দুই বছরের বেশি সময়ের মহামারির মহাসংকটের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় টালমাটাল অবস্থায় ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার যে বাজেট অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দিয়েছেন, তার ৬২ শতাংশই খরচ হবে সরকার পরিচালন বাবদ।
৪ লাখ ১৮ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকার এই পরিচালন ব্যয় বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি।
আর এই টাকার প্রায় অর্ধেক, ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা খরচ হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পেনশন এবং সুদ মেটাতে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ ৮০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা চলে যাবে সুদ পরিশোধে, যা মোট রাজস্ব বাজেটের ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ। এরমধ্যে ৭৩ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা চলে যাবে অব্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে। বাকি ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বিদেশি ঋণের সুদ শোধে।
বিপুল বিদেশি ঋণের বোঝা নিয়ে এখন প্রায় সর্বস্বান্ত শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের মাঝেই বাংলাদেশে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। এই বাজেট বাস্তবায়নে বিশাল অঙ্কের বিদেশি ঋণ নেয়ার পরিকল্পনাও সাজিয়েছেন তিনি।
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য যে প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন তার অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবারই প্রথম রাজস্ব বা পরিচালন বাজেটের সবচেয়ে বেশি অর্থ সুদ পরিশোধের জন্য রাখা হয়েছে। ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের মূল বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ ৬৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে ৭১ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে
এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী সুদ পরিশোধ বাবদ বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ শতাংশ এবং মূল বাজেটের চেয়ে ১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি বরাদ্দ রেখেছেন।
২০২০-২১ অর্থবছরে ৭০ হাজার ৬০৬ কোটি টাকার সুদ পরিশোধ করেছিল সরকার।
এতোদিন রাজস্ব বাজেটের সবচেয়ে বেশি অর্থ চলে যেতো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন-ভাতায়। কিন্তু এবারই প্রথম সুদ পরিশোধের জন্য বেশি অর্থ বরাদ্দ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৭৪ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা রাজস্ব বাজেটের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৯ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা আরও বেড়ে ৭১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকায় ঠেকেছে।
তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বেতন-ভাতার জন্য ৫৮ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা খরচ করেছিল সরকার।
নতুন বাজেটে অবসরে যাওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন বাবদ ব্যয় হবে ৩১ হাজার ৩৭ কোটি টাকা, যা বাজেটের ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের মূল্ বাজেটে এ খাতের জন্য ২৮ হাজার ২০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল; সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছরে পেনশন বাবদ ১৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল সরকারের।
শেখ হাসিনার টানা তৃতীয় মেয়াদের সরকারের চতুর্থ বাজেট বৃহস্পতিবার সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। ৩০ জুন এই বাজেট পাস হবে। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।
এমন একসময়ে এবার বাজেট দিতে হলো, যখন বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কা যেতে না যেতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়েছে। ফলে অর্থমন্ত্রীকে বাজেট সাজাতে গিয়ে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে।
সে কথা বাজেট বক্তৃতায় বার বার উল্লেখ করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘সামনের দিনগুলোতে দারুন কৌশলী হতে হবে সরকারকে। যেকোন একটি সমস্যা ঠিকভাবে মোকাবেলা করতে না পারলে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা আছে।’
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ সরকারের ব্যয় স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবছর বাড়ে। অন্য অনেক খাতে বরাদ্দ কমানো গেলেও ঋণের সুদ পরিশোধ এবং বেতন-ভাতায় কাঁচি চালানোর সুযোগ থাকে না।
অর্থনীতিতে বাজেটকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় বা পরিচালন বাজেটকে বলে রাজস্ব বাজেট। আর উন্নয়ন বাজেট পরিচিত সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপি হিসেবে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের এই বাজেটে অর্থমন্ত্রী পৌনে ৭ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছেন। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় বা রাজস্ব বাজেট ৪ লাখ ১৮ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে সুদ পরিশোধে বেশি অর্থ ব্যয় ধরার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মুনাফার হার বেশি হওয়ায় গত কয়েক ধরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি অনেক বেড়েছে। সেই সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে সরকারকে। তাতে এ খাতে ব্যয় বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে বিদেশি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। তার সুদও শোধ করতে হবে।’
‘সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতিবছর ইক্রিমেন্ট হয়; তার পেছনেও ব্যয় বাড়ে। অনেকের পদোন্নতি হওয়ায় বেতন বাড়ে। সে কারণে এ খাতেও সরকারের খরচ বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
‘এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করার মতো, এই যে দুই বছরের মহামারি গেলো, আবার যুদ্ধের ভয়াবহতার মাশুল দিতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। করোনা মধ্যে অনেকেরই চাকরি চলে গেছে। অনেকের বেতন কমেছে। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হচ্ছে, এই দুই সংকটে ৩ লাখের বেশি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। মোট কথা, দেশের বেশির ভাগ মানুষ খুবই কষ্টে আছে। শুধু বহাল তবিয়তে আছে সরকারি কর্মকর্তারা। তাদের আয় কমেনি; উল্টো ইক্রিমেন্টসহ নানান সুবিধার কারণে বেড়েছে।
‘সে কারণেই সরকারকে তাদের জন্য এই কঠিন সময়েও বেশি খরচ হচ্ছে’- বলেন ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর।
মুস্তফা কামাল তার এবারের বাজেটে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন ও ভাতা বাবদ যে বরাদ্দ রেখেছেন, তার মধ্যে ১১ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা কর্মকর্তাদের বেতনে খরচ করবেন। ২৭ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা খরচ করবেন কর্মচারীদের বেতনের জন্য। আর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতার জন্য রেখেছেন ৩৪ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা।
অন্যান্য ব্যয়
পণ্য সরবরাহ ও সেবা খাতের খরচের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৮ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। মেরামত ও সংরক্ষণ বাবদ নতুন বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি বাবদ ৫৬ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রণোদনায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫ হাজার ২২৫ কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে সরকারের ব্যয় নির্বাহের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন, সেখানে সামগ্রিক ঘাটতি দেখানো হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা। ঘাটতির এই পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
বড় ঘাটতি মেটাতেই সরকারকে দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে ধার করতে হবে।
অর্থমন্ত্রী পরিকল্পনা করেছেন, এবার বৈদেশিক উৎস থেকে মোট ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা ঋণ নেবেন। সেখান থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা আগের ঋণের কিস্তি পরিশোধে খরচ করবেন। ফলে সরকারের নিট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।
ঘাটতির বাকি ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা নেয়া হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা, ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে নেয়া হবে ৪০ হাজার ১ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৫ হাজার ১ কোটি টাকা অন্যান্য উৎস থেকে নেয়ার পরিকল্পনার ছক কষেছেন মুস্তফা কামাল।
আরও পড়ুন:
বড় কোনো সংশোধনী ছাড়াই জাতীয় সংসদে পাস হতে যাচ্ছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট নিয়ে সমাপনী অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের সর্বসম্মত কণ্ঠভোটে পাস হবে এই বাজেট।
এর আগে ৯ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে আগামী অর্থবছরজুড়ে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার ব্যয়ের বাজেট প্রস্তাব করেন।
এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেটে মূল লক্ষ্য হলো করোনার অভিঘাত পেরিয়ে দেশকে উন্নয়নের ধারায় প্রত্যাবর্তন। সেই লক্ষ্যে এবার বাজেটের মূল ফোকাস হলো অর্থনীতির সব খাতে সক্ষমতার উন্নয়ন। এ জন্য তিনি এই বাজেটে আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন।
ফলে এ বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ দশমিক ৬ শতাংশের সমান। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার কর-রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই আয় আসবে মূলত আয়কর, ভ্যাট এবং আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক থেকে।
এনবিআরবহির্ভূত কর থেকে আসবে ১৮ হাজার কোটি টাকা আর কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
ঘাটতির মধ্যে অনুদানসহ বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৯৮ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা; আর অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে নেয়া হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।
অপরদিকে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভোক্তাকে মূল্যস্ফীতি থেকে সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্য রয়েছে বাজেটে। এ জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটে অর্থমন্ত্রী আগামী বছরজুড়ে দেশের মূল্যস্ফীতিকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার প্রস্তাব করেছেন।
আরও পড়ুন:
বাজেটে আরও কিছু পরিবর্তন হয়েছে। মেডিটেশন সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর–ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত এসেছে। প্রত্যাহার করা হয়েছে আমদানিকরা লিফটের ভ্যাট। অন্যদিকে, আমদানিকরা বিটুমিনে (আলকাতরা) নতুন করে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদে বুধবার এই পরিবর্তনের প্রস্তাব আনেন অর্থমন্ত্রী, যা পাস হয় কন্ঠভোটে।
গত ৯ জুন বাজেট ঘোষণায় মেডিটেশন সেবার ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়। এতে প্রবল আপত্তি জানায় মেডিটেশন সেবাগ্রহণকারীরা।
এমন প্রেক্ষাপটে এই সেবার ওপর ভ্যাট হার ১৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এতে যারা মেডিটেশন সেবা নেবেন, তাদের খরচ কমবে।
বাজেট ঘোষণার সময় আমদানি করা লিফটের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে মোট ৩১ শতাংশ করা হয়। মূলত দেশীয় লিফট শিল্পের সুরক্ষায় বাড়তি কর আরোপ হয়।
লিফট আমদানিকারকরা বলছে, এত বেশি কর দিয়ে লিফট আনলে খরচ অনেক বাড়বে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আবাসনখাতে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে লিফট আমদানিতে ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়।
বাজেট ঘোষণায় বিটুমিন আমদানিতে বাড়তি ভ্যাট আরোপ করা হয়নি। দেশে বিটুমিন শিল্প নতুন করে গড়ে উঠেছে। তাই এই শিল্পের সুরক্ষায় আমদানি করা বিটুমিনে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। এতে করে আমদানি করা বি-টুমিন দাম পড়বে বেশি। পক্ষান্তরে, দেশীয় বি-টুমিন শিল্পের চাহিদা বাড়বে।
আরও পড়ুন:বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জনগণকে মিতব্যয়ী হতে, সঞ্চয় বাড়াতে, দেশীয় পণ্য ব্যবহার করতে এবং দেশেই চিকিৎসা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া, বিলাসী পণ্য পরিহারের অনুরোধও করেছেন তিনি।
বুধবার রাতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেককে তার নিজ নিজ জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে, ব্যক্তিগত সঞ্চয় করতে হবে। প্রত্যেকের নিজস্ব সঞ্চয় বাড়ানো এবং প্রত্যেককে মিতব্যয়ী হতে হবে।
‘দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কথায় কথায় দৌড়ায়ে বিদেশে যেয়ে চিকিৎসা নেয়া যাবে না। দেশেও ভালো চিকিৎসা হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ ঢালাও ব্যবহার করবেন না, অপচয় যেন না হয় সকলেই কিছু কৃচ্ছ্রসাধন করে কিছুটা সঞ্চয় করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন। আমদানি করা বিলাসী পণ্য পরিহার করে সবাইকে দেশীয় পণ্য ব্যবহারের দিকে নজর দিতে হবে।’
করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর ইউক্রেনে রুশ হামলার পর দেশে দেশে দেখা দেয়া সংকটের বিষয়টিও উঠে আসে সরকারপ্রধানের বর্ণনায়। এই সময়েও বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপ সামলে এগিয়ে চলছে বলে মনে করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একে তো করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাব, তার ওপর মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।
‘শত বাধা ও চাপের মুখে পড়লেও আমরা দৃঢ়ভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। অনেক প্রতিকূল অবস্থায় এগোতে হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন গতিশীলতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।
‘এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চাই। আমাদের দেশে, বিদেশে, বাইরে সব জায়গায় তো একটা বাধা পেতে হয়। সেটা অতিক্রম করে আমরা অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করছি। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। এ জন্য জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই। জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা পেলে এই বাজেট সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারব।’
গত ৯ জুন আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দুই সপ্তাহের বেশি আলোচনা পর্যালোচনার জন্য কিছু পরিবর্তন করে বুধবারের মধ্যে বাজেট পাস করে।
সরকারপ্রধান উল্লেখ করেন, ‘দেশের মানুষ তার প্রত্যেকের জায়গা থেকে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে। যেমন ব্যক্তিগত পর্যায়ে সঞ্চয় বাড়ানোর মাধ্যমে জাতীয় সঞ্চয় বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে যে কেউ। সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় তথা অপচয় কমিয়ে এবং আমদানিকৃত বিলাস পণ্য পরিহার করে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনায় মনোযোগী হলে দেশ উপকৃত হবে।’
স্থানীয় শিল্পের বিকাশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তার সরকারকে ব্যবসাবান্ধব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করপোরেট কর হার আরও কমিয়ে কর হার ২ দশমিক ৫০ ভাগ হারে হ্রাস করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশি-বিদেশি বাধা অতিক্রম করে আমরা অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করছি। তার কারণ, আমাদের দেশের মানুষের আলাদা শক্তি আছে। তারা বুঝতে পারে, অনুধাবন করতে পারে। তখনই তাদের শক্তি বোঝা যায়। পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য।
‘জাতির পিতার ডাকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল এ দেশের মানুষ। স্বাধীনতার জন্য জীবন বিলিয়ে দিয়েছিল। আমাদের মানুষকে নিয়েই এগোতে হবে।’
আরও পড়ুন:পাচারের অর্থ-সম্পদ দেশে ফেরত আনতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে যেসব সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল তাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সে অনুযায়ী পাচারের সব ধরনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দেশে আনার প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। শুধু নির্ধারিত হারে কর দিয়ে নগদ টাকা দেশে আনা যাবে।
সংশোধনীতে নতুন করে একটি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। তা হলো, দেশের বাইরে কারও সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেলে সেই সম্পদ অর্জনের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। সন্তোষজনক জবাব পাওয়া না গেলে ওই সম্পদের মূল্যের সমপরিমাণ জরিমানা অথবা বাজেয়াপ্ত করা হবে।
নতুন বাজেটে এটিসহ আর কিছু কর প্রস্তাবে পরিবর্তন এনে অর্থবিল-২০২২ পাস হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর এসব সংশোধনী আনেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিদেশ থেকে পাচারের টাকা ফেরত আনতে গত ৯ জুন ঘোষিত বাজেটে বিশেষ সুযোগ দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
বলা হয়, স্থাবর সম্পদ দেশে আনার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ এবং অস্থাবর সম্পদের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর দিয়ে ফেরত আনা যাবে। আর কেউ যদি নগদ টাকা দেশে আনতে চায় তাকে কর দিতে হবে ৭ শতাংশ।
এ নিয়ে দেশ জুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। মূলত এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাজেট প্রস্তাবে এই সংশোধন আনা হয়েছে।
সংশোধনীতে শুধু নগদ টাকা আনার সুযোগ রেখে বাকি দুটি অর্থাৎ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ আনার প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে।
কোম্পানির করপোরেট কর সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সংশোধন আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, যেসব কোম্পানি বছরে ৩৬ লাখার টাকার বেশি ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করবে তারা কম হারে করপোরেট কর পরিশোধের সুবিধা পাবে। প্রস্তাবিত বাজেটে এই সীমা ছিল বছরে ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে কোম্পানিকে ছাড় দেয়া হয়েছে।
নতুন কোম্পানির বার্ষিক রিটার্ন জমার নিয়ম সহজ করা হয়েছে। যেসব কোম্পানির ব্যবসার বয়স এক কিংবা দুই বছর সেসব কোম্পানি শুধু টিআইএন সনদ দিলেই রিটার্ন গ্রহণ করা হবে। সঙ্গে অন্যান্য আনুষঙ্গিক দলিলপত্র জমা না দিলেও চলবে। তবে তৃতীয় বছর থেকে সব ডকুমেন্টসহ রিটার্ন জমা দিতে হবে।
শ্রমিকদের কল্যাণে সব প্রতিষ্ঠানে একটি তহবিল থাকার কথা। নিয়ম অনুযায়ী, মালিক পক্ষ ওই তহবিলে যে পরিমাণ টাকা দেয় তা কোম্পানির খরচ হিসেবে গণ্য করা হয়। এতে করে কোম্পানির ওপর করের চাপ কমে।
প্রস্তাবিত বাজেটে খরচের বিধান বাতিল করলেও সংশোধন করে তা ফের আগের অবস্থানে নেয়া হয়। তবে এই সুযোগ এক বছরের জন্য বহাল থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন:মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার বিবেচনায় বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের অবস্থান হবে এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই অবস্থান আগামী অর্থবছরও অটুট থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট আলোচনার উপর সমাপনী বক্তব্যে বুধবার তিনি এমন তথ্য দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের গত ১৩ বছরের অনন্য অর্জনসমূহ রূপকথার গল্পগাঁথাকেও হার মানায়। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সময়ে জিডিপিতে ১৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল প্রথম। যেখানে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চায়নার প্রবৃদ্ধি ছিল ১৭৭ শতাংশ।’
এ সময় অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের হিসাবে বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছর এবং আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছর বাংলাদেশের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির হার হবে এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
করোনা মহামারি ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও দেশের অর্থনীতির এই ক্রমোন্নতিতে নেতৃত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।
বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গও টানেন। আ হ ম মুস্তফা কামাল দাবি করেন, পদ্মা সেতুর হাত ধরে তিনি আমাদের বিশ্ব মানচিত্রে এক ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, পরিবেশ ও সক্ষমতা তৈরিসহ ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বাড়াতে সুপারিশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। ওয়াশ খাতে বরাদ্দ না বাড়ালে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ ধীরগতিতে হবে বলে মনে করছেন তারা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা এ বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজেট বরাদ্দ কম হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন হয়ে পড়বে। যদিও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে আঞ্চলিক বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে।
বাজেটে হাওর এবং পার্বত্য এলাকায় বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছে, তবে চর এবং উপকূলীয় এলাকায় বরাদ্দ বাড়েনি। প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে। ওয়াশ খাতের আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বরাদ্দ বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
নিরাপদ পানি ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা ওয়াটার এইড বাংলাদেশ, পিপিআরসি, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, ফানসা-বিডি, এফএসএন নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ ওয়াটার ইনটিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন), স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল, অ্যান্ড ওয়াটার পভার্টি, এমএইচএম প্ল্যাটফর্ম এবং ওয়াশ অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে উপস্থিত ছিলেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ওয়াটার এইডের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর হোসেন ইশরাত আদিবসহ ওয়াশ নেটওয়ার্কের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাজেট ২০২২-২৩ : শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি।
সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রবন্ধে কোভিড-পরবর্তী বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বলা হয়, এ ক্ষেত্রে উদীয়মান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে বরাদ্দ অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মোকাদ্দেম আকাশ ও উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিক্ষার মাধ্যমে একটি কল্যাণকর ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য তিনি শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়কে উদ্ভাবনের প্রাণকেন্দ্র। উচ্চশিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষক ও গবেষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য