× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Lankabanglas evaded VAT is finally credited
google_news print-icon

লংকাবাংলার ফাঁকি দেয়া ভ্যাট অবশেষে জমা

লংকাবাংলার-ফাঁকি-দেয়া-ভ্যাট-অবশেষে-জমা
লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুর রউফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের বিরুদ্ধে বিভিন্ন খাতে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর সময়ে প্রযোজনীয় কাগজপত্র ও ডকুমেন্ট জব্দ করে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হয়। এতে ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে।’

আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ উঠার পর সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

রোববার লংকাবাংলা কর্তৃপক্ষ ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারের পাওনা সুদসহ ১৩ কোটি ৭১ লাখ পরিশোধ করে।

ঢাকা উত্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার তাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী লংকাবাংলার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত দাবিনামা জারি কর হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পাপ্র্য সমুদয় ভ্যাট পরিশোধ করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।’

এ বিষয়ে লংকা বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা শাহরিয়ারকে ফোন দেয়া দিলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদে বার্তা দেয়া হলে জনসংযোগ বিভাগের মো. রাজিউদ্দিন জানান, এমডি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য দেবেন না।

লংকাবাংলা বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে-এ খবর নিউজবাংলায় প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। সরকারি রাজস্ব পরিশোধের জন্য ভ্যাট অফিস থেকে তাদের উপর চাপ আসে।

এ ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ভ্যাট অফিসে যোগাযোগ করে টাকা পরিশোধ করে দেয়।

রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউর সফুরা টাওয়ারের লেভেল-১১তে কার্যালয় থাকা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ উঠোর পর তা উদ্ঘাটনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের –এনবিআর-ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

বিষয়টি নিরীক্ষার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়। তারপর লংকাবাংলার কাছ থেকে ভ্যাটসংক্রান্ত দলিলপত্র, দাখিলপত্র, বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন চাওয়া হয়।

লংকাবাংলার দেয়া তথ্যেই বেরিয়ে আসে ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি।

ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুর রউফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের বিরুদ্ধে বিভিন্ন খাতে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর সময়ে প্রযোজনীয় কাগজপত্র ও ডকুমেন্ট জব্দ করে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হয়। এতে ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে।

‘এ বিষয়ে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা উত্তর কমিশনারেটে পাঠানো হয়েছে।’

কী আছে ভ্যাট গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনে

ভ্যাট গোয়েন্দাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত লংকাবাংলার ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ ১১ কোটি ৩৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪২ টাকা। অপরিশোধিত ভ্যাট বা মূসকের ওপর ২ শতাংশ হারে সুদ ৯ কোটি ২৬ লাখ ৮২ হাজার ৫৬৪ টাকা। সুদসহ অপরিশোধিত ভ্যাট ২০ কোটি ৬০ লাখ ৪১ হাজার ৬০৬ টাকা।

প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ বছরে নন ব্যাংকিং সেবা প্রদান, গ্রহণে মাসিক দাখিলপত্র, ট্রেজারি চালানে পরিশোধিত ভ্যাট, উৎসে ভ্যাট, স্থান-স্থাপনার ভ্যাট যাচাই করে এই ফাঁকির পরিমাণ উদ্ঘাটন করে তদন্ত কমিটি।

অফিস ও স্থাপনা ভাড়ায় ফাঁকি

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স অফিস ও স্থাপনা ভাড়ার ক্ষেত্রে সরকারকে ৩৩ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৭ টাকা ফাঁকি দিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০১১ সালের একটি স্ট্যাটিউরি রিগুলেটরি অর্ডার (এসআরও) অনুযায়ী, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে ৯ শতাংশ হারে মূসক দেয়ার নির্দেশ দেয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে আরও একটি এসআরওর মাধ্যমে মূসকের হার বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়।

লংকাবাংলার মূসক ফাঁকির বিষয়টি যেহেতু ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত, তাই দুটি এসআরও এখানে কার্যকর হবে।

প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী খরচ ও ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে পরিশোধিত মূসকের পার্থক্যে ফাঁকি বের হয়ে আসে।

