× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Good news for wholesalers
google_news print-icon

পাইকারি ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর

পাইকারি-ব্যবসায়ীদের-জন্য-সুখবর
বর্তমানে পাইকারি ব্যবসায় মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি ৫ শতাংশের পরিবর্তে দেড় শতাংশ নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশের ব্যবসায়ীরা বিপদে আছেন। করোনা মহামারির দাপট শেষে বড় ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়ালেও ছোটদের বেশির ভাগের অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি। মূলধন সংকটসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তারা।

এই পরিস্থিতিতে পাইকারি পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সুখবর দিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পাইকারি ব্যবসায়ীদের ওপর মূল্য সংযোজন করের চাপ কমানোর প্রস্তাব করেন তিনি।

বর্তমানে পাইকারি ব্যবসায় মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ। এ খাতে যে পরিমাণ বিক্রি বা লেনদেন হয়, তার বিপরীতে উল্লেখিত হারে ভ্যাট দিতে হয়।

প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাট হার ৫ শতাংশের পরিবর্তে দেড় শতাংশ নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। এই হার কার্যকর করা হলে পাইকারি ব্যবসা খাতে করের চাপ কমবে এবং পণ্য ও সেবা সস্তা হবে। এতে উপকৃত হবেন ভোক্তা।

নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো ব্যবসায় যে পরিমাণ ‘মূল্য সংযোজন’ হয়, তার ওপর ভিত্তি করে প্রযোজ্য হারে ভ্যাট আদায় করে সরকার। মাসিক রিটার্নের সময় এই ভ্যাট পরিশোধ করা হয়।

এনবিআরের সাবেক সদস্য রেজাউল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাইকারি ব্যবসায়ীদের মূল সমস্যা হচ্ছে তারা যে লেনদেন করে থাকেন, তার কোনো হিসাব সংরক্ষণ করেন না। এ কারণে সরকার ভ্যাট ফেরত পায় না। যদি এটা করা সম্ভব হতো, তা হলে ভ্যাটের চাপ কমে যেত।’

তিনি বলেন, ‘এ খাত থেকে ভ্যাট আদায় বাড়াতে হলে যোগ্য সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আওতায় এনে অটোমেশন করতে হবে। তা হলে আদায় বর্তমানের চেয়ে বহুগুণ বাড়বে।’

পাইকারি ব্যবসা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে এ খাতের অংশ চলতি মূল্যে সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকা, যা শতকরা হারে ১৫ শতাংশ।

জিডিপির প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে পাঁচটি খাত প্রধান চালিকাশক্তি। এর মধ্যে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা অন্যতম। উৎপাদন বা ম্যানুফেকচারিং খাতের পরই এ খাতের অবস্থান।

এ খাতে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট আহরণের সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবতা হচ্ছে নামমাত্র ভ্যাট আসে। বছর শেষে বর্তমানে এ খাত থেকে সরকারি কোষাগারে জমা পড়ে দেড় হাজার কোটি টাকা। অথচ আদায়ের সম্ভাবনা আছে ৫০ হাজার কোটি টাকা।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, পাইকারি ব্যবসায় আদায়যোগ্য ভ্যাটের ৯০ শতাংশই ফাঁকি হয়।

এর প্রধান কারণ দুটি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথমত বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই আওতার বাইরে। দ্বিতীয়ত, অটোমেশন না করা।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে প্রায় ৪০ লাখ পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। এনবিআর বলেছে, এখন পর্যন্ত ২ লাখ প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘২০১৯ সালের ভ্যাট আইন অনুযায়ী ভোক্তার কাছ থেকে সরাসরি ভ্যাট আহরণ করবে খুচরা ও পাইকারি প্রতিষ্ঠান। এ জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডি যন্ত্র বসানোর কথা। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখন পর্যন্ত অল্পসংখ্যক প্রতিষ্ঠানে তা স্থাপন করতে পেরেছে। ফলে ভ্যাট আদায় নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

‘যতদিন পর্যন্ত রাজস্ব বোর্ড সব দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন স্থাপন করতে না পারে, তত দিন পর্যন্ত পাইকারি থেকে ভ্যাট আদায় বাড়বে না।’

আরও পড়ুন:
ঋণ করে ঘি খাওয়ার বাজেট: সিপিবি
শীতাতপ রেস্তোরাঁয় খাওয়ার খরচ কমল
দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের
খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ
বাজেটে ম্যাকাওপ্রেমীদের মাথায় হাত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
A budget of Rs 8 lakh crore was presented on June 1

পৌনে ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ ১ জুন

পৌনে ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ ১ জুন ফাইল ছবি
এটি দেশের ৫২তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম বাজেট। আকারের দিক থেকে এটিই হবে দেশের বৃহত্তম বাজেট। সর্বশেষ বাজেটের তুলনায় এর আকার হবে ১২ শতাংশ বেশি।

আগামী ১ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রায় পৌনে ৮ লাখ কোটি টাকার বিশাল বাজেট দিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।

এটি দেশের ৫২তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম বাজেট। আকারের দিক থেকে এটিই হবে দেশের বৃহত্তম বাজেট। সর্বশেষ বাজেটের তুলনায় এর আকার হবে ১২ শতাংশ বেশি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল সংসদে পঞ্চম বাজেট উপস্থাপন করবেন। সর্বশেষ ২০২২ সালের ৯ জুন তিনি আগামী ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট সংসদে উপস্থাপন করেছিলেন।

প্রথা অনুযায়ী জুন মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। ৩০ জুন পাস হয় সেই বাজেট। ১ জুলাই থেকে শুরু হয় নতুন বাজেট বাস্তবায়ন।

এ বছর জুন মাসের প্রথম দিনই বৃহস্পতিবার হওয়ায় রীতি অনুযায়ী সেদিনটিতেই ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের প্রাথমিক সূচি চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাজেট নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ লক্ষ্য নির্ধারণ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হয়।

পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বাজেটবিষয়ক এ বৈঠকের বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়, যেখানে ১ জুন বাজেট উপস্থাপনের জন্য বাজেটের বইসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস প্রকাশের দিনক্ষণ নির্ধারণ এবং দায়িত্ব বণ্টনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হয়।

আগামী অর্থবছরে সাত লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। আর সে লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন।

আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এই এডিপি অনুমোদন দেয়া হবে। নতুন এডিপি হবে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির চেয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ বেশি এবং মূল এডিপির তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি।

রাজস্ব আদায় বাড়ানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আইএমএফসহ উন্নয়ন সহযোগীদের দেয়া বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন ও উচ্চ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা এবারের বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এগুলো মোকাবিলা ও সমন্বয় করে নির্বাচনের বছরে কীভাবে ব্যয় সমন্বয় করা যাবে, তা নিয়ে কাজ করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন:
চাপ সামলে অর্থনীতি এগিয়ে যাবে: অর্থমন্ত্রী
সংশোধিত বাজেটে ‘অতিরিক্ত বরাদ্দ’ নয়
নির্বাচন সামনে রেখে আসছে বড় বাজেট

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A big budget is coming ahead of the elections

নির্বাচন সামনে রেখে আসছে বড় বাজেট

নির্বাচন সামনে রেখে আসছে বড় বাজেট 
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৭ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। চলতি অর্থবছরে বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে এর আকার পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ কমানো হতে পারে।

বৈশ্বিক সংকটের কারণে অর্থনীতির অনিশ্চয়তার মধ্যেই আরেকটি বড় বাজেট প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। মূলত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরিকল্পনা সাজাতে বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম ‍মুস্তফা কামাল।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও দেশের বর্তমান বাস্তবতা মাথায় রেখে আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের নির্দেশ দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একইসঙ্গে বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটির বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।

অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে অর্থনীতির হালনাগাদ পরিস্থিতি ও চলতি অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরেন বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা। তাদের বক্তব্যে অর্থনীতির বর্তমান চার চ্যালেঞ্জ উঠে এসেছে। তা হলো- উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার বিনিময় হারে অস্থিরতা, প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্স ও ভতুর্কির চাপ।

এসব চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখার লক্ষ্যকে সামনে রেখে সে অনুযায়ী আগামী অর্থবছরের বাজেটে পদক্ষেপ নিতে বলেন অর্থমন্ত্রী।

এ বছর মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে, যদিও বাস্তবে এই হার ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান কবে হবে তা কেউ বলতে পারছে না। ফলে আগামী বছরও উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রবণতা থাকবে। সে জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হচ্ছে।

আগামী বাজেটের সম্ভাব্য আকার নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাজস্ব আয় প্রত্যাশিত মাত্রায় হচ্ছে না। জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় মানুষের বিশেষ করে নির্ধারিত আয়ের লোকদের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। এতে করে কমে গেছে অভ্যন্তরীণ চাহিদাও। এ অবস্থায় আগামীতে সংকোচনমুখী বাজেট করা যেতে পারে।

সূত্র বলেছে, অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে আগামী বাজেটটি হবে এই সরকারের শেষ বাজেট। কাজেই আসন্ন বাজেটটি এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে নির্বাচনের প্রতিফলন থাকে। কারণ শেষ সময় নির্বাচনী আসনে উন্নয়ন কাজের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ বেশি রাখার প্রস্তাব করেন তিনি।

বৈঠকের একটি সূত্র বলেছে, আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৭ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। চলতি অর্থবছরে বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে এর আকার পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ কমানো হতে পারে। আগামী এপ্রিলে সংশোধিত বাজেট চূড়ান্ত করা হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশ্ব অর্থনীতির সংকট সহসা যাচ্ছে না। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে সার ও জ্বালানি তেলের দাম খুব একটা কমবে না। এতে করে দেশে এই দুটি পণ্যে ভতুর্কির চাহিদা বাড়বে। এছাড়া বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ায় এ খাতেও ভতুর্কি বাড়ছে। সব মিলে আগামী অর্থবছরও ভতুর্কির চাপ অব্যাহত থাকছে।

চলতি অর্থবছরে মোট ৮৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয় ভতুর্কি খাতে। সূত্র বলেছে, আগামী বছরে এটি এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

বড় বাজেট করার প্রস্তাব করা হলেও আগামী বাজেটে ঘাটতি চলতি বছরের মতোই ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে।

তবে অর্থমন্ত্রীর প্রত্যাশা, আগামী বছর নাগাদ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে গতি ফিরবে। যে কারণে আগামী বছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার চলতি অর্থবছরের মতো সাড়ে ৭ শতাংশ প্রাক্কলনের কথা বলেছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের মতো আগামী বছরও মূল্যস্ফীতি উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই হবে নতুন অর্থবছরের প্রধান চ্যালেঞ্জ।’

যোগাযোগ করা হলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার যুদ্ধাবস্থার মধ্য দিয়ে নতুন বাজেট করতে হচ্ছে। যুদ্ধ সব দেশকেই কম-বেশি প্রভাবিত করেছে। সব দেশেই মূল্যস্ফীতি এক নম্বর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। কাজেই আমি মনে করি আগামী অর্থবছরের বাজেটের মূল লক্ষ্যই হওয়া উচিত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। জিডিপির প্রবৃদ্ধি যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ প্রবৃদ্ধি কমলে কর্মসংস্থানে বিরূপ প্রভাব পড়বে।’

যুক্তিসঙ্গত ভারসাম্য রেখে নতুন বাজেট প্রণয়নের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আবার ব্যয়ও কমানো যাবে না। এসব বিবেচেনা করে কৌশলপূর্ণ একটি বাজেট করতে হবে।’

আরও পড়ুন:
পাচারের অর্থ ফিরিয়ে আনার বৈধতা ‘মন্দের ভালো’
বড় পরিবর্তন ছাড়া বাজেট পাস, কার্যকর শুক্রবার থেকে
বড় পরিবর্তন ছাড়াই পাস হচ্ছে প্রস্তাবিত বাজেট
মেডিটেশনে ভ্যাট কমল, বাড়ল বিটুমিনে
মিতব্যয়ী হোন, দেশেই চিকিৎসা নিন: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The work of preparing the election budget has started in difficult times

কঠিন সময়ে নির্বাচনি বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু

কঠিন সময়ে নির্বাচনি বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফাইল ছবি
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে অর্থনীতিতে নতুন করে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট করতে যাচ্ছে সরকার। একইসঙ্গে এটা নির্বাচনি বাজেটও। সব দিক বিবেচনায় নিয়ে বাজেট প্রণয়নে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

করোনা মহামারির অভিঘাত মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে নতুন করে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, যুদ্ধের প্রভাবে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি।

এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট করতে যাচ্ছে সরকার। একইসঙ্গে এটা নির্বাচনি বাজেটও। কেননা এই অর্থবছরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সব দিক বিবেচনায় নিয়ে বাজেট প্রণয়নে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থনীতির সার্বিক অবস্থা নিয়ে করণীয় ঠিক করতে মঙ্গলবার ‘আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের’ বৈঠক করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ওইদিন বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটির বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে।

অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনআরবি) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খানসহ বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

সূত্র জানায়, বৈঠকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের খসড়া রূপরেখা তুলে ধরা হবে। নতুন বাজেটের সম্ভাব্য আকার, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার, মূল্যস্ফীতিসহ অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। একইসঙ্গে চলতি অর্থবছরে সরকারের আয়-ব্যয়ের হালনাগাদ তথ্য নিয়েও আলোচনা হবে।

বৈঠকে চলতি বছরের বাজেট পর্যালোচনা ও আগামী বাজেটের সম্ভাব্য রূপরেখা সম্পর্কে ধারণা দেয়া হবে অর্থমন্ত্রীকে। এরপর এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সংশোধিত ও নতুন বাজেটের সম্ভাব্য আকার চূড়ান্ত করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে জুনের প্রথম সপ্তাহে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী।

আগামী বাজেটটি এই সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জাতীয় নির্বাচনের আগে এটি হবে বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট। আগামী জুনে যে বাজেট ঘোষণা করা হবে তা অর্থবছরের ছয় মাস বাস্তবায়ন করতে পারবে বর্তমান সরকার। বাকি অর্ধেক করবে নতুন সরকার। ফলে নানা প্রতিকূলতা থাকার পরও নির্বাচন সামনে রেখে নতুন বাজেট সাজাতে হবে সরকারকে।

অস্বীকার করার উপায় নেই, এ মুহূর্তে অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। অবশ্য সারা বিশ্বের জন্যই এটি এখন প্রধান সমস্যা।

বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করাই হবে আগামী অর্থবছরের বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ। অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি নানা অভিঘাতের মধ্য দিয়ে চললেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য একটি সম্প্রসারণমূলক বাজেট দেবে সরকার। সরকারের শেষ মেয়াদে উন্নয়ন কাজে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সে জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকারও বড় হবে।

বর্তমানে এডিপির আকার ২ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। নতুন এডিপির আকার বর্তমানের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি হতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ১০ শতাংশ বেশি বরাদ্দ ধরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের সম্ভাব্য আকার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। চলতি অর্থবছরে বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে আগামী বাজেটের আকার ৭ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন হচ্ছে না তা মোটামুটি নিশ্চিত। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন হতে পারে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ, যা এবার আছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

দেশের অভ্যন্তরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে গড় মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের বেশি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কবে থামবে আর পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। ফলে আগামীতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রবণতা থাকবে। এ বিবেচনায় নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ শতাংশ ধরতে যাচ্ছে সরকার।

মূল্যস্ফীতি ছাড়াও সরকারের বড় চিন্তার বিষয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ডলার সংকট মোকাবিলায় প্রধান দুই সূচক রপ্তানি ও রেমিট্যান্সেও বড় ধরনের সুখবর নেই। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাধ্য হয়েই ঋণ সহায়তা চেয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের চিঠি দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আইএমএফের ঋণ পাওয়ার নিশ্চয়তা মিলেছে।

এসব উদ্যোগের ফলে আগামীতে বিদেশি সহায়তা বেশি পাওয়ার প্রত্যাশা করছে সরকার। সে হিসাবে নতুন বাজেটে বিদেশি উৎস থেকে বিশাল অঙ্কের সহায়তা আসছে। এতে করে বড় বাজেট করা সরকারের জন্য কিছুটা হলেও সহজ হবে বলে মনে করছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
বাজেট বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর পরিকল্পনা চায় অর্থ মন্ত্রণালয়
বরিশাল সিটির ৪১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা, বাড়েনি কর
পাচারের অর্থ ফিরিয়ে আনার বৈধতা ‘মন্দের ভালো’
বড় পরিবর্তন ছাড়া বাজেট পাস, কার্যকর শুক্রবার থেকে
বড় পরিবর্তন ছাড়াই পাস হচ্ছে প্রস্তাবিত বাজেট

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladesh surpasses China Vietnam in garment exports to the United States

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে চীন-ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে চীন-ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ
চলতি ২০২২ সালের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে ৫৭১ কোটি ডলারের পোশাক কিনেছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। এই সাত মাসে বাংলাদেশের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ চীন ও ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ৪০ শতাংশ ও ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

করোনাভাইরাস মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় ওলটপালট হয়ে যায় বিশ্ব অর্থনীতি। এর পর থেকেই বিশ্বমন্দার আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রেও।

তবে এই সংকটের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। দেশটিতে পোশাক রপ্তানিতে চীন ও ভিয়েতনামের চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ।

চলতি ২০২২ সালের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে ৫৭১ কোটি ডলারের পোশাক কিনেছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।

এই সাত মাসে বাংলাদেশের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ চীন ও ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ৪০ শতাংশ ও ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

জানুয়ারি-জুলাই সময়ে পুরো বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বেড়েছে ৩৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্সের অফিস অফ টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য এসেছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭৬ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি।

ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছে ৬৯ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৩ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি, মার্চে রপ্তানি হয়েছে ১০৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ৯৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৮২ কোটি ডলারের পোশাক, যা আগের বছরের চেয়ে ৭৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি, মে মাসে রপ্তানি হয়েছে ৮২ কোটি ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ৩৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি।

জুনে রপ্তানি হয়েছে ৯১ কোটি ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ৬৬ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি এবং জুলাইয়ে রপ্তানি হয়েছে ৬৯ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেশি।

সব মিলিয়ে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ তৃতীয় শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে বাংলাদেশ ৫৭১ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে দেশটিতে, দেশি মুদ্রায় যা (প্রতি ডলার ৯৫ টাকা ধরে) ৫৪ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা।

এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন পোশাক রপ্তানি করেছে ১ হাজার ২৭৯ কোটি বা ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রথম সাত মাসে চীন প্রথম অবস্থানে রয়েছে। আলোচিত এ সময়ে দেশটির পোশাক রপ্তানি বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪০ শতাংশ।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভিয়েতনাম একই সময়ে ১ হাজার ৯১ কোটি ডলার বা ১০ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি করে দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। এ সময়ে দেশটির রপ্তানি আগের বছরের চেয়ে ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অন্য দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। আলোচিত এ সময়ে দেশটিতে রপ্তানি বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। দেশটি ৩৪১ কোটি বা ৩ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে।

চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে পাশের দেশ ভারত রয়েছে শীর্ষ পাঁচে। এ সময়ে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি করেছে ৩৬৯ কোটি বা ৩ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের থেকে ৫৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।

এ সময়ে শীর্ষ ছয়ে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি করেছে ১৮৫ কোটি বা ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শীর্ষ সাতে রয়েছে হন্ডুরাস। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজার দখল করেছে ১৭৭ কোটি বা ১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি।

চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কম্বোডিয়া ২৫৮ কোটি বা ২ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করতে পেরেছে। আগের বছরের চেয়ে দেশটির রপ্তানি বেড়েছে ৫৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।

নবম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে পোশাক রপ্তানি করেছে ১৭০ কোটি বা ১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের। আগের বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

আলোচিত এ সময়ে শীর্ষ দশের ঘরে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি করেছে ১২ কোটি বা শূন্য দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৭ শতাংশ বেশি।

পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মহামারি করোনা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো এবং ভোক্তাদের কেনাকাটা বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বিক্রি স্বাভাবিকের তুলনায় আরও বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি, ফেডের হার বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দার কারণে ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা কতটা টিকে থাকবে, সেটি ভাবনার বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানি আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছিল, ফলে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইতিবাচক প্রবণতা বজায় রাখতে পারে।’

পরে অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে খুচরা বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কায় ক্রেতারা সতর্ক আছেন বলে জানান বিজিএমইএর পরিচালক।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট দেশের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। দুই মাসে মোট রপ্তানি হয়েছে ৮৫৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি।

এই দুই মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭১১ কোটি ২৬ ডলারের, এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ শতাংশ। এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট সময়ে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৩ শতাংশ বেশি।

ইপিবি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের বৃহত্তম বাজার। বরাবরের মতো বাংলাদেশের পণ্যের আমদানিকারক দেশগুলোর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে অবস্থান করছে।

গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ৫২ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেছেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি।

এর মধ্যে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৯ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে মোট রপ্তানির ৯০ শতাংশই এসেছে পোশাক থেকে।

আরও পড়ুন:
তাইওয়ান প্রণালি পাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের দুই রণতরির
৭৪ হাজার কোটি ডলারের বিলে সই বাইডেনের
যুক্তরাজ্যে ২০২৬-এর পরও ৯৮ ভাগ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা
যুক্তরাষ্ট্রে বিস্ফোরণে নিহত ৩, ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯ বাড়ি
তদন্তকারীদের কাছে মুখ খোলেননি ট্রাম্প

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Ivy gave a budget of 588 crore rupees

৫৮৮ কোটি টাকার বাজেট দিলেন আইভী

৫৮৮ কোটি টাকার বাজেট দিলেন আইভী মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। ছবি: নিউজবাংলা
‘গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি বছরের বাজেটে এক শ কোটি টাকা কম ধরা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫৯ কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৭৯ টাকা। উদ্বৃত্ত থাকবে ২৯ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার ১৫৯ টাকা।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৫৮৮ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার ৬৩৮ টাকা টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।

মঙ্গলবার দুপুরে আলী আহাম্মদ চুনকা নগর সিটি পাঠাগার মিলনায়তনে মেয়র ২০২২ -২৩ অর্থ বছরের এই বাজেট ঘোষণা করেন।

বাজেট ঘোষণা শেষে নাগরিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র আইভী বলেন, ‘গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি বছরের বাজেটে এক শ কোটি টাকা কম ধরা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫৯ কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৭৯ টাকা। উদ্বৃত্ত থাকবে ২৯ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার ১৫৯ টাকা।’

আইভী বলেন, বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে রাস্তা, ড্রেন, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ, বৃক্ষ রোপন, দারিদ্র বিমোচন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জরুরি ত্রাণ, তথ্য-প্রযুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যানজট নিরসন, জলাবদ্ধতা দূর করা, মশক নিধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক করা, খেলাধূলার মানোন্নয়নে মাঠ নির্মাণ, স্ট্রিট লাইট স্থাপন ও সুপেয় পানি সরবরাহে।

নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, ‘পরিবেশবান্ধন, পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং দারিদ্র্যমুক্ত পরিকল্পিত নগর গঠনে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বাজেট অধিবেশনে সভাপত্বি করেন।

২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর সিটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো বাজেট ঘোষণা করেছিলেন মেয়র আইভী। এরপর থেকে তিনি প্রতি অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৮৮ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।

আরও পড়ুন:
সিলেট সিটির হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
বাজেট বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর পরিকল্পনা চায় অর্থ মন্ত্রণালয়
বরিশাল সিটির ৪১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা, বাড়েনি কর
পাচারের অর্থ ফিরিয়ে আনার বৈধতা ‘মন্দের ভালো’
বড় পরিবর্তন ছাড়া বাজেট পাস, কার্যকর শুক্রবার থেকে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Sylhet city budget announcement of thousands of rupees

সিলেট সিটির হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

সিলেট সিটির হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকা। ছবি: সংগৃহীত
বাজেট বক্তৃতায় মেয়র বলেন, করোনা ও বন্যার কারণে নগরের চলমান উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আরও কিছু প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এগুলো অনুমোদন পেলে নগরের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৪০ কোটি ২০ লাখ ৪৩ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটে সমপরিমাণ আয় ও ব্যয় ধরা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে নগরের একটি কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ বাজেট ঘোষণা করেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

বাজেটে আয়ের উল্লেখযােগ্য খাতগুলাে হলাে- হােল্ডিং ট্যাক্স ৪৫ কোটি ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের ওপর কর ১৬ কোটি টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণে কর ২ দুই কোটি টাকা, বাস টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে আয় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, পানির সংযােগ লাইনের মাসিক চার্জ বাবদ ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, পানির লাইনের সংযােগ ও পুনঃসংযােগ ফি বাবদ ১ কোটি টাকা, নলকূপ স্থাপনের অনুমােদন ও নবায়ন ফি বাবদ ২ কোটি টাকা।

উল্লেখযােগ্য ব্যয় খাতগুলাে হলাে- রাজস্ব খাতে ৯০ কোটি ৪২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, রাজস্ব খাতে অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যয় ৩৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

বাজেট বক্তৃতায় মেয়র বলেন, করোনা ও বন্যার কারণে নগরের চলমান উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আরও কিছু প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এগুলো অনুমোদন পেলে নগরের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

আরও পড়ুন:
মেডিটেশনে ভ্যাট কমল, বাড়ল বিটুমিনে
মিতব্যয়ী হোন, দেশেই চিকিৎসা নিন: প্রধানমন্ত্রী
স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দেশে আনার প্রস্তাব বাতিল
জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হবে বাংলাদেশ
করপোরেট করের সুবিধা পেতে শর্ত শিথিল হচ্ছে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The Ministry of Finance wants the plans of the ministries to implement the budget

বাজেট বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর পরিকল্পনা চায় অর্থ মন্ত্রণালয়

বাজেট বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর পরিকল্পনা চায় অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতি তিন মাস অন্তর বাজেটের পরিকল্পনা ও অগ্রগতির প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে তৈরির কথা বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, অর্থবছরের শুরুর দিকে বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে যেমন ধীরগতি দেখা দেয়, তেমনি খরচের পরিমাণও কম থাকে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এতে করে আর্থিক শৃঙ্খলা ব্যাহত হয়। আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হলে বাজেট যথাসময়ে বাস্তবায়ন ও নিয়মিত তদারকি করা দরকার বলে মনে করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

বাজেট প্রণয়নে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো দক্ষতা অর্জন করলেও সময়মতো বাজেট বাস্তবায়ন এখনও বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে সরকার।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, অর্থবছরের শুরুর দিকে বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে যেমন ধীরগতি দেখা দেয়, তেমনি খরচের পরিমাণও কম থাকে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এতে করে আর্থিক শৃঙ্খলা ব্যাহত হয়।

আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হলে বাজেট যথাসময়ে বাস্তবায়ন ও নিয়মিত তদারকি করা দরকার বলে মনে করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যাতে সময়মতো ও সুষ্ঠুভাবে বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারে, সে লক্ষ্যে নতুন নীতিমালা তৈরি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। একই সঙ্গে নীতিমালা অনুযায়ী বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, প্রতি বছর যে বাজেট ঘোষণা করে সরকার, বছর শেষে তার যথাযথ বাস্তবায়ন হয় না। দেখা যায়, মূল বাজেটে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হয়, সংশোধন করার পরও বছর শেষে তা খরচ করতে পারে না।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বাজেট বাস্তবায়নে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সক্ষমতার ঘাটতি আছে।

এমন বাস্তবতায় বাজেটে অর্থ ব্যয়ে গুণগত মান নিশ্চিত ও সময়মতো বাস্তবায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়ে রোববার পরিপত্র জারি করেছে অর্থ বিভাগ।

বাজেট বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর পরিকল্পনা চায় অর্থ মন্ত্রণালয়

পরিপত্রে যথাসময়ে বাজেট বাস্তবায়নে প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অর্থবছরের শুরুতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের অগ্রগতির তথ্য দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অর্থ বিভাগে এসব তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রতি তিন মাস অন্তর বাজেটের পরিকল্পনা ও অগ্রগতির প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে তৈরির কথা বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

বাজেট পরিকল্পনায় মন্ত্রণালয়গুলোকে গুরুত্বপূর্ণ কাজের অগ্রগতি, রাজস্ব আহরণ, ব্যয় ও বৈদেশিক অনুদান ও ঋণের তথ্য উল্লেখ করতে হবে। এ জন্য ‘ক’,‘ খ’, ‘গ’ এবং ‘ঘ’ নামে অর্থবিভাগের নির্ধারিত ফরম পূরণ করার কথা বলা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের যে বাজেট অনুবিভাগ আছে, তারা এসব দায়িত্ব পালন করবে। যথাযথভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে কি না, বাজেট অনুবিভাগ তা পরীক্ষা করে দেখার পর তা অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, বিগত তিন অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে যেসব কার্যক্রম এখনও বাস্তবায়নাধীন, সেগুলো এবং চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে যথাসময়ে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অবশ্যই পরিকল্পনা নিতে হবে। পরবর্তী সময়ে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের সবশেষ অগ্রগতি সম্পর্কিত প্রতিবেদন ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে।

কীভাবে টাকা ব্যয় করতে হবে তার পরিকল্পনা উল্লেখ করা হয় পরিপত্রে। এতে বলা হয়, বেতন-ভাতাদিসহ যেসব আইটেমের বিপরীতে বরাদ্দকৃত অর্থ সাধারণত সমানুপাতিক হারে ব্যয় হয়ে থাকে, সেসব আইটেমের বিপরীতে কোয়ার্টারভিত্তিক ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা সমানুপাতিক হারে নির্ধারণ করা যেতে পারে, তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনের ক্ষেত্রে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির আর্থিক সংশ্লেষ বিবেচনায় রাখতে হবে। তা ছাড়া উৎসব ভাতা, শ্রান্তি-বিনোদন ভাতা ও ছুটি নগদায়ন ভাতা বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ সংশ্লিষ্ট কোয়ার্টারে প্রদর্শন করতে হবে।

প্রত্যেক মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে আগের মাসের সব ইউটিলিটি বিল পরিশোধ এবং সে অনুযায়ী প্রত্যেক কোয়ার্টারে প্রয়োজনীয় টাকার পরিমাণ প্রদর্শন করার কথা বলে হয়েছে পরিপত্রে। অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, এ নিয়ম মানা হলে অর্থবছর শেষে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ বিলের যে চাপ তৈরি হয়, তা কমে যাবে।

এ ছাড়া সম্পদ সংগ্রহ ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে পণ্য এবং সেবার জন্য ক্রয় পরিকল্পনা বা প্রক্রিউরমেন্ট প্ল্যান তৈরির কথা বলা হয় অর্থ বিভাগের জারি করা পরিপত্রে।

বৈদেশিক অনুদান ও ঋণ সংগ্রহের বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এ পক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অর্থ বিভাগে পাঠাবে।

বাজেট তদারকি প্রসঙ্গে বলা হয়, বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নিয়মিত পরিবীক্ষণ করতে হবে।

সবশেষ অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, রাজস্ব সংগ্রহ এবং ব্যয়ের গতিধারা পর্যালোচনা করে তিন মাস পরপর প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
বড় পরিবর্তন ছাড়া বাজেট পাস, কার্যকর শুক্রবার থেকে
বড় পরিবর্তন ছাড়াই পাস হচ্ছে প্রস্তাবিত বাজেট
মেডিটেশনে ভ্যাট কমল, বাড়ল বিটুমিনে
মিতব্যয়ী হোন, দেশেই চিকিৎসা নিন: প্রধানমন্ত্রী
স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দেশে আনার প্রস্তাব বাতিল

মন্তব্য

p
উপরে