পুঁজিবাজারে টি প্লাস ওয়ান সেটেলমেন্ট, অর্থাৎ এক দিনে শেয়ার ম্যাচুরড হলে পরের দিনই বিক্রি করার যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেটি বাজারে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, অর্থাৎ ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারে এই স্যাটেলমেন্ট পদ্ধতি চালু করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। কীভাবে এটি বাস্তবায়ন করা যায় তা আগামী ১২ জুনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
টি প্লাস ওয়ান বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ড কেনার পরদিনই বিক্রি করতে পারবেন। তবে ‘জেড’ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ সুযোগ পাওয়া যাবে না।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে টি প্লাস টু সেটেলমেন্ট চালু রয়েছে। ফলে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার কেনার তৃতীয় দিনে বা দুই দিন পর বিক্রি করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।
লেনদেন বাড়বে
ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও মনে করেন, নতুন এই পদ্ধতি পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়াবে। এটি শেয়ার কেনাবেচা বাড়াবে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা তো চাচ্ছি, মার্কেটের ভলিউম বাড়াতে। মার্কেট ইজি গোয়িং হোক, যাতে আরও কুইক অপারেশনাল কাজগুলো করা যায়। সে ক্ষেত্রে টি প্লাস ওয়ান জরুরি। আজকে শেয়ার কিনলে যদি এক দিন পরই ম্যাচিউরড হয়ে যায়, তাহলে এগুলো সহজ হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য বাজারে দিনে কিনে দিনে বিক্রি করার সুযোগও আছে। সেখানে টি প্লাস ওয়ান তো অবশ্যই আমাদের এখানে কখনও না কখনও হওয়া উচিত।
তবে এই পদ্ধতিতে চট করে চলে যাওয়ার বদলে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘এর সঙ্গে ডিএসইর সেটেলমেন্ট প্রসেসিংগুলোর ক্ষেত্রে কিছু কাজ করতে হবে। ফরেন ট্রেডের ক্ষেত্রে যে প্রসেসে হয় সেটাতেও টি প্লাস ওয়ান হলে একটি জটিলতার মধ্যে পড়ে যায় কি-না, আমি নিশ্চিত নই। তবে আমার মনে হয় ঐটাতে একটা সমস্যা তৈরি হতে পারে। আমাদের এই জিনিসগুলো ফিজিবিলিটি স্টাডি করে দেখে তারপরে যাওয়া উচিত। আমি এটার পক্ষে, তবে এই জিনিসগুলো বাস্তবায়ন হওয়ার পরই এটা হওয়া উচিত।’
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের স্বল্পতা নিয়ে যে আক্ষেপ আছে, টি প্লাস ওয়ান সেই আক্ষেপ আরও বাড়িয়ে দেয় কি না, এ নিয়ে আলোচনাও আছে।
এ প্রশ্নে রিচার্ড বলেন, ‘বিনিয়োগকারী তো বিনিয়োগকারীই, তিনি একটা শেয়ার কিনে কালকে বিক্রি করার কথা চিন্তা করেন না। তার জন্য টি প্লাস ওয়ান নয়, ট্রেড যারা করে তাদের জন্য এটি। বিনিয়োগকারী কিন্তু শেয়ার কিনবে এক, দুই বা তিন বছরের জন্য। ট্রেডে যারা সরাসরি জড়িত তাদের জন্য এটা প্রযোজ্য।’
‘আগে টি প্লাস সিক্স ছিল, টি প্লাস ওয়ানে কী সমস্যা’
এক দিনে সেটেলমেন্ট পুঁজিবাজারের গতিশীলতা বাড়াতে অনেক ভালো একটি সিদ্ধান্ত বলে মত দিয়েছেন প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং সিস্টেম অনেক এগিয়েছে, ডিজিটাইলজড হয়েছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের পুঁজিবাজারও ডিজিটাইজেশনের দিকে আরও এক ধাপ বেশি এগিয়ে যাবে।
‘আগে টি প্লাস সিক্স ছিল, সেটি পরে ধাপে ধাপে কমিয়ে টি প্লাস টু করা হয়েছে। আমরা যে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছি এটা তারই নজির।’
দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগের চেয়ে ডে ট্রেডিং উৎসাহিত করবে বলে যে সমালোচনা- সেই প্রশ্নে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ডে ট্রেডিং উৎসাহিত হোক, হাউস কমিশন পাক। তাহলে ভলিউম বাড়বে। জিডিপিতে অবদান বেশি হবে। মানুষের উৎসাহ বাড়বে। দুই পরে টাকা লাগবে, পায় না। তিন দিন পরে শেয়ার বিক্রি করতে পারে। এতে মানুষ উৎসাহ পায় না।’
‘এতে পুঁজিবাজারের কী লাভ?’
টি প্লাস ওয়ান সেটেলমেন্ট পুঁজিবাজারে উন্নয়নের কোনো ভূমিকা রাখবে না বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এতে শেয়ারবাজারের কোনো উপকার হবে বলে মনে হয় না। ব্রোকার হাউসের লাভ হবে। কারণ এটি চালু হলে টার্নওভার বেশি হবে, জুয়া খেলা আরও বাড়বে। এতে বিনিয়োগকারীর কীভাবে লাভ হবে?’
বিনিয়োগকারীরা দ্রুত শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন, এটা কী সুবিধা নয়?
এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যারা এক দিন পরই শেয়ার বিক্রি করবে, তারা কীভাবে বিনিয়োগকারী হন? বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবেন, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর, চার বছরের জন্য। এটা ভালো খারাপ কিছুই না। এটার পেছনে আর্গুমেন্ট কী? আর্গুমেন্ট হলো যারা ডেইলি ট্রেড করে তাদের সুবিধা হবে। তাদের টার্নওভার বাড়ল।
‘এগুলো শেয়ারবাজারের জন্য ভালো কিছু না। ভালো কিছু হবে যদি বাজেটের মধ্যে কিছু থাকে এবং ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে পারে। আসলে ভালো কিছু না করে তারা অকাজের মধ্যে সময় দেয়।’
আশা, শঙ্কা- দুটোই আছে
বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘টি প্লাস ওয়ানের সুবিধা হলো, এটা বাস্তবায়ন হলে লেনদেনের পরিমাণটা বাড়বে। এতে করে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো যে কমিশন পায়, তাদের কমিশনের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
‘অসুবিধার দিক হলো যে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে আমরা যেমন শুনি যে, প্রকৃত বিনিয়োগকারী, অর্থাৎ যারা ভালো শেয়ারে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করবেন এবং ডিভিডেন্ড গ্রহণ করবেন, তেমন বিনিয়োগকারী গড়ে উঠার পেছনে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করতে পারে।’
বিষয়টির বাস্তবায়ন এখনই নয়
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে এখনই বাস্তবায়ন হচ্ছে এমন নয়।
তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জ ও সিডিবিএলের সিদ্ধান্ত ও মতামত আসার পরে বিএসইসি ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেবে যে, এটা করবে কি করবে না।
রেজাউলের ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, এই পদ্ধতি পুঁজিবাজারকে গতিশীল করবে। তিনি বলেন, ‘এটি চালু হলে ট্রেডেবল শেয়ার বাড়বে। ফলে মার্কেটে টার্নওভার, তারল্য বাড়বে। বাজারে অস্থিরতা কমে আসবে।’
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য