× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Good news on the price of golden chicken
google_news print-icon

সোনালি মুরগির দামে সুখবর

সোনালি-মুরগির-দামে-সুখবর
ফাইল ছবি
কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা সোহাগ মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহের চাইতে আইজক্যা মুরগির দাম কমছে ৪০ টাকা। ব্রয়লার আগের দামই আছে।’

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে সোনালি মুরগির দাম।

শুক্রবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা সোহাগ মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহের চাইতে আইজক্যা মুরগির দাম কমছে ৪০ টাকা। ব্রয়লার আগের দামই আছে।’

অপরিবর্তিত থেকে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। তবে লাল লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২৭০ টাকায়।

গত সপ্তাহের মতোই প্রতি কেজি গরুর মাংস বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯৫০ টাকায়।

শীত মৌসুমে সবজির দাম এবার চড়া থাকলেও গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে আসার পর দাম কমেছে অনেকটাই। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় আলুর দাম কিছুটা বেড়েছে।

বিক্রেতা বাদশা মিয়া বলেন, ‘আলুর দাম হুট কইরা বাইড়া গেচে। কয়দিন আগেও আলু বিক্রি করচি ২০ টাকায়।’

বরবটি ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০, করলা ৩০-৪০, কাঁচা পেঁপে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কচুরমুখী, পটোল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এখন সবজির সরবরাহ কম। তার পরও দাম খুব বেশি বাড়েনি। তার ওপর বৃষ্টি হয়েছে, বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম। দু-একটা সবজির দাম বেড়েছে বা কমেছে। বাকিগুলা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।’

আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

প্রতি কেজি চায়না লাল রসুন গত সপ্তাহের মতোই ১২০ টাকা, সাদা রসুন ১৩০ এবং দেশি রসুন ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আদা বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি।

দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা এবং দেশি হাইব্রিড পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজিতে খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে।

মৌসুমেও দাম কমেনি চালের, ক্রেতা-বিক্রেতার অসন্তোষ

মে মাসের শুরুতেই চালের ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় দাম বেড়ে যায় ৫০০ টাকা। এরপর বাড়তি দামেই বিক্রি শুরু হয় চাল। ভরা মৌসুমে এসেও দাম কমেনি চালের।

কারওয়ান বাজারের হাজি রাইস এজেন্সির শামীম রেজা বলেন, ‘চালের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। গত মাসের শুরুতেই বস্তাপ্রতি ৫০০ টাকা করে বেড়ে যায় দাম। এরপর সেই দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে।’

বাজারে প্রতি কেজি আটাশ চাল ৫০-৫২ টাকা, মিনিকেট ৬৪-৬৮ টাকা, রকমভেদে নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৯২ টাকা, চিনিগুঁড়া ১০০ থেকে ১১৫ টাকা, স্বর্ণা ৪৬-৫০ টাকা, কাটারিভোগ ১৩০-১৩৪ টাকা, বাসমতি ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আনাস আহমেদ নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘এখন চালের মৌসুম। এখন যে চাল উৎপাদন হবে, সেটা দিয়েই সারা বছর চলবে। এই সময়ে যে দাম হওয়ার কথা। তার চেয়ে অনেক দাম বেশি।’

আল্লাহর দান রাইস স্টোরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আউয়াল তালুকদার, ‘এখন যেহেতু চালের মৌসুম তাই অন্যান্য সময়ের চেয়ে দাম ৮-১০ টাকা কম হওয়ার কথা। কিন্তু কমেনি। শুধু ক্রেতা নন, আমরা বিপাকে পড়েছি।’

মাছের দাম

কারওয়ান বাজারে দুই কেজির কাতল ৩০০-৩৫০ টাকা, দুই থেকে চার কেজি ওজনের কাতল ৩৫০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রকমভেদে তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়।

৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার টাকা, বোয়াল আকারভেদে ৭০০ থেকে ৫০০, মৃগেল ২২০-২৫০, তিন কেজি ওজনের দেশি রুই ৫৫০, ছোট রুই ৩০০-৩৫০, গ্রাস কার্প ২৫০-৩০০ টাকা বিক্রি হয়েছে।

