গত এক বছরে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫৫ শতাংশ বেড়েছে।
২০২১ সাল শেষে দেশটির ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ আগের বছরের ৫৬ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ থেকে বেড়ে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ হয়েছে।
বর্তমান বিনিময় হার (১ সুইস ফ্রাঁ =৯৫ টাকা ৮০ পয়সা) হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা।
টাকার হিসাবে ২০২০ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের ৫ হাজার ২০৩ কোটি টাকা জমা ছিল।
২০১৮ থেকে ২০২০ সাল, পরপর তিন বছর সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ কমার পর ২০২১ সালে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) বৃহস্পতিবার ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড-২০২১’ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখান থেকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমার এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে পাচার সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি আমানত হিসেবে কার কত অর্থ আছে, তা-ও জানা যায়নি। কখনই এ তথ্য প্রকাশ করে না এসএনবি।
২০১৬ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ, ২০১৭ সাল শেষে এই অর্থের পরিমাণ কমে হয় ৪৮ কোটি ১৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ। ২০১৮ সাল শেষে এই অর্থের পরিমাণ কমে হয় ৬১ কোটি ৭৭ লাখ সুইস ফ্রাঁ। ২০১৯ সালে আরও খানিকটা কমে দাঁড়ায় ৬০ কোটি ৩০ লাখে। ২০২০ সাল শেষে নেমে আসে ৫৬ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁয়।
সবশেষ ২০২১ সালে এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫৫ শতাংশ বেড়ে এক লাফে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁতে উঠেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশের মানুষের মত সুইস ব্যাংকে ভারতীয় নাগরিকরাও বেশি অর্থ জমা করেছেন। এই এক বছরে ভারতীয়দের জমা অর্থের পরিমাণ ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছে।
২০২০ সাল শেষে ব্যাংকটিতে ভারতীয়দের জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫৫ কোটি ২৬ লাখ সুইস ফ্রাঁ। ২০২১ সালে তা ৫০ শতাংশ বেড়ে ৩৮২ কোটি ৮৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ হয়েছে। ২০১৯ সালে ছিল ৮৯ কোটি ৯০ লাখ।
পাকিস্তানের নাগরিকদের আমানতও বেড়েছে। ২০২০ সালে ছিল ৬৪ কোটি ২২ লাখ সুইস ফ্রাঁ। ২০২১ সাল শেষে হয়েছে ৭০ কোটি ৫৯ লাখ ফ্রাঁ।
সুইজারল্যান্ডের ২৪৩টি ব্যাংকের যে হিসাব দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক দিয়েছে, তাতে একক দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জমা অর্থের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
পরের অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নাম। তালিকায় এর পরে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ফ্রান্স, হংকং, জার্মানি, সিঙ্গাপুর ও লুক্সেমবুর্গের নাম।
বাংলাদেশ থেকে নানাভাবে অবৈধ উপায়ে পাচার হওয়া অর্থ যেমন সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা হয়, তেমনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও দেশটিতে অর্থ জমা রাখেন। তাই সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশিদের মোট অর্থের মধ্যে বৈধ-অবৈধ সব অর্থই রয়েছে। সাধারণত সুইস ব্যাংক অর্থের উৎস গোপন রাখে। এ কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে অর্থ জমা রাখেন।
সুইজারল্যান্ডের আইনে ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য নয় বা টাকার উৎসও তারা জানতে চায় না৷ এই গোপনীয়তার নীতির কারণে সারা বিশ্বের ধনী ব্যক্তিরা সুইস ব্যাংকে টাকা রাখেন৷
তবে কোন দেশের গ্রাহকদের কী পরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে জমা আছে, তার একটি ধারণা প্রতি বছর এসএনবির বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া যায়৷ দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদের বাধ্যবাধকতা মেনে এসএনবি ওই তথ্য প্রকাশ করে৷ তবে সেখানে গ্রাহকের বিষয়ে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না৷
দেশে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাষ্য অনুযায়ী, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের যে টাকা জমা রয়েছে, তার বেশির ভাগটাই অবৈধভাবে অর্জিত৷ বিদেশি ব্যাংক বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার করা ‘বিপুল পরিমাণ’ অর্থ উদ্ধারের যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গত বছর একটি রিট আবেদন হয়েছে হাইকোর্টে৷
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের কতজনের কত টাকা আছে সেই তালিকা চেয়েছিল সরকারের কাছে৷ পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়।
সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অর্থের পরিমাণ প্রথমবার ১০ কোটি সুইস ফ্রাঙ্ক ছাড়িয়ে যায় ২০০৬ সালে, যেটি ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ বছর৷ ৯ কোটি ৭২ লাখ সুইস ফ্রাঁ থেকে বেড়ে ওই বছর জমার পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ কোটি ৪৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ ৷ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম বছর ২০০৭ সালে জমা অর্থের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ২০ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ হয়৷
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১১ সালে জমার পরিমাণ ছিল ১৫ কোটি ২৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ, তা ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ২০১৬ সালে দাঁড়ায় ৬৬ কোটি ১৯ লাখে৷
