বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ২ জুন দেশে ভোজ্যতেলের দাম কমার আভাস দিয়েছিলেন। তবে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন ৯ জুন সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সে হিসাবে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ২০৫ টাকা।
তবে শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের দাম ১৯৮ টাকা লিটারেই বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিন তেল।
দোকানিরা বলছেন, নতুন দাম নির্ধারণ হলেও বাজারে আগের দামের তেল রয়ে যাওয়ায় পুরনো দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল।
সবশেষ সিদ্ধান্তের আগে ৫ মে সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৩৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৯৮ টাকা।
নতুন দর অনুয়ায়ী এক লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম মিল গেটে ১৯৫, পরিবেশক পর্যায়ে ১৯৯ ও খুচরায় ২০৫ টাকা। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল মিল গেটে ৯৫২, পরিবেশক পর্যায়ে ৯৭২ ও খুচরায় ৯৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি মিল গেটে ১৮০, পরিবেশক পর্যায়ে ১৮২ ও খুচরায় ১৮৫ টাকা দরে বিক্রি হবে। পাম তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মিল গেটে ১৫৩, পরিবেশক পর্যায়ে ১৫৫ ও খুচরায় ১৫৮ টাকা লিটার।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে আগের দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে। কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলেন, নতুন দাম নির্ধারণ হলেও বাজারে আগের দামের তেলই বিক্রি হচ্ছে। এই মার্কেটে খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
টাউন হলের তানিয়া জেনারেল স্টোরের মালিক মানিক মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে আনা সয়াবিন তেলই এখনো বিক্রি করছি। দুই লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি করছি ২৯৬ টাকা ও পাঁচ লিটার ৯৮৫ টাকা। পুএনা দামের তেলে বাজারে যে পরিমাণ আছে তা দিয়ে এক সপ্তাহ চলবে। এরপর নতুন করে সরবরাহ পাওয়া তেলের বোতলে যে দাম উল্লেখ থাকবে সে অনুযায়ী বিক্রি করবো।’
একই মার্কেটের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল স্টোরের মালিক আল আমিন বলেন, ‘সয়াবিন তেল হাফ লিটার ১০৪, এক লিটার ১৯৮, দুই লিটার ৩৯৮ ও পাঁচ লিটার ৯৮৫ টাকা দরে বিক্রি করছি। আজও ডিলারের কাছ থেকে পুরনো দামেই তেল কিনেছি। যেদিন থেকে কিনবো সেদিন থেকেই বোতলে উল্লেখ থাকা দরে তেল বিক্রি করবো।’
কারওয়ান বাজারেও আগের দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে। নতুন দাম নির্ধারণ হলেও সব দোকানেই আগের দামের তেল রয়ে গেছে। তা বিক্রিও হচ্ছে বোতলে উল্লেখ করা দামেই। তবে অধিকাংশ দোকানেই খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করতে দেখা যায়নি। দুই-একটি দোকানে খোলা তেল বিক্রি করলেও তারা আগের দামই রাখছেন।
কারওয়ান বাজারের শাহ মিরাজ জেনারেক স্টোরের মালিক বলেন, ‘নতুন দামের তেল পাইকার এখনো দেয় নাই। যতদিন পুরনো দামে তেল পাবো ততদিন আগের দামেই তেল বিক্রি করবো।’
কারওয়ান বাজারে সোনালী ট্রেডার্স পাম অয়েল বিক্রি করে। দোকানের মালিক আবুল কাশেম বলেন, আগের নির্ধারিত দাম ১৫৮ টাকা লিটারে পাম অয়েল বিক্রি করছি।
তবে ব্যতিক্রম পাড়া-মহল্লার দোকানগুলো। তারা আগে সরবরাহ পাওয়া তেল বোতলের গায়ের দামের থেকে লিটারে দুই থেকে ১৫ টাকা বেশি নিচ্ছে।
মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় মায়ের দোয়া স্টোরে ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা। এছাড়া দুই লিটার ৪০০, এক লিটার ২০০ ও হাফ লিটার ১০৫ টাকা দরে বিক্রি করছে।
এখানে আরিয়ান স্টোর নামে দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। তারা শুধু খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। দাম জানতে চাইলে দোকানের মালিক আইয়ুব আলী বলেন, ‘খোলা সয়াবিন তেল কেজি হিসেবে বিক্রি করি। এক কেজির দাম ২২০ টাকা। দাম বাড়ার কারণে বোতলের তেল বিক্রি করছি না।’
বাড্ডায় মদিনা স্টোরে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা লিটার। এখানে বোতলজাত সয়াবিন এক লিটার ২০০, দুই লিটার ৪০০ ও পাঁচ লিটার এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক বছর আগেও বোতলজাত তেলের দাম ছিল ১৩৪ টাকা লিটার। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তা নির্ধারণ করা হয় ১৬৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা মার্চ মাস থেকে লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা দাম নির্ধারণ দাবি তোলেন। সরকার তাতে রাজি না হলে ওইদিন থেকেই বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহে দেখা দেয় ঘাটতি।
