বাজেট ঘোষণার পর প্রথম কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে দরপতন হলো। এক দিনে কোনো শেয়ারের সর্বোচ্চ পতনের হার ২ শতাংশ বেধে দেয়ার পরও সূচকের ৪৮ পয়েন্ট পতনে বড় দরপতনই বলা যায়।
গত সপ্তাহে একটু একটু করে বাড়তে থাকা পুঁজিবাজার গত বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণার আগে আগে স্লথ হয়ে যায়। বিশ্লেষকরা সেদিন বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য কী ঘোষণা আসে সেটা দেখে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবেন বিনিয়োগকারীরা।
এবার বাজেটে পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর করপোরেট করের হার আড়াই শতাংশ কমানোর কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। এটিকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, কালো টাকা নামে পরিচিতি পাওয়া অপ্রদর্শিত আয় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হবে। কিন্তু সেটি হয়নি। পুজিবাজারে লভ্যাংশের ওপর থেকে দ্বৈত করও প্রত্যাহার হয়নি। পাশাপাশি ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার আগের মতোই ৩৭.৫ শতাংশ রাখা হয়েছে।
বাজেট প্রতিক্রিয়া শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব রেখেছে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ।
রোববার প্রথম কর্মদিবসের লেনদেনের চিত্র বলছে, বাজেট নিয়ে বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী হয়নি। এক দিনেই দর হারিয়েছে তিন শতাধিক কোম্পানি। এর মধ্যে একটি বড় অংশের দর কমেছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ পর্যন্ত বা এর আশেপাশে। বহু কোম্পানির দর সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত কমার পর ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। অর্থাৎ এই বিধান না থাকলে দরপতন আরও বেশি হতে পারত।
লেনদেনের শুরু থেকেই সূচক ছিল নিম্নমুখী। আধা ঘণ্টা পরে উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।
দিন শেষ কমেছে ৩০৬টি কোম্পানির দর, বেড়েছে ৫৩টির, আর ১৯টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে আগের দরেই।
কমে গেছে লেনদেনও। বাজেট ঘোষণার দিন যেখানে হাতবদল হয়েছিল ৭৫৮ কোটি ২৬ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার, সেটি কমে হয়েছে ৬৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ৫ মে। সেদিন ডিএসইতে হাতবদল হয়ে ৪৬৮ কোটি ৭০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ না থাকা বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের দাবি ছিল, পুঁজিবাজারের তারল্য বাড়াতে এবং অস্থিরতা দূর করতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখা। এতে বিনিয়োগকারীরা আশায় ছিলেন, কালো টাকা বিনিয়োগ হলে তারা স্বল্প সময়ে কিছু প্রফিট টেকিং করতে পারবেন। ফলে আজকে শেয়ার কেনায় আগ্রহ দেখা যায়নি। বাজেট পুনঃবিবেচনায় কী আসে, সেটাই হয়ত দেখবেন তারা।
স্বল্প মূলধনি, দুর্বল কোম্পানির আধিপত্য
দর বৃদ্ধির তালিকায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভিত্তির কোম্পানিগুলোর আধিপত্য ছিল। শীর্ষে বিশের প্রায় সবগুলোই ছিল এ ধরনের কোম্পানি। এসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান করে না। কোনোটি লভ্যাংশ দিলে খুবই নগণ্য।
শীর্ষ দশের তিনটির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের ওপরে, একটি করে কোম্পানির ৭ ও ৬ শতাংশের বেশি, দুটির ৫ শতাংশের বেশি, একটির ৮ শতাংশের বেশি এবং দুটি কোম্পানির দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
সবচেয়ে বেশি ৯.৯১ শতাংশ দর বেড়েছে ইন্স্যুরেন্স খাতের কোম্পানি মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের। চলতি বছরেই তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৮ জুন। অভিহিত মূল্যের কিছুটা ওপরে থেকে লেনদেন হচ্ছে শেয়ার। ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকা মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের দর ১২ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে ১৩ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়েছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৯০ শতাংশ দর বেড়েছে লোকসানি কোম্পানি দুলামিয়া কটনের। লভ্যাংশের ইতিহাস না থাকা কোম্পানিটির শেয়ারদর প্রায়ই অস্বাভাবিক হারে বাড়তে দেখা যায় আবার পড়েও যায়।
এরপরেই ৯.০৭ শতাংশ দর বেড়েছে মুন্নু ফেব্রিকসের। নিয়মিত লভ্যাংশ দিতে না পারার পর ২০০৯ সালে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয় কোম্পানিটিকে। গত বছর ফেরে সেখান থেকে। কিন্তু নগণ্য পরিমাণ মুনাফার পর কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। চলতি অর্থবছরে অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ এসেছে শেয়ারে ১০ পয়সা।
বেক্সিমকো গ্রুপের শাইনপুকুর সিরামিকসের দর ৯.৪৮ শতাংশ বেড়ে ৪৫ টাকায় হাতবদল হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৬.২০ শতাংশ বেড়ে ৪১ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল। এই কোম্পানিটির ল্যভাংশের ইতিহাস ভালো নয়। তার পরেও প্রায়ই কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে যায়।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৭.১০ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ২১ টাকা ১০ পয়সায়। ধারাবাহিক দুই বছর লভ্যাংশ দিলেও ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণ না করায় কোম্পানিটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসইসি।
ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্কের দর বেড়েছে ৬.৬৫ শতাংশ। স্বল্প মূলধনি কোম্পানিটি লভ্যাংশ দিলেও খুবই নগণ্য। গত দুই বছরে যথাক্রমে ১ ও ২ শতাংশ হারে লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
৫.৮৮ শতাংশ দর বেড়ে ১৯ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল ফিড মিলসের শেয়ার। কোম্পানিটির লভ্যাংশের ইতিহাসও খুব বেশি ভালো নয়।
সপ্তম অবস্থানে থাকা এস আলম স্টিলসের দর ৫.২৬ শতাংশ বেড়ে ৩২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
৪ শতাংশের বেশি দর বেড়ে স্বল্প মূলধনি ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস এক হাজার ৯২০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২ হাজার ১৬ টাকা ৯০ পয়সায়, দুর্বল কোম্পানি সাফকো স্পিনিং ২১ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২২ টাকা এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের প্রতিটি শেয়ারের দাম ৩.২৩ শতাংশ বেড়ে ১১৮ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
দর পতনের তালিকায় বিমার প্রাধান্য
শীর্ষ ১০টির দরই কমেছে সর্বোচ্চ সীমায়। সামিট অ্যালায়েন্সের দর ৩০ টাকা থেকে কমে ২৯ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
বাকিগুলোর মধ্য বেশিরভাগই বিমা কোম্পানি, যেগুলোর দর গত সপ্তাহে অনেকটাই বেড়েছে দল বেঁধে।
দ্বিতীয় দর কমেছে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের। বৃহস্পতিবার ৮০ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল প্রতিটি শেয়ার। সেটি আজ হাতবদল হয়েছে ৭৮ টাকা ৭০ পয়সায়। নিটল ইন্স্যুরেন্সের দর ৫০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে কমে ৪৯ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
এরপরেই ২.৫৪ শতাংশ দর কমেছে প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের। ৯০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৮৮ টাকা ২০ পয়সায়।
রেনউইক যজ্ঞেশর, জনতা ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন হাউজিং এবং বিচ হ্যাচারি ছিল এই তালিকায়।
সূচক কমাল যারা
সূচক সবচেয়ে বেশি নামিয়েছে ওয়ালটন। কোম্পানিটি একাই সূচক ফেলেছে ৬.১৮ পয়েন্ট। কোম্পানিটির দর কমেছে ১.০৫ শতাংশ।
রবির কারণে সূচক কমেছে ৪.৬১ পয়েন্ট। টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিটির দর কমেছে ১.৬৮ শতাংশ।
স্কয়ার ফার্মার দর ১.১৯ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৪.০৫ পয়েন্ট।
এছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ০.৫৪ শতাংশ দরপতনে ২.৮৫ পয়েন্ট, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের ১.১ শতাংশ দর কমায় ১.৬৩ পয়েন্ট, ব্র্যাক ব্যাংকের দরপতনে ১.৫৮ পয়েন্ট, বিকন ফার্মার কারণে ১.৫৪ পয়েন্ট, পাওয়ার গ্রিডের কারণে ১ পয়েন্ট, আল আরাফাহ ইসলামিক ব্যাংকের কারণে ০.৯৪ পয়েন্ট এবং বার্জার পেইন্টসের কারণে ০.৮২ পয়েন্ট সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক ফেলেছে ২৫.২ পয়েন্ট।
সূচক বাড়ানোর চেষ্টায় যারা
সূচকের আরও পতন ঠেকাতে প্রধান ভূমিকায় ছিল গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ০.৫৬ শতাংশ, যার কারণে সূচক বেড়েছে ৪.০৪ পয়েন্ট।
আর কোনো কোম্পানি ১ পয়েন্ট সূচক বাড়াতে পারেনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ০.৯৮ পয়েন্ট যোগ হয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের দর বৃদ্ধির কারণে। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ২.২৭ শতাংশ।
শাইনপুকুর সিরামিকসের দর ৯.২৫ শতাংশ বাড়ার ফলে সূচক বেড়েছে ০.৯৮ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের দর ২.৮ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৮ ৬ পয়েন্ট। ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের ০.৪ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ০.৫৭ পয়েন্ট।
এছাড়া মুন্নু ফেব্রিকস ০.৪ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার ০.৩১ পয়েন্ট, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস ০.২৯ পয়েন্ট, ক্রাউন সিমেন্ট এবং বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ডের কারণে সূচক বেড়েছে ০.২৬ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচকে যোগ করতে পেরেছে ৮.৯৫ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:ঢাকার পুঁজিবাজারে গত এক সপ্তাহের লেনদেনে বেড়েছে সূচক ও মূলধন। তবে পুঁজিবাজার ইতিবাচক দিকে মোড় নিলেও কমেনি মন্দ কোম্পানির শেয়ারের দৌরাত্ম্য।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ কার্যদিবসে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় থাকা দশ কোম্পানির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি মাত্র দুটি।
বাকি আট কোম্পানির মধ্যে মধ্যম মানের ‘বি’ ক্যাটাগরির সংখ্যা তিন এবং লভ্যাংশ না দেওয়া এমন মন্দ কোম্পানির সংখ্যা পাঁচ।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে শীর্ষে উঠে এসেছে নিউ লাইন ক্লোথিংস লিমিটেড। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের সর্বশেষ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০২১ সালে।
কোম্পানিটির সর্বশেষ বার্ষিক সভা হয়েছে ২০২২ সালে। এরপর থেকে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দিয়ে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে আছে কোম্পানিটি।
লেনদেনে শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে থাকা অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড কোম্পানিটিও ‘জেড’ ক্যাটাগরির। কোম্পানিটি ২০১৬ সালের পর আর কোনো লভ্যাংশ না দিয়েও হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘তারল্য সংকটের মধ্যে সূচকের উত্থান হওয়ায় দ্রুত মুনাফা পাওয়ার আশায় অনেক বিনিয়োগকারী খারাপ শেয়ারে অর্থলগ্নি করছেন। এতে করে মন্দ কোম্পানির শেয়ার ফুলেফেঁপে উঠলেও ঝুঁকি বাড়ছে পুঁজিবাজারে।’
