এসএমএসি এইচআরএস লিমিটেড ট্যাক্স জোন ৬-এর সহযোগিতায় সোমবার ইলেকট্রনিক ট্যাক্স ডিডাক্ট অ্যাট সোর্স বা ইলেকট্রনিক উপায়ে উৎসে কর কর্তন (ই-টিডিএস) সিস্টেম নিয়ে ওয়েবিনার হয়।
এসএমএসি এইচআরএস লিমিটেডের চেয়ারম্যান জেরীন এম হোসেইন ওয়েবিনারে উপস্থিত অতিথি ও অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান।
তিনি এসএমএসি এইচআরএসর পে-রোল সমাধান ও ট্যাক্স সচেতনতা প্রোগ্রাম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা দেন।
ই-টিডিএস কর্মকর্তা আলোচনায় যোগদান করা প্রায় ৬৫০ জন অংশগ্রহণকারীকে ই-টিডিএস সিস্টেমে একটি লাইভ উপস্থাপনা দেন।
এসএমএসি আইটি লিমিটেড একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেছে Taxdo। এটি অনলাইন রিটার্ন দাখিলের জন্য একটি সফটওয়্যার।
প্যানেল আলোচনার সময় এনসিসিআই সভাপতি তাহরিন আমান এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি জানান, এটি বাংলাদেশি কোম্পানিগুলির ব্যবসা করার খরচ কমিয়ে দেবে।
ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) নির্বাহী পরিচালক নুরুল কবির সমস্ত ব্যাংকে একটি চালান সিস্টেমের আওতায় আনার ওপর জোর দিয়েছিলেন, যাতে এটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় হয় এবং টিডিএস রিটার্নের ম্যানুয়াল ফাইলিং কম হয়।
শাহাদাত হোসেন, এফসিএ আইসিএবির সঙ্গে অংশীদারিত্বে ডিভিএস প্রবর্তনের পর এমন একটি ব্যবস্থা আনার জন্য এনবিআরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘এতে হিসাবরক্ষকদের বোঝা অনেকাংশে কমবে।’
তিনি এনবিআরকে একটি বিস্তৃত সমন্বিত আইটি সিস্টেম তৈরির আহ্বান জানান, যার একটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশল থাকবে।
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘পুরো এনবিআর অপারেশনের জন্য অটোমেশন প্রয়োজন, যাতে অডিট নির্বাচন, মূল্যায়ন, আপিল, ট্রাইব্যুনাল প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে স্বয়ংক্রিয় হয়। এনবিআরকে অন্যান্য সরকারি, আধা-সরকারি সংস্থার সঙ্গেও একীভূত করতে হবে, যাতে তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইটিআইএন ধারকের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।’
তিনি আইটি বিশেষজ্ঞ মোতায়েন, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত বাজেটের ওপর জোর দেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিমুদ্দিনের মতে এই ধরনের ডিজিটালাইজেশনের পদক্ষেপ খুবই স্বাগত। তিনি এনবিআরকে টিডিএস থেকে আইটেমের সংখ্যা কমানোর আহ্বান জানান।
তিনি বিশ্বাস করেন, টিডিএস ব্যবসার জন্য একটি বোঝা। এটি শুধুমাত্র বেতন, সুদ, ফি এবং লভ্যাংশের ওপর আরোপ করা উচিত।
এফবিসিসিআই সভাপতি এ ধরনের ব্যবস্থা বাস্তবায়নের আগে ব্যবসার জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে এনবিআরকে আহ্বান জানান। বলেন, ‘সরকার সংস্থাগুলো অনেক ইতিবাচক উদ্যোগ নিচ্ছে কিন্তু এগুলো ব্যবসায় ছড়িয়ে পড়ছে না।’ তিনি এনবিআরকে ডিজিটালাইজেশনের ওপরও জোর দেন।
এনবিআরের সদস্য প্রদ্যুৎ কুমার সরকার বলেন, ‘অনলাইন ট্যাক্স পেমেন্টের বিধান ইতিমধ্যেই আইনের অংশ এবং ই-টিডিএস ব্যবহার বৈধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ এনবিআর কল সেন্টার স্থাপন করবে এবং সমন্বিত অনলাইন সিস্টেম তৈরির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এসএমএসি এইচআরএস লিমিটেডের পরিচালক স্নেহাশিষ বড়ুয়া সেশন পরিচালনা করেন।
প্রশ্নোত্তর অধিবেশন পরিচালনা করেন কর অঞ্চল-৬ এর কমিশনার জাহিদ হাসান।
আরও পড়ুন:টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর এলাকায়।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় গত বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখেন বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীরা।
সোমবার সকালে বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান আমদানি-রপ্তানি শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা পাঁচ দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আজ সকাল থেকে আবারও এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
‘ভারতের বিভিন্ন পণ্য বোঝাই ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তবে টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার কারণে পণ্য বোঝাই হাজার হাজার ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ওপারে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় দাঁড়িয়ে আছে। এতে করে বেনাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূইয়া জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাঁচ দিন বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। আজ সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন:বিভিন্ন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা করে ২০২৪ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন অর্থনীতিবিদ।
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, এবার অর্থশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে ড্যারন আচেমোগলু, সাইমন জনসন ও জেমস রবিনসনকে। তারা প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে গড়ে ওঠে এবং সমৃদ্ধিতে কীভাবে প্রভাব রাখে, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন।
সাইটে উল্লেখ করা হয়, নোবেলজয়ী তিনজন উদ্ভাবনী গবেষণা করেছেন, যাতে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলা বিষয় উঠে এসেছে।
