× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Demand for amendment of export tax free income limit and tobacco budget
google_news print-icon

রপ্তানি, করমুক্ত আয়সীমা ও তামাকের বাজেট সংশোধনের দাবি

বাজেট
খুলনা থেকে যেসব প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, রপ্তানি খাতে উৎসে কর কমানো, করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো, পাটকল শ্রমিকদের বরাদ্দ, তামাক ও প্লাস্টিকজাতীয় পণ্যে কর বাড়ানোর দাবি।

প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার সংসদে এ বাজেট উত্থাপনের পর থেকে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বাজেটের বিভিন্ন অংশের যেমন সাধুবাদ জানানো হয়েছে, তেমন কিছু ক্ষেত্রে সংশোধনের প্রস্তাবও করেছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।

খুলনা থেকে যেসব প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, রপ্তানি খাতে উৎসে কর কমানো, করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো, পাটকল শ্রমিকদের বরাদ্দ, তামাক ও প্লাস্টিকজাতীয় পণ্যে কর বাড়ানোর দাবি।

রপ্তানি খাতে উৎসে কর কমানোর দাবি বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ)

সংগঠনের সভাপতি আমিন উল্লাহ বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার জন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাসহ সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা খাত, মানবসম্পদ ও কর্মসংস্থানকে বাজেটে বেশি গুরুত্ব প্রদান করায় এটি বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী বাজেট হয়েছে। এ বাজেটে পোশাক খাতের মতো সব রপ্তানি খাতের প্রতিষ্ঠানের করপোরেট করহার ১২ শতাংশ করায় অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই।’

‘তবে হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানি খাতটি এক দশক ধরে বিভিন্ন আওতাবহির্ভূত কারণে লোকসান দিয়ে রপ্তানি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ খাতের রপ্তানির ওপর আরোপিত উৎসে কর ১ শতাংশ যুক্তিসংগত নয় বলে মনে করি। সুতরাং এ খাতের রপ্তানির ওপর উৎসে কর শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপসহ বিশ্বের অর্থনীতিতে মন্দা অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় বিশ্ববাজারে চিংড়ির দাম প্রতি কেজিতে প্রায় ২ ডলার কমেছে। এ ছাড়া কম মূল্যের ভেনামির সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ি রপ্তানি কার্যক্রম ভালোভাবে চালিয়ে যেতে কষ্টকর হচ্ছে। তাই অন্যান্য কৃষিপণ্যের মতো সরকার প্রদত্ত নগদ সহায়তা চিংড়িতে ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য মাছে ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। তদুপরি বর্তমানে এ খাতের রপ্তানিতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ আয়কর কর্তন সম্পূর্ণরূপে রহিত করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা চায় খুলনা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি

খুলনা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল কর্তৃক ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত জাতীয় বাজেটকে জনহিতকর, বাস্তবসম্মত, উন্নয়নমুখী, কৃষি ও ব্যবসাবান্ধব এবং যুগোপযোগী বলে মনে করে খুলনা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পরিষদ।’

তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে উন্নয়নের ধারায় ফিরে আসতে ব্যবসায়ী সমাজসহ সব শ্রেণির মানুষের স্বার্থে সরকারের প্রস্তাবিত এ বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভবপর। পাশাপাশি ব্যক্তিপর্যায়ে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ করা, ব্যক্তিগত আয়করের স্লাব কমানো, উৎপাদন পর্যায়ে ওষুধশিল্পে ভ্যাট কমানোসহ খানজাহান আলী বিমানবন্দর শিগগিরই চালুর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের জোর দাবি জানাচ্ছি। এ বাজেট দেশে চলমান মেগা প্রকল্প ও জাতিসংঘের ঘোষিত এসডিজি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বাজেটে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখাসহ ২৫ জন প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ নিয়োগ দিলে কর ছাড়ের সুযোগ রাখাকে সাধুবাদ জানায়। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটসহ ভবিষ্যৎ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং কোভিড-১৯ জনিত অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট সাপোর্ট সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করা ও এ বাজেট সাপোর্ট শিল্প, কলকারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রদান ও সামাজিক সুরক্ষায় ব্যয় করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি খুলনা চেম্বারের পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানায়।’