তিনি বলেন, ‘বাজারে ভুল তথ্য ছড়িয়ে সুবিধাভোগী কিছু কোম্পানি এসব মন্দ কোম্পানিকে টার্গেট করেই অর্থ লোপাটের পরিকল্পনা করছে। শুধু কোম্পানিই নয়, বাজার অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে অনেক ব্রোকারেজ হাউসও জড়াচ্ছে কারসাজিতে।’
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি প্রতারণামূলক সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চার ব্রোকারেজ হাউসের বিরুদ্ধে।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে পিছিয়ে আছে ব্যাংক খাত। পাঁচ কর্মদিবসে এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এ খাতের সূচক ৬৪৮ পয়েন্ট থেকে কমে ৪৯৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
ব্যাংকের পাশাপাশি দাম কমেছে বিমা খাতেও। পাঁচ কার্যদিবসে বিমা খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।
ব্যাংক-বিমা পিছিয়ে পড়লেও ভালো অবস্থানে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এ খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ ছাড়া জ্বালানি খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশের ওপরে।
সর্বোপরি পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২২ পয়েন্ট, ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৬ এবং শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ১৮৩ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৬৬টির দাম এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন ১ শতাংশের মতো কমলেও মোট বাজার মূলধন বেড়েছে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
প্রথাগত লেনদেনের বাইরেও সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে ১০৬ কোটি টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করে এসিআই লিমিটেড। কোম্পানিটি পাঁচ দিনে ব্লক মার্কেটে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করে।
সপ্তাহব্যাপী লেনদেনে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন আসে সিরামিক খাত থেকে। রিটার্নের হিসাবে তলানিতে আছে আর্থিক খাত, জীবনবিমা ও সাধারণ বিমা। সর্বোপরি মার্কেট রিটার্ন বেড়েছে দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স বিএসইসির কাছে নিজেদের প্রাথমিক দুটি সুপারিশ জমা দেয়।
মার্জিন ঋণ ও মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত এসব সুপারিশ আমলে নেওয়া হলে শেয়ারবাজারের অস্থিরতা অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১০ পয়েন্ট।
শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৩ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ৪ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৭৭ কোম্পানির, কমে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ৭৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৭০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বাড়ে ২৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১১০ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ৭০, কমে ২২ এবং অপরিবর্তিত থাকে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। বিপরীতে দিনের শুরুতেই সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১১ পয়েন্ট।
বাকি শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৩ ও ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ২ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৭০ কোম্পানির, কমে ৮৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় ডিএসইতে ৬০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৩৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ২১, কমে ১৪ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ২০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৪ পয়েন্ট।
বাকি শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ও ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দুটি সূচকেরই উত্থান দশমিকের নিচে।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৬৪ কোম্পানির, কমে ১৪৩ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১০০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বাড়ে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৬৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ৩২, কমে ২২ এবং অপরিবর্তিত ছিল ১২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বেড়েছে ২২৬ কোম্পানির, কমেছে ৬০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর লেনদেনে ডিএসইতে ৭০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৪১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬, কমেছে ৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়িয়েছে ৪০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৩৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৭ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ২৭২ কোম্পানির, কমে ২৭ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম আধা ঘণ্টায় ডিএসইতে মোট ৮০ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়।
সূচক কিছুটা কমেছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৪০ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ২৫, কমে ৮ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ২৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য