টানা তিন দিন পর পতন থামলেও পুঁজিবাজারে লেনদেনে আরও ভাটা পড়েছে। টানা চার কর্মদিবস কমল লেনদেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে হাতবদল হয়েছে ৬৯৪ কোটি ৩৭ লাখ ২৮ হাজার টাকার শেয়ার, যা গত ৯ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এর আগে এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ১২ জুন। ওইদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয় ৬৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
চলতি সপ্তাহের রোববার হাতবদল হয়েছিল ৮৯৫ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সোমবার তা কমে হয় ৮২২ কোটি ৩৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা। পরের দিন তা আরও কমে ৭২৫ কোটি ৮৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা হওয়ার পরে আজ কমল প্রায় ৯০ কোটি টাকার মতো।
টানা তিন দিন পর বেশির ভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে। ১৯৩টি কোম্পানির শেয়ারদর কিছুটা বেড়েছে। বিপরীতে ১২৩টির কমেছে, ৬৬টির লেনদেন হয়েছে গতকালের দামে।
আগের দুই দিন সমান ২৮২টি কোম্পানির দরপতন হয়েছিল।
সারা দিনে বেশ ওঠানামা করেছে ডিএসইএক্স। খুব বেশি দর বৃদ্ধি না হওয়ায় সূচকে মাত্র ৬ পয়েন্ট যোগ হয়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩১৭ পয়েন্টে।
তবে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর দরপতনের কারণে কিছুটা কমেছে ব্লু-চিপ বা ডিএস৩০ সূচক।
এর আগে রোববার ১৯ পয়েন্ট, সোমবার ৪৯ পয়েন্টের পর মঙ্গলবার পড়ল ৪৫ পয়েন্ট। অর্ধাৎ তিন দিনে সূচক পড়তে দেখা যায় ১১৩ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে দুই দিন পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছিল কিছু ঘটনায়। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে কালো টাকা নামে পরিচয় পাওয়া অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের বিষয়ে কিছু বলা ছিল না। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গত বুধবার এক আলোচনায় বাজেট পাসের সময় এই সুযোগ দেয়ার ইঙ্গিত দেন।
গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ে আরেক স্বস্তিদায়ক খবর আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উপমহাব্যবস্থাপক, যাকে পুঁজিবাজার নিয়ে রক্ষণশীল নীতির জন্য দায়ী করা হচ্ছিল, ১৯ বছর পর তার দপ্তর বদল করা হয়েছে।
লেনদেনের বিষয়ে মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, 'কয়েক দিনের পতনের পর আজ স্বাভাবিকভাবেই শেয়ারগুলো কিছুটা দর ফিরে পেয়েছে। সামান্য সংশোধন বলা যায়।
'তবে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলা যাচ্ছে না। কারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে শেয়ার কেনা অনীহা লক্ষ করা যাচ্ছে, লেনদেন কমছেই।'
'দুটি বিষয় এ ক্ষেত্রে কাজ করছে। প্রথমত অনেকগুলো কোম্পানির ক্লোজিং হবে জুনে। এ ছাড়া পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার বিষয়টি ক্লিয়ার না হওয়া।'
দুর্বল শেয়ারের আধিপত্য
এদিন পুঁজিবাজারের প্রবণতা হিসেবে বলা যায় দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি।
সবচেয়ে বেশি দর বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে এমন ছয়টি কোম্পানির মধ্যে চারটিই লোকসানি কোম্পানি, যেগুলো গত এক যুগেও লভ্যাংশ দিতে পারেনি বিনিয়োগকারীদের।
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়েছে লোকসানে ডুবে থাকা মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের দর। আগের দিন দর ছিল ৩০ টাকা ১০ পয়সা। সেটি বেড়ে হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ দর বেড়েছে আরেক লোকসানি ইমাম বাটনের দর। সর্বশেষ ২০১০ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া কোম্পানিটি টানা ১১ বছর লোকসান দিয়েছে। এবারও তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ৫১ পয়সা লোকসানে থাকা কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ আছে ৫ টাকা ৮১ পয়সা। আর এক দিনেই দর বেড়েছে ১০ টাকা ৬০ পয়সা।
তিন মাসে কোম্পানিটির দর ৩৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১৭ টাকা ৩০ পয়সা। গত এক বছরে সর্বনিম্ন দর ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সম্প্রতি পুনর্গঠিত হয়েছে। এর বোর্ডে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবালের প্রতিনিধি যুক্ত হয়েছে। এই খবরে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪ টাকা ৮ পয়সা বা ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। সর্বশেষ ৫৩ টাকা ৫ পয়সা দরে লেনদেন হয় প্রতিটি শেয়ার।
মেঘনা গ্রুপের লোকসানি আরেক কোম্পানি মেঘনা কনডেন্সও মিল্কের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ১০ টাকার শেয়ারে ৫ টাকা ৩৪ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি কোনো সম্পদ নেই, উল্টো প্রতি বছর লোকসান দিতে দিতে শেয়ারপ্রতি দায় তৈরি হয়েছে ৬৭ টাকা ৮১ পয়সা। সেই কোম্পানির শেয়ারদর বেড়ে হয়েছে ২৬ টাকা ৯০ পয়সা।
নতুন তালিকাভুক্ত মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের দর টানা ১১ কর্মদিবস দিনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত বেড়েছে। গত ৮ জুন ১০ টাকায় লেনদেন শুরু করা কোম্পানিটির সর্বশেষ দর দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ১ পয়সা।
এর পরেই সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের দর ৪২ টাকা ৫ পয়সা বা ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। কয়েক বছর আগে ওটিসি মার্কেট থেকে ফেরা কোম্পানিটির শেয়ারদর এক বছর ধরেই অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।
দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, ফাইন ফুডস লিমিটেড, ইনটেক লিমিটেড, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড, সাফকো স্পিনিংস মিলস লিমিটেড ও সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেড।
এগুলোরও লভ্যাংশের ইতিহাস খুব একটা ভালো নয়।
দর কমার শীর্ষ ১০
এই তালিকায় ছিল সাধারণ বিমা খাতের বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স। আগের দিন ক্লোজিং দর ছিল ৭০ টাকা ৪০ পয়সা। ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে দর দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা। দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ নির্ধারিত থাকায় এর চেয়ে বেশি কমা সম্ভব ছিল না।
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা কমিয়ে আনার পর অসংখ্য দিন দেখা গেছে এই পরিমাণ দর কমার পর শেয়ারগুলো ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। একই চিত্র দেখা গেল আবার।
দর কমার তালিকায় থাকা কেডিএস অ্যাক্সেসরিজের দর ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ, আরডি ফুডসের দর ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ, আইএলএফএসএলের দর ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের দর ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের দর ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ, এইচআর টেক্সটাইলের দর ১ দশমিক ৯১ শতাংশ, সিলকো ফার্মার দর ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে।
সূচক বাড়িয়েছে যারা
যেগুলো কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই স্বল্প মূলধনি৷ যার কারণে খুব বেশি তো বাড়েইনি, কোনো কোম্পানি এককভাবে সূচকে ১ পয়েন্টও যোগ করতে পারেনি।
সবচেয়ে বেশি শূন্য দশমিক ৯২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে তিতাস গ্যাস। এদিন কোম্পানিটির ২ দশমিক ৬ শতাংশ দর বেড়েছে।
সোনালী পেপারের দর বেড়েছে ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এতে সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৭ পয়েন্ট।
পাওয়ার গ্রিড সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৭৩ পয়েন্ট। শেয়ারের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
ইসলামী ব্যাংক, ম্যারিকো, রবি আইসিবি, ইউনাইটেড পাওয়ার, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ও হাইডেলবার্গ সিমেন্ট সূচকে কিছু পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট।
সূচক কমাল যারা
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের কারণে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
আর কোনো কোম্পানি এককভাবে এক পয়েন্টের বেশি সুযোগ কমাতে পারেনি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ।
ওয়ালটন হাইটেকের ১ দশমিক ২২ শতাংশ দর কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৬৮ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বার্জার পেইন্টস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, আইপিডিসি, ন্যাশনাল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ফরচুন সুজ ও ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ারের দরপতনে সূচক কিছুটা কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি কমিয়েছে ৪ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য