তিনজনের গবেষণার বিষয়ে সাইটে আরও বলা হয়, সমৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠানের প্রভাব নিয়ে তাদের অন্তর্দৃষ্টি অনুযায়ী, গণতন্ত্র সহায়ক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ ডিম আমদানি সত্ত্বেও বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব নেই। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে দেশের বাজারে ডিমের দাম কমছে না।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমগুলো সাদা রঙের এবং এসব ডিম সাধারণত কিনে থাকেন বেকারি ব্যবসায়ীরা। সাধারণ ভোক্তারা বাদামি রঙের ডিম বেশি পছন্দ করেন। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকার উপরে।
আমদানি করা পণ্য সাধারণত পাইকারি বাজারে দাম কমাতে প্রভাব রাখে। তবে এবার ডিমের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
রোববার যশোরের বেনাপোল ও নাভারণ বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকাররা প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছেন ১৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে। ভারত থেকে ডিম আমদানি হলেও পাইকারি বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।
সাদা ডিম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সাদা ডিমের দাম কিছুটা কম থাকায় বেকারিতে এর চাহিদা একটু বেশি থাকে। অন্যদিকে সাধারণ ভোক্তার কাছে বাদামি রঙের ডিমের চাহিদা একটু বেশি। তাই সাদা ডিম আমদানি হলেও ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের দাম কমছে না।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিনয় কৃষ্ণ জানান, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সাদা ডিমের দাম কম থাকায় বেকারিতে এর চাহিদা বেশি। কিন্তু দেশে বাদামি ডিমের চাহিদা বেশি। বাদামি ডিমের ওজন ৬০ থেকে ৬৫ গ্রাম হয়ে থাকে, আর সাদা ডিমের ওজন হয় ৫০ থেকে ৫৫ গ্রাম। ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের বিক্রয় যথাযথভাবে না হলে পরবর্তী সময়ে আমদানিতে আগ্রহ কমতে পারে।
বেনাপোল ডিম ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ডিমের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে এবং চাহিদাও ভালো। তবে বাড়তি দরে ডিম কিনতে হচ্ছে, যার প্রভাব পাইকারি ও খুচরা বাজারে পড়ছে।
শার্শার নাভারণ এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘ভারত থেকে ডিম আমদানি করে লাভ কী? খুচরা দোকানগুলোতে ভারত থেকে আমদানি করা ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বাদামি রঙের ডিম ১৫ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। চাহিদাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।’
বেনাপোলের খুচরা ডিম ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, ‘সিন্ডিকেট ডিমের দাম নির্ধারণ করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে ডিমের বাজার চড়া। এসএমএসের মাধ্যমে সিন্ডিকেট চক্র এর দর নির্ধারণ করে, যাতে নজর দেয়া প্রয়োজন।
‘ব্যবসায়ীদের ডিম কেনা ও বিক্রিমূল্য খতিয়ে দেখতে হবে এবং পাইকারি ও খুচরা বাজারে সমানতালে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ডিমসহ সব কিছুর দাম অনেক বেশি।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ইয়াছমিন জানান, তারা নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করছেন। ক্রয়-বিক্রয় রসিদ, মূল্য তালিকা, বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ডিমের দামে কোনো কারসাজি হচ্ছে কিনা তাও যাচাই করা হবে।
আরও পড়ুন:জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্য রাত থেকে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ হয় গেছে। তা চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে নদীতে অভিযান চালাচ্ছে মৎস্য বিভাগ।
লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার একশ’ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই একশ’ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে সব রকমের ইলিশ আহরণ, পরিবহন, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও মজুদকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। এই জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪৩ হাজার।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে নদীতে অভিযান চলছে।
‘নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরপরও যারা আইন অমান্য করে নদীতে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার মধ্য রাত থেকে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। তা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারের মুক্তি চেয়ে আকুল আবেদন জানিয়েছেন তাঁর প্রতিষ্ঠান নাসা গ্রুপের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
গণমাধ্যমে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আবেদন জানানো হয়।
নাসা গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবেদনটি নিম্নরূপ:
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের প্রতি আকুল আবেদন
জনাব,
আস্সালামু-আলাইকুম।
