পুঁজিবাজারে কালো টাকা নামে পরিচিতি পাওয়া অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ বহাল রাখার ইঙ্গিত দেয়ার পর বৃহস্পতিবার উত্থানের সঙ্গে মিল রেখে নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন লেনদেনের শুরুটা ছিল ঝলমলে। কিন্তু শেষ বেলায় পুরো বিপরীত চিত্র।
রোববার লেনদেনের প্রথম ১৫ মিনিটে ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে গেলেও দিন শেষ হয়েছে সূচকের ১৯ পয়েন্ট পতনের মধ্য দিয়ে।
বৃহস্পতিবার ২৩ কর্মদিবস পর লেনদেন প্রথমবারের মতো ১ হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়ালেও সেটি আবার কমে গেছে। লেনদেন হয়েছে ৮৯৫ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
৬২টি কোম্পানির দর বাড়লেও কমে গেছে ২৮২টির। ৩৮টি দর ধরে রাখতে পারে কোনো রকমে।
আগের কর্মদিবসে বেড়েছিল ১৯৮টি কোম্পানির দর, কমেছিল ১৩৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৮টির দর।
বুধবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম একটি অনুষ্ঠানে বলেন, তিনি পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ বহাল রাখার পক্ষে। একই দিন সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে যেসব প্রস্তাব রাখা হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজার অবশ্যই চাঙা হবে। পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার যে সুযোগ দেয়া হয়েছে, সেগুলো এলে একটি অংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হবে বলেই বিশ্বাস করেন তিনি।
একই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক আমিনুর রহমানকে বদলির খবর আসে গণমাধ্যমে।
আমিনুর তুমুল আলোচিত ছিলেন এ কারণে যে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন সব বিষয় দেখভাল করতেন, যা পুঁজিবাজারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব ছিল।
কয়েক বছর ধরেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আলোচনা ছিল যে বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজার নিয়ে রক্ষণশীল। প্রায়ই এমন সিদ্ধান্ত এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে, যা বাজারের জন্য নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে পুঁজিবাজারে ধীরগতির পেছনে যেসব কারণ উঠে এসেছিল তার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মধ্যে মতদ্বৈধতার বিষয়টি সামনে এসেছে। পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলে, এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে দুই সংস্থা সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেবে- ২০১৪ সালে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি জানানো হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায়ই নানা সময় একক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা নিয়ে বিএসইসি একাধিকবার প্রকাশ্যেই তাদের অসন্তোষ জানিয়েছে।
পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমিনুর রহমানের ভূমিকা ছিল। বাজার চাঙা করতে সম্প্রতি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে যেসব প্রস্তাব ও পরামর্শ দেয়া হয়, তার মধ্যে একটি ছিল আমিনুরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া।
বাজেট ঘোষণার পর টানা তিন কর্মদিবসে ১১৮ পয়েন্ট সূচক পড়লেও পরের দুই দিনে ৬৪ পয়েন্ট উত্থান হওয়ার পর রোববার ভালো দিন কাটবে ভেবেছিলেন যারা, হতাশ হয়েছেন।
শেয়ারদর ও সূচক বেড়ে লেনদেন শুরু হলেও বেলা যত গড়ায়, তত বেশি কমে যায় তা। লেনদেনের গতি কমে যাওয়াটা আরও হতাশার।
মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে বাজার কিছুটা সংশোধনের মধ্যে গেছে। যেগুলোর দর বেড়েছিল, সেগুলোর অ্যাডজাস্টমেন্ট হয়েছে।’
লেনদেন কমার ব্যাপারে তিনি বলেন, 'সংশোধনের কারণে অনেকেই ট্রেড করেননি। তাই লেনদেন কম হয়েছে।’
জনাব স্বাধীন বলেন, ‘আমার মনে হয়, সার্বিকভাবে বাজার সংশোধনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সিলেটের বন্যা ও বাজেট নিয়ে এখনও আলোচনা হচ্ছে, চূড়ান্ত হওয়ার পর বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে।’
সূচক কমাল যারা
সূচকের পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল রবি এবং ব্র্যাক ব্যাংক। রবির শেয়ারের দর কমেছে ১.০৩ শতাংশ। এতে করে সূচক কমেছে পেয়েছে ৩.০১ পয়েন্ট।
ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারদর ১.৭১ শতাংশ কমায় সূচক হারিয়েছে ২.০১ পয়েন্ট।
ওয়ালটনের কারণে সূচক কমেছে ১.৯৭ পয়েন্ট। কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.৩১ শতাংশ কমেছে।
আইসিবির দরপতনে ১.২০ শতাংশ পরপতনে ১.৮৫ পয়েন্ট, লাফার্জ হোলসিমের ১.১১ পয়েন্ট দরপতনে ১.৭৮ পয়েন্ট সূচক কমেছে।
এছাড়া স্কয়ার ফার্মা ১.৩৬ পয়েন্ট, বিকন ফার্মা ১.১১ পয়েন্ট, আল আরাফাহ ব্যাংক ১.০২ পয়েন্ট, বার্জার পেইন্টস ০.৮১ পয়েন্ট এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক সূচক কমিয়েছে ০.৮০ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক ফেলেছে ১৫.৭২ পয়েন্ট।
বিপরীতে বেক্সিমকো লিমিটেড এবং গ্রামীণফোনের সূচক বাড়ানোর চেষ্টায় ছিল। বেক্সিমকোর দর ২.৬৭ শতাংশ বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ৬.০৫ পয়েন্ট। গ্রামীণফোনের দর ০.৬২ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৪.৯২ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো গ্রুপের আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা সূচক বাড়িয়েছে ১.৮০ পয়েন্ট। কোম্পানিটির দর ১.২৯ শতাংশ বেড়েছে।
পাওয়ার গ্রিডের দর ১.৭৯ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বেড়েছে ১.৩৭ পয়েন্ট। ইউনাইটেড পাওয়ারের ০.৪৮ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ১.৩৩পয়েন্ট।
এছাড়া বাংলাদেশে শিপিং করপোরেশন ১.৩২ পয়েন্ট, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ১.১৬ পয়েন্ট, ইউনিলিভার ০.৭৬ পয়েন্ট, রেকিট বেনকিজার ০.৬৯ পয়েন্ট এবং জেএমআই হাসপাতাল ০.৫৫ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৯.৯৫ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
ধারাবাহিকভাবে দর বাড়ছে ইন্স্যুরেন্স খাতের কোম্পানি মেঘনা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের। সম্প্রতি তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৮ জুন। ৯.৮৪ শতাংশ দর বেড়েছে কোম্পানিটির। ১৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে ২১ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে কোম্পানিটির।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মুন্নু ফেব্রিক্সের দর বেড়েছে ৯.৩৬ শতাংশ। কোম্পানিটি বিদ্যুৎ
সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৭.৫৮ শতাংশ। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার ৫৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে হাতবদল হয়েছে ৫৮ টাকা ২০ পয়সায়।
৬.৯৪ শতাংশ দর বেড়ে ১১৪ টাকা ৯০ পয়সায় শেয়ার লেনদেন হয়েছে আল-হাজ্ব টেক্সটাইলের।
প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের দর ৪.৮৯ শতাংশ বেড়ে ৭৯ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
উৎপাদন শুরু করে তেল বাজারজাতকরণের অপেক্ষায় থাকা এমারেল্ড অয়েলের দর বেড়েছে ৪.৪২ শতাংশ।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ঢাকা ডাইং, এইচ. আর টেক্সটাইল, হাক্কানি পাল্প, ইনফর্মেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক এবং ইনটেক লিমিটেড ছিল দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায়।
দরপতনের শীর্ষে যেগুলো
দর কমার শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা দুই কোম্পানি সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করেছে। এর মধ্যে সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৩০ পয়সা বা ২ শতাংশ কমেছে। মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের দর কমেছে ৫০ পয়সা বা ২ শতাংশ।
দর পতনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল পলিমারের শেয়ারের দর কমেছে ১ টাকা ১১ পয়সা বা ২ শতাংশ।
আরেক কোম্পানি গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের দরও ২ শতাংশ কমেছে। আগের দিনের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৮০ পয়সা।
এছাড়াও সিলভা ফার্মার ১.৯৯ শতাংশ, নাহি অ্যালমুনিয়ামের ১.৯৮ শতাংশ, ইউনিক হোটেলের ১.৯৮ শতাংশ, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ১.৯৮ শতাংশ, পপুলার লাইফের ১.৯৮ শতাং এবং সোনারগাঁও হোটেলের শেয়ারের দর ১.৯৮ শতাংশ করে কমেছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য