বাজেট ঘোষণার পর প্রথম কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে দরপতন হলো। এক দিনে কোনো শেয়ারের সর্বোচ্চ পতনের হার ২ শতাংশ বেধে দেয়ার পরও সূচকের ৪৮ পয়েন্ট পতনে বড় দরপতনই বলা যায়।
গত সপ্তাহে একটু একটু করে বাড়তে থাকা পুঁজিবাজার গত বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণার আগে আগে স্লথ হয়ে যায়। বিশ্লেষকরা সেদিন বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য কী ঘোষণা আসে সেটা দেখে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবেন বিনিয়োগকারীরা।
এবার বাজেটে পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর করপোরেট করের হার আড়াই শতাংশ কমানোর কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। এটিকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, কালো টাকা নামে পরিচিতি পাওয়া অপ্রদর্শিত আয় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হবে। কিন্তু সেটি হয়নি। পুজিবাজারে লভ্যাংশের ওপর থেকে দ্বৈত করও প্রত্যাহার হয়নি। পাশাপাশি ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার আগের মতোই ৩৭.৫ শতাংশ রাখা হয়েছে।
বাজেট প্রতিক্রিয়া শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব রেখেছে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ।
রোববার প্রথম কর্মদিবসের লেনদেনের চিত্র বলছে, বাজেট নিয়ে বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী হয়নি। এক দিনেই দর হারিয়েছে তিন শতাধিক কোম্পানি। এর মধ্যে একটি বড় অংশের দর কমেছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ পর্যন্ত বা এর আশেপাশে। বহু কোম্পানির দর সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত কমার পর ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। অর্থাৎ এই বিধান না থাকলে দরপতন আরও বেশি হতে পারত।
লেনদেনের শুরু থেকেই সূচক ছিল নিম্নমুখী। আধা ঘণ্টা পরে উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।
দিন শেষ কমেছে ৩০৬টি কোম্পানির দর, বেড়েছে ৫৩টির, আর ১৯টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে আগের দরেই।
কমে গেছে লেনদেনও। বাজেট ঘোষণার দিন যেখানে হাতবদল হয়েছিল ৭৫৮ কোটি ২৬ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার, সেটি কমে হয়েছে ৬৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ৫ মে। সেদিন ডিএসইতে হাতবদল হয়ে ৪৬৮ কোটি ৭০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ না থাকা বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের দাবি ছিল, পুঁজিবাজারের তারল্য বাড়াতে এবং অস্থিরতা দূর করতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখা। এতে বিনিয়োগকারীরা আশায় ছিলেন, কালো টাকা বিনিয়োগ হলে তারা স্বল্প সময়ে কিছু প্রফিট টেকিং করতে পারবেন। ফলে আজকে শেয়ার কেনায় আগ্রহ দেখা যায়নি। বাজেট পুনঃবিবেচনায় কী আসে, সেটাই হয়ত দেখবেন তারা।
স্বল্প মূলধনি, দুর্বল কোম্পানির আধিপত্য
দর বৃদ্ধির তালিকায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভিত্তির কোম্পানিগুলোর আধিপত্য ছিল। শীর্ষে বিশের প্রায় সবগুলোই ছিল এ ধরনের কোম্পানি। এসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান করে না। কোনোটি লভ্যাংশ দিলে খুবই নগণ্য।
শীর্ষ দশের তিনটির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের ওপরে, একটি করে কোম্পানির ৭ ও ৬ শতাংশের বেশি, দুটির ৫ শতাংশের বেশি, একটির ৮ শতাংশের বেশি এবং দুটি কোম্পানির দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
সবচেয়ে বেশি ৯.৯১ শতাংশ দর বেড়েছে ইন্স্যুরেন্স খাতের কোম্পানি মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের। চলতি বছরেই তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৮ জুন। অভিহিত মূল্যের কিছুটা ওপরে থেকে লেনদেন হচ্ছে শেয়ার। ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকা মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের দর ১২ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে ১৩ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়েছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৯০ শতাংশ দর বেড়েছে লোকসানি কোম্পানি দুলামিয়া কটনের। লভ্যাংশের ইতিহাস না থাকা কোম্পানিটির শেয়ারদর প্রায়ই অস্বাভাবিক হারে বাড়তে দেখা যায় আবার পড়েও যায়।
এরপরেই ৯.০৭ শতাংশ দর বেড়েছে মুন্নু ফেব্রিকসের। নিয়মিত লভ্যাংশ দিতে না পারার পর ২০০৯ সালে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয় কোম্পানিটিকে। গত বছর ফেরে সেখান থেকে। কিন্তু নগণ্য পরিমাণ মুনাফার পর কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। চলতি অর্থবছরে অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ এসেছে শেয়ারে ১০ পয়সা।