এ ছাড়া আইড় ৭০০-৮০০, পাবদা ৫০০, ট্যাংরা ৬০০, চিতল ৬০০, কৈ ২৫০-৩৫০ ও টাকি মাছ ৪৫০ টাকায় কেজি বিক্রি হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ মুরগির মাংস-ডিমে ‘সাফল্য’
মুরগি-ডিমের দাম বৃদ্ধির যত কারণ
মরা মুরগির মাংস হোটেলে দিচ্ছিলেন তিনি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
The price of broiler increased again

আবার বাড়ল ব্রয়লারের দাম

আবার বাড়ল ব্রয়লারের দাম ব্রয়লারের দাম বেড়েছে। কোলাজ: নিউজবাংলা
গত বেশ কিছু দিন ধরে দেশের বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে ‘অরাজকতা’ চলছিল। ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা মধ্যে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম হাঁকিয়েছিলেন বিক্রেতারা। তবে এর কয়েক দিন পরই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা দেশের ‘বিগফোর’ খ্যাত চারটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে তলব করলে দাম কিছুটা কমে ২০০ টাকার ঘরে এসেছিল।

দুদিনের মতো ২০০ টাকার ঘরে থাকার পর ব্রয়লার মুরগির দাম আবার বেড়েছে। শুক্রবার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।

গত বেশ কিছু দিন ধরে দেশের বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে ‘অরাজকতা’ চলছিল। ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা মধ্যে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম হাঁকিয়েছিলেন বিক্রেতারা। তবে এর কয়েক দিন পরই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা দেশের ‘বিগফোর’ খ্যাত চারটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে তলব করলে দাম কিছুটা কমে ২০০ টাকার ঘরে এসেছিল।

ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা চাইলেন দাম বাড়ে, তারা চাইলেই দাম কমে। এই ‘সিন্ডিকেট’ থেকে মুক্তি চান ক্রেতারা।

শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা, কারওয়ান বাজার, নাখালপাড়া কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লারের দাম গত সপ্তাহে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, ভোক্তার তলবের পর চার প্রতিষ্ঠান আশ্বাস দেয় খামার পর্যায়ে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা বিক্রি করার। সেই আশ্বাসের পর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। মিলগেটে বিক্রি হয় ১৫৫ টাকায়। তবে তার দুদিন পরই এই দাম আরেকবার লাফ দেয়। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। এ ছাড়া লেয়ার মুরগি ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হতে দেখা গেছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজিতে।

বাড্ডা বাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা আনোয়ার হোসেন সবুজ বলেন, ‘দেখলাম ব্রয়লারের দাম একটু কমেছে। এখন বাজারে এসে দেখি আবার ২০ টাকা কেজিতে বেড়ে গেছে। দুই দিনের ব্যবধানে কেজি ৬০-৮০ টাকা কমিয়ে তারা কীভাবে ২০০ টাকা বিক্রি করছিল? এখন তাহলে আবার কেন কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে দিল? তাহলে তো বোঝাই যাচ্ছে এগুলোর দাম তারা নিজের ইচ্ছেমতো বাড়ায় ও কমায়। এসব সিন্ডিকেট থেকে মুক্ত হওয়া দরকার।’

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা কেজিতে। আর ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ টাকা কেজিতে।

গত সপ্তাহের মতোই প্রকারভেদে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি, বুটের ডালের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, খেসারি ডালের বেসন ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল। মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, আর চিকন মসুর ডাল ১৪৫ টাকায় অপরিবর্তিত দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনির মূল্য গত সপ্তাহের সমান ১২০ টাকা কেজি, মুড়ি ৮০ টাকা, বেগুনের দর ৮০ টাকা, আলুর কেজি ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর দাম কিছুটা কমে প্রকারভেদে হালি ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির মধ্যে সবগুলোর দামই গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে। করলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এবং শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্রতি কেজি পটলের দাম ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকার মধ্যে রাখা হচ্ছে। লাউ প্রকারভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার স্থিতিশীল

বাজারে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের মাছের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। রুই আকারভেদে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা প্রতি কেজিতে। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়।