গত ০১ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখ দিবাগত রাতে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার, পিতা. মৃত আনা মিয়া মজুমদার, মাতা. মৃত মাফিয়া খাতুনকে গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়, তাঁকে যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলা নং ২৮ (৮)২৪-এ গ্রেফতার দেখিয়ে পরবর্তী দিন অর্থাৎ ০২ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখে ৭ দিনের জন্য রিমান্ড দিয়ে ডিবি হেফাজতে প্রেরণ করা হয়। রিমান্ড শেষে তাঁর জামিনের আবেদন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। একজন ৭০ বৎসর বয়স্ক ব্যক্তি ও দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী যিনি ক্যান্সার, থাইরয়েড, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত। ইতোপূর্বে একাধিকবার বিদেশে তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং মেডিকেল চেকআপের তারিখ ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে তার শারীরিক পরীক্ষা ও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যে, তিনি কখনোই কোনো ধরনের রাজনৈতিক দলের সামান্য সদস্যপদও গ্রহণ করেন নাই। এবং কোনো রাজনৈতিক দলের হয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নাই ।
জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বে নাসা গ্রুপের জন্ম ও বিস্তৃতি লাভ করে এবং দেশে ও বিদেশে সুনাম-সুখ্যাতিসহ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে যাচ্ছে। তাঁর নিরলস এবং অনেকটাই একক পরিশ্রমের ফলে আজ কোম্পানিতে প্রত্যক্ষভাবে ৩০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে কয়েক লাখ লোকের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে।
এমতাবস্থায়, জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারকে মিথ্যা, হয়রানিমূলক সাজানো মামলায় আসামি করে কারাগারে আটকে রেখে তাঁর জীবন হুমকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এবং সেই সাথে নাসা গ্রুপে যুক্ত বিপুল শ্রমিক-কর্মচারীর জীবন-জীবিকা হুমকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে বিপুলভাবে অবদানকারী একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ীকে কারাগারে রেখে তাঁর সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ও তদারকি ছাড়া প্রতিষ্ঠানসমূহ কোনোভাবেই পরিচালনা করা সম্ভবপর নয়। তাঁর বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এবং দেশের শিল্প তথা ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারকে এই সাজানো মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি এবং আর যাতে তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো মিথ্যা ও সাজানো মামলা না দেওয়া হয় তার জন্য মহোদয়ের নিকট সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিনীত অনুরোধে
নাসা গ্রুপের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী
আরও পড়ুন:২২তম ডিএইচএল-দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডসে ‘বেস্ট বিজনেস পারসন অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন আকিজ বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন।
তার নেতৃত্ব, ব্যবসায়িক উদ্ভাবন এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
সেখ বশির উদ্দিনের প্রতিষ্ঠিত ‘আকিজ বশির গ্রুপ’ বর্তমানে বহুমুখী গ্রুপ হিসেবে ১৮টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে সিরামিকস, টেবিলওয়্যার, বাথওয়্যার, পাট, পার্টিক্যাল বোর্ডস, ডোরস, প্যাকেজিং, গ্লাস ও অন্যান্য।
প্রতিষ্ঠানটি তিনটি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ২৫টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে। একই সঙ্গে ২৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা ও দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
দেশের অর্থনীতি ও সমাজে বিশেষ অবদান রাখা অগ্রগামী ব্যবসায়ীদের সম্মান জানায় ডিএইচএল-দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস।
এ বছর যে চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে সেগুলো হলো বিজনেস পারসন অফ দ্য ইয়ার, আউটস্ট্যান্ডিং উইমেন ইন বিজনেস, এন্টারপ্রাইজ অফ দ্য ইয়ার এবং বেস্ট ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অফ দ্য ইয়ার।
আরও পড়ুন:সারাদেশে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ শুরু করছে গ্লোবাল ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক।
সিজন-২১ এ ক্রেতাদের জন্য ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফার ঘোষণা করেছে ওয়ালটন। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শো-রুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।
বুধবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মীম। তিনি দেশব্যাপী ক্যাম্পেইনের ২১তম সিজনের উদ্বোধন করেন।
সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা, চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) গালীব বিন মোহাম্মদ, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অফ সেলস মো. ফিরোজ আলম, ওয়ালটনের স্ট্র্র্যাটেজিক বিজনেস ডেভলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আরিফুল আম্বিয়া, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তানভীর রহমান, ফ্রিজের সিবিও তাহসিনুল হক, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মোস্তফা কামাল, ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর তানভীর আঞ্জুম ও চিফ ইনফরমেশন অফিসার মফিজুর রহমান, ওয়ালটনের ডেপুটি সিএমও জোহেব আহমেদ, টিভির ডেপুটি সিবিও হাবিব ইফতেখার আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
মন্তব্য