১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়া হয়েছে, এমন কোম্পানির করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমা ছাড়া পুঁজিবাজারের জন্য কোনো ঘোষণা না থাকার পর টানা তিন কর্মদিবস সূচকের পতন দেখল বিনিয়োগকারীরা।
এই করপোরেট কর আবার ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রযোজ্য হবে না। লভ্যাংশের ওপর থেকে দ্বৈত কর প্রত্যাহার, অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার যে দাবি উঠেছিল, সেগুলোও উপক্ষো করেছেন অর্থমন্ত্রী।
ঈদের পর থেকে টানা পতনের মধ্যে থাকা পুঁজিবাজার বাজেট ঘোষণার আগে আগে চাঙা হয়ে উঠতে থাকলেও গত বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণার দিন দেখা যায় ধীরগতি।
এরপর দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে টানা তিন দিনে ১১৮ পয়েন্ট সূচকের পতন হলো। এর মধ্যে রোববার ৪৮ পয়েন্ট, সোমবার ৩৯ পয়েন্ট এবং মঙ্গলবার সূচক পড়ল আরও ৩০ পয়েন্ট।
৮৯টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৩৬টির দর। অপরিবর্তিত ছিল আরও ৫৭টির দর।
শেয়ারদর ও সূচক কমলেও লেনদেনের গতি বাড়ছে। রোববার যেখানে ৬৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল, পরদিন তা বেড়ে হয় ৭৯৮ কোটি ১৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। সেটি আরও বেড়ে হয়েছে ৮৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
পুঁজিবাজারের লেনদেন নিয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের চিফ অপারেটিং অফিসার মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, 'বাজেটে প্রত্যাশার প্রতিফলন হয়নি, এটার প্রতিক্রিয়া বাজারে রয়েছে।’
বাজেটে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় বড় বিনিয়োগকারীরা অভিমান নিয়ে দূরে সরে আছেন কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'সেটা এভাবে না বলে বলা যায় যে, বাজার যদি গরম হয় তখন কেউ না এসে থাকতে পারবে না। অর্থাৎ আমরা যদি বাজার জমাতে পারি তাহলে যারা দূরে সরে আছেন তারাও চলে আসবেন।
'এক্ষেত্রে মূল যে বিষয়টা সেটা হলো, আমরা নীতিনির্ধারণের মাধ্যমে বা পলিসিগতভাবে বাজারকে কতটা সাপোর্ট দিতে পারছি এবং বাজারকে কতটা ভালো জায়গায় নিতে পারছি।'
কিন্তু বাজেট ঘোষণার পরে তো স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ তো অভিনন্দন জানিয়েছে- এমন মন্তব্যের জবাবে মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘গত ১০-১২ বছর ধরে দেখা যায়, বাজেট হওয়ার পরে কাঙ্খিত কিছু না পেলেও অভিনন্দন জানানোর একটা ট্রেন্ড চালু হয়ে গেছে। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় স্টক এক্সচেঞ্জগুলো ৭ থেকে ৮টি প্রস্তাব বিবেচনার দাবি উঠছে, তাহলে অভিনন্দন জানানো হয় কেন?’
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় ফের দুর্বল কোম্পানি
বাজেটের পর থেকে পুঁজিবাজারে ভাটার যে টান দেখা যাচ্ছে, সেটির প্রভাব দেখা যাচ্ছে না স্বল্প মূলধনি ও দুর্বল কোম্পানির ক্ষেত্রে।
আগের দুই দিনের মতোই দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় এমন সব কোম্পানি দেখা গেছে, যেগুলোর লভ্যাংশের ইতিহাস খুব ভালো নয়, যাদের আয়ের ধারাবাহিকতা নেই।
সবচেয়ে বেশি ৯.৯৭ শতাংশ বেড়েছে শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ারদর, যেটি দর গত ১৪ এপ্রিলের পর থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সেদিন শেয়ারদর ছিল ২৫ টাকা, মঙ্গলবার দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৫০ পয়সা।
লোকসানের কারণে টানা সাত বছর লভ্যাংশ না দেয়া কেম্পানিটি গত দুই বছরে যথাক্রমে ২ ও আড়াই শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। চলতি বছর প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে কেবল ২৭ পয়সা।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের দর বেড়েছে ৯.৭১ শতাংশ। কোম্পানিটি গত বছর শেয়ার প্রতি কেবল ১০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। চলতি বছর প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২১ পয়সা লোকসান দেখানোর কারণে লভ্যাংশ পাওয়া অনিশ্চিত।
তৃতীয় অবস্থানে ছিল মুন্নু ফেব্রিক। ওটিসি থেকে ফেরার পর এই কোম্পানিটি গত বছর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। পরে চলতি অর্থবছরে ১ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দিয়েছে। গত তিন কর্মদিবসে শেয়ারদর বেড়েছে ৩০ শতাংশের মতো।
চতুর্থ অবস্থানে ছিল নতুন তালিকাভুক্ত মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, যেটি পর পর পাঁচ দিন দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন শেষ করেছে। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারের বর্তমান দর ১৬ টাকা।
লোকসানের কারণে গত বছর লভ্যাংশ না দেয়া খান ব্রাদার্স চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত লোকসানেই। এই কোম্পানিটির শেয়ারদর এক লাফে বেড়েছে ৯.৪৮ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ১১ টাকা ৬০ পয়সা, সেটি বেড়ে হয়েছে ১২ টাকা ৭০ পয়সা।
শীর্ষ দশের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে জেএমআই হসপিটালের দর ৯.০৬ শতাংশ, নাহী অ্যালুমিনিয়ামের দর ৮.৭৬ শতাংশ, এস আলম কোল্ডরোল স্টিলের শেয়ারদর ৮.৬৮ শতাংশ, লোকসানি মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের দর ৬.৭২ শতাংশ এবং প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৬.৩০ শতাংশ।
অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটির দর ৫ শতাংশের বেশি, ৫টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৪টির দর ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
ঢালাও পতনে বিপুল সংখ্যক কোম্পানি
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশে নামিয়ে আনার পর থেকে সর্বোচ্চ সীমায় দর কমার পর ক্রেতা উধাও হয়ে যাওয়ার যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, সেটির আরেক দৃষ্টান্ত দেখা গেল। এদিনও ২ শতাংশ বা আশেপাশে দর হারিয়ে ফেলা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের ক্রেতা পাওয়া যায়নি।
সবচেয়ে বেশি দরপতনের তালিকায় ওয়ান ব্যাংককে দেখালেও এর শেয়ারদর প্রকৃতপক্ষে এত কমেনি। ব্যাংকটি এবার তার শেয়ারধারীদেরকে ৫ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার দেবে বলে জানিয়েছে। সোমবার রেকর্ড ডেটে শেয়ারদর ছিল ১১ টাকা ৩০ পয়সা। লভ্যাংশ সমন্বয়ে দর দাঁড়ায় ১০ টাকা ১০ টাকা ৬০ পয়সা। এক দিনে কমা সম্ভব ছিল ২০ পয়সা। কমেছে ততটাই।
ইন্দোবাংলা ফার্মা, এপেক্স ট্যানারি, রেনউইক যগেশ্বর, জিলবাংলা সুগার, জেমিসি সি ফুড, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সম সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, এপেক্স ফুটওয়্যারের দরও কমেছে দুই শতাংশের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য