বাজেট ঘোষণার দিন পুঁজিবাজারে কমল লেনদেন। কিছুটা কমল সূচকও। আর প্রবণতা হিসেবে স্বল্প মূলধনি ও দুর্বল কোম্পানির দর বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা যায়।
বেশির ভাগ সিকিউরিটিজের মূল্যহ্রাস সূচক পতনে দায়ী হলেও যতগুলো কোম্পানির দর বেড়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই ছিল লোকসানি বা খুবই কম লভ্যাংশ ঘোষণা করে এসব কোম্পানি।
দিনভর লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে ১৩৭টি কোম্পানির দর বেড়েছে। এর চেয়ে ৫৯টি বেশি অর্থাৎ ১৯৬টি কোম্পানির দর পতন হয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক কোম্পানির দর পতন হয়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ও এর আশপাশেই। আর গতকালের দরে লেনদেন হয়েছে ৪৭টি কোম্পানির শেয়ার।
লেনদেনের শুরুর প্রথম আধা ঘণ্টা ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল তখন। তবে পরের এক ঘণ্টাতেই দর পতনে ২২ পয়েন্ট পড়ে যায়। এরপর ঘণ্টা দেড়েকে দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়ে লেনদেন হলেও শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ হয়।
সূচকের সঙ্গে এক দিন পরেই লেনদেন আবার চলে এলো ৮০০ কোটির নিচে। আগের দিনই ছিল ৯০০ কোটির ওপর। হাতবদল হয়েছে ৭৫৮ কোটি ২৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল মঙ্গলবার ৭৩৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
আগের দিন চাঙা থাকা বস্ত্র ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতে খুব বেশি ভালো দিন যায়নি। এর মধ্যে বস্ত্র খাতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ২৮টি কোম্পানির দর বেড়েছে, যা মোট কোম্পানির ৪৭ শতাংশ। অন্যদিকে মিউচুয়াল খাতে দর বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ কোম্পানির।
খাত হিসেবে কিছুটা ভালো অবস্থানে ছিল প্রকৌশল, ব্যাংক ও খাদ্য খাত। এর মধ্যে প্রকৌশল খাতে ৫২ শতাংশ, ব্যাংক ৫১ এবং খাদ্য খাতে ৫৭ শতাংশ কোম্পানির দর বৃদ্ধি হয়।
বৃহস্পতিবারের লেনদেনের বিষয়ে মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে লেনদেন ও সূচক কমেছে। কারণ অনেকেই বাই অর্ডার হোল্ড করে রেখেছে। যেহেতু বাজেট ঘোষণা হচ্ছে আজকে, তাই বাজেটে কী আসছে, পুঁজিবাজারের জন্য কী রয়েছে, এসব জেনে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেবেন অনেকে।’
সূচক কমাল যারা
সূচক সবচেয়ে সূচকের পতন নামিয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। কোম্পানিটি একাই সূচক ফেলেছে ১৩.৫৮ পয়েন্ট। এদিন কোম্পানিটির দর ১.০৩৬ শতাংশ কমার ফলে এই পরিমাণ সূচক কমেছে।
এরপরেই ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের ফলে সূচক কমেছে ৩.৯৭ পয়েন্ট। ব্যাংকটির দর কমেছে ৫.৭৩ শতাংশ।
আল আরাফাহ ব্যাংকের দর ১.৮৮ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ২.৩১ পয়েন্ট।
বিকন ফার্মার ০.৭৮ শতাংশ দর পতনে ২.২ পয়েন্ট এবং বার্জার পেইন্টসের ০.৫৭ শতাংশ দর কমায় সূচক কমেছে ২.০৩ পয়েন্ট।
এছাড়া বেক্সিমকো ফার্মার দর পতনে ১.৭৪ পয়েন্ট, বিএসআরএম স্টিলের কারণে ১.৩ পয়েন্ট, রূপালী ব্যাংকের কারণে ১.১৯ পয়েন্ট, জিপিএইচ ইস্পাতের কারণে ০.৯৫ পয়েন্ট এবং সিটি ব্যাংকের কারণে ০.৯৩ পয়েন্ট সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক ফেলেছে ৩০.২ পয়েন্ট।
সূচক বাড়ানোর চেষ্টায় যারা
সূচক বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে গ্রামীণফোন। এদিন কোম্পানিটির দর বেড়েছে ০.৩৩ শতাংশ, যার কারণে সূচক বেড়েছে ৫.৮৫ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩.১ পয়েন্ট যোগ হয়েছে ফরচুন শুজের দর বৃদ্ধির কারণে। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪.২৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের দর ১.৮১ শতাংশ বাড়ার ফলে সূচক বেড়েছে ২.৭৯ পয়েন্ট।
ওয়ালটন হাইটেকের দর০.১৯ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৭৬ পয়েন্ট। আর রবির ০.৩৪ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ২.২৭ পয়েন্ট।
ব্র্যাক ব্যাংক ও বেক্সিমকো সুকুক বন্ড ১.৯৫ পয়েন্ট করে সূচক বাড়িয়েছে।
এছাড়া সোনালী পেপার ১.৯৪ পয়েন্ট। ইউনিলিভার ১.৭৩ পয়েন্ট এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১.৬৯ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৬.০৩ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভিত্তির কোম্পানিগুলো শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। এসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান করে না। কোনোটি লভ্যাংশ দিলে খুবই নগন্য। শীর্ষ দশের একটির দর বেড়েছে ১০ শতাংশ, তিনটির ৬ শতাংশের বেশি, একটির ৫ শতাংশের বেশি, দুটির ৪ শতাংশের বেশি এবং তিনটি কোম্পানির দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে দুলামিয়া কটনের, যে কোম্পানিটি লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে পারছে না এক যুগ হয়ে গেল। একই হারে দর বেড়েছে দর বেড়েছে মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গতকাল ১১ টাকা লেনদেন হয়েছিল। আজকে ১২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়েছে প্রতিটি শেয়ার।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইমাম বাটনের দর বেড়েছে ৯.৫৭ শতাংশ। এই কোম্পানিটিও লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে পারে না। কিন্তু গত কয়েক মাসে শেয়ারদর বেড়ে তিন গুণের বেশি হয়ে গেছে।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা মাইডাস ফাইন্যান্সের দর বেড়েছে ৬.৯৯ শতাংশ। প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ টাকা ৩০ পয়সায়। আগের দিনে এটি লেনদেন হয় ১৪ টাকা ৩০ পয়সায়।
এই কোম্পানিটি বিপুল পরিমাণ লোকসান থেকে বের হয়ে দুই শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২১ পয়সা লোকসান দিয়েছে।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা এস আলম স্টিলসের দর ৬.২৫ শতাংশ বেড়ে ৩০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৩২ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
বেক্সিমকো গ্রুপের শাইনপুকুর সিরামিকসের দর ৬.২০ শতাংশ বেড়ে ৪১ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে প্রতিটি শেয়ার। এই কোম্পানিটির ল্যভাংশের ইতিহাস ভালো নয়। তার পরেও প্রায়ই কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে যায়।
স্বল্প মূলধনি ও আয়ের ধারাবাহিকতা না থাকা জেমিনি সি ফুডের দর বেড়েছে ৫.৪১ শতাংশ। হাতবদল হয়েছে ৩৭৩ টাকা ২০ পয়সায়। গতকাল এটি ছিল ৩৫২ টাকা ৭০ পয়সা।
৪ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে দুর্বল কোম্পানি কে অ্যান্ড কিউয়ের। হাতবদল হয়েছে ২৫১ টাকা ১০ পয়সায়। ফরচুন শুজ ১০৭ টাকা ৮ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
আর ৩ শতাংশের বেশি দর বেড়ে ন্যাশনাল ফিড মিল ৫৬ টাকা ৫০ পয়সা, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ ৫৬ টাকা ৫০ পয়সা এবং সোনালী পেপার ৫৫২ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দুটি স্বল্প মূলধনি কোম্পানি।
দর পতনের শীর্ষ ১০
দুই আগেও ঊর্ধ্বমুখী বিমা খাতে ব্যাপক পতন দেখা গেছে আজ। দর পতনের শীর্ষ ১০টির ৮টিই বিমা খাতের কোম্পানি। বাকি দুটি ব্যাংক খাতের।
সবচেয়ে বেশি দর ৭.৪৩ শতাংশ কমেছে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এদিন কোনো প্রাইস লিমিট না থাকায় ওই পরিমাণ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৮ টাকা ৬০ পয়সায়।
এরপরেই ৫.৭৩ শতাংশ দর কমেছে এনসিসি ব্যাংকের। বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণার পর রেকর্ড ডেট শেষে বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরু হয়। ফলে দর সমন্বয়ের পরে ১৪ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে প্রতিটি শেয়ার। আগের দিন এটি ছিল ১৫ টাকা ৭০ পয়সা।
এরপরেই ২.৫৪ শতাংশ দর কমেছে প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের। ৯০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৮৮ টাকা ২০ পয়সায়।
জনতা ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স এবং পিপলস ইন্স্যুরেন্স ছিল দরপতনের সর্বোচ্চ তালিকায়।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য