পুঁজিবাজারে টি প্লাস ওয়ান সেটেলমেন্ট, অর্থাৎ এক দিনে শেয়ার ম্যাচুরড হলে পরের দিনই বিক্রি করার যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেটি বাজারে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, অর্থাৎ ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারে এই স্যাটেলমেন্ট পদ্ধতি চালু করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। কীভাবে এটি বাস্তবায়ন করা যায় তা আগামী ১২ জুনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
টি প্লাস ওয়ান বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ড কেনার পরদিনই বিক্রি করতে পারবেন। তবে ‘জেড’ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ সুযোগ পাওয়া যাবে না।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে টি প্লাস টু সেটেলমেন্ট চালু রয়েছে। ফলে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার কেনার তৃতীয় দিনে বা দুই দিন পর বিক্রি করতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।
লেনদেন বাড়বে
ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও মনে করেন, নতুন এই পদ্ধতি পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়াবে। এটি শেয়ার কেনাবেচা বাড়াবে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা তো চাচ্ছি, মার্কেটের ভলিউম বাড়াতে। মার্কেট ইজি গোয়িং হোক, যাতে আরও কুইক অপারেশনাল কাজগুলো করা যায়। সে ক্ষেত্রে টি প্লাস ওয়ান জরুরি। আজকে শেয়ার কিনলে যদি এক দিন পরই ম্যাচিউরড হয়ে যায়, তাহলে এগুলো সহজ হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য বাজারে দিনে কিনে দিনে বিক্রি করার সুযোগও আছে। সেখানে টি প্লাস ওয়ান তো অবশ্যই আমাদের এখানে কখনও না কখনও হওয়া উচিত।
তবে এই পদ্ধতিতে চট করে চলে যাওয়ার বদলে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘এর সঙ্গে ডিএসইর সেটেলমেন্ট প্রসেসিংগুলোর ক্ষেত্রে কিছু কাজ করতে হবে। ফরেন ট্রেডের ক্ষেত্রে যে প্রসেসে হয় সেটাতেও টি প্লাস ওয়ান হলে একটি জটিলতার মধ্যে পড়ে যায় কি-না, আমি নিশ্চিত নই। তবে আমার মনে হয় ঐটাতে একটা সমস্যা তৈরি হতে পারে। আমাদের এই জিনিসগুলো ফিজিবিলিটি স্টাডি করে দেখে তারপরে যাওয়া উচিত। আমি এটার পক্ষে, তবে এই জিনিসগুলো বাস্তবায়ন হওয়ার পরই এটা হওয়া উচিত।’
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের স্বল্পতা নিয়ে যে আক্ষেপ আছে, টি প্লাস ওয়ান সেই আক্ষেপ আরও বাড়িয়ে দেয় কি না, এ নিয়ে আলোচনাও আছে।
এ প্রশ্নে রিচার্ড বলেন, ‘বিনিয়োগকারী তো বিনিয়োগকারীই, তিনি একটা শেয়ার কিনে কালকে বিক্রি করার কথা চিন্তা করেন না। তার জন্য টি প্লাস ওয়ান নয়, ট্রেড যারা করে তাদের জন্য এটি। বিনিয়োগকারী কিন্তু শেয়ার কিনবে এক, দুই বা তিন বছরের জন্য। ট্রেডে যারা সরাসরি জড়িত তাদের জন্য এটা প্রযোজ্য।’
‘আগে টি প্লাস সিক্স ছিল, টি প্লাস ওয়ানে কী সমস্যা’
এক দিনে সেটেলমেন্ট পুঁজিবাজারের গতিশীলতা বাড়াতে অনেক ভালো একটি সিদ্ধান্ত বলে মত দিয়েছেন প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং সিস্টেম অনেক এগিয়েছে, ডিজিটাইলজড হয়েছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের পুঁজিবাজারও ডিজিটাইজেশনের দিকে আরও এক ধাপ বেশি এগিয়ে যাবে।
‘আগে টি প্লাস সিক্স ছিল, সেটি পরে ধাপে ধাপে কমিয়ে টি প্লাস টু করা হয়েছে। আমরা যে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছি এটা তারই নজির।’
দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগের চেয়ে ডে ট্রেডিং উৎসাহিত করবে বলে যে সমালোচনা- সেই প্রশ্নে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ডে ট্রেডিং উৎসাহিত হোক, হাউস কমিশন পাক। তাহলে ভলিউম বাড়বে। জিডিপিতে অবদান বেশি হবে। মানুষের উৎসাহ বাড়বে। দুই পরে টাকা লাগবে, পায় না। তিন দিন পরে শেয়ার বিক্রি করতে পারে। এতে মানুষ উৎসাহ পায় না।’
‘এতে পুঁজিবাজারের কী লাভ?’
টি প্লাস ওয়ান সেটেলমেন্ট পুঁজিবাজারে উন্নয়নের কোনো ভূমিকা রাখবে না বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এতে শেয়ারবাজারের কোনো উপকার হবে বলে মনে হয় না। ব্রোকার হাউসের লাভ হবে। কারণ এটি চালু হলে টার্নওভার বেশি হবে, জুয়া খেলা আরও বাড়বে। এতে বিনিয়োগকারীর কীভাবে লাভ হবে?’
বিনিয়োগকারীরা দ্রুত শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন, এটা কী সুবিধা নয়?
এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যারা এক দিন পরই শেয়ার বিক্রি করবে, তারা কীভাবে বিনিয়োগকারী হন? বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবেন, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর, চার বছরের জন্য। এটা ভালো খারাপ কিছুই না। এটার পেছনে আর্গুমেন্ট কী? আর্গুমেন্ট হলো যারা ডেইলি ট্রেড করে তাদের সুবিধা হবে। তাদের টার্নওভার বাড়ল।
‘এগুলো শেয়ারবাজারের জন্য ভালো কিছু না। ভালো কিছু হবে যদি বাজেটের মধ্যে কিছু থাকে এবং ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে পারে। আসলে ভালো কিছু না করে তারা অকাজের মধ্যে সময় দেয়।’
আশা, শঙ্কা- দুটোই আছে
বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘টি প্লাস ওয়ানের সুবিধা হলো, এটা বাস্তবায়ন হলে লেনদেনের পরিমাণটা বাড়বে। এতে করে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো যে কমিশন পায়, তাদের কমিশনের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
‘অসুবিধার দিক হলো যে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে আমরা যেমন শুনি যে, প্রকৃত বিনিয়োগকারী, অর্থাৎ যারা ভালো শেয়ারে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করবেন এবং ডিভিডেন্ড গ্রহণ করবেন, তেমন বিনিয়োগকারী গড়ে উঠার পেছনে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করতে পারে।’
বিষয়টির বাস্তবায়ন এখনই নয়
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে এখনই বাস্তবায়ন হচ্ছে এমন নয়।
তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জ ও সিডিবিএলের সিদ্ধান্ত ও মতামত আসার পরে বিএসইসি ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেবে যে, এটা করবে কি করবে না।
রেজাউলের ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, এই পদ্ধতি পুঁজিবাজারকে গতিশীল করবে। তিনি বলেন, ‘এটি চালু হলে ট্রেডেবল শেয়ার বাড়বে। ফলে মার্কেটে টার্নওভার, তারল্য বাড়বে। বাজারে অস্থিরতা কমে আসবে।’
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য