তবে ২০১৭ সালে তা কমে ৪৮ কোটি ১৩ লাখ সুইস ফ্রাঙ্কে নেমে এলেও ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের বছরে তা বেড়ে ৫১ কোটি ৭৭ লাখ সুইস ফ্রাঙ্কে দাঁড়ায়৷
আরও পড়ুন:
মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭৬২ কোটি ১০ লাখ (৭.৬২ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বিপরীতে বাজার থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকার মতো তুলে নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এত ডলার বাজারে ছাড়া হয়নি। এরপরও বাজারের অস্থিরতা কাটছে না। বেড়েই চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাটির দর। দুর্বল হচ্ছে টাকা।
এদিকে রিজার্ভ থেকে অব্যাহতভাবে ডলার বিক্রি করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভও বেশ কমে এসেছে। বৃহস্পতিবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের সামান্য ওপরে অবস্থান করছে।
ঈদকে সামনে রেখে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের জোয়ারের কারণে রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে আছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, নতুন অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম ছয় দিনে (১ থেকে ৬ জুলাই) ৭৪ কোটি ১০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গড়ে প্রতিদিন এসেছে ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্সে এই উল্লম্ফন না হলে আকুর দেনা শোধের পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসত বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
গত এক সপ্তাহ ধরে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সায় বিক্রি হলেও ব্যাংকগুলো এর চেয়ে ৩/৪ টাকা বেশি দরে নগদ ডলার বিক্রি করছে।
আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় দেশে আমেরিকান ডলারের তীব্র সংকট দেখা দেয়। রপ্তানি আয় বাড়লেও ডলারের সংকট মেটাতে পারছে না। ফলে প্রতিনিয়ত বেড়েছে ডলারের দাম। এ জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিনিয়ত দামও বাড়াচ্ছে। এরপরও কিছুতেই বাগে আসছে না ডলারের তেজী ভাব।
বাংলাদেশ ব্যাংক যে দামে ডলার বিক্রি করছে, বাজারে তার চেয়ে ৩-৪ টাকা বেশি দরে কেনাবেচা হচ্ছে। ফলে আমদানিকারকদের বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করলেও ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় এনেছে ৯৬ থেকে ৯৭ টাকায়, আর আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করেছে ৯৬ থেকে ৯৭ টাকা দামে। খোলা বাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলার বিক্রি হচ্ছে ৯৭ থেতকে ৯৮ টাকার মধ্যে। মে মাসে খোলাবাজারে ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক বৃহস্পতিবার ৯৬ টাকা ৫০ পয়সা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে। বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংক বিক্রি করেছে ৯৭ টাকায়।
গত বছরের আগস্ট থেকে ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে; দুর্বল হতে শুরু করে টাকা। তার আগে এক বছরেরও বেশি সময় ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় ‘স্থির’ছিল ডলারের দর।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরজুড়ে আমদানি বেশ কমে গিয়েছিল। কিন্তু প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে উল্লম্ফন দেখা যায়। সে কারণে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়ে যায়। সে পরিস্থিতিতে ডলারের দর ধরে রাখতে ওই অর্থবছরে রেকর্ড প্রায় ৮ বিলিয়ন (৮০০ কোটি) ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তারই ধারাবাহিকতায় বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়েও ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার কেনা হয়।
আগস্ট মাস থেকে দেখা যায় উল্টো চিত্র। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে আমদানি। রপ্তানি বাড়লেও কমতে থাকে রেমিট্যান্স। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভও কমতে থাকে। বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়; বাড়তে থাকে দাম। বাজার স্থিতিশীল রাখতে আগস্ট থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক, চলে পুরো অর্থবছর।
চাহিদা মেটাতে নতুন অর্থবছরেও (২০২২-২৩) ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় বিক্রি হয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই একই জায়গায় ‘স্থির’ ছিল ডলারের দর। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার দর।
হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, এই ১১ মাসে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন:ঈদের ছুটিতে গ্রাহকের নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), অনলাইন, ই-পেমেন্ট গেটওয়ে ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) মাধ্যমে লেনদেনের বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়।
দেশের সব ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার বা পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, অটোমেটেড টেলার মেশিনে (এটিএম) সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিতসহ কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রতিটি লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা রাখা এবং এটিএম বুথে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
পয়েন্ট অব সেলের (পিওএস) ক্ষেত্রে বলা হয়, সার্বক্ষণিক পিওএস সেবা নিশ্চিত করতে হবে, জাল জালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট এবং গ্রাহককে সচেতন করতে হবে।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও অনলাইন ই-পেমেন্ট গেটওয়ের ক্ষেত্রে বলা হয়, অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করা লেনদেন ও অনলাইন ই-পেমেন্ট গেটওয়েতে কার্ডভিত্তিক ‘কার্ড নট প্রেজেন্ট’ লেনদেনের ক্ষেত্রে দুই ধরনের যাচাই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এ ছাড়া মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী সব ব্যাংক বা তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোকে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন এবং এজেন্ট পয়েন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ নগদ অর্থের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
ঈদের ছুটিকালীন সিস্টেমগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, লেনদেনের তথ্য এসএমএস অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সব ধরনের পরিশোধ সেবার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সতর্কতা অবলম্বনের জন্য গণমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
লেনদেনে গ্রাহক যেন কোনো রকম হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়াসহ সব সময় হেল্প লাইন চালু রাখতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরও পড়ুন:ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোরবানির পশুর হাটের নিকটবর্তী ব্যাংকের শাখা বিশেষ ব্যবস্থায় শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু রাখা যাবে।
রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে পশুর হাটসংলগ্ন ব্যাংকের শাখাসহ তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার জন্য শিল্পসংশ্লিষ্ট এলাকায় শুক্র ও শনিবার ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি পৃথক পৃথক সার্কুলারে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পশুর হাটসংলগ্ন ব্যাংকের শাখাগুলোতে বৃহস্পতিবার সান্ধ্যকালীন ব্যাংকিং লেনদেন চলবে। ফলে রাত ৮টা পর্যন্ত সেবা চালু থাকবে।
পাশাপাশি এসব এলাকায় শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা থাকবে ব্যাংক। এ দুদিনও এসব এলাকায় ব্যাংক চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য এক নির্দেশনায় বলা হয়, ঈদুল আজহার আগে তৈরি পোশাকশিল্প-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রপ্তানি বিল পরিশোধ ও ওই শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার জন্য ঢাকা, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের তৈরি পোশাকশিল্প-সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পূর্ণ দিবস খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হলো।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ওই দুই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা চালু থাকবে। তবে ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে উল্লিখিত এলাকার বাইরে অবস্থিত কোনো ব্যাংক শাখার ওপর চেক দেয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:ঈদের আগে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে ঢল নেমেছে। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ততই বাড়ছে। বুধবার এক দিনেই ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারের বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা) টাকার অঙ্কে এক দিনের এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক দিনে এত রেমিট্যান্স দেশে আসেনি।
আর প্রবাসী আয়ের এই জোয়ারের কারণে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামার যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তা আর নামবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বাজারে ডলারের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ব্যাংকগুলো আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারের দরের চেয়েও বেশি দামে রেমিট্যান্স দেশে আনছে। কোনো কোনো ব্যাংক ৯৫/৯৬ টাকায় প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে আনছে।
এ হিসাবে টাকার অঙ্কে এই এক দিনে রেমিট্যান্সের পরিমাণ আরও বেশি বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
রেমিট্যান্সপ্রবাহে নিম্নমুখী ধারায় শেষ হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছর। ৩০ জুন শেষ হওয়া এই অর্থবছরে ২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা আগের বছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ কম।
২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
১০ জুলাই দেশে কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। সেই উৎসবকে কেন্দ্র করে কোরবানির পশুসহ প্রয়োজনীয় অন্য কেনাকাটা করতে অন্যান্যবারের মতো এবারও পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। সে কারণেই রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এই সময়ে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির খুবই দরকার ছিল। নানা পদক্ষেপের কারণে আমদানি ব্যয় কমতে শুরু করেছে। রপ্তানির পাশাপাশি রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণে আশা করছি ঈদের পর মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, নতুন অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম ছয় দিনে (১ থেকে ৬ জুলাই) ৭৪ কোটি ১০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গড়ে প্রতিদিন এসেছে ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
এর মধ্যে প্রথম পাঁচ দিনে (১ থেকে ৫ জুলাই) এসেছিল ৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ৬ জুলাই বুধবার এসেছে ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
এর আগে কোনো ঈদের আগে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে এমন উল্লম্ফন দেখা যায়নি। ঈদের ছুটির আগে আরও এক দিন (বৃহস্পতিবার) ব্যাংক খোলা। এ দিনেও একই হারে রেমিট্যান্স আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন সিরাজুল ইসলাম।
আর রেমিট্যান্সের এই উল্লম্ফনের কারণে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মে-জুন মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসার যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তা আর নামবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার আকুর আমদানি বিল একটু কম এসেছে, ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। বৃহস্পতিবার এই বিল পরিশোধ করা হবে। তখন রিজার্ভ বেশ খানিকটা কমে আসবে। তবে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামবে না।’
‘বুধবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪২ বিলিয়ন ডলার। ঈদের আগের এক দিনের রেমিট্যান্স যোগ হলে তা আরও বাড়বে। তখন সেখান থেকে ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার চলে গেলে রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের ওপরেই অবস্থান করবে।’
আমদানি ব্যয় বাড়ায় গত ৯ মে আকুর রেকর্ড ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এরপর সপ্তাহ খানেক রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারের নিচে অবস্থান করে।
রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় কয়েক দিন পর অবশ্য তা ৪২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। বাজারে ডলারের সংকট দেখা দেয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে প্রচুর ডলার বিক্রি করায় সেই রিজার্ভ ফের ৪২ ডলারের নিচে নেমে আসে; একপর্যায়ে তা ৪১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছিল।
এর আগের মেয়াদে অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিল মেয়াদে আকুর ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল শোধ করা হয়েছিল।
ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল- প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য আমদানি হয়েছে দেশে। এ হিসাবে বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
গত বছরের ২৪ আগস্ট এই রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। তখন ওই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ১০ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যেত। তখন অবশ্য প্রতি মাসে ৪ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হতো।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পরপর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়।
আরও পড়ুন:১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় যমুনা ব্যাংকের বগুড়া শাখার ব্যবস্থাপক সওগাত আরমানকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মুস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেয়।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি বলেন, ‘১২ কোটি ১৬ টাকা আত্মসাতের মামলায় আসামি সওগাত আরমানকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। তার জামিন আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেয় আদালত।’
তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. মুজাহিদুল ইসলাম।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৯ জুলাই সকালে দুদকের বগুড়া জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ব্যবস্থাপক আরমানকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে নেন।
সওগাত আরমান যমুনা ব্যাংকের বগুড়া শাখায় ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে বিভিন্ন সময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের অ্যাকাউন্টে ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা সরিয়ে নেন। পরে সেই টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেন তিনি। এ অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে সওগাত আরমানের নামে মামলা করে। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ইসলামী ব্যাংক ট্রেইনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির (আইবিটিআরএ) উদ্যোগে ‘মহামারী পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম সম্প্রতি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনিরুল মওলা এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা মুহাম্মদ কায়সার আলী ও ওমর ফারুক খান এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী।
সভাপতিত্ব করেন আইবিটিআরএর প্রিন্সিপাল এসএম রবিউল হাসান। ব্যাংকের নির্বাহীরা এতে অংশগ্রণ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট’ প্রকল্পের আওতায় লিডিং পার্টনার হিসেবে রাজধানীর গাবতলী গরুর হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ পরিচালনা করছে ইসলামী ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মেজবাউল হক সোমবার বুথের উদ্বোধন করেন বলে ইসলামী ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ জিয়াউল হক, পরিচালক সালাহউদ্দীন মাহমুদ এবং ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল ফায়েজ মুহাম্মাদ কামালউদ্দীন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক, ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলামসহ ব্যাংকের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এই বুথে নগদ টাকা জমা, পিওএস মেশিনের মাধ্যমে পশুর দাম ও হাসিলের টাকা পরিশোধ, এটিএম সেবা, অনলাইন লেনদেন, এমক্যাশ একাউন্ট খোলা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য