পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আলোচনার মধ্যে সাধারণ বিমা খাতে ব্যাপক উত্থান দেখা গেল, ২০২১ সালে লকডাউন পরিস্থিতিতে যে চিত্র দেখা দিয়েছিল।
সাধারণ বিমা খাতে কেবল সবগুলো কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এমন নয়, সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টিই ছিল এই খাতের।
লেনদেন হওয়া ৩৯টি কোম্পানির মধ্যে ২টির দর বেড়েছে ১০ শতাংশ, ১০টির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি, ৭টির দর বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি, ৫টির দর বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি।
এ ছাড়া ৫টির দর বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি, ৫টির দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি, ৩টির দর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি। একটির দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি, একটির ২ শতাংশের বেশি।
সাধারণ বিমায় এই চিত্রের ছোঁয়া অবশ্য জীবন বিমায় দেখা যায়নি। এ খাতের ১৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে সাতটির, কমেছে পাঁচটির আর অপরিবর্তিত ছিল একটির দর।
সকালে দরপতন হলেও লেনদেনের শেষ বেলায় ব্যাংকেও কিছুটা সুবাতাশ দেখা যায়। এ খাতের ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির, অপরিবর্তিত থাকে আটটির আর দর কমে সাতটির দর।
তবে অন্যান্য দিনের মতোই ব্যাংক খাতে দর বৃদ্ধি ও কমার হার খুব একটা বেশি দেখা যায়নি।
এ খাতে সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ দর বেড়েছে রূপালী ব্যাংকের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ বাড়ে এনআরবিসির। এবি ব্যাংকের দর বাড়ে ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংকের ২ দশমিক ৮০ শতাংশ, এনবিএলের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার ২ দশমিক ১০ শতাংশ, সাউথ বাংলার ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
এ দুই খাতে ভালো দিনের পরও সূচক কিছুটা কমেছে। টানা সাত কর্মদিবসে ৩০৯ পয়েন্ট বাড়ার পর প্রথমবারের মতো ৮ পয়েন্ট কমেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। লেনদেন আরও একটু এগিয়ে হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে।
দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ৯৭৪ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আগের দিন ছিল ৯৫০ কোটি ১০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
এই লেনদেন গত ১৬ মের পর সর্বোচ্চ, যেদিন হাতবদল হয় ১ হাজার ২৪ কোটি ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা।
ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিন বাজার চাঙা ছিল। সাতদিন টানা সূচক বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আজকে একটু প্রফিট টেকিং হয়েছে, যার কারণে সূচক সামান্য হ্রাস পেয়েছে এবং টার্নওভার কিছুটা বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিমা ও ব্যাংকের শেয়ারে কিছুটা আগ্রহ ছিল বিনিয়োগকারীদের। বেশ কিছুদিন ধরে এ খাতের শেয়ারে মনোযোগ কম ছিল। কিছুটা আন্ডারভ্যালুড হয়ে পড়েছিল বলা যায়। আজকে বিনিয়োগকারীদের নজরে ছিল, যার কারণে দাম বেড়েছে।’
ব্যাংক-বিমার পরেই দর বেড়েছে এমন কোম্পানির সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে ছিল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশল খাত। এর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে এদিন। মোট ১১টি প্রতিষ্ঠানের দর বাড়ার বিপরীতে কমেছে ৮টির। আর এবং আগের দামে লেনদেন হয়েছে ৩টি কোম্পানির শেয়ার।
প্রকৌশল খাতের যতগুলো কোম্পানির দর বেড়েছে তার দ্বিগুণেরও বেশি কোম্পানির দর কমেছে। ২৭টি কোম্পানির দর হ্রাসের বিপরীতে বেড়েছে মাত্র ১২টির। দাম অপরিবর্তিত ছিল ৩টির।
ভালো দিন গেছে মিউচ্যুয়াল খাতের বিনিয়োগকারীদের। প্রায় ৫৩ শতাংশ বা ১৮টি কোম্পানির দর বেড়েছে এদিন। ১২টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দামে। বিপরীতে ৪টি মিউচ্যুয়াল ফাণ্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে দাম কমে।
এছড়া জ্বালানি খাতে ৯টি, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৭টি, বস্ত্র ও খাদ্য খাতে ৫টি করে কোম্পানির দর বেড়েছে। অন্যদিকে আইটি এবং কাগজ ও মুদ্রণ খাতের কোনো কোম্পানির দর বাড়েনি, সবগুলোরই কমেছে।
দর পতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ট্রাস্ট ব্যাংকের ১০.০৭ শতাংশ দরপতন দেখালেও প্রকৃতপক্ষে বিনিয়োগকারীর এত লোকসান হয়নি।
গত ২৬ এপ্রিল সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে ব্যাংকটি। এর রেকর্ড ডেট ছিল রোববার। সেদিন দর ছিল ৩৯ টাকা ৭০ পয়সা। বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর দর দাঁড়ায় ৩৬ টাকা ১০ পয়সা। দিন শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা।
অর্থাৎ দর সমন্বয়ের পর লোকসান হয়েছে ৪০ পয়সা। কিন্তু বিনিয়োগকারী শেয়ার প্রতি নগদ লভ্যাংশ পাবেন এক টাকা ২০ পয়সা। নগদ লভ্যাংশ সমন্বয় না হলেও দেশের পুঁজিবাজারে যতটা নগদ লভ্যাংশ, সে পরিমাণ দাম কমতে দেখা যায়। কিন্তু ট্রাস্ট ব্যাংকের ক্ষেত্রে অতটা কমেনি।
প্রকৃতপক্ষে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে এনার্জি পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের। ২২ মে ৩৪ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটির দর ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে গতকাল পর্যন্ত। আজ সেটা কমেছে পতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ।
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির আয় কমেছে প্রায় ১৮ পয়সা। প্রতিট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৯ টাকা ২০ পয়সায়, যা আগের দিন ছিল ৪০ টাকা।
একই সমান দর কমেছে গোল্ডেন হার্ভেস্ট অ্যাগ্রো লিমিটেডের। আগের দিন ২০ টাকায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ১৯ টাকা ৬০ পয়সায়।
এছাড়া ২ শতাংশের একদম কাছাকাছি দর কমেছে বাকি আটটি কোম্পানির। এগুলো হলো জেনেক্স ইনফোসিস, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সৃহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, মুনস্পুল পেপার, সিলকো ফার্মা, আইএসএন এবং অ্যাম্বি ফার্মা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য