এরপর সরকার ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিক্রির ওপর থেকে ভ্যাট পুরোপুরি তুলে নেয়। আর আমদানিতে ৫ শতাংশ রেখে বাকি সব ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। পরে গত ২০ মার্চ লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় ১৬০ টাকা।
আরও পড়ুন:সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন হাবিবুর রহমান।
এর আগে তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ছিলেন বলে এসবিএসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এএনজেড গ্রিনলেজ ব্যাংকে যোগদানের মাধ্যমে তিনি ব্যাংকিং জীবন শুরু করেন। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২৭ বছরের ব্যাংকিং জীবন তার। সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এইচএসবিসি এবং কানাডার টরেন্টো ডমিনিয়ন ব্যাংকে চাকুরি করেন হাবিবুর রহমান।
তিনি ঋণ ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি বিষয়কসহ পেশাগত স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অথনীতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বেলজিয়ামের ব্রাসেলস থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওমেগা নামক প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফাইড ক্রেডিট প্রফেসনালস ডিগ্রি অর্জন করেনিএই ব্যাংকার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-টরন্টো রুটে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হচ্ছে ২৭ জুলাই। টরন্টো ফ্লাইটে ভ্রমণে ইচ্ছুকরা এখন থেকেই অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
রোববার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশ-বিদেশে অবস্থিত বিমানের যে কোনো সেলস্ সেন্টার, বিমান অনুমোদিত যে কোনো ট্রাভেল এজেন্সি, বিমানের বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com ও কল সেন্টার ০১৯৯০৯৯৭৯৯৭ থেকে এ রুটের টিকিট কেনা এবং আনুষঙ্গিক সেবাগুলো গ্রহণ করা যাবে।
তবে কানাডা থেকে আপাতত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট কেনা যাবে না। বিষয়টি এখনও অ্যাকটিভেশন পর্যায়ে রয়েছে।
বিমান বলছে, প্রাথমিকভাবে ঢাকা-টরন্টো রুটে সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালিত হবে। ঢাকা থেকে প্রতি বুধবার ও রোববার বিমানের ফ্লাইট টরন্টোর উদ্দেশে যাত্রা করবে। একই দিন টরন্টো থেকে ফিরতি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে। রুটটিতে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে বিমানের বহরে থাকা বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ।
ঢাকা থেকে যাওয়ার সময় ফ্লাইটটি তুরস্কের ইস্তানবুলে এক ঘণ্টার জন্য টেকনিক্যাল ল্যান্ডিং করবে। তবে ফিরতি ফ্লাইটটি সরাসরি ঢাকায় অবতরণ করবে বলে জানিয়েছে বিমান।
বাংলাদেশ থেকে ইকোনমি ক্লাসে ভ্রমণে একমুখী যাত্রার জন্য ভাড়া ঠিক করা হয়েছে সর্বনিম্ন ৯০ হাজার ৫১০ টাকা। আর রিটার্ন টিকিটের ভাড়া ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭০ টাকা।
প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসের একমুখী ভাড়া ১ লাখ ২৭ হাজার ৩০০ টাকা আর রিটার্ন ভাড়া ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫৫ টাকা।
আর বিজনেস ক্লাসের ক্লাসে ভ্রমণে একমুখী ভাড়া শুরু হবে ১ লাখ ৬৪ হাজার ১০০ টাকা এবং রিটার্ন টিকিটের সর্বনিম্ন ভাড়া ঠিক করা হয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৩০২ টাকা।
টরন্টো থেকে যারা ঢাকায় আসবেন তাদের জন্য ইকোনমি ক্লাসে একমুখী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯০ কানাডিয়ান ডলার আর রিটার্ন টিকিটের দাম ১ হাজার ২৩৩ কানাডিয়ান ডলার।