২০১৩ সালে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ৩ কোটি ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯৬ টাকার সেবা বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ২ কোটি ৮৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩৩ টাকার ওপর মূসক প্রযোজ্য। এর বিপরীতে ২৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৬২ টাকা মূসক দিতে হতো, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি মূসক দিয়েছে ২৪ লাখ ৭৩ হাজার ৮০৬ টাকার। ওই বছর ফাঁকির পরিমাণ ছিল ৯৭ হাজার ৮৫৬ টাকা।

এভাবে প্রতি বছরই প্রতিষ্ঠানটি মূসক ফাঁকি দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ফাঁকি দিয়েছে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে। ওই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ১১ কোটি ২৬ লাখ ৩৪ হাজার ৩৬৯ টাকার সেবা বিক্রির বিপরীতে ৯ কোটি ৭৯ লাখ ৪২ হাজার ৯২৯ টাকার ওপর মূসক প্রযোজ্য ছিল।

সে বছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯১ হাজার ৪৩৯ টাকার মূসক দিতে হতো, তবে ১০ লাখ ৪৬ হাজার ২৯০ টাকা ফাঁকি দিয়ে তারা পরিশোধ করেছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার ১৪৯ টাকা।

ভ্যাট আইন, ১৯৯১-এর ৫৫ ধারা অনুযায়ী, এই টাকা অনতিবিলম্বে আদায়ের বিধান রয়েছে।

উৎসে ভ্যাট ফাঁকি

প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত লিগ্যাল অ্যান্ড প্রফেশনাল ফি, কোর্ট স্ট্যাম্প, টেলিকমিউনিকেশন, কুরিয়ার, বিজ্ঞাপন, প্রিন্টিং, স্টেশনারি, বোর্ড মিটিং, বার্ষিক অডিট ফি, প্রভিডেন্ড ফান্ড অডিট ফিসহ প্রায় ৪০ ধরনের ব্যয়ের বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে ৮ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৭২ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। আইন অনুযায়ী লিমিটেড কোম্পানির ব্যয় বা কেনাকাটার ওপর উৎসে ভ্যাট প্রযোজ্য।

এ ধরনের উৎসে ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সরকার এই ধরনের আয় নিশ্চিত করতে পারে না বলে তা উৎসে থেকে কর্তন করে নেয়। লংকাবাংলা সে সুযোগটিই নিয়েছে।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৩১ লাখ ৪৮ হাজার ৭১৮ টাকা, ২০১৪ সালে ১ কোটি ৬১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৭১ টাকা, ২০১৫ সালে ২ কোটি ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬২ টাকা, ২০১৬ সালে ২ কোটি ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৭৪ টাকা এবং ২০১৭ সালে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭১ টাকার উৎসে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।

নন-ব্যাংকিং সেবায় ফাঁকি

ব্রোকারেজ হাউসের আয়ের বিপরীতে মূসক দিতে হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন নন-ব্যাংকিং সেবার বিপরীতেও সরকারকে কর দিতে হয়।

২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কমিশন, এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউসের আয়, ক্রেডিট কার্ডের কমিশন, লিজ ফাইন্যান্স, টার্ম লোন, শর্ট টাম লোন, ফ্যাক্টরিং ফাইন্যান্স, অটো লোন, হোম লোন, পারসোনাল লোন, ক্রেডিট কার্ড, এসএমই ফাইন্যান্স, মেম্বারশিপ ফি অফ ক্রেডিট কার্ডসহ প্রায় ১৭ থেকে ১৮ ধরনের নন-ব্যাংকিং সেবার বিপরীতে ২১ কোটি ৩৯ লাখ ১৬ হাজার ১৭৬ টাকা মূসক দেয়ার কথা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি দিয়েছে ১৮ কোটি ৪৬ লাখ ২৫ হাজার ৫১৪ টাকা। কোম্পানিটি বাকি ২ কোটি ৯২ লাখ ৯০ হাজার ৬৬২ টাকা সরকারকে পরিশোধ করেনি।

এ ধরনের অপরাধের জন্য মূসক আইন-১৯৯১-এর ৬ ধারা এবং মূসক বিধিমালা, ১৯৯১-এর ২৩ বিধি লঙ্ঘন হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে অপরিশোধিত মূসক আদায়সহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে এনবিআর।

