টানা সাত কর্মদিবস উত্থানের পরে টানা দুই দিন সংশোধনের মধ্যে দিয়ে গেল দেশের পুঁজিবাজার। এই দুই দিনেই বাজিমাত করেছেন বিমা খাতের বিনিয়োগকারীরা।
গতকাল সাধারণ বিমা খাতে সবগুলো কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ে এবং সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টিই ছিল এই খাতের। আজকেও সেই ধারাতেই ছিল খাতটি। মাত্র একটি কোম্পানির দরপতন ও একটির অপরিবর্তিত থাকা ছাড়া দর বেড়েছে সবগুলোর। আর দরবৃদ্ধির শীর্ষ বিশে জায়গা করে নিয়েছে ১৪টি বিমা কোম্পানি।
সাধারণ বিমার এমন উত্থানের মধ্যে পরপর দুই দিনই কিছুটা অনড় রইল জীবন বিমা। আগের দিনের চেয়ে একটি বেশি অর্থাৎ আটটি কোম্পানির দর বেড়েছে। একটির অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে কমেছে চারটির দর।
সংশোধনের বাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডেও ভালো দিন গেছে বলা যায়। বেশিসংখ্যক কোম্পানির দর না বাড়লেও দর ধরে রাখতে পেরেছে বেশ কিছু কোম্পানি। ফলে পতনের সংখ্যাটা কমেছে। ১২টির দর বৃদ্ধি ও ১৪টির অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দর কমেছে ৯টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। আর কোনো খাতে দর বৃদ্ধি দেখা যায়নি।
ফলে দিন শেষে যতগুলো সিকিউরিটিজের দর বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণ। ২২৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, যেখানে দাম বেড়েছে মাত্র ১১৪টির। আর ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে গতকালের দামেই।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারের দরপতনের কারণে সূচক কমেছে ২০ পয়েন্ট। আগের দিনে কমেছিল ৮ পয়েন্ট। ফলে সাত দিনে ৩০৯ পয়েন্ট বাড়ার পরে সূচক কমল ২৮ পয়েন্ট।
দরপতনের সীমা ২ শতাংশ নির্ধারণ না করা হলে হয়তো পতনটা আরও বেশি হতো। কারণ প্রায় দেড় শতাধিক কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হয়েছে পতনের সর্বোচ্চ সীমা ও এর আশপাশের দামে।
দিনভর সূচকের ব্যাপক উত্থান-পতন ছিল। লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্যেই আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে সূচক সাড়ে ৬ হাজার পয়েন্টে অবস্থান করে। তবে ঢালাও দরপতনে সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বেলা ১১টা ২ মিনিটে সেখান থেকে ৪৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করে সূচক। এরপর দুপুর ১টা বাজার কিছুক্ষণ আগে ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু সেখান থেকে পতনের পর আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি ডিএসইএক্স।
সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন। ডিএসইতে হাতবদল হয়েছে ৭৩৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার, যা গত পাঁচ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ৩১ মে। সেদিন হাতবদল হয়েছে ৬৩৭ কোটি ৮৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকার।
রেমন্ড ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের উপদেষ্টা ও প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজের সাবেক প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাজার গত কয়েক দিনে বেশ কিছুটা বেড়েছে। এটা স্বাভাবিক সংশোধন চলছে, কিছু প্রফিট টেকিং হচ্ছে। সাত দিনে যতখানি উঠেছে তাতে ৪০-৫০ পয়েন্ট পড়ে যাওয়া কোনো বিষয় না।’
বিমা খাতের চাঙাভাবের কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজারে যে মানি ছিল তার ৬০ শতাংশ বিমাতে আছে। বিমাতে আগামীতে আরও টাকা ঢুকবে। বিমা খাতে আগ্রহের কারণ হচ্ছে এর পেইড আপ কম। তারা নিয়মিত ডিভিডেন্ড দেয় এবং প্রত্যেকটা শেয়ার এ গ্রুপের। যার কারণে বিমার শেয়ারের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষে আবার বিমা
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৮টিই বিমা খাতের। এর মধ্যে তিনটির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের ওপরে। একটির ৭ শতাংশ এবং একটির ৬ শতাংশের ওপরে দর বেড়েছে। বাকি ৫টির দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৯৪ টাকা ৩০ পয়সা, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ৫৭ টাকা থেকে ৬২ টাকা ৫০ পয়সা ও প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স ৭৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৮৩ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর ৭.১২ শতাংশ বেড়ে ৩৪ টাকা ৬০ পয়সায়, রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের ৬.২৪ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯০ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
এ ছাড়া পাঁচ শতাংশের বেশি দর বেড়ে প্রগতি ইন্স্যুরেন্স ৭৩ টাকা ৫০ পয়সায়, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স ৬৫ টাকায়, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স ৪৪ টাকা ৮০ পয়সায়, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ৭১ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন শেষ করেছে। রূপালী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকায়।
দরপতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি দর হারানো কোম্পানির ১০টিই দিনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ বা এর আশপাশে দর হারিয়েছে।
জেমিনি সি ফুডের দর কমে লেনদেন হয়েছে ৩৫৩ টাকা ৪০ পয়সায়। আগের দিনে এটি লেনদেন হয় ৩৬০ টাকা ৬০ পয়সায়।
এর পরেই লিনডে বিডি ১ হাজার ৫১৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে কমে ১ হাজার ৪৮৩ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক লেনদেন হয়েছে ১৪২ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনে এটির ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১৪৫ টাকা ৪০ পয়সা।
এ ছাড়া ২ শতাংশের কাছাকাছি দর কমে রহিমা ফুড ২৯০ টাকা ২০ পয়সা, অ্যাপেক্স ট্যানারি ১৬৭ টাকা ৭০ পয়সা, কপারটেক ৩৯ টাকা ৬০ পয়সা, মুনোস্পুল ১৯৩ টাকা ২০ পয়সা, আইপিডিসি ৫৪ টাকা ৫০ পয়সা, মেঘনা পেট ২৯ টাকা ৮০ পয়সা ও বিডি ওয়েলডিং ১৯ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
সূচক কমাল যারা
সূচকের পতনে বেশি ভূমিকা রেখেছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে শীর্ষে ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো লিমিটেড। কোম্পানিটির ১.৫৪ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ৭.৭৯ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৫৮ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে রবি। কোম্পানিটির দর কমেছে এক শতাংশ।
ওয়ালটন হাইটেকের ০.৪৫ শতাংশ দর কমায় সূচক কমেছে ২.৪৮ পয়েন্ট এবং বেক্সিমকো লিমিটেডের ১.০৪ শতাংশ দরপতনের কারণে সূচক কমেছে ২.০১ শতাংশ।
এ ছাড়া লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ ১.৭১পয়েন্ট, আইসিবি ১.৪৫ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মা ১.০২ পয়েন্ট, রেনাটা ০.৯৭ পয়েন্ট, তিতাস গ্যাস ০.৯৭ পয়েন্ট এবং ডাচ্ বাংলা ব্যাক ০.৯১ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।
সব মিলিয়ে এই দশটি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ২১.৮৯ পয়েন্ট।
সূচক বাড়ানোর চেষ্টায় যারা
বিপরীতে গ্রামীণফোন, ব্র্যাক ব্যাংক, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লস, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, ব্যাংক এশিয়া, বিএসআরএম স্টিল, বার্জার পেইন্টস এবং স্কয়ার ফার্মার দরবৃদ্ধিতে সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়েছে।
এই ১০টি কোম্পানি সূচকে যোগ করতে পেরেছে মাত্র ১১. ৮৬ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য