প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসের ক্ষেত্রে একমুখী ভাড়া ১ হাজার ২৩০ কানাডিয়ান ডলার এবং রিটার্ন টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৭৮ কানাডিয়ান ডলার। আর বিজনেস ক্লাসের ক্ষেত্রে একমুখী ভাড়া ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৬০ কানাডিয়ান ডলার এবং রিটার্ন টিকিটের দাম ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৩ হাজার ৭৮ কানাডিয়ান ডলার।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক, সার্ভিস এরিয়া, টোল প্লাজা, নদীশাসনসহ বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল দেশীয় প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড। স্বপ্নের এই সেতুর ৫টি প্রকল্পের ৩টিই করেছে বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পের পথিকৃৎ এই প্রতিষ্ঠানটি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরলসভাবে যুক্ত ছিল একমাত্র দেশীয় প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড। ঐতিহাসিক এই যাত্রায় জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়নের গর্বিত অংশীদার প্রতিষ্ঠানটি। পুরো প্রকল্পে সেতুর গুনগত মান ঠিক রাখতে প্রায় এক কোটি আমেরিকান ডলার খরচ করে জার্মানি থেকে দুটি মেশিন নিয়ে আসার পাশাপাশি অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতেও আব্দুল মোনেম লিমিটেড বিনিয়োগ করেছে।’
আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দিন মোনেম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ৫টি প্রকল্পের ৩টিই করেছি আমরা। এই প্রকল্পে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে গিয়ে আমরা আমাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আরও একবার নিশ্চিত হয়েছি। ভবিষ্যতে দেশের আরও যেকোনো বড় প্রকল্পে আরও দক্ষতার সাথে অবদান রাখতে পারব বলে বিশ্বাস করে।’
আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য এবং জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়নের ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জনের গর্বিত অংশীদার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
দেশের জনপ্রিয় বিপণন ব্যক্তিত্ব জানে আলম রোমেল শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের বিপণন, ডিজিটাল বিজনেস ও গ্রাহক পরিষেবার প্রধান হিসেবে সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন।
তিনি শান্তার পুঁজিবাজার ব্যবসার অঙ্গসংস্থাসমূহ শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, শান্তা সিকিউরিটিজ এবং শান্তা ইকুইটির সামগ্রিক বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান বলেন, ‘এফএমসিজি, এয়ারলাইনস, ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন এবং ইলেকট্রনিকস ইন্ডাস্ট্রির মতো বৈচিত্র্যময় কর্মক্ষেত্র রোমেলের অভিজ্ঞতাকে পরিণত ও সমৃদ্ধ করেছে। আমরা আশাবাদী, তার ভিন্নধর্মী চিন্তাধারা, বিপণন নিয়ে ভিন্ন কিছু করার অদম্য ইচ্ছা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।’
শান্তা অ্যাসেটে যোগদানের আগে জানে আলম রোমেল ছয় বছর আইডিএলসি ফাইন্যান্সের চিফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করার পর জানে আলম ২০০৫ সালে এমজিএইচ গ্রুপে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বাংলাদেশের বিক্রয় ও বিপণন প্রধান হিসেবে যোগ দেন।
কর্মজীবনের দীর্ঘ সময় তিনি আইডিএলসি ফাইন্যান্সের মার্কেটিং কমিউনিকেশনের প্রধান এবং র্যাংগস ইন্ডাস্ট্রিজের মার্কেটিং প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
শান্তা আসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হাসান বলেন, ‘জানে আলম রোমেলকে আমাদের মাঝে পেয়ে আমরা আনন্দিত। কাজের প্রতি তার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, কর্ম-উদ্দীপনা, বিক্রয় এবং বিপণনের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা আমাদের আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশা রাখি।’
আরও পড়ুন:সিলেটের সবচেয়ে বড় বইয়ের মার্কেট রাজা ম্যানশন। গত ১৮ জুন এই মার্কেটে বন্যার পানি ঢুকে নিচের তলা পুরোপুরি ডুবে যায়। এতে কোটি টাকার বই নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
গত ১৫ জুন থেকে সিলেটে বন্যা দেখা দেয়। এর দুদিন পর থেকে ভয়ংকর রূপ নেয় বন্যা। ১৮ জুন সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরের উঁচু এলাকাগুলোও। ওইদিন পানি ঢুকে পড়ে নগরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা জিন্দাবাজারের বেশির ভাগ শপিং মল ও দোকানপাটে।
পানি ঢোকে জিন্দাবাজার এলাকার রাজা ম্যানশনেও। মার্কেটের নিচতলার অর্ধশত বইয়ের দোকান, ছাপাখানা ও কম্পিউটারের দোকানে পানি ঢুকে পড়ে।