লংকাবাংলার বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ২০১৩ সালের কমিশন, এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউসের আয়, ক্রেডিট কার্ডের কমিশন, লিজ ফাইন্যান্স, টার্ম লোন, শর্ট টাম লোন, ফ্যাক্টরিং ফাইন্যান্স, অটো লোন, হোম লোন, পারসোনাল লোন, ক্রেডিট কার্ড, এসএমই ফাইন্যান্স, মেম্বারশিপ ফি অব ক্রেডিট কার্ডসহ প্রায় ১৭ থেকে ১৮ ধরনের নন-ব্যাংকিং সেবার ওপর প্রযোজ্য ভ্যাট এক কোটি ৫২ লাখ ২৮ হাজার ১০৬ টাকা। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি ২০ লাখ ৩৬ হাজার ২৯৯ টাকা পরিশোধ করেনি।

একইভাবে ২০১৪ সালে ১৭ থেকে ১৮টি সেবার বিপরীতে ২১ লাখ ৩৮ হাজার ৭২১ টাকা, ২০১৫ সালে ৪৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৭৫ টাকা, ২০১৬ সালে ৭১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৫৮ টাকা ও ২০১৭ সালে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৩২ হাজার ১০৭ টাকার ভ্যাট পরিশোধ করেনি।

পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ১৭টি নন-ব্যাংকিং সেবার ওপর প্রযোজ্য দুই কোটি ৯২ লাখ ৯০ হাজার ৬৬২ টাকার ভ্যাট পরিশোধ না করে ফাঁকি দিয়েছে।

নন-স্থাপনা ভাড়ার বিপরীতে ভ্যাট ফাঁকি

ভ্যাট গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালের এনবিআরের আদেশ অনুযায়ী স্থান-স্থাপনা ভাড়ার বিপরীতে ভ্যাট ৯ শতাংশ, ২০১৬ সালের আদেশ অনুযায়ী ১৫ শতাংশ।

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থান-স্থাপনা ভাড়ার বিপরীতে ৩৩ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৭ টাকার ভ্যাট পরিশোধ করেনি। এর মধ্যে ২০১৩ সালে ৯৭ হাজার ৮৫৬ টাকা, ২০১৪ সালে দুই লাখ ৫১ হাজার ৬৮৯ টাকা, ২০১৫ সালে ৯ লাখ ৭ হাজার ৭০৬ টাকা, ২০১৬ সালে ১০ লাখ ৩১ হাজার ৭৬৮ টাকা, ২০১৭ সালে ১০ লাখ ৪৬ হাজার ২৯০ টাকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের নন-ব্যাংকিং সেবার আয়ের বিপরীতে মোট ভ্যাট ২ কোটি ৯২ লাখ ৯০ হাজার ৬৬২ টাকা, প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ের বিপরীতে উৎসে ভ্যাট ৮ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৭২ টাকা ও স্থাপনা ভাড়ার বিপরীতে ভ্যাট ৩৩ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৭ টাকাসহ পাঁচ বছরে মোট ১১ কোটি ৩৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪২ টাকার ভ্যাট পরিশোধ করেনি।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী পরিহার করা ভ্যাটের ওপর ২ শতাংশ হারে সুদ ৯ কোটি ২৬ লাখ ৮২ হাজার ৫৬৩ টাকা। সুদসহ পরিহার করা মোট ভ্যাট ২০ কোটি ৬০ লাখ ৪১ হাজার ৬০৬ টাকা।

এ ভ্যাট পরিশোধে ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা ভ্যাট উত্তর কমিশনারেট থেকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর দাবিনামাসংবলিত কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়।

নোটিশে প্রতিষ্ঠানকে ১৫ দিনের সময় দেয়া হয়। লিখিত জবাব ও শুনানিতে অংশগ্রহণ না করলে দাবিনামা চূড়ান্ত হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা শাহরিয়ারের ব্যক্তিগত মোবাইলে সম্প্রতি ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। রোববার কল করেও তার ফোন রিসিভ হয়নি। খুদেবার্তা পাঠালেও তিনি জবাব দেননি।

প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে রোববার যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি।

আরও পড়ুন:
লংকাবাংলার ফাঁকি দেয়া ভ্যাট অবশেষে জমা
বিপুল ভ্যাট ফাঁকি লংকাবাংলার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Cucumbers started selling in dreams at lower prices than the open market

স্বপ্নতে ১২ টাকা কেজিতে শসা

স্বপ্নতে ১২ টাকা কেজিতে শসা শসাচাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শসা কেনে ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। কোলাজ: স্বপ্ন
স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘আমরা শসাচাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্য মূল্যে।’

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসাচাষিরা দাম পাওয়া নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন।

এমন দুঃসময়ে শসাচাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসাচাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে চার টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা।

এমন সময় সেই শসাচাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্যটি কেনে ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলাবাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে।

খোলা বাজারে বৃহস্পতিবার ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২ টাকা কেজিতে গ্রাহকরা কিনতে পেরেছেন। এরই মধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে দুই টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ছয় টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্নর আউটলেটে। স্টক থাকা অবধি এ অফার গ্রাহকরা পাবেন।

স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘আমরা শসাচাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্য মূল্যে।

‘অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এ চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।’

এ প্রসঙ্গে স্বপ্নর হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসাচাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াব। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরই মধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি।

“দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।”

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার, কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায়। প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পাঁচ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্ট হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল।’

তিনি আরও বলেন, “আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানির ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার। তাদের অশেষ ধন্যবাদ।”

আরও পড়ুন:
লাউয়াছড়ায় গাড়িচাপায় প্রাণ গেল ১২ ফুট অজগরের
এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ফিরিঙ্গি বাজার বস্তির আগুন
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কমলগঞ্জে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা
দুর্বৃত্তের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হওয়া যুবকের মৃত্যু
মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে, সামান্য স্বস্তি সবজিতে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The new record price of gold in the countrys market is Tk 119638

দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা

দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা
বাজুস নির্ধারিত দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে গহনা বিক্রি করা হয়। সে সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।

দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে রেকর্ড ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে তিন মাসে অষ্টমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বেড়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সবশেষ দশ দিন আগে ৮ এপ্রিল বাজুস ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের স্বর্ণের বাজারে উচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।

এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।

আরও পড়ুন:
স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা
কমলো স্বর্ণের দাম
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১,১২,৯০৮ টাকা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of bottled soybean oil increased by Tk 4 per liter

লিটারে ৪ টাকা বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম

লিটারে ৪ টাকা বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম দোকানে সাজিয়ে রাখা সয়াবিন তেলের বোতল। ফাইল ছবি
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে। আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।

‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।

‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’

আরও পড়ুন:
চলতি মাসেই জ্বালানি তেলের দাম কমছে: প্রতিমন্ত্রী
সয়াবিন তেলের নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে শুক্রবার
বিশ্ববাজারের সঙ্গে ওঠানামা করবে জ্বালানি তেলের দাম: প্রতিমন্ত্রী
দুর্ঘটনার ১০ দিন না যেতে সড়কেই প্রাণ গেল তেলেঙ্গানার বিধায়কের
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমল ১০ টাকা, ১ মার্চ থেকে কার্যকর

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bank Asia to acquire foreign bank Alfalah

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া
পাকিস্তানের করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি

করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Legal notice and cancellation of contracts to advertising companies promoting dramas contrary to Waltons ideals and principles

‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল

‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল ওয়ালটনের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।

পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’

এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন:
ঈদ উৎসবে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার হিড়িক
ওয়ালটন টিভি কিনে এয়ার টিকিটের সুযোগ চাঁদরাত পর্যন্ত
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৩৩তম মিলিয়নিয়ার হলেন রাজশাহীর মাদ্রাসাশিক্ষক আমিনুল
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ হিরো বাংলাদেশের
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এলো কল্লোল গ্রুপ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The DMD of the state owned bank is Faiz Alam

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। ছবি: সংগৃহীত
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।

ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।

পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Traders want to increase the price of edible oil by 10 taka per liter not the state minister

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা, প্রতিমন্ত্রীর ‘না’

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা, প্রতিমন্ত্রীর ‘না’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে। ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (১৫ এপ্রিল)। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএফএ) সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

বিভিওআরভিএমএফএ’র নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কাঁচামাল আমদানি ও ভোজ্যপণ্য উৎপাদনে কর অব্যাহতির মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিধায় পরদিন ১৬ এপ্রিল থেকে ভ্যাট অব্যাহতির আগের নির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে।

এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে।

‘ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
ভোজ্যতেলে ভ্যাটমুক্ত সুবিধা তিন মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে সেই পুরোনো কৌশল

মন্তব্য

p
উপরে