঝে বিনিয়োগে যাবেন সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা।’
দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এসএমইতেও দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু কোম্পানির দাম হুহু করে বাড়ছে। আর এই দর বেড়ে যাওয়া দেখে মানুষ ঢুকছে। এগুলো কেন বাড়ছে, প্রশ্ন রয়েছে। এগুলো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তো বাড়ে না।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষে যেসব কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ দর বেড়েছে পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভু্ক্ত কোম্পানি মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের। আগের দিন দর ছিল ২৮ টাকা ১০ পয়সা। সেটি বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা ৯০ পয়সা।
এ নিয়ে টানা ১২ কর্মদিবস দিনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত বাড়ল মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর। গত ৮ জুন ১০ টাকায় লেনদেন শুরু করে কোম্পানিটি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়েছে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেডের দর। এ নিয়ে টানা তিন কর্মদিবস শেয়ারের দর বাড়ল। মঙ্গলবার ৩১ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল প্রতিটি শেয়ার। আজকে সেটি হাতবদল হয়েছে ৩৪ টাকা ৩০ পয়সায়।
২০১৬ সাল থেকে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়ে এলেও লোকসানের কারণে ২০২১ সালে লভ্যাংশ দেয়নি। চলতি অর্থবছরের তিন প্রান্তিক পর্যন্তও কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে।
দর বৃদ্ধির পরের স্থানে রয়েছে থাকা সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ ধারাবাহিক লোকসান থেকে কিছুটা বের হতে পারলেও কোম্পানিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেও তা বিতরণ করেনি কোম্পানিটি। এখন সব কোম্পানি সরাসরি ব্যাংক হিসাবে লভ্যাংশ পাঠালেও সুহৃদ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট পাঠানোর কথা জানায়। কিন্তু সেই ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট বিনিয়োগকারীদের হিসাবে কখনও যায়নি। ২০২০ সালের জন্য এখনও লভ্যাংশ ঘোষণা বা কোনো হিসাবও প্রকাশ করা হয়নি।
কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৮.৫৭ শতাংশ। এই দর বাড়া শুরু হয়েছে ২৫ মে থেকে। ওই দিন ১৮ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল, সেটি হয়েছে ২২ টাকা ৮০ পয়সায়।
সমরিতা হসপিটালের দর ৬.৮৬ শতাংশ বেড়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই ৭৮ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারের দাম কমে মঙ্গলবার ৬৯ টাকা ২০ পয়সায় ঠেকে। সেখান থেকে পর পর দুই দিন বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৪ টাকা ৭০ পয়সায়।
তিতাস গ্যাসের দর বেড়েছে ৬ দশমিক ০৯ শতাংশ। আগের দিন ৩৯ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ার আজ হাতবদল হয়েছে ৪১ টাকা ৮০ পয়সায়।
টানা দুই দিন দর বাড়ল মুনাফায় থাকা ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি-ডেসকোর। আগের দিন ৩৬ টাকায় লেনদেন হয়েছিল, সেটি আজ হাতবদল হয়েছে ৩৮ টাকা ১০ পয়সায়।
৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ দর বেড়েছে লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি শ্যামপুর সুগার মিলসের। ৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কখনোই লভ্যাংশ দিতে পারেনি। তাই লেনদেন করছে জেড ক্যাটাগিরতে।
পর পর দুই দিন দর বেড়ে লেনদেন হতে দেখা গেল। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৭৭ টাকা ১০ পয়সায়। সেই দর এখন দাঁড়িয়েছে ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায়।
এ ছাড়া ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ দর বেড়ে ৫১ টাকা ২০ পয়সা, যদিও কেবল দুটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
লোকসানি অ্যারামিট সিমেন্টের দরও বেড়েছে ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ১০ টাকার শেয়ারে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ৭ টাকা ৬২ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৪০ পয়সা।
স্বল্প মূলধনি বহুজাতিক কোম্পানি ও বার্জার পেইন্টসের দর ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৭৮৭ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
দর পতনের শীর্ষ ১০
শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে এপেক্স ট্যানারির। বুধবার শেয়ার দর ছিল ১৫০ টাকা ১০ পয়সা। আজ ৩ টাকা বা ১.৯৯ শতাংশ দর কমে লেনদেন হয়েছে ১৪৭ টাকা ১০ পয়সায়।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে আলহাজ্ব টেক্সটাইল ও হাক্কানি পাল্পের দর কমেছে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
১ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর কমেছে ড্যাফোডিল কম্পিউটার ও প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্সের।
ইমাম বাটনের ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বঙ্গজ লিমিটেডের ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ, এইচ আর টেক্সটাইলের ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ দর কমেছে।
এ ছাড়াও সোনালী পেপার ও ইসলামি ইন্সুরেন্সের দর ১ দশমিক ৯১ শতাংশ করে কমেছে।
সূচক বাড়িয়েছে যারা
সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বার্জার পেইন্টস। এদিন কোম্পানিটির ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ দর বেড়েছে।
তিতাস গ্যাসের দর বেড়েছে ৬ দশমিক ০৯ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট। ডেসকো সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৮২ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পাওয়ার গ্রিড, রেনাটা, ব্র্যাক ব্যাংক, রেকিট বেনকিজার ও ট্রাস্ট ব্যাংক সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১০ দশমিক ২ পয়েন্ট।
সূচক কমাল যারা
কোনো কোম্পানিই এককভাবে ১ পয়েন্ট সূচক কমাতে পারেনি। সবচেয়ে বেশি শূন্য দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমেছে বিকন ফার্মার কারণে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৮ পয়েন্ট কমিয়েছে ওয়ালটন। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ।
বেক্সিমকো ফার্মার দর শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ দর কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৫৭ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বেক্সিমকো সুকুক বন্ড, আইসিবি, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, যমুনা অয়েল, সোনালী পেপার ও সাইফ পাওয়ারের দরপতনে সূচক কিছুটা কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি কমিয়েছে ৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য