গাড়ির দাম বাড়ায় ভোগান্তি নেই মধ্যবিত্তের

বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের মোংলা বন্দরের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আহসানুর রহমান আরজু বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু গাড়ির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ফলে যেসব গাড়ির ক্ষমতা ২ হাজার সিসির ওপর, সেই সব গাড়ির দাম ২ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সচরাচর যেসব গাড়ি বেশি বিক্রি হয়, তার ক্ষমতা ১৫০০ থেকে ২ হাজার সিসির মধ্যে। এর ওপরের ক্ষমতার গাড়ি শতকরা দুই থেকে চারজন ব্যক্তি কিনে থাকেন, যা বিলাসবহুল গাড়ি।’

‘মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ সাধারণত বিলাসবহুল গাড়ি কেনেন না, তাই বাজেটে গাড়ির দাম নিয়ে তাদের উদ্বেগের কিছু নেই। আগে যে দাম ছিল তা অপরিবর্তিত থাকবে।’

আহসানুর রহমান আরজু বলেন, ‘বিলাসবহুল গাড়ির দাম যে খুব বেশি বাড়ানো হয়েছে, তা নয়। আগে ২০০১ হাজার সিসি থেকে ৩ হাজার সিসির গাড়ির সম্পূরক শুল্ক ছিল শতকরা ২০০ ভাগ, এখন ২৫০ ভাগ করা হয়েছে। এতে দাম যে অনেক বেড়ে যাবে তা নয়। ২৫০০ সিসির একটি হাইব্রিড আমাদের দেশে বেশ বিক্রি হয়। ওই গাড়ির দাম একটু বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘৩০০১ সিসি থেকে ৪ হাজার সিসি পর্যন্ত গাড়ির সম্পূরক শুল্ক ৩৫০ শতাংশ থেকে ৫০০ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ৪০০০ সিসির ঊর্ধ্বের গাড়ির সম্পূরক শুল্ক আগের মতোই অর্থাৎ ৫০০ শতাংশই রাখা হয়েছে।

‘এসব গাড়ি শতকরা দুই থেকে চারজনের বেশি কেনেন না। তাই দাম বাড়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।’

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনে (বিএফএএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গাড়ি বিদেশ থেকে আনতে জাহাজের ভাড়া সরকার নির্ধারণ করে না। এ ছাড়া বন্দরের ভাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে, যা জাতীয় বাজেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। ২ হাজার সিসির নিচে যেসব গাড়ি দেশে আসবে, তার পরিবহন খরচ আগের মতোই আছে। তাই দাম বাড়ছে না।’

পাটশিল্প নিয়ে চিন্তিত নন ব্যবসায়ীরা, শঙ্কিত শ্রমিকরা

বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএ) চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের সদস্যরা প্রতি বছর প্রায় ৫০০ কোটি টাকার পাট বিদেশে রপ্তানি করেন। আগামী অর্থবছরের জন্য যে বাজেট করা হয়েছে, তাতে পাটশিল্পের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আসবে।’

‘পাট খাত নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তাই পাট ব্যবসায়ী প্রস্তাবিত বাজেটের সাধুবাদ জানাই।’

শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলাম, বন্ধ হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালুর জন্য। এ লক্ষ্যে আমরা ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য সুপারিশ করেছিলাম।

‘তবে প্রস্তাবিত বাজেটে তার কিছুই নেই। আমরা চাই অনতিবিলম্বে বাজেটে পাটকল শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হোক, একই সঙ্গে পাটকলগুলো চালুর উদ্যোগ নেয়া হোক।’

তামাক কোম্পানির লাভ বাড়বে

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে তামাক কোম্পানিকে নতুন ধূমপায়ী সৃষ্টি এবং পুরোনো ধূমপায়ীকে উৎসাহী করতে সহযোগিতা করবে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের সদস্য সংগঠন সিয়াম।

সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ৭২ শতাংশ মানুষ নিম্নস্তরের সিগারেট সেবন করে। অথচ এই স্তরের করহার না বাড়িয়ে নামমাত্র মূল্যবৃদ্ধিতে দেশে ধূমপানের পরিমাণ বাড়বে এবং মানুষের ক্রয় সামর্থ্য বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির তুলনায় সিগারেট সহজলভ্য হওয়ায় কিশোর-তরুণরা ধূমপান শুরু করতে উৎসাহিত হবে।

‘একই সঙ্গে জর্দা, গুল ও বিড়ির মূল্য পূর্বাবস্থায় বহাল থাকায় এগুলোর ব্যবহারকারীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি বয়ে আনবে। একই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট করারোপ পদ্ধতির প্রবর্তন না করায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাবে। বিপরীতে তামাক কোম্পানি ধারাবাহিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি তাদের মুনাফা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।’

মাসুম বলেন, ‘দেশে সিগারেটের অধিকাংশই বিক্রি হয় খুচরা শলাকা হিসেবে। সিগারেটের ১০ শলাকার মূল্য প্রিমিয়াম স্তরে ৭ টাকা, উচ্চস্তরে ৯ টাকা, মধ্যম স্তরে মাত্র ২ টাকা এবং নিম্নস্তরে মাত্র ১ টাকা বৃদ্ধিতে খুচরা শলাকার দামে তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না। এতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া নিম্নস্তরের প্রতি শলাকার দাম বাড়বে মাত্র ১০ পয়সা বা ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং মধ্যমস্তরে ২০ পয়সা বা মাত্র ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ। উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের ভোক্তারা অবস্থাপন্ন শ্রেণির হওয়ায় এই স্তরে সামান্য মূল্যবৃদ্ধি ব্যবহার কমাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না।’

প্লাস্টিক শিল্পের ৫ শতাংশ শুল্ক বহালের দাবি

প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের নির্বাহী কমিটির সদস্য গৌরাঙ্গ নন্দী বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব ধরনের পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের ওপর ওই ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

‘পরিবেশ বিনষ্টকারী অন্যতম উপাদান হলো প্লাস্টিক ও পলিথিন। অনতিবিলম্বে এগুলোর ব্যবহার বন্ধ করা উচিত ছিল এবং সেই লক্ষ্যে আইন হওয়া উচিত ছিল। তবে সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে এ শিল্পকে আরও উৎসাহিত করা হয়েছে, যা পরিবেশের জন্য একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর পদক্ষেপ। আমরা চাই পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বহাল থাকুক।’

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘দেশ ও জাতির মৌলিক চাহিদা মেটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি আর্থসামাজিক গণমুখী বাজেট পেশ করেছেন। ২০৪১ ও ২০৩১-এর ভিশনকে টার্গেট করে বাজেটে মানুষের জীবনমান বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

‘মানুষের মর্যাদা যত বৃদ্ধি হবে, ততই অর্থনৈতিক সফলতা বৃদ্ধি হবে। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে শিক্ষাকে সর্বাধিক মূল্যায়ন করা হয়েছে। শিক্ষিত জাতি গঠিত হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অর্থনৈতিক মুক্তি চলে আসবে। এই শিক্ষিত জাতিকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে শিল্প ও কৃষি খাতে।’

খুলনার মেয়র বলেন, ‘দেশ শিল্পায়িত হলে শিক্ষিত, দক্ষ বেকার যুবক-যুবতীদের ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। দেশ হবে আত্মমর্যাদাশীল। দূর হবে দারিদ্র্য। সে জন্যই দারিদ্র্য দূরীকরণে বাজেটে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে প্রস্তাব রাখা হয়েছে সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা।

‘১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকরা পাবেন এ পেনশন সুবিধা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যও থাকছে একই সুযোগ। ২০০৮ সালের দলীয় নির্বাচনি ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে জাতীয়ভাবে একটি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি চালু করতে এ বাজেট পেশ করা হয়েছে। গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় বয়স্ক বৃদ্ধদের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিতে বাজেটে ষাটোর্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে এই পেনশনের আওতায় রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া বেকারদের জন্য চালু করা হচ্ছে চার ধরনের বিমা ব্যবস্থা। দেশ ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থার প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে। এই ডিজিটাল মুদ্রাব্যবস্থা চালু হলে মানুষের অনেক সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষা হবে বলে নেতারা মনে করেন। সব মিলিয়ে এ বাজেট গণমুখী একটি সুষম বাজেট। এই বাজেট বাস্তবায়িত হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।’

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘এত বড় বাজেট সরকার বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না সন্দেহ। দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়, ব্যাংকে টাকা নেই। এ সময় এত বড় বাজেট কল্পনার ফানুস ছাড়া কিছু না। প্রস্তাবিত বাজেট জনগণের স্বার্থে নয়।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত সংবাদ

অর্থ-বাণিজ্য
The terrorist attack on journalists at Satkhira Press Club and injured

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Daudkandi Municipality announces a budget of Tk 12 crore

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।

এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Shot in Rupganj protesting drunkenness 2 young men

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।

তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Village Court Awareness Workshop held in Noakhali 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Jessore court disappears from the document of the case

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।

এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’

আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Attack on my newspaper representative in Daulatpur

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিজানুর রহমান রিপন (৪৮) নামের এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। মিজানুর রহমান রিপন ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

গত রবিবার সন্ধার দিকে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান রিপন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমর সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। এঘটনায় ওই দিন রাতে ভূক্তভুগী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এযাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ জুন উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকার তারাগুনিয়া ক্লিনিকে আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রশুতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সহ উপজেলার বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রকাশ করে। তারি জের ধরে উপজেলা বাজারে থাকা সরকার নিষিদ্ধ ক্লিনিক বেবি নার্সিং হোম এর মালিক আহসান হাবিব কালুর ছোট ছেলে খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারে তাকে মারধর করে।

এবিষয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই গণমাধ্যম কর্মী বলেন, গতকাল বিকেলে আমি উপজেলা বাজারে বাড়ির দৈনন্দিন বাজার করছিলাম এসময় খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারের বেবী ক্লিনিক মালিকের ছেলে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় সে আমাকে বলে আমার হাসপাতালে যে ডাক্তার আসে সেই ডাক্তারের নামে তুরা নিউজ করেছিস বলে আমার উপর হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর করে। এঘটনার পর আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের বিষয়ে, দৌলতপুর উপজেলার একজন প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটি কখনই কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ।

এঘটনায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হুদা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অভিযুক্ত খালিদ হাসান আর্জু

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladesh Air Force Chief inaugurated the next development program in Feni

ফেনীতে বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান

ফেনীতে বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক ফেনী এলাকায় গত '২৪ এর ভয়াবহ বন্যা পরবর্তী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক, সংস্কার ও পুর্নগঠন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) সকাল ১১ টায় ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের দুর্গাপুরে হাবিব উল্যাহ খাঁন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি।

বিমান বাহিনী প্রধান ফেনী এলাকায় বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক সংস্কার ও পুর্নগঠন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। হাবিব উল্যাহ খান উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ ও পরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহায়তায় ছাগলনাইয়া উপজেলার হাবিব উল্যাহ খান উচ্চ বিদ্যালয় এর নবনির্মিত শাহীন ভবন উদ্বোধন এবং দুর্গাপুর সিংহনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নুরুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া বিমান বাহিনী কর্তৃক ফেনী জেলার বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম, বন্যা দুর্গতদের জন্য মেডিকেল সেবা পরিচালনা ও চিকিৎসা সেবা সহায়তা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিমান বাহিনী প্রধান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমান বাহিনী প্রধান ফেনী জেলায় ২০২৪ সালের আকস্মিক বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তী সময়ে বিমান বাহিনীর ভুমিকার ভূয়সী প্রসংশা করেন এবং পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যে সকল প্রতিষ্ঠান আর্থিক, ত্রাণ ও বিভিন্নভাবে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বিমান বাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও বিমান বাহিনী দেশ ও জনগণের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

তিনি আরো বলেন, বন্যার সাথে তৎকালীন বৈরী আবহাওয়া ও বিছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পেশাদারিত্বের সাথে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসে, যা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। এ পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা দিকনির্দেশনায় এবং বিমান বাহিনী প্রধানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভয়াবহ এ বন্যাদুর্গত কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং বিশেষ করে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী জেলায় হেলিকপ্টার ও ইউএভি এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে এরিয়াল রেকোনাইসেন্স মিশন পরিচালনা করে বন্যা দুর্গত মানুষের সহায়তায় প্রয়োজনীয় জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা কার্যক্রমে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

বিমান বাহিনীর সূত্র জানায়, সামগ্রিকভাবে বিমান বাহিনী বন্যা পরবর্তী এ পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী উপজেলার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা, ধর্মীয় উপাসনালয় ও রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ এবং সংস্কার কার্যক্রম ইতিমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, দূর্গাপুর, ছাগলনাইয়্যা-এ অবস্থিত হাবিব উল্যাহ্ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রমবর্ধমান ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদা বিবেচনা করতঃ শাহীন ভবন নামে একটি চারতলা ভিত বিশিষ্ট দুইতলা ভবন আসবাবপত্রসহ নির্মাণ করা হয়েছে, যেটি দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। এ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করেছে ঢাকাস্থ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার ও বিমান বাহিনী ঘাঁটি একে খন্দকার।

অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বিমান ঘাঁটি বাশারের এয়ার অধিনায়ক, বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ, ফেনী জেলা প্রশাসক, সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে