সাত কর্মদিবসে ৩০৯ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধির দুই দিনের সংশোধন শেষে আবারও ঘুরে দাঁড়াল পুঁজিবাজার। সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে আবারও সূচকে যোগ হলো ১৫ পয়েন্ট। আগের দুই দিনে কমেছিল ২৮ পয়েন্ট।
আগের দুই দিন বাজার বিমার দখলে থাকলেও সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে বস্ত্র ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটধারীদের হাসিমুখ দেখা গেছে। অন্যদিকে সাধারণ বিমা খাতে দেখা গেছে উল্টো দৌড়। প্রায় প্রতিটি কোম্পানির দর কমেছে। এর মধ্যে সিংহভাগের কমেছে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত।
তবে সাধারণ বিমায় যে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে, সেটি স্পষ্ট লেনদেনে। এই একটি খাতে হাতবদল হয়েছে শত কোটির বেশি।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকার সঙ্গে লেনদেনও ভালো হয়েছে বস্ত্র খাতে। ৯০ কোটি ২৫ লাখ টাকা লেনদেনের দিনে এ খাতের ৪৫টি কোম্পানির দর বেড়ে লেনদেন হয়েছে। আগের দিনের দামেই লেনদেন হয়েছে পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার। বিপরীতে ৯টি বা ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ কোম্পানির দর পতন হয়েছে।
অন্যদিকে মিউচুয়াল ফান্ডের ২৯টির ইউনিট দর বেড়েছে, অপরিবর্তিত থেকে লেনদেন হয়েছে তিনটি। তিনটির দর কমতে দেখা গেছে।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে বিবিধ, ওষুধ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে কিছুটা দর বৃদ্ধি দেখা গেছে। বাকি খাতগুলোয় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কোম্পানির দর বাড়লেও পতনের সংখ্যাই বেশি ছিল।
দিনের শুরুতেই বড় উত্থান দেখা গেলে সময় গড়ানোর সঙ্গে নিম্নমুখী হয় সূচক। প্রথম ১ ঘণ্টা ১২ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩২ পয়েন্ট বেড়েছিল। তবে দরপতনের কারণে ১ ঘণ্টার মধ্যেই ২৯ পয়েন্ট কমে সূচক আগের অবস্থানে ফিরে যায়। পরবর্তী ২ ঘণ্টার ক্রয়চাপে প্রবণতায় ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪৮৪ পয়েন্ট স্থির হয় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স।
দিন শেষে যতগুলো শেয়ারের দর কমেছে, তার চেয়ে ৪১টি বেশি কোম্পানির দর বেড়েছে। লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯০টির, কমেছে ১৪৯টির। গতকালের দরে লেনদেন হয়েছে ৪০টি।
সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন। হাতবদল হয়েছে ৯১৯ কোটি ৬৫ লাখ ৭৪ হাজার। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৭৩৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
বাজারের উত্থান প্রসঙ্গে মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক নিয়মে উত্থান হয়েছে, যাকে আমরা বলতে পারি যে পুঁজিবাজারের গ্রামার মেনে। কারণ সাত কর্মদিবস উত্থানের পর দুই দিন সংশোধন গেছে। স্বাভাবিক নিয়মে আজকে আবার কিছুটা বেড়েছে।’
বস্ত্র, মিউচুয়াল ফান্ডের উত্থান ও বিমার উল্টো দৌড়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে কোনো একটি সেক্টর উঠতে গেলে আরেকটি কিছুটা নেমে যায়, এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমার মনে হয় বাজার ভালোই আছে। একটা খাত উঠতে গেলে আরেকটা কিছুটা সংশোধনের মধ্য দিয়ে যাবেই।’
সূচক বাড়াল যারা
সূচক বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ। এদিন কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১.৫১ শতাংশ, যার কারণে সূচক বেড়েছে ১.৭৮ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৩২ পয়েন্ট যোগ হয়েছে ওয়ালটন হাইটেকের দর বৃদ্ধির কারণে। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ০.২৭ শতাংশ।
র্যাক সিরামিকসের দর ৪.৩৫ শতাংশ বাড়ার ফলে সূচক বেড়েছে ১.২৫ পয়েন্ট।
ব্র্যাক ব্যাংকের দর ১.১৮ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে ১.০৯ পয়েন্ট। আর ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ০.২৩ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ১.০২ পয়েন্ট।
আর কোনো কোম্পানি সূচক ১ পয়েন্ট যোগ করতে পারেনি।
এছাড়া ইসলামি ব্যাংক ০.৯৪ পয়েন্ট, ন্যাশনাল ব্যাংক ০.৯৪ পয়েন্ট, এসপি সিরামিকস ০.৭৫ পয়েন্ট এবং পূবালী ব্যাংক ০.৭৩ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৯.৮২ পয়েন্ট।
সূচক সবচেয়ে বেশি কমেছে গ্রামীণফোনের দর পতনে। টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিটির দর কমেছে ০.৪৬ শতাংশ। এতে করে সূচক হ্রাস পেয়েছে ২.৭৫ পয়েন্ট।
এরপরেই রেনাটার ০.৬১ শতাংশ মূল্য হ্রাসে সূচক পড়েছে ১.২৮ পয়েন্ট। তরে আর কোনো কোম্পানির দর পতনে সূচক ১ পয়েন্টের বেশি হ্রাস পায়নি।
এর বাইরে স্কয়ার ফার্মা ০.৯ পয়েন্ট, রবি ০.৭৬ পয়েন্ট, তিতাস গ্যাস ০.৭২ পয়েন্ট, আইসিবি ০.৩৫ পয়েন্ট, আইপিডিসি ০.৩২ পয়েন্ট, ইউনিলিভার ০.২৯ পয়েন্ট, জেনেক্স ইনফোসিস ০.২৫ পয়েন্ট এবং মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের দর পতনে সূচক কমেছে ০.২৪ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে এই ১০ কোম্পানি সূচক ফেলেছে ৭.৬২ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে চারটিই মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে ৩টির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি, একটি করে কোম্পানির দর ৬, ৭ ও ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আর বাকি চারটির দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
সবচেয়ে বেশি ৯.৯৪ শতাংশ দর বেড়ে লেনদেন হয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার। ২৯ মের পর থেকে দর কমতে থাকা কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৮ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনে হাতবদল হয়েছিল ৩৫ টাকা ২০ পয়সায়।
এরপরেই দর বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে দুটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর মধ্যে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৯.৭০ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সায়। গতকালের দর ছিল ১০ টাকা ৩০ পয়সা। সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়ে ১৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে ১৬ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া মেট্রো স্পিনিং মিলসের দর ৮.৫২ শতাংশ, বিডি কমের দর ৭.৮৪ শতাংশ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৬.৫৯ শতাংশ, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ইউনিট দর ৫.৮১ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ৫.৭৪ শতাংশ, এইচ আর টেক্সটাইলের দর ৫.৭১ শতাংশ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের তর ৫.৬১ শতাংশ বেড়েছে।
দর পতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি দর হ্রাস পাওয়া ১০টির মধ্যে অর্ধেক অর্থা পাঁচটিই বিমা খাতের। আর সবগুলোর দরই হ্রাস পেয়েছে পতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ ও এর আপেপাশেই।
তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ২ শতাংশ। আগের দিন ৬৫ টাকায় লেনদেন হওয়া প্রতিটি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬৩ টাকা ৭০ পয়সায়।
টানা বাড়তে থাকা ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের দর কমেছে ১.৯৯ শতাংশ। এক হাজার ৯৩৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৮৯৮ টাকা ৮০ পয়সায়।
একই পরিমাণ দর কমেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারির দর। ২০৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০১ টাকা ৮০ পয়সা।
দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর কমে ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩৪ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
এর পরেই মনোস্পুল পেপারের দর ১৯৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে কমে ১৮৯ টাকা ৪০ পয়সায়, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের দর ৪০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৩৯ টাকা ৯০ পয়সায়, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস ১৪২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৩৯ টাকা ৭০ পয়সায়, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স ৬১ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৬০ টাকায়, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স ৪০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৪০ টাকা ১০ পয়সায় এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স ৮১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে ৮০ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য