রাজা ম্যানশনের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১৬ জুন বৃহস্পতিবার রাতে তারা জিন্দাবাজার এলাকা পানিশূন্য অবস্থায় দেখে ঘরে ফেরেন। পরের দিন শুক্রবার মার্কেট বন্ধ ছিল। আর ১৮ জুন শনিবার সকালে এসে দেখতে পান পানিতে তলিয়ে গেছে মার্কেট। পানি ঢুকে পড়েছে নিচতলার সব দোকানে। অনেক দোকানে কোমর সমান পানিও জমা হয়।
তারা আরও জানান, পানিতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বই ব্যবসায়ীরা। বইয়ের দোকানের নিচের তাকগুলোয় থাকা সব বই ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন এগুলো ফেলে দিতে হচ্ছে।
শনিবার রাজা ম্যানশনে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেট থেকে পানি নেমে গেছে। ভিজে নষ্ট হওয়া বই ভ্যানে করে সরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কিছু বই আবার রোদে শুকানোর চেষ্টা করছেন তারা।
এ সময় কথা হয় মার্কেটের শুভেচ্ছা লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী তানজিল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার দোকান মার্কেটের একেবারে সম্মুখে। তাই বন্যার পানি প্রথমে আমার দোকানেই ঢুকে পড়ে। পানিতে দোকানের প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার বই ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো আর ব্যবহারের উপযোগী নয়।’
তিনি বলেন, ‘রাজা ম্যানশনে বন্যার পানি ঢুকবে তা কখনও কল্পনাও করিনি। অথচ নিমিষেই পানিতে তলিয়ে গেল মার্কেটের পুরো নিচতলা। এখন ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবো তা বুঝতে পারছি না।’
প্যারাগন লাইব্রেরির বিক্রেতা আকাশ আহমদ বলেন, ‘আমাদের অন্তত ৭ লাখ টাকার বই নষ্ট হয়েছে। নষ্ট হওয়া বইগুলো পুরনো কাগজের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিতে হয়েছে। যেগুলো অল্প ভিজেছে সেগুলো শুকিয়ে ঠিক করা যায় কি না সে চেষ্টা করছি।’
জানা গেছে, বইয়ের পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে মার্কেটের নিচতলার ছাপাখানা ও কম্পিউটার ব্যবসায়ীদেরও।
প্যারাডাইস প্রেস নামের একটি ছাপাখানার কর্মকর্তা সুমন বক্স বলেন, ‘আমাদের প্রেস মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশে পানি ঢুকে গেছে। এগুলোর মেরামত কাজ চলছে। ফলে ছাপাখানা আপাতত বন্ধ আছে।’
রাজা ম্যানশন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসেন রহিম বলেন, ‘বন্যার পানিতে মার্কেটের নিচতলার সব দোকান এবং প্রতিষ্ঠানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কেবল বই ব্যবসায়ীদেরই ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার মতো।’
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিহিত করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনার আগেও আমরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছিলাম। এবার বন্যার কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে হলো। বন্যা আমাদের সব মূলধন নিয়ে চলে গেল।’
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কিছুটা কমে আসায় দেশেও ভোজ্যতেলের দাম দু-এক দিনের মধ্যে কমানোর সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বাদশ মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে আলোচনার নানা দিক তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।
ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গেছে, সেই হিসেবে দেশেও দাম কমানো হবে।’
দাম কমলে কত কমানো হতে পারে- এমন প্রশ্নে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আগামী দু-এক দিনের মধ্যে কিংবা চলতি সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বৈঠক করা হবে।
‘সেখানে আন্তর্জাতিক দাম অনুযায়ী দেশে গত এক মাসের মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেই দাম নির্ধারণ করা হবে। তবে ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুব বেশি কমানো সম্ভব নাও হতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউ সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মধ্যে কর্পোরেট ডিজিটাল সার্ভিসেস প্রদান সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই চুক্তি হয় বলে টেলিটকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিআইজি (প্রশাসন) মীর রেজাউল আলম, উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) টুটুল চক্রবর্তী এবং টেলিটকের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং এন্ড ভ্যাস) তাহমিনা খাতুন, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (ভ্যাস) আল-রাজ্জাকুজ্জামানসহ দুই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য