আগামী অর্থবছরের বাজেট পেশের পর টানা তিন কর্মদিবস পতন শেষে অবশেষে সূচক কিছুটা বাড়ল পুঁজিবাজারে। বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর, গতি ফিরেছে লেনদেনেও।
রোব থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১১৮ পয়েন্ট দরপতনে নতুন করে যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছিল, তা থেকে বের হয়ে চাপ কাটবে কি না, এ নিয়ে নানা সমীকরণের মধ্যে বুধবার লেনদেন শুরুই হয় শেয়ারদর বেড়েছে।
প্রথম ২০ মিনিটে ৫৫ পয়েন্ট সূচক বেড়ে যায়। সে সময় সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ঊর্ধ্বমুখি। পরে লেনেদেন শেষ হওয়ার আগে আগে এক পর্যায়ে সূচক পড়ে যায় কি না, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।
বেলা ১৩টা ৪১ মিনিটে সূচক দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কমে যায় ৪৮ পয়েন্ট। সে সময় আগের দিনের চেয়ে বেশি ছিল কেবল ৭ পয়েন্ট। তবে শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে আর কমেনি। বরং কিছুটা বাড়ে।
বেলা আড়াইটায় যখন লেনদেন শেষ হয়, সে সময় সূচক আগের দিনের চেয়ে বেশি ছিল ১৩ পয়েন্ট।
দিন শেষে বেড়েছে ১৭১টি কোম্পানির দর, কমেছে ১৬১টির আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৪৬টির দর।
লেনদেনের গতিও ছিল ভালো। বাজেট পেশের সপ্তাহে যখন পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন বাড়ছিল, সে সময় ৬ জুন লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই হয়ে যায় হাতবদল হয় ৮৬৪ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। সেখান থেকে কিছুটা কমে হাতবদল হয় ৯৪৩ কোটি ৮৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
সূচক বাড়িয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ
খাতওয়ারি প্রবণতা বিবেচনা করলে এদিন সবচেয়ে ভালো গেছে বস্ত্র খাতের। এই খাতের ৫৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪০টির, কমেছে ১৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি ছয়টির দর।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে চাঙা ছিল প্রকৌশল খাতও। এই খাতে দর বাড়ে ২৬টির, কমে ১০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৬টির দর।
ব্যাংক, খাদ্য, ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং আর্থিক খাতে ছিল মিশ্র প্রবণতা।
অন্যদিকে সূচক বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। সূচক যতটা বেড়েছে তার অর্ধেকের বেশি ৮.১৮ পয়েন্ট বাড়িয়েছে এই কোম্পানিটি। পতনের মধ্যে থাকা কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩.০৬ শতাংশ বেড়েছে।
এই গ্রুপের আরও দুই কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকও সূচকে বেশ কিছু পয়েন্ট যোগ করেছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪.৮২ শতাংশ দর বেড়েছে আরএকে সিরামিকসের দর ১০ শতাংশ বাড়ায়। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২.৫৫ পয়েন্ট সূচক বেড়েছে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের দর ৪.০৭ শতাংশ বাড়ায়।
এছাড়া বেক্সিমকো ফার্মা ২.৩৫ পয়েন্ট, ইউনিক হোটেল ২.০৪ পয়েন্ট, আইসিবি ১.৭৪ পয়েন্ট, আইপিডিসি ১.০৭ পয়েন্ট, শাইনপুকুর সিরামিকস ০.৯৯ পয়েন্ট, ব্যাংক এশিয়া ও জিপিএইচ ইস্পাত ০.৮৪ পয়েন্ট করে সূচক বাড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ২৫ পয়েন্ট।
অন্যদিকে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর দর ০.৯৮ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৬.৯৮ পয়েন্ট।
এছাড়া বিকন ফার্মা ২.৯৯ পয়েন্ট, রেনাটা ২.০৮ পয়েন্ট, স্কয়ার ফার্মা ১.৯১ পয়েন্ট, রবি ১.২৫ পয়েন্ট, প্রাইম ব্যাংক ০.৮১ পয়েন্ট, এনবিএল, বার্জার পেইন্টস ও সিটি ব্যাংক সূচক কমিয়েছে ০.৭৭ পয়েন্ট করে।
সব মিলিয়ে শীর্ষ ১০ কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১৯.৯৩ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে ফের দুর্বল কোম্পানির প্রাধান্য
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ করে দর বেড়েছে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের। একই পরিমাণ দর বেড়েছে আরএকে সিরামিকসেরও।
লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানি হাক্কানি পাল্পের অবস্থান ছিল এর পরে, যার দর বেড়েছে ৯.৮৫ শতাংশ।
এছাড়া কেডিএস একসেসোরিজের দর ৮.৩১ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়ারের দর ৭.০৫ পয়েন্ট, দুর্বল কোম্পানি ফুওয়াং সিরামিকসের দর ৬.৭০ শতাংশ, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৫.৯৯ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকদের দর ৫.৭৭ শতাংশ, জুট স্পিনার্সের দর ৫.৫১ শতাংশ এবং অলিম্পিক অ্যাকসেসোরিজের দর বেড়েছে ৫.৪০ শতাংশ।
আরও ১১টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ১৩টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ২৯টির দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় বিমার প্রাধান্য
সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে আর্থিক খাতের কোম্পানি বিআইএফসি। ১০ টাকার শেয়ারে ১২ টাকার বেশি লোকসান দেয়ার কারণে কোম্পানিটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই খবরে কোম্পানিটির দর কমেছে ৫.৮৮ শতাংশ। ৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে শেয়ারদর নেমে এসেছে ৬ টাকা ৪০ পয়সায়।
এর পরের দুটি কোম্পানি ছিল সাধারণ বিমা খাতের বিজিআইসি ও পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।
এর মধ্যে বিজিআইসি শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা আর পূরবী শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
এই খবরে বিজিআইসির শেয়ার দর কমেছে ৩ টাকা ৩০ পয়সা আর পূবরীর ১ টাকা ৮০ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণা ছাড়া বাকি কোম্পানিগুলোর দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ২ শতাংশ। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১.৯৯ শতাংশ দর হারিয়েছে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট। আরও অসংখ্য কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে দিনের সর্বনিম্ন সীমা ছুঁয়ে।
কোম্পানিগুলো হলো রেনউইক যগেশ্বর, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, বিকন ফার্মা, জেমিনি সি ফুড ও এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স ছিল এই তালিকায়।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য