আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে গ্রাহকদের কেনাকাটার সুবিধার্থে দেশের অন্যতম মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ট্রাস্ট আজিয়াটা পে বা ‘ট্যাপ’ ও ই-কমার্স মার্কেট প্লেস ফেয়ার মার্টের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।
কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে এ চুক্তির আওতায় গ্রাহকরা ফেয়ার মার্ট থেকে পণ্য কিনে ট্যাপের ম্যাধমে পে করার সুবিধা পাবেন।
সম্প্রতি ফেয়ার মার্টের হেড অফিস রাজধানীর বনানীতে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়। এ সময়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি সাক্ষর করেন ট্যাপ-এর হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড মিডিয়া রিলেশন্স আশিকুর রহমান ও ফেয়ার মার্টের হেড অব বিজনেস মো. আতাউল হক।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ট্যাপ-এর হেড অফ প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট মো. নজরুল ইসলাম জামান, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মার্চেন্ট ম্যানেজমেন্ট আসিফ বিন মুজিব এবং ফেয়ার মার্ট লিমিটেডের মার্কেটিংয়ের ডেপুটি ম্যানেজার যাহিদ ইসলাম আয়াজ, লজিস্টিকস অপারেশনের ডেপুটি ম্যানেজার শেখ ফুয়াদ আহমেদ এবং এফএমএল-এর ফাইন্যান্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার লিমন জোহান কোরাইয়া।
এ বিষয়ে ট্যাপের হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড মিডিয়া রিলেশন্স আশিকুর রহমান বলেন, ‘ট্যাপ শুরু থেকেই মানুষের লাইফস্টাইলের প্রতি ফোকাস করে কাজ করছে। এখন সবাই অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্ত। গ্রাহকদের কেনাকাটা আরও উপভোগ্য করে তুলতে আমরা এই ডিসকাউন্ট সুবিধা নিয়ে এসেছি।’
ফেয়ার মার্ট-এর হেড অব বিজনেস মো. আতাউল হক বলেন, ‘অনলাইন কেনাকাটায় গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম ফেয়ার মার্ট। আশা করি আমাদের গ্রাহকরা ট্যাপ-এর সুবিধা খুব ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন।’
প্রত্যাশা করা হয়েছিল, রোজার ঈদের মতো কোরবানির ঈদের আগের মাস জুনেও বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসবে। কিন্তু তেমনটা লক্ষ করা যাচ্ছে না।
এই মাসের ২৩ দিনের তথ্য রোববার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে দেখা যায়, বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস জুনের ১ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত ১২৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ হিসাবে প্রতিদিন রেমিট্যান্স এসেছে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। মাসের বাকি সাত দিনে এই হারে রেমিট্যান্স এলে দাঁড়াবে ১৬৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, যা হবে গত তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
গত ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। মার্চে আসে ১৮৬ কোটি ডলার।
গত ৩ মে মাসে দেশে রোজার ঈদ উদযাপিত হয়। ঈদ সামনে রেখে এপ্রিলে ২০১ কোটি (২.০১ বিলিয়ন) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, একক মাসের হিসাবে যা ছিল ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
ঈদের পরের মাসেও মোটামুটি ভালোই এসেছিল। মে মাসে ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ (১.৮৮ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন তারা।
প্রতি বছরই দুই ঈদ সামনে রেখে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ দেশে পাঠান প্রবাসীরা। কিন্তু দুই ঈদের পরের এক-দুই মাস রেমিট্যান্স বেশ কম আসে। কিন্তু রোজার ঈদের পর মে মাসে তেমনটি হয়নি।
৯ অথবা ১০ জুলাই দেশে কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। সেই উৎসবকে কেন্দ্র করে জুন মাসে এপ্রিলের মতো ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা করা হচ্ছিল। ১৬ দিনের (১ থেকে ১৬ জুন) তথ্যে তেমন আভাসও পাওয়া যাচ্ছিল; ৯৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। কিন্তু পরের সপ্তাহে অর্থাৎ ১৭ থেকে ২৩ জুন এসেছে ৩২ কোটি ৬ লাখ ডলার। এই সাত দিনে গড়ে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
জুনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসতে হলে মাসের বাকি সাত দিনে (২৪ থেকে ৩০ জুন) প্রতিদিন ১০ কোটি ডলারের বেশি আসতে হবে; সেটা কখনই আসেনি দেশে।
২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অর্থবছর বা বছরে আসা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স। তার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসেছিল ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে আসে ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসেছিল ১৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাস ২৩ দিনে (২০২১ সালের ১ জুলাই-থেকে ২০২২ সালের ২৩ জুন) মোট ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ শতাংশের মতো কম।
বিদায়ী অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে রেমিট্যান্স কমার কারণ জানতে চাইলে অর্থনীতির গবেষক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্সে হঠাৎ যে উল্লম্ফন হয়েছিল, তার একটি ভিন্ন পেক্ষাপট ছিল। ওই বছরের পুরোটা সময় কোভিডের কারণে গোটা পৃথিবী বন্ধই ছিল বলা চলে। সে কারণে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোও বন্ধ ছিল। প্রবাসীরা সব টাকা পাঠিয়েছিলেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে। সে কারণেই রেমিট্যান্স বেড়েছিল।’
‘আমার বিবেচনায় বাংলাদেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণ আসলে ১৬ থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরে এর চেয়ে বেশি যে রেমিট্যান্স এসেছিল সেটা আসলে হুন্ডি বন্ধ থাকার কারণেই এসেছিল। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবং কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম বেশি থাকায় এখন আগের মতো অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা।
‘এর পরও বিদায়ী অর্থবছরের সাত দিন বাকি থাকতেই সাড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্সকে আমি খুবই ইতিবাচক মনে করছি।’
টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বেড়েছিল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে ফের হোঁচট খায়। ওই মাসে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। মার্চে এসেছিল ১৮৬ কোটি ডলার।
ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৬৩ কোটি ৬ লাখ ও ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিন হওয়ায় ওই মাসে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমেছিল বলে জানায় ব্যাংকগুলো।
তবে মার্চে এই সূচকে ফের গতি ফেরে; ১৮৮ কোটি ডলার পাঠান প্রবাসীরা। ওই মাসে ফেব্রুয়ারির চেয়ে ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, জুন মাসের ২৩ দিনে যে রেমিট্যান্স এসেছে, তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২০ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৪ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। আর পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬২ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিম্নমুখি হওয়ার পর দেশেও কমানো হলো দাম। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যতটা কমেছে, সেই তুলনায় দেশে দাম কমেছে অনেকটাই কম।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৬ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে ১৯৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয়েছে ১৮০ টাকা।
৫ লিটারের বোতলের দাম ঠিক করা হয়েছে ৯৮০ টাকা। অর্থাৎ ৫ লিটারের বোতলে প্রতি লিটারে দাম পড়ে ১৯৬ টাকা।
সোমবার থেকে এই দাম কার্যকর হবে।
রোববার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানায়।
অর্থাৎ তেলের দাম লিটারে কমেছে ৩ শতাংশেরও কম। কিন্তু বিশ্ববাজারে দাম ২৬ শতাংশের মতো কমেছে বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব।
গত ৯ জুন বাজেট ঘোষণার দিন সব শেষ তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সেদিন লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত তেলের দাম ঠিক করা হয় লিটারে ২০৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় ১৮৫ টাকা।
এক বছর আগেও বোতলজাত তেলের লিটার ছিল ১৩৪ টাকা করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তা নির্ধারণ করা হয় ১৬৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা মার্চ থেকে লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকার রাজি না হলে সেদিন থেকে বাজারে সরবরাহে দেখা দেয় ঘাটতি।
এরপর সরকার ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিক্রির ওপর থেকে ভ্যাট পুরোপুরি আর আমদানিতে ৫ শতাংশ রেখে বাকি সব ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়। পরে গত ২০ মার্চ লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় ১৬০ টাকা।
সেদিন পাঁচ লিটারের বোতল ৭৯৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৭৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এরপর ৫ মে তেলের দাম লিটারে এক লাফে ৩৮ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ১৯৮ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ক্রমেই বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে দাম ক্রমাগত বৃদ্ধির মধ্যে দুই সপ্তাহ ধরে বিশ্ববাজারে দাম অনেকটাই পড়তির দিকে।
ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে তেলের দাম পুনর্নির্ধারণের দাবি জানায়। তারা জানায়, বিশ্ববাজারে অশোধিত তেলের দাম ২৬ শতাংশ কমেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি ৭৬৫ ডলার। ২০২০ সালে দাম ছিল ৮৩৮ ডলার এবং ২০২১ সালে সয়াবিনের টনপ্রতি দাম ছিল ১ হাজার ৩৮৫ ডলার।
চলতি বছরের মার্চে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১ হাজার ৯৫৬ ডলার। এপ্রিলে তা কমে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১ হাজার ৯৪৭ ডলার। আর বর্তমানে টনপ্রতি ১ হাজার ৪৬৪ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।
অর্থাৎ এক মাসে তেলের দাম কমেছে ২৬ শতাংশ।
তবে যে হারে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে কমানোর ক্ষেত্রে এতো কমহারে সন্তুষ্ট নয় ভোক্তারা। এ বিষয়ে ভোক্তাদের জন্য সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান কিছুটা নাখোশ বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘হ্রাসকৃত হারটি আরও বাড়তে পারতো। আশা করি সরকার দাম কমানোর এই হারটি পুনর্বিবেচনা করবেন। একইভাবে ডলারের দাম উঠা-নামায় যাতে তেলের মূল্যে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে সে জন্য সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।’
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কমেছে ২৬ শতাংশের মতো। এর বিপরীতে দেশে সয়াবিনের দাম কমেছে মাত্র ৩ শতাংশ।
তেলের দাম কমানোর এই হারে সন্তুষ্ট নন ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, ‘আশা করি সরকার দাম কমানোর এই হারটি পুনর্বিবেচনা করবে। একইভাবে ডলারের দাম উঠামা যাতে তেলের মুল্যে তেমন কোনো প্রভাব ফেরতে না পারে সে জন্য সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।’
দাম এত কম কমল কেন- জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সয়াবিন আমদানি হয়ে থাকে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার মতো দূরপ্রপাচ্যের দেশগুলো থেকে। ওই সব বাজার থেকে তেল আনতে ৪০ থেকে ৫০ দিন সময় লাগে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশে তার প্রভাব পড়তে দেরি হয়। আবার দেশে যখন কমে আসে তার সুফল পেতে না পেতেই দেখা যায় আন্তর্জাতিকবাজার আবারও বেড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘এবার দাম কম হারে কমানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে ডলারের দামে অস্থিরতা। আগে এক ডলারে যে টাকা পাওয়া যেত, এখন তার চাইতে আরও বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে। এর প্রভাব এই তেলের মূল্যে পড়েছে। ফলে দাম আশানুরূপ হারে কমানো সম্ভব হয়নি।’
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আগামীতেও তেলের দাম হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার নজর রাখবে বলেও জানান সচিব।
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক, সার্ভিস এরিয়া, টোল প্লাজা, নদীশাসনসহ বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল দেশীয় প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড। স্বপ্নের এই সেতুর ৫টি প্রকল্পের ৩টিই করেছে বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পের পথিকৃৎ এই প্রতিষ্ঠানটি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরলসভাবে যুক্ত ছিল একমাত্র দেশীয় প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড। ঐতিহাসিক এই যাত্রায় জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়নের গর্বিত অংশীদার প্রতিষ্ঠানটি। পুরো প্রকল্পে সেতুর গুনগত মান ঠিক রাখতে প্রায় এক কোটি আমেরিকান ডলার খরচ করে জার্মানি থেকে দুটি মেশিন নিয়ে আসার পাশাপাশি অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতেও আব্দুল মোনেম লিমিটেড বিনিয়োগ করেছে।’
আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দিন মোনেম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ৫টি প্রকল্পের ৩টিই করেছি আমরা। এই প্রকল্পে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে গিয়ে আমরা আমাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আরও একবার নিশ্চিত হয়েছি। ভবিষ্যতে দেশের আরও যেকোনো বড় প্রকল্পে আরও দক্ষতার সাথে অবদান রাখতে পারব বলে বিশ্বাস করে।’
আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য এবং জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়নের ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জনের গর্বিত অংশীদার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
চলতি বছর দেশে এএমএল অ্যান্ড সিএফটি পরিপালনের দুই দশক পূর্তি হচ্ছে। পাশাপাশি বছরটি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর গৌরবোজ্জ্বল দুই দশক পূর্তি উদযাপিত হচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে পদ্মা ব্যাংকের কর্মী ও গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রোববার পদ্মা ব্যাংকের মিরপুর ট্রেনিং ইনিস্টিউটে এএমএল অ্যান্ড সিএফটি সচেতনতা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খান।
ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সপ্তাহব্যাপী গ্রাহকদের এএমএল অ্যান্ড সিএফটি বিষয়ক বিশেষ বার্তা, ব্যাংকের ৫৯ শাখায় এএমএল অ্যান্ড সিএফটি সচেতনতা বিষয়ক ভিডিও প্রদর্শন, মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা, পদ্মা ব্যাংকের বিভিন্ন লোকেশনে ব্যানার ও ড্যাঙ্গলারের মাধ্যমে সচেতনতা বিষয়ক বার্তা প্রদর্শন করা হবে।
এ ছাড়া শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগগুলোতে সপ্তাহব্যাপী ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম ও এএমএল অ্যান্ড সিএফটি ডিভিশনের কর্মকর্তাদের পরিদর্শন ও অবস্থানসহ আরও নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার জাবেদ আমিন, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান এসইভিপি এম আহসান উল্লাহ খান, এসইভিপি ও আরএমডি অ্যান্ড ল হেড ফিরোজ আলম, এসইভিপি ও হেড অব করপোরেট লায়াবিলিটি মার্কেটিং সাব্বির মোহাম্মদ সায়েম, ডেপুটি চিফ অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার ও ভিপি রাশেদুল করিম-সহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ব্যাংকের ঢাকার শাখাগুলোর ব্যামেলকোরা স্বশরীরে ও বাইরের শাখার ব্যামেলকো ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আরও পড়ুন:সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন হাবিবুর রহমান।
এর আগে তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ছিলেন বলে এসবিএসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এএনজেড গ্রিনলেজ ব্যাংকে যোগদানের মাধ্যমে তিনি ব্যাংকিং জীবন শুরু করেন। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২৭ বছরের ব্যাংকিং জীবন তার। সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এইচএসবিসি এবং কানাডার টরেন্টো ডমিনিয়ন ব্যাংকে চাকুরি করেন হাবিবুর রহমান।
তিনি ঋণ ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি বিষয়কসহ পেশাগত স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অথনীতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বেলজিয়ামের ব্রাসেলস থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওমেগা নামক প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফাইড ক্রেডিট প্রফেসনালস ডিগ্রি অর্জন করেনিএই ব্যাংকার।
ইসলামী ব্যাংক পয়েন্ট অব সেল (পস) মেশিনে কার্ড ব্যবহার করে পণ্য ক্রয় করার সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে প্রাণ- আরএফএল গ্রপের সাথে সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
এই চুক্তির ফলে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকরা প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সকল আউটলেটে পস মেশিনে কার্ড ব্যবহার করে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে গত বুধবার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার উপস্থিতিতে উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ফিন্যান্স ডাইরেক্টর উজমা চেীধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বলে ইসলামী ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ সময় ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী ও ওমর ফারুক খান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল ফায়েজ মুহাম্মদ কামালউদ্দীন, মাকসুদুর রহমান ও মাহমুদুর রহমান, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান ভুঁইয়া ও মিফতাহ উদ্দীন এবং প্রান-আরএফএল গ্রপের ডেপুটি ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান ও ফারজানা ফেরদৌস রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বেসরকারি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক লিমিটেড (এক্সিম) ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডাদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
রোববার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এই অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
সভায় ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের আর্থিক বিররণী অনুমোদন দেয়া হয় বলে ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মো. নুরুল আমিন ফারুক, অঞ্জন কুমার সাহা ও মেজর (অব.) খন্দকার নুরুল আফসার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফিরোজ হোসেন, মো. হুমায়ুন কবির ও শাহ মো. আব্দুল বারি, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদা খানম এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মনিরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য