বাজেট ঘোষণার দিন ৯ জুন থেকে পতনের দিকে চলে যাওয়া পুঁজিবাজার বৃহস্পতিবার ৫১ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধির মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল, তবে সেই উত্থান দীর্ঘস্থায়ী হলো না পর পর দুই দিন পতনে।
বৃহস্পতিবার যতটুকু বেড়েছিল, চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কর্মদিবসেই তার চেয়ে বেশি পড়ল সূচক।
রোববার ১৯ পয়েন্ট এবং সোমবার ৪৯ পয়েন্ট মিলিয়ে দুই দিনে সূচক কমল ৬৮ পয়েন্ট। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৫৭ পয়েন্টে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ৫১ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পাশাপাশি ২৩ কর্মদিবস পর লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। পরের দিন সেটা কমে চলে আসে ৯০০ কোটির নিচে। সোমবার সেটি আরও কমল। দিনভর লেনদেন হয় ৮২২ কোটি ৩৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা।
অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ বহাল রাখার ইঙ্গিত দেয়ার পর বৃহস্পতিবার উত্থানের সঙ্গে মিল রেখে নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন লেনদেনের শুরুটা ছিল ঝলমলে, তবে দিন শেষ হয়েছে সূচকের ১৯ পয়েন্ট পতনের মধ্য দিয়ে।
রোববার ২৮২টি কোম্পানির দর কমেছিল। সোমবার পতনের তালিকা আরও দীর্ঘ হয়েছে।
৩২৫ কোম্পানির দর কমে লেনদেন হয়েছে। বিপরীতে ৩৬টির দর বেড়ে ও ১৯টি আগের দিনের দামে হাতবদল হতে দেখা গেছে।
গত বুধবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম এক অনুষ্ঠানে জানান, তিনি পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ বহাল রাখার পক্ষে।
একই দিন সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে যেসব প্রস্তাব রাখা হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজার অবশ্যই চাঙা হবে।
পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার যে সুযোগ দেয়া হয়েছে, সেগুলো এলে একটি অংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে বলেই বিশ্বাস করেন তিনি।
একই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক আমিনুর রহমানকে বদলির খবর আসে সংবাদমাধ্যমে।
আমিনুর তুমুল আলোচিত ছিলেন এ কারণে যে, তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন সব বিষয় দেখভাল করতেন, যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব ছিল পুঁজিবাজারে।
কয়েক বছর ধরেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আলোচনা ছিল যে, বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজার নিয়ে রক্ষণশীল। প্রায়ই এমন সিদ্ধান্ত এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে, যা বাজারের জন্য নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে পুঁজিবাজারে ধীরগতির পেছনে যেসব কারণ উঠে এসেছিল, তার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মধ্যে মতদ্বৈততার বিষয় দুটি অন্যতম।
পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে দুই সংস্থা সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেবে—২০১৪ সালে সরকারের পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায়ই নানা সময় একক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা নিয়ে বিএসইসি একাধিকবার প্রকাশ্যেই তাদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছে।
পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমিনুর রহমানের ভূমিকা ছিল। বাজার চাঙা করতে সম্প্রতি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে যেসব প্রস্তাব ও পরামর্শ দেয়া হয়, তার একটি ছিল আমিনুরকে বদলির সিদ্ধান্ত নেয়া।
বাজেট ঘোষণার পর টানা তিন কর্মদিবসে ১১৮ পয়েন্ট সূচকের পতন হয়। পরের দুই দিনে ৬৪ পয়েন্ট উত্থান হওয়ার পর পুঁজিবাজার ভালো যাবে বলে মনে করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা, তবে দুই দিনের পতনে সেই আশা উবে গিয়ে হতাশা ভর করল তাদের মনে।
পুঁজিবাজারের লেনদেন নিয়ে ব্রোকারেজ হাউস এক্সপো ট্রেডার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শহীদুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ না দেয়ায় পুঁজিবাজার নেতিবাচক ধারায় চলে গিয়েছিল। পরে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখার পক্ষে কথা বলেন সরকারের মন্ত্রীরা।
‘এ নিয়ে কিছুটা আশাবাদী হয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা, কিন্তু এ নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো ঘোষণা না আশায় বাজারে নেতিবাচক একটা প্রভাব রয়েছে।’
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিও বিনিয়োগকারীদের মনে একটা আশঙ্কা তৈরি করেছে বলে মনে করেন শহীদুল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেটবাসীর ভোগান্তি বিনিয়োগকারীদের মনে দাগ কেটেছে। এই সংকটটা তাদের মনে প্রভাব ফেলছে, যার কারণে বিনিয়োগে উৎসাহ পাচ্ছেন না।’
জুনে অনেক কোম্পানির আর্থিক বছর শেষ হচ্ছে। এটি কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগ থেকে বিরত রেখেছে জানিয়ে শহীদুল বলেন, ‘সামনে বিপুলসংখ্যক কোম্পানির ক্লোজিং হবে। কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নেবেন। এ কারণে অনেকেই বিনিয়োগ আটকে রেখেছেন।’
দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি
দিনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ ও এর আশেপাশে এক শ’র কাছাকাছি কোম্পানির দর কমেছে।
সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে এশিয়ান টাইগার, সন্ধানী লাইফ, গ্রোথ ফান্ডের ইউনিটের। আগের কার্যদিবসে প্রতি ইউনিটের ক্লোজিং দর ছিল ১০ টাকা। সোমবার লেনদেন শেষে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৯.৮০ টাকায়। ইউনিট দর ০.২০ টাকা বা ২ শতাংশ কমেছে।
এ ছাড়া ফাস ফাইন্যান্স, কাট্টালি টেক্সটাইল, মুন্নু সিরামিকস, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, কপারটেক, বিডিকম, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, পিপলস ইন্স্যুরেন্স এবং ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে দিনের সর্বোচ্চ সীমায়।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
রোববার ৩৬টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল মেঘনা ইন্স্যুরেন্স। ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে ৮ জুন থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করা কোম্পানিটির। ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৯.৯১ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ টাকা ৩০ পয়সায়।
এর পরেই দর বৃদ্ধি হয়েছে ফাইন ফুডস লিমিটেডের। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা বা ৪.৯৮ শতাংশ। ৪৬ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে প্রতিটি শেয়ার।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা কেডিএস এক্সেসরিজ লিমিটেডের দর ২ টাকা বা ৩.৩৭ শতাংশ বেড়েছে।
এ ছাড়া দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষ দশে রয়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল, জেএআই হসপিটাল, দুলামিয়া কটন, হাক্কানি পাল্প, ইমাম বাটন, ন্যাশনাল ব্যাংক ও ক্রাউন সিমেন্ট।
সূচক কমাল যেসব কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি সূচক কমিয়েছে গ্রামীণফোন। টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিটির দর কমেছে ০.৮৮ শতাংশ, ফলে সূচক কমেছে ৫.৭৮ পয়েন্ট।
এর পরেই ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো লিমিটেডের দর পতনে সূচক কমেছে ৩.৬ পয়েন্ট। কোম্পানিটি এদিন দর হারিয়েছে ০.৭৭ শতাংশ।
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের ১.৬৯ শতাংশ দর পতনে সূচক কমেছে ২.২১ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, পাওয়ার গ্রিড, আইসিবি, ইস্টার্ন ব্যাংক ও রবির দর পতনে সূচক হ্রাস পেয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক ফেলেছে ২১.৫২ পয়েন্ট।
সূচক বাড়ানোর চেষ্টায় যেসব কোম্পানি
বেক্সিমকো লিমিটেড ১.২৫ পয়েন্ট ও ন্যাশনাল ব্যাংক ১.০২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে। কোম্পানি দুটির যথাক্রমে ০.৬৫ শতাংশ ও ২.৫ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে ওই পরিমাণ সূচক বেড়েছে।
এর বাইরে আর কোনো কোম্পানি সূচক এক পয়েন্টও যোগ করতে পারেনি। এ ছাড়া সূচকে সামান্য পয়েন্ট যোগ করেছে জেএমআই হসপিটাল, ব্যাংক এশিয়া, ক্রাউন সিমেন্ট, ওয়ালটন হাইটেক, ইসলামী ব্যাংক, কেডিএস অ্যাক্সেসরিজ, ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার এবং প্রাইম ব্যাংক।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়াতে পেরেছে মাত্র ৪.৭৫ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য