টানা সাত কর্মদিবস উত্থানের পরে টানা দুই দিন সংশোধনের মধ্যে দিয়ে গেল দেশের পুঁজিবাজার। এই দুই দিনেই বাজিমাত করেছেন বিমা খাতের বিনিয়োগকারীরা।
গতকাল সাধারণ বিমা খাতে সবগুলো কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ে এবং সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টিই ছিল এই খাতের। আজকেও সেই ধারাতেই ছিল খাতটি। মাত্র একটি কোম্পানির দরপতন ও একটির অপরিবর্তিত থাকা ছাড়া দর বেড়েছে সবগুলোর। আর দরবৃদ্ধির শীর্ষ বিশে জায়গা করে নিয়েছে ১৪টি বিমা কোম্পানি।
সাধারণ বিমার এমন উত্থানের মধ্যে পরপর দুই দিনই কিছুটা অনড় রইল জীবন বিমা। আগের দিনের চেয়ে একটি বেশি অর্থাৎ আটটি কোম্পানির দর বেড়েছে। একটির অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে কমেছে চারটির দর।
সংশোধনের বাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডেও ভালো দিন গেছে বলা যায়। বেশিসংখ্যক কোম্পানির দর না বাড়লেও দর ধরে রাখতে পেরেছে বেশ কিছু কোম্পানি। ফলে পতনের সংখ্যাটা কমেছে। ১২টির দর বৃদ্ধি ও ১৪টির অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দর কমেছে ৯টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। আর কোনো খাতে দর বৃদ্ধি দেখা যায়নি।
ফলে দিন শেষে যতগুলো সিকিউরিটিজের দর বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণ। ২২৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, যেখানে দাম বেড়েছে মাত্র ১১৪টির। আর ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে গতকালের দামেই।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারের দরপতনের কারণে সূচক কমেছে ২০ পয়েন্ট। আগের দিনে কমেছিল ৮ পয়েন্ট। ফলে সাত দিনে ৩০৯ পয়েন্ট বাড়ার পরে সূচক কমল ২৮ পয়েন্ট।
দরপতনের সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণ না করা হলে হয়তো পতনটা আরও বেশি হতো। কারণ প্রায় দেড় শতাধিক কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হয়েছে পতনের সর্বোচ্চ সীমা ও এর আশপাশের দামে।
দিনভর সূচকের ব্যাপক উত্থান-পতন ছিল। লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্যেই আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে সূচক সাড়ে ৬ হাজার পয়েন্টে অবস্থান করে। তবে ঢালাও দরপতনে সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বেলা ১১টা ২ মিনিটে সেখান থেকে ৪৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করে সূচক। এরপর দুপুর ১টা বাজার কিছুক্ষণ আগে ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু সেখান থেকে পতনের পর আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি ডিএসইএক্স।
সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন। ডিএসইতে হাতবদল হয়েছে ৭৩৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার, যা গত পাঁচ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ৩১ মে। সেদিন হাতবদল হয়েছে ৬৩৭ কোটি ৮৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকার।
রেমন্ড ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের উপদেষ্টা ও প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজের সাবেক প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাজার গত কয়েক দিনে বেশ কিছুটা বেড়েছে। এটা স্বাভাবিক সংশোধন চলছে, কিছু প্রফিট টেকিং হচ্ছে। সাত দিনে যতখানি উঠেছে তাতে ৪০-৫০ পয়েন্ট পড়ে যাওয়া কোনো বিষয় না।’
বিমা খাতের চাঙাভাবের কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজারে যে মানি ছিল তার ৬০ শতাংশ বিমাতে আছে। বিমাতে আগামীতে আরও টাকা ঢুকবে। বিমা খাতে আগ্রহের কারণ হচ্ছে এর পেইড আপ কম। তারা নিয়মিত ডিভিডেন্ড দেয় এবং প্রত্যেকটা শেয়ার এ গ্রুপের। যার কারণে বিমার শেয়ারের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষে আবার বিমা
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৮টিই বিমা খাতের। এর মধ্যে তিনটির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের ওপরে। একটির ৭ শতাংশ এবং একটির ৬ শতাংশের ওপরে দর বেড়েছে। বাকি ৫টির দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৯৪ টাকা ৩০ পয়সা, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ৫৭ টাকা থেকে ৬২ টাকা ৫০ পয়সা ও প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স ৭৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৮৩ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর ৭.১২ শতাংশ বেড়ে ৩৪ টাকা ৬০ পয়সায়, রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের ৬.২৪ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯০ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
এ ছাড়া পাঁচ শতাংশের বেশি দর বেড়ে প্রগতি ইন্স্যুরেন্স ৭৩ টাকা ৫০ পয়সায়, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স ৬৫ টাকায়, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স ৪৪ টাকা ৮০ পয়সায়, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ৭১ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন শেষ করেছে। রূপালী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকায়।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি দর হারানো কোম্পানির ১০টিই দিনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ বা এর আশপাশে দর হারিয়েছে।
জেমিনি সি ফুডের দর কমে লেনদেন হয়েছে ৩৫৩ টাকা ৪০ পয়সায়। আগের দিনে এটি লেনদেন হয় ৩৬০ টাকা ৬০ পয়সায়।
এর পরেই লিনডে বিডি ১ হাজার ৫১৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে কমে ১ হাজার ৪৮৩ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক লেনদেন হয়েছে ১৪২ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনে এটির ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১৪৫ টাকা ৪০ পয়সা।
এ ছাড়া ২ শতাংশের কাছাকাছি দর কমে রহিমা ফুড ২৯০ টাকা ২০ পয়সা, অ্যাপেক্স ট্যানারি ১৬৭ টাকা ৭০ পয়সা, কপারটেক ৩৯ টাকা ৬০ পয়সা, মুনোস্পুল ১৯৩ টাকা ২০ পয়সা, আইপিডিসি ৫৪ টাকা ৫০ পয়সা, মেঘনা পেট ২৯ টাকা ৮০ পয়সা ও বিডি ওয়েলডিং ১৯ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
সূচক কমাল যারা
সূচকের পতনে বেশি ভূমিকা রেখেছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে শীর্ষে ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো লিমিটেড। কোম্পানিটির ১.৫৪ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ৭.৭৯ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৫৮ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে রবি। কোম্পানিটির দর কমেছে এক শতাংশ।
ওয়ালটন হাইটেকের ০.৪৫ শতাংশ দর কমায় সূচক কমেছে ২.৪৮ পয়েন্ট এবং বেক্সিমকো লিমিটেডের ১.০৪ শতাংশ দরপতনের কারণে সূচক কমেছে ২.০১ শতাংশ।
এ ছাড়া লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ ১.৭১পয়েন্ট, আইসিবি ১.৪৫ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মা ১.০২ পয়েন্ট, রেনাটা ০.৯৭ পয়েন্ট, তিতাস গ্যাস ০.৯৭ পয়েন্ট এবং ডাচ্ বাংলা ব্যাক ০.৯১ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে এই দশটি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ২১.৮৯ পয়েন্ট।
সূচক বাড়ানোর চেষ্টায় যারা
বিপরীতে গ্রামীণফোন, ব্র্যাক ব্যাংক, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লস, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, ব্যাংক এশিয়া, বিএসআরএম স্টিল, বার্জার পেইন্টস এবং স্কয়ার ফার্মার দরবৃদ্ধিতে সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়েছে।
এই ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করতে পেরেছে মাত্র ১১. ৮৬ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য