পতনমুখি পুঁজিবাজারে চাঙাভাব ফেরাতে সরকারের নানা উদ্যোগের পর প্রতিদিন সূচক বেড়ে শেষ হলো সপ্তাহের লেনদেন। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস মিলিয়ে টানা ছয় কর্মদিবসে সূচক বাড়ল ২৬৩ পয়েন্ট।
গত সেপ্টেম্বর থেকে দর সংশোধনে ছিল পুঁজিবাজার। ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেনে রুশ হামলা, এর প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ব অর্থনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতি, শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে দেখা দেয় ধস।
রোজার শেষে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও ঈদের পর আবার শুরু হয় দরপতন। তবে গত সপ্তাহে সরকার কিছু উদ্যোগ নেয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু ২০৫ কোটি টাকার তহবিল ছাড় করে তারা।
এসব ঘটনায় বৃহস্পতি থেকে আরেক বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ছয় কর্মদিবসের প্রতিদিনই সূচক বাড়ে।
এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আগের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ২৬ মে ৫০ পয়েন্ট, চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ১৩১ পয়েন্ট, পরদিন ১৯ পয়েন্ট, মঙ্গলবার ৪ পয়েন্ট, বুধবার ৪০ পয়েন্ট এবং শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বাড়ল আরও ১৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হওয়ার পর বড় উত্থানের ইঙ্গিত দিয়েও তা ধরে রাখতে পারেনি পুঁজিবাজার। বেলা ১০ টা ৪০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল। টাকার অঙ্কে লেনদেনের গতিও ছিল বেশ ভালো।
তবে এরপর থেকে বেড়ে যাওয়া শেয়ারগুলো কিছুটা দর হারাতে থাকে। ফলে শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট বেড়েই শেষ হয় লেনদেন।
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা দ্বিতীয়বারের মতো ২ শতাংশে নামিয়ে আনার পর সবচেয়ে বেশি লেনদেনও দেখল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। বেলা শেষে ৮৭৫ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৭৪৩ কোটি ১২ লাখ ৫ হাজার টাকা। তারও আগের দিন ছিল ৬৩৭ কোটি ৮৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবারের এই লেনদেন গত ১৩ কর্মদিবসের পর সর্বোচ্চ।
বেলা শেষে বেড়েছে ১৭৯টি কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ১৪৬টির আর দর ধরে রাখতে পারে ৫৫টির দর।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ব্যাংকে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে আর তথ্য প্রযুক্তি ও জীবন বিমায় প্রায় সব কোম্পানির দর বেড়েছে।
এর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির ১১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১০টির, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত। জীবন বিমার ১৩টির মধ্যে দাম বাড়ে ১২ কোম্পানির। একটির দর কমে।
ভালো দিন গেছে যেসব খাতে, তার মধ্যে বিবিধতে বেড়েছে ১০টির দর, কমেছে তিনটির। খাদ্য খাতে বেড়েছে ১৪টির দর, কমেছে সাতটির। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বেড়েছে ১৪টি কোম্পানির দর, কমেছে আটটির।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে বেড়েছে ১৮টি কোম্পানির দর, কমেছে ১০টির, বস্ত্র খাতে বেড়েছে ২৬টির দর, কমেছে ১০টির।
বেশ কিছু খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। এর মধ্যে ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতে বেড়েছে ১০টি কোম্পানির দর, কমে ১১টির; সাধারণ বিমায় বাড়ে ২১টির দর, কমে ১৮টির; ১০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে আটটির।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে লোকসানি বন্ধ কোম্পানির দাপট
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে গত এক যুগেও লভ্যাংশ দিতে না পারা মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক। একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের দম বেড়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯.৬৫ শতাংশ। এই কোম্পানিটিও রুগ্ন হয়ে অস্তিত্ব সংকটে আছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৭৫ শতাংশ বেড়েছে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ১০ টাকার শেয়ারে ৭ টাকারও বেশি লোকসান দেয়া আরামিট সিমেন্ট।
তিনটি কোম্পানিই স্বল্প মূলধনী এবং প্রায়শই এসব কোম্পানির দর বাড়তে দেখা যায়।
শীর্ষ দশে থাকা আরেক কোম্পানি হলো রিংসাইন টেক্সটাইল, যেটি মালিকদের তালিকাভুক্ত হওয়ার পর মালিকপক্ষের প্রতারণায় বন্ধ হয়ে যায়। উৎপাদনে ফেরাতে কোম্পানিটির বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। একটি গ্রুপ অব কোম্পানিজ এই কোম্পানিটিকে অধিগ্রহণ করতে চায়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এরই মধ্যে এই অধিগ্রহণ উদ্যোগে সম্মতি দিয়েছে।
স্বল্প মূলধনি ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের দরও দিনের সর্বোচ্চ সীমায় গিয়ে লেনদেন হয়। এই কোম্পানিটির দর সম্প্রতি ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে গিয়ে পর পর দুই দিন সার্কিট ব্রেকারে গিয়ে লেনদেন হয়।
প্রিমিয়ার সিমেন্ট, পেনিনসুