সাত কর্মদিবসে ৩০৯ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধির দুই দিনের সংশোধন শেষে আবারও ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার। সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে আবারও সূচকে যোগ হলো ১৫ পয়েন্ট। আগের দুই দিনে কমেছিল ২৮ পয়েন্ট।
আগের দুই দিন বাজার বিমার দখলে থাকলেও সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে বস্ত্র ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটধারীদের হাসিমুখ দেখা গেছে। অন্যদিকে সাধারণ বিমা খাতে দেখা গেছে উল্টো দৌড়। প্রায় প্রতিটি কোম্পানির দর কমেছে। এর মধ্যে সিংহভাগের কমেছে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত।
তবে সাধারণ বিমায় যে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে, সেটি স্পষ্ট লেনদেনে। এই একটি খাতে হাতবদল হয়েছে শত কোটির বেশি।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকার সঙ্গে লেনদেনও ভালো হয়েছে বস্ত্র খাতে। ৯০ কোটি ২৫ লাখ টাকা লেনদেনের দিনে এ খাতের ৪৫টি কোম্পানির দর বেড়ে লেনদেন হয়েছে। আগের দিনের দামেই লেনদেন হয়েছে পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার। বিপরীতে ৯টি বা ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ কোম্পানির দর পতন হয়েছে।
অন্যদিকে মিউচুয়াল ফান্ডের ২৯টির ইউনিট দর বেড়েছে, অপরিবর্তিত থেকে লেনদেন হয়েছে তিনটি। তিনটির দর কমতে দেখা গেছে।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে বিবিধ, ওষুধ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে কিছুটা দর বৃদ্ধি দেখা গেছে। বাকি খাতগুলোয় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কোম্পানির দর বাড়লেও পতনের সংখ্যাই বেশি ছিল।
দিনের শুরুতেই বড় উত্থান দেখা গেলে সময় গড়ানোর সঙ্গে নিম্নমুখী হয় সূচক। প্রথম ১ ঘণ্টা ১২ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩২ পয়েন্ট বেড়েছিল। তবে দরপতনের কারণে ১ ঘণ্টার মধ্যেই ২৯ পয়েন্ট কমে সূচক আগের অবস্থানে ফিরে যায়। পরবর্তী ২ ঘণ্টার ক্রয়চাপে প্রবণতায় ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪৮৪ পয়েন্ট স্থির হয় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স।
দিন শেষে যতগুলো শেয়ারের দর কমেছে, তার চেয়ে ৪১টি বেশি কোম্পানির দর বেড়েছে। লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯০টির, কমেছে ১৪৯টির। গতকালের দরে লেনদেন হয়েছে ৪০টি।
সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন। হাতবদল হয়েছে ৯১৯ কোটি ৬৫ লাখ ৭৪ হাজার। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৭৩৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
বাজারের উত্থান প্রসঙ্গে মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক নিয়মে উত্থান হয়েছে, যাকে আমরা বলতে পারি যে পুঁজিবাজারের গ্রামার মেনে। কারণ সাত কর্মদিবস উত্থানের পর দুই দিন সংশোধন গেছে। স্বাভাবিক নিয়মে আজকে আবার কিছুটা বেড়েছে।’
বস্ত্র, মিউচুয়াল ফান্ডের উত্থান ও বিমার উল্টো দৌড়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে কোনো একটি সেক্টর উঠতে গেলে আরেকটি কিছুটা নেমে যায়, এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমার মনে হয় বাজার ভালোই আছে। একটা খাত উঠতে গেলে আরেকটা কিছুটা সংশোধনের মধ্য দিয়ে যাবেই।’
সূচক বাড়াল যারা
সূচক বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ। এদিন কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১.৫১ শতাংশ, যার কারণে সূচক বেড়েছে ১.৭৮ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৩২ পয়েন্ট যোগ হয়েছে ওয়ালটন হাইটেকের দর বৃদ্ধির কারণে। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ০.২৭ শতাংশ।
র্যাক সিরামিকসের দর ৪.৩৫ শতাংশ বাড়ার ফলে সূচক বেড়েছে ১.২৫ পয়েন্ট।
ব্র্যাক ব্যাংকের দর ১.১৮ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১.০৯ পয়েন্ট। আর ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ০.২৩ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ১.০২ পয়েন্ট।
আর কোনো কোম্পানি সূচক ১ পয়েন্ট যোগ করতে পারেনি।
এছাড়া ইসলামি ব্যাংক ০.৯৪ পয়েন্ট, ন্যাশনাল ব্যাংক ০.৯৪ পয়েন্ট, এসপি সিরামিকস ০.৭৫ পয়েন্ট এবং পূবালী ব্যাংক ০.৭৩ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৯.৮২ পয়েন্ট।
সূচক সবচেয়ে বেশি কমেছে গ্রামীণফোনের দর পতনে। টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিটির দর কমেছে ০.৪৬ শতাংশ। এতে করে সূচক হ্রাস পেয়েছে ২.৭৫ পয়েন্ট।
এরপরেই রেনাটার ০.৬১ শতাংশ মূল্য হ্রাসে সূচক পড়েছে ১.২৮ পয়েন্ট। তরে আর কোনো কোম্পানির দর পতনে সূচক ১ পয়েন্টের বেশি হ্রাস পায়নি।
এর বাইরে স্কয়ার ফার্মা ০.৯ পয়েন্ট, রবি ০.৭৬ পয়েন্ট, তিতাস গ্যাস ০.৭২ পয়েন্ট, আইসিবি ০.৩৫ পয়েন্ট, আইপিডিসি ০.৩২ পয়েন্ট, ইউনিলিভার ০.২৯ পয়েন্ট, জেনেক্স ইনফোসিস ০.২৫ পয়েন্ট এবং মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের দর পতনে সূচক কমেছে ০.২৪ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক ফেলেছে ৭.৬২ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে চারটিই মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে ৩টির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি, একটি করে কোম্পানির দর ৬, ৭ ও ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আর বাকি চারটির দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
সবচেয়ে বেশি ৯.৯৪ শতাংশ দর বেড়ে লেনদেন হয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার। ২৯ মের পর থেকে দর কমতে থাকা কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৮ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনে হাতবদল হয়েছিল ৩৫ টাকা ২০ পয়সায়।
এরপরেই দর বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে দুটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর মধ্যে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৯.৭০ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সায়। গতকালের দর ছিল ১০ টাকা ৩০ পয়সা। সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়ে ১৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে ১৬ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া মেট্রো স্পিনিং মিলসের দর ৮.৫২ শতাংশ, বিডি কমের দর ৭.৮৪ শতাংশ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৬.৫৯ শতাংশ, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ইউনিট দর ৫.৮১ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৫.৭৪ শতাংশ, এইচ আর টেক্সটাইলের দর ৫.৭১ শতাংশ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের তর ৫.৬১ শতাংশ বেড়েছে।
দর পতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি দর হ্রাস পাওয়া ১০টির মধ্যে অর্ধেক অর্থা পাঁচটিই বিমা খাতের। আর সবগুলোর দরই হ্রাস পেয়েছে পতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ ও এর আপেপাশেই।
তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ২ শতাংশ। আগের দিন ৬৫ টাকায় লেনদেন হওয়া প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৩ টাকা ৭০ পয়সায়।
টানা বাড়তে থাকা ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের দর কমেছে ১.৯৯ শতাংশ। এক হাজার ৯৩৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৮৯৮ টাকা ৮০ পয়সায়।
একই পরিমাণ দর কমেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারির দর। ২০৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০১ টাকা ৮০ পয়সা।
দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর কমে ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩৪ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
এর পরেই মনোস্পুল পেপারের দর ১৯৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে কমে ১৮৯ টাকা ৪০ পয়সায়, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের দর ৪০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৩৯ টাকা ৯০ পয়সায়, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস ১৪২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৩৯ টাকা ৭০ পয়সায়, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স ৬১ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৬০ টাকায়, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স ৪০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৪০ টাকা ১০ পয়সায় এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স ৮১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে ৮০ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য