বাজেট ঘোষণার দিন থেকে টানা তিন কর্মদিবস নেতিবাচক রইল পুঁজিবাজার। ধারাবাহিক পতনেও চাঙা রয়েছে স্বল্প মূলধনি ও দুর্বল কোম্পানির শেয়ার।
কয়েক দিনের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, মূল্যবৃদ্ধি ও লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বল্প মূলধনি ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ভিত্তির কোম্পানিগুলো আধিপত্য বজায় রেখেছে।
প্রতিদিনই এসব কোম্পানির দর বাড়ছে। দর বৃদ্ধির তালিকার বড় অংশজুড়ে থাকছে এসব কোম্পানির।
দুর্বল কোম্পানিগুলোর দরবৃদ্ধি সূচকে বেশি পয়েন্ট যোগ করতে না পারা এবং যতগুলো কোম্পানির দর বৃদ্ধি পেয়েছে তার চেয়ে তিনগুণ বেশি কোম্পানির দর পতনে সূচক হ্রাস পেয়েছে ৩৯ পয়েন্ট।
মোট ৮৪টি কোম্পানির দর বেড়েছে, বিপরীতে ২৮৩ টির কমেছে। আর ৪২টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে গতকালের দামে।
সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন। আগেরদিন লেনদেন চলে যায় ২৫ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্নে। একদিন পরেই সেটা বেড়ে ৮০০ কোটি ছুঁই ছুঁই হয়েছে।
ব্রোকার হাউস এক্সপো ট্রেডার্সের সিইও শহিদুল হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের বেশ কয়েকটি দাবি ছিল যার প্রতিফলন বাজেটে দেখা যায়নি। এতে বিনিয়োগকারীরা নিরাশ হয়েছেন। বড় বিনিয়োগকারীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশে বেছে নিয়েছে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার। এসব কোম্পানির শেয়ারের ট্রেডিংয়ে লেনদেন বাড়লেও সূচক বাড়েনি।'
দুর্বল কোম্পানিগুলোর ধারাবাহিক দর বৃদ্ধি
গত দুই দিনের মতোই আজকেও দর বৃদ্ধির তালিকায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভিত্তির কোম্পানিগুলোর আধিপত্য ছিল। দর বৃদ্ধির প্রায় সবগুলোই ছিল এ ধরনের কোম্পানি। এসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত লভ্যাংশ দেয় না। কোনোটি লভ্যাংশ দিলে খুবই নগণ্য।
এগুলোর মধ্যে শীর্ষ দশের তিনটির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের ওপরে, পাঁচটির ৪ শতাংশের বেশি, আর দুটির ৩ শতাংশের বেশি।
টানা দুই দিন দর বৃদ্ধির শীর্ষে দেখা গেল ইন্স্যুরেন্স খাতের কোম্পানি মেঘনা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে। ৯.৭৭ শতাংশ দর বেড়েছে কোম্পানিটির, গতকাল রোববার ৯.৯১ শতাংশ।
চলতি বছরেই তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৮ জুন। অভিহিত মূল্যের কিছুটা ওপরে থেকে লেনদেন হচ্ছে শেয়ার। ধারাবাহিকভাবে বেড়ে আজ ১৪ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে, গতকাল এটির দর ছিল ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।
গতকাল ৯.০৭ শতাংশের পরে আজ ৯.৭৩ শতাংশ দর বেড়েছে মুন্নু ফেব্রিকসের। নিয়মিত লভ্যাংশ দিতে না পারার পর ২০০৯ সালে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয় কোম্পানিটিকে। গত বছর ফেরে সেখান থেকে। কিন্তু নগণ্য পরিমাণ মুনাফার পর কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। চলতি অর্থবছরে অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ এসেছে শেয়ারে ১০ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯.১৩ শতাংশ দর বেড়েছে তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের। এই কোম্পানিটির লভ্যাংশের ইতিহাস ভালো নয়। গত তিন বছরে ১ থেকে আড়াই শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিতে পারেনি কোম্পানিটি। তার পরেও মাঝে মাঝে দাম বাড়তে দেখা যায়। রোববার ২০ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটি আজ হাতবদল হয়েছে ২২ টাকা ৭০ পয়সায়।
চতুর্থ অবস্থানে প্রাইম টেক্সটাইলের দর ৪.৫১ শতাংশ বেড়ে ২৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২৭ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। ধারাবাহিক লভ্যাংশ দিলেও গত দুই বছর ১ ও ২ শতাংশের বেশি দিতে পারেনি মাত্র ৩৮ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটি।
কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দর ৪.৪৫ শতাংশ বেড়ে ৭০ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। রোববার শেয়ারের দাম ছিল ৬৭ টাকা ৩০ পয়সা। কয়েক বছর ধরে ৫ শতাংশ হারে কখনো নগদ, আবার কখনো বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে আসছে কোম্পানিটি। গত ১৯ মে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয় ৫৪ টাকা ৭০ পয়সায়। এরপর ধারাবাহিকভাবে দর বেড়ে ৭০ টাকা ছাড়িয়েছে দাম।
ইমাম বাটনের দর বেড়েছে ৪.৪২ শতাংশ। স্বল্প মূলধনি কোম্পানিটি লভ্যাংশ প্রদানের ইতিহাস ভালো নয়। গত ২৫ মের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে দর বাড়ছে।
আনলিমায়ার্ন ডায়িংয়ের দর ৪.২১ শতাংশ দর বেড়ে ৩৭ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির লভ্যাংশের ইতিহাসও খুব বেশি ভালো নয়। গত দুই বছরে ২ শতাংশ করে লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
এ ছাড়া দর কমে অষ্টম স্থানে থাকা সাফকো স্পিনিং ২২ টাকা ৯০ পয়সা, রহিম টেক্সটাইল ২২৫ টাকা ৭০ পয়সা এবং এইচআর টেক্সটাইল ৮৮ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের ইতিহাস খুব বেশি ভালো নয়।
দর পতনের শীর্ষে যারা
শীর্ষ ১০টির দরই কমেছে সর্বোচ্চ সীমায়।
সাউথ ইস্ট ব্যাংকের দর ১৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে কমে ১৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
দ্বিতীয় দর কমেছে রূপালী ব্যাংকের। রোববার ২৯ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল প্রতিটি শেয়ার। সেটি আজ হাতবদল হয়েছে ২৮ টাকা ৪০ পয়সায়।
মাইডাস ফাইন্যান্সের দর ১৫ টাকা থেকে কমে ১৪ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
রোববার ৯.৪৮ শতাংশ বাড়ার পরে সোমবার ২ শতাংশ কমেছে বেক্সিমকো গ্রুপের শাইনপুকুর সিরামিকসের দর। ৪৫ টাকা থেকে কমে ৪৪ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে শেয়ার। বৃহস্পতিবার ৬.২০ শতাংশ বেড়ে ৪১ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল। এই কোম্পানিটির ল্যভাংশের ইতিহাসও ভালো নয়।
এ ছাড়া সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৫৪ টাকা ১০ পয়সায়, বঙ্গজ লিমিটেড ১৩৮ টাকায়, সিনোবাংলা ৫৪ টাকা ৩০ পয়সা, রেনউইক যজ্ঞেশর এক হাজার ৮২ টাকা ৭০ পয়সা, রংপুর ফুডস ৪৪ টাকা ৫০ পয়সা এবং এশিয়া প্যাসিফিক ৫৪ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
সূচক কমাল যারা
সূচক সবচেয়ে বেশি নামিয়েছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিটি একাই সূচক ফেলেছে ৪.২৯ পয়েন্ট। কোম্পানিটির দর কমেছে ০.৫৯ শতাংশ।
বেক্সিমকোর কারণে সূচক কমেছে ৩.৮৭ পয়েন্ট। কোম্পানিটির দর কমেছে ১.৯ শতাংশ।
ওয়ালটন হাইটেকের দর ০.৫১ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৩ পয়েন্ট।
লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের ১.২৪ শতাংশ দর কমায় ১.৮৫ পয়েন্ট এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ০.৩৩ শতাংশ দরপতনে ১.৭২ পয়েন্ট সূচক কমেছে।
এ ছাড়া বিকন ফার্মা, বেক্সিমো ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের দর পতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক ফেলেছে ২১.৮৬ পয়েন্ট।
সূচক বাড়ানোর চেষ্টায় যারা
সূচকে কোনো কোম্পানি এককভাবে এক পয়েন্টও যোগ করতে পারেনি। সবচেয়ে বেশি সূচক বাড়িয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২.৭২ শতাংশ, যার কারণে সূচক বেড়েছে ০.৯৮ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ০.৫৭ পয়েন্ট যোগ হয়েছে ইসলামি ব্যাংকের দর বৃদ্ধির কারণে। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ০.৬২ শতাংশ।
জেএমআই হসপিটালের দর ৩.১৬ শতাংশ বাড়ার ফলে সূচক বেড়েছে ০.৫৩ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বেক্সিমকো সুকুক, মুন্নু ফেব্রিক্স, এসিআই ফর্মুলেশন লিমিটেড, এনভয় টেক্সটাইল, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ, বিডি ফাইন্যান্স ও পূবালী ব্যাংকের দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে, তবে তা খুবই সামান্য।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচকে যোগ করতে পেরেছে মাত্র ৫.০১ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য