বেক্সিমকো গ্রুপের শাইনপুকুর সিরামিকসের দর ৯.৪৮ শতাংশ বেড়ে ৪৫ টাকায় হাতবদল হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৬.২০ শতাংশ বেড়ে ৪১ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল। এই কোম্পানিটির ল্যভাংশের ইতিহাস ভালো নয়। তার পরেও প্রায়ই কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে যায়।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৭.১০ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ২১ টাকা ১০ পয়সায়। ধারাবাহিক দুই বছর লভ্যাংশ দিলেও ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণ না করায় কোম্পানিটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসইসি।
ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্কের দর বেড়েছে ৬.৬৫ শতাংশ। স্বল্প মূলধনি কোম্পানিটি লভ্যাংশ দিলেও খুবই নগণ্য। গত দুই বছরে যথাক্রমে ১ ও ২ শতাংশ হারে লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
৫.৮৮ শতাংশ দর বেড়ে ১৯ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল ফিড মিলসের শেয়ার। কোম্পানিটির লভ্যাংশের ইতিহাসও খুব বেশি ভালো নয়।
সপ্তম অবস্থানে থাকা এস আলম স্টিলসের দর ৫.২৬ শতাংশ বেড়ে ৩২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
৪ শতাংশের বেশি দর বেড়ে স্বল্প মূলধনি ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস এক হাজার ৯২০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২ হাজার ১৬ টাকা ৯০ পয়সায়, দুর্বল কোম্পানি সাফকো স্পিনিং ২১ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২২ টাকা এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের প্রতিটি শেয়ারের দাম ৩.২৩ শতাংশ বেড়ে ১১৮ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
দর পতনের তালিকায় বিমার প্রাধান্য
শীর্ষ ১০টির দরই কমেছে সর্বোচ্চ সীমায়। সামিট অ্যালায়েন্সের দর ৩০ টাকা থেকে কমে ২৯ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
বাকিগুলোর মধ্য বেশিরভাগই বিমা কোম্পানি, যেগুলোর দর গত সপ্তাহে অনেকটাই বেড়েছে দল বেঁধে।
দ্বিতীয় দর কমেছে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের। বৃহস্পতিবার ৮০ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল প্রতিটি শেয়ার। সেটি আজ হাতবদল হয়েছে ৭৮ টাকা ৭০ পয়সায়। নিটল ইন্স্যুরেন্সের দর ৫০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে কমে ৪৯ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
এরপরেই ২.৫৪ শতাংশ দর কমেছে প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের। ৯০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৮৮ টাকা ২০ পয়সায়।
রেনউইক যজ্ঞেশর, জনতা ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন হাউজিং এবং বিচ হ্যাচারি ছিল এই তালিকায়।
সূচক কমাল যারা
সূচক সবচেয়ে বেশি নামিয়েছে ওয়ালটন। কোম্পানিটি একাই সূচক ফেলেছে ৬.১৮ পয়েন্ট। কোম্পানিটির দর কমেছে ১.০৫ শতাংশ।
রবির কারণে সূচক কমেছে ৪.৬১ পয়েন্ট। টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিটির দর কমেছে ১.৬৮ শতাংশ।
স্কয়ার ফার্মার দর ১.১৯ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৪.০৫ পয়েন্ট।
এছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ০.৫৪ শতাংশ দরপতনে ২.৮৫ পয়েন্ট, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের ১.১ শতাংশ দর কমায় ১.৬৩ পয়েন্ট, ব্র্যাক ব্যাংকের দরপতনে ১.৫৮ পয়েন্ট, বিকন ফার্মার কারণে ১.৫৪ পয়েন্ট, পাওয়ার গ্রিডের কারণে ১ পয়েন্ট, আল আরাফাহ ইসলামিক ব্যাংকের কারণে ০.৯৪ পয়েন্ট এবং বার্জার পেইন্টসের কারণে ০.৮২ পয়েন্ট সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক ফেলেছে ২৫.২ পয়েন্ট।
সূচক বাড়ানোর চেষ্টায় যারা
সূচকের আরও পতন ঠেকাতে প্রধান ভূমিকায় ছিল গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ০.৫৬ শতাংশ, যার কারণে সূচক বেড়েছে ৪.০৪ পয়েন্ট।
আর কোনো কোম্পানি ১ পয়েন্ট সূচক বাড়াতে পারেনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ০.৯৮ পয়েন্ট যোগ হয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের দর বৃদ্ধির কারণে। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ২.২৭ শতাংশ।
শাইনপুকুর সিরামিকসের দর ৯.২৫ শতাংশ বাড়ার ফলে সূচক বেড়েছে ০.৯৮ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের দর ২.৮ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৮ ৬ পয়েন্ট। ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের ০.৪ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ০.৫৭ পয়েন্ট।
এছাড়া মুন্নু ফেব্রিকস ০.৪ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার ০.৩১ পয়েন্ট, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস ০.২৯ পয়েন্ট, ক্রাউন সিমেন্ট এবং বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ডের কারণে সূচক বেড়েছে ০.২৬ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচকে যোগ করতে পেরেছে ৮.৯৫ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য