দাম অপরিবর্তিত থাকার ব্যাপারে নাখালপাড়া কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী সোহেল হোসাইন বলেন, ‘রোজা এলে সবকিছুর দামই একটু বাড়তির দিকে থাকে। তবে রোজার কয়েক দিন যাওয়ার পর থেকেই দাম কমা শুরু করে। তাই গত সপ্তাহে যেসব পণ্যের দাম কমেছিল, সেগুলো আগের দরেই আছে। রোজার আরও কিছুদিন পর আরেকটু কমতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এখন কমা বা আগের দাম থাকলেও ঈদের কয়েক দিন আগে আবার কিছুটা দাম বাড়বে। বুঝেনই তো, মানুষ ঈদের আগে একটু কেনাকাটার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাই চাহিদাও বাড়ে, দামও বাড়ে। তবে দাম কম থাকলে আমাদের বেচাকেনা বেশি হয়।’

আরও পড়ুন:
‘ব্রয়লারের দাম কেজিতে কমেছে ১০০ টাকা’
‘পোল্ট্রি খাতে ৫২ দিনে ৯৩৬ কোটি টাকা লুট’
খামারে ১৯৫ টাকার মধ্যে ব্রয়লার বিক্রির আশ্বাস
ব্রয়লারের দামে রেকর্ডের কারণ কী
ব্রয়লার মুরগির মাংস ঝুঁকিপূর্ণ নয়: কৃষিমন্ত্রী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Eid shopping has accumulated on the sidewalk

ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটা

ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটা রাজধানীর একটি ফুটপাতে ক্রেতাদের ভিড়। ফাইল ছবি
রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অস্থায়ী দোকানগুলোতে কেউ চৌকি পেতে, কেউ কাঠের টেবিল বা ভ্যানের ওপর, কেউ হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে, আবার কেউ চাদর বিছিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাকের সঙ্গে প্রসাধনী সামগ্রী সাজিয়ে রেখেছেন।

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীর ফুটপাতগুলোতে জমে উঠেছে জামা, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্য বেচাকেনা।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অস্থায়ী দোকানগুলোতে কেউ চৌকি পেতে, কেউ কাঠের টেবিল বা ভ্যানের ওপর, কেউ হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে, আবার কেউ চাদর বিছিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাকের সঙ্গে প্রসাধনী সামগ্রী সাজিয়ে রেখেছেন।

ফার্মগেট ওভারব্রিজের সামনে ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে বসা সেলিম মিয়া জানান, কিছুদিন আগে বেচা-বিক্রি কম থাকলেও এখন বেশ বেড়েছে।

স্থায়ীভাবে বসতে পারছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এই জায়গায় আগে থেকেই বসি। ঈদের জন্য কালেকশন বাড়াইছি। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয় নাই।’

নীলক্ষেত ওভারব্রিজের নিচে নারীদের পোশাক নিয়ে বসা রইছ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের তো এই সময়টাতেই একটু আয় বেশি হয়, কিন্তু পুলিশ বললে আবার উঠতে হয়। বেচাকেনা অবশ্য খারাপ না।’

ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বেচাকেনা চলে জানিয়ে রইছ বলেন, রাজধানীর ইসলামপুর, বঙ্গবাজার, সদরঘাটের বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে পণ্য এনে ফুটপাতে বিক্রি করছেন।

মিরপুর ১০ নম্বর ফুটপাতে নিয়মিতই চলে কেনাবেচা। ঈদকে সামনে রেখে নতুন উদ্যমে নামেন বিক্রেতারা।

এখানে পোশাক কিনতে আসা নিলুফা বলেন, ‘আমি একটা গার্মেন্টসে চাকরি করি। কেনাকাটার জন্য ফুটপাতে বসা মার্কেটগুলোই আমাদের ভরসা।

‘বাচ্চাদের পোশাকসহ প্রায় সব ধরনের জিনিসই এখান থেকে কম দামে কিনতে পারি।’

এবার মোটামুটি কম দামেই সব পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

আরেক ক্রেতা আফতাব বলেন, ‘আমি একটি কোম্পানিতে অ্যাকাউন্টসে চাকরি করি। বাচ্চাদের জন্য জামা কিনতে এসেছি। বেতন-বোনাস পেলে সবার জন্যই কিনব।

‘প্রতি বছর এসব জায়গা থেকেই কিনি। ছেলে, মেয়ে ছাড়াও তো পরিবারের অনেকের জন্য কিনতে হয়।’

কী পাওয়া যায় ফুটপাতে

রাজধানীর ফার্মগেট ওভারব্রিজ, বলাকা সিনেমা হলের পাশে, নিউ মার্কেট, চাঁদনী চক মার্কেটের সামনে, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের সামনে, মিরপুর-১০ নম্বর ওভারব্রিজের নিচে, মালিবাগ, রামপুরা, খিলগাঁও, গুলিস্তানের মতো জায়গার ফুটপাতে ক্রেতাদের বেশ ভিড় লক্ষ করা যায়।

এসব জায়গায় স্বল্প আয়ের মানুষ ঘুরে ঘুরে পছন্দের পোশাকটি কিনেন।

ফুটপাতে রয়েছে শিশুদের পোশাক, জুতা, মেয়েদের ওয়ান পিস, টপস, ফ্রক, ডিভাইডার টপস। এমনকি তুলনামূলক অনেক কম দামে পার্টি ড্রেসও পাওয়া যায়। পাশাপাশি রয়েছে প্রসাধনী।

অপেক্ষাকৃত কম দামে দুল, মালা, ক্লিপ, লিপস্টিক, নেইলপলিশের মতো কসমেটিক সামগ্রীও মেলে। দোকানগুলোতে ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট পাওয়া যায়।

কোন পোশাকের দাম কত

বিভিন্ন ফুটপাত ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে শিশুদের জন্য ডেনিম (জিন্স) প্যান্ট ১০০ থেকে ২৫০, অন্য প্যান্ট ৩০ থেকে ৬০, প্যান্ট ও গেঞ্জির সেট ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিশুদের ফ্রক ও টপস ২৫০ থেকে ৪৫০, ওয়ান পিস ১৫০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

মেয়েদের থ্রি পিস ৩৫০ থেকে ৬৫০, টপস ও ওয়ান পিস ২৫০ থেকে ৩৫০, পার্টি ড্রেস ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০, স্যান্ডেল ও জুতা ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন:
মিলাদুন্নবীতে বঙ্গভবনে মিলাদ মাহফিল
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ-দোয়া
চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে লাখো মানুষ
আজ ঈদে মিলাদুন্নবী
সাঈদীর জাকাত আত্মসাৎ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন আইয়ুব আলী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A novel protest against rising commodity prices

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির অভিনব প্রতিবাদ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির অভিনব প্রতিবাদ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদস্বরূপ পারফর্মিং আর্টস প্রদর্শন করেন করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পারফর্মিং আর্টস প্রদর্শনীতে দেখা যায়- দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে শেকলবন্দি প্রশাসন, হলুদ গণমাধ্যম, বুদ্ধিজীবী রাজনীতিবিদসহ দেশের সাধারণ জনগণ। সিন্ডিকেট হাতে হাজার টাকার টাকার নোট দেখিয়ে লেলিয়ে রাখছে স্বায়ত্তশাসিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। টাকার লোভ দেখিয়ে বন্ধ রাখছে দেশের বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদসহ হলুদ মিডিয়াকে।

সারাদেশে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থী। ‘ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের শেকলবন্দি জনতন্ত্র’ প্রতিপাদ্যে পারফর্মিং আর্টস প্রদর্শন করেন তারা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদস্বরূপ পারফর্মিং আর্টস প্রদর্শনীর আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা।

প্রদর্শনীতে দেখা যায়- দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে শেকলবন্দি প্রশাসন, হলুদ গণমাধ্যম, বুদ্ধিজীবী রাজনীতিবিদসহ দেশের সাধারণ জনগণ। সিন্ডিকেট হাতে হাজার টাকার টাকার নোট দেখিয়ে লেলিয়ে রাখছে স্বায়ত্তশাসিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। টাকার লোভ দেখিয়ে বন্ধ রাখছে দেশের বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদসহ হলুদ মিডিয়াকে।

প্রদর্শনীর একপাশে তারুণ্যের প্রতীক হয়ে কেউ কেউ লড়ে যাচ্ছেন দেশের চলমান সব অনিয়ম-দুর্নীতিসহ সব অপশক্তির বিরুদ্ধে। হাত তুলে গর্জে উঠে উচ্চারণ করছেন- ‘এই ক্রান্তিলগ্নে দেশকে উদ্ধার করবে কে? এই দুঃসময়ে দেশকে উদ্ধার করবে কে? দেশের পরাধীন গণমাধ্যমকে উদ্ধার করবে কে? স্বৈরাচারের পতন আনবে কে? এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমাবে কে?’

আর্টস প্রদর্শনীতে মূল ছয়টি চরিত্রে এই অভিনয় সম্পাদিত হয়। এর মধ্যে ‘দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী’ চরিত্রে অভিনয় করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। ‘তরুণ সমাজ’ চরিত্রে অভিনয় করেন আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এম এ সায়েদ। অন্য চরিত্রগুলো হলো- প্রশাসন, হলুদ গণমাধ্যম, বুদ্ধিজীবী রাজনীতিবিদ ও জনসাধারণ।

আরও পড়ুন:
গাড়িতে আটকে মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন ৭ মে
ঢাবির রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ী গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নিজাম চৌধুরী
ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিমের চাঁদাবাজি তদন্তে কমিটি
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ অধিকার পরিষদের
ঢাবির সাবেক অধ্যাপক রাশিদুল হাসানের মৃত্যু

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
If irregularities are found in the shopping mall action will be taken against the market committee

শপিং মলে অনিয়ম পেলে মার্কেট কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

শপিং মলে অনিয়ম পেলে মার্কেট কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ঈদকে সামনে রেখে শপিং মলে অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ফাইল ছবি
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা চাই সবাই আইন মেনে ব্যবসা করুক এবং ভোক্তাগণ যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পান। শপিং মলগুলোতে অনিয়ম পেলে মার্কেট কমিটিকে দায়ী করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’   

ঈদকে সামনে রেখে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে শপিং মলগুলোতে কোনো অনিয়ম হলে মার্কেট কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এক মতবিনিময় সভায় এমন হুঁশিয়ারি দেন মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক/কাপড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন নিয়ে এ মতবিনিময় সভা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি, এনএসআইয়ের প্রতিনিধি, টিসিবির প্রতিনিধি, আড়ং, আর্টিসান, অঞ্জনস, টপ টেন, লুবনান, নগরদোলা, রং বাংলাদেশের মতো ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা।

স্বাগত বক্তব্যে অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাপড়ের গুণগত মান যেন ভালো থাকে এবং বিদেশি যারা আসেন, তারা যেন কাপড়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারেন। কাপড়ের প্রাইস ট্যাগ যেন ফ্যাক্টরিতে লাগানো হয়; শোরুম পর্যায়ে যেন প্রাইস ট্যাগ লাগানো না হয়। এর ব্যত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সভায় ঈদ উপলক্ষে একই পোশাকের দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাড়িয়ে দেয়া, একটি পোশাকে বিভিন্ন দামের প্রাইস ট্যাগ লাগানো, সিট কাপড়ের ক্ষেত্রে মিটারের পরিবর্তে গজের ব্যবহার, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, আসল বলে নকল কাপড় বিক্রি করা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

রেডিমেড গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে মোড়কের গায়ে এমআরপি না লেখা, এমআরপি ঘোষামাজা/কাটাকাটি করে বেশি মূল্য নির্ধারণ, পুরাতন মূল্যের ওপর নতুন স্টিকার লাগিয়ে বেশি মূল্য নেয়া, ১০০ শতাংশ কটন ঘোষণা দিয়ে শতভাগ কটন না দেয়া, কাটা-ফাটা পোশাক বিক্রি এবং সময়মতো এক্সচেঞ্জ করে না দেয়া, ভোক্তাদের পেমেন্টের ক্ষেত্রে লম্বা লাইনে অপেক্ষমাণ না রাখার মতো বিষয়েও আলোচনা করা হয়।

বিভিন্ন কাপড়ের ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠান থেকে আগত প্রতিনিধিরা সভার আলোচনা থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনা অনুসরণ করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বিদেশি পোশাক ও কসমেটিকসের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের নাম ও সিল থাকতে হবে এবং এমআরপি আমদানিকারক প্রদত্ত হতে হবে।

নকল পণ্যের বিষয়েও তিনি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন এবং এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন।

এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান আলোচনায় বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে কিছু বিক্রয়কারী আমাদের দেশে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে ভিতরে ভিতরে টার্গেট কাস্টমারের কাছে বিদেশি কাপড় বিক্রয় করছে। এই ধরনের কার্যক্রম দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ ক্ষেত্রে তথ্যগুলো আমাদের কাছে দেয়া হলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

‘আমরা চাই সবাই আইন মেনে ব্যবসা করুক এবং ভোক্তাগণ যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পান। শপিং মলগুলোতে অনিয়ম পেলে মার্কেট কমিটিকে দায়ী করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কাপড়ের ব্যবসায়ীরা মূল্য ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভোক্তাদের স্বস্তি দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
রমজানে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে চান ব্যবসায়ীরা
বিপণিবিতানে কমেছে বেচাকেনা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Lakhs fined in South City campaign to control commodity prices

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ সিটির অভিযানে লাখ টাকা জরিমানা

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ সিটির অভিযানে লাখ টাকা জরিমানা বাজারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অভিযান। ছবি: নিউজবাংলা
বুধবার নগরীর কাপ্তান বাজার ও ঠাটারি বাজারে এ অভিযান চালানো হয়। সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান এ অভিযান পরিচালনা করেন।

বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বাজার ব্যবস্থাপনা তদারকিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। অভিযানে ১০ মামলায় ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

বুধবার নগরীর কাপ্তান বাজার ও ঠাটারি বাজারে এ অভিযান চালানো হয়। সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে বাজারের মূল রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে দোকান প্রতিষ্ঠা করা ও মূল্য তালিকা না টানানোয় ১০টি মামলায় মোট ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযান প্রসঙ্গে মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাজার মূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শহিদ উল্লাহ মিনুর নেতৃত্বে বিভিন্ন বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় প্রতি সপ্তাহে আমরা নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে চলেছি। আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।’

অভিযানে করপোরেশনের বাজার মূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহিদ উল্লাহ মিনু, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফী, ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের মধ্যে ২ নম্বর আসনের মাকসুদা শমশের, ১৩ নম্বর আসনের শাহিনুর বেগম ও ২১ নম্বর আসনের সেলিনা খান উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
রমজানে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে: এফবিসিসিআই
আট নিত্যপণ্যের এলসি মার্জিন ন্যূনতম রাখার নির্দেশ
নিত্যপণ্যের বাড়তি দরে ‘গরিবগঞ্জের পরিস্থিতি’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Broiler chicken reduced by Tk 100 per kg

‘ব্রয়লারের দাম কেজিতে কমেছে ১০০ টাকা’

‘ব্রয়লারের দাম কেজিতে কমেছে ১০০ টাকা’ ফাইল ছবি
ক্রেতাদের একবারে বেশি পণ্য ক্রয় ‘প্যানিক বায়িং’ না করার পরামর্শ দিয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘ভোক্তাদের বলবো আপনারা প্যানিক বায়িং করবেন না। বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য আপনাদেরকেও দায়িত্বশীল হতে হবে।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তররের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, দেশব্যাপী অভিযান এবং তৎপরতার কারণে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০০ টাকা কমেছে। অন্যান্য বছর রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা গেলেও এবার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান মঙ্গলবার বলেন, ‘মুরগির দাম অযৌক্তিভাবে বেড়ে যাওয়ায় ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছিল। আমরা এর প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদেরকে সঙ্গে নিয়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করি। এর ফলস্বরুপ পোল্ট্রি মুরগি এখন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০০ টাকা কমেছে।’

তিনি বলেন, ‘রমজানে ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করছে। বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে পুরো রমজান মাসজুড়ে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। ’

ক্রেতাদের একবারে বেশি পণ্য ক্রয় ‘প্যানিক বায়িং’ না করার পরামর্শ দিয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘ভোক্তাদের বলবো আপনারা প্যানিক বায়িং করবেন না। বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য আপনাদেরকেও দায়িত্বশীল হতে হবে।’

ভোক্তারা কোথাও প্রতারিত হলে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ দাখিলের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি অভিযোগের শুনানি করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অনেক সময় পোশাকের স্টিকার পরিবর্তন করে বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু এবারের ঈদে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে-এজন্য আমরা আগামী বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করব। কোনো বিক্রেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের সত্যতা মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর চারটি বড় পোল্ট্রি কোম্পানি কাজী ফার্মস লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড এবং প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেডের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে এই চার কোম্পানি মুরগির দাম কমানোর ঘোষণা দেয়। এরপর খুচরা পর্যায়ে পোল্ট্রি মুরগি দাম কমতে শুরু করে।

আরও পড়ুন:
ব্রয়লারের দামে রেকর্ডের কারণ কী
ব্রয়লার মুরগির মাংস ঝুঁকিপূর্ণ নয়: কৃষিমন্ত্রী
ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক
ব্রয়লারের দামে ধস, হতাশ খামারিরা
ব্রয়লার নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর দুঃখ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Market surveillance should be increased CPD

বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে: সিপিডি

বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে: সিপিডি ফাইল ছবি
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই যাচ্ছে। পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমছে, কিন্তু সেগুলোর সুফল আমরা পাচ্ছি না। শুধু বিদেশি পণ্য নয়, দেশি পণ্যের দামও বেড়ে যাচ্ছে। দাম বাড়ার অনেক কারণ দেখানো হয়, এর কোনোটা যৌক্তিক কোনোটা যৌক্তিক নয়।

বাজার ব্যবস্থাপনার মান বাড়িয়ে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে মানুষকে স্বস্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি। তারা বলেছে, বিশ্ববাজারের দোহাই দেয়া হলেও অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অনেক পণ্যের দাম বেশি। বাজারে পণ্য নিয়ে যারা কারসাজি করে তাদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে।

নতুন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে সোমবার এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ পরামর্শ দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই যাচ্ছে। পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমছে, কিন্তু সেগুলোর সুফল আমরা পাচ্ছি না। শুধু বিদেশি পণ্য নয়, দেশি পণ্যের দামও বেড়ে যাচ্ছে। দাম বাড়ার অনেক কারণ দেখানো হয়, এর কোনোটা যৌক্তিক কোনোটা যৌক্তিক নয়।

‘আমাদের যে বাজার ব্যবস্থাপনা, যে করের ব্যবস্থাপনা, সেখানে কমিয়ে এনে কিছুটা স্বস্তি দেয়া যেতে পারে। এছাড়া বাজার ব্যবস্থাপনা বলতে যেটা থাকার কথা, সেটা আমরা দেখছি না। যার ফলে যেকোনো সংকট হলে, সেটার সুযোগ নেয়া হচ্ছে।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি বাড়ানো দরকার। আর এই পণ্য যাদের দরকার তারা যেন পায়। আরও বেশি পণ্য বিক্রি করা দরকার। প্রতিযোগিতা কমিশনের কাজ বাড়াতে হবে। বাজারে পণ্য নিয়ে যারা কারসাজি করে তাদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে।

‘প্রতিযোগিতা আইনকে শক্তিশালী করে একচেটিয়া ব্যবসাকে ঠেকাতে হবে। প্রত্যক্ষ অর্থ সহায়তা দেয়া দরকার, যেন সেটা গরিব মানুষের হাতে যায়।’

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আমরা ২৮টি পণ্য পেয়েছি, যেগুলোর ওপর কর কমাতে হবে। যদিও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলবে কর আহরণ কমে যাবে। তবু আমরা মনে করি, কর কমিয়ে জনগণকে স্বস্তি দিলে সেটা সামগ্রিক কর আহরণে তেমন একটা প্রভাব ফেলবে না।’

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশে চালের দাম থাইল্যান্ড অথবা ভিয়েতনামের চেয়ে বেশি। সয়াবিন তেলের দাম বিশ্ববাজারে নিচের দিকে। কিন্তু বাংলাদেশে বেশি আছে। বাংলাদেশে চিনির দাম বিশ্ব বাজারের তুলনায় বেশি। আমরা গুরুর মাংস আমদানি করি না। তারপরও বাংলাদেশে গুরুর মাংসের দাম বিশ্ব বাজারের তুলনায় বেশি। আমরা যে সবসময় বিশ্ববাজারকে দোষ দেব সেটা নয়।’

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আমরা হিসাব করে দেখেছি, ঢাকা শহরে চার সদস্যের একটি পরিবার যদি পুরো মাস ভালো খায়, তাহলে তাদের খরচ হবে ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা। কিন্তু বেশির ভাগ খাতেই যারা কাজ করছেন তাদের আয় এই খরচের তুলনায় কম। যদিও মূল্যস্ফীতির হার কম, কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বাজারের পণ্যের দামের মিল নেই। আমরা দেখেছি বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম গড়ে ২৪ শতাংশ বেড়েছে।’

আরও পড়ুন:
সূচকের পতনে শেষ হলো লেনদেন
বীর শহীদদের প্রতি ডিএসইর বিনম্র শ্রদ্ধা
ময়মনসিংহে এক মাসে কেজিতে ৮০ টাকা বাড়ল ব্রয়লারের দাম

মন্তব্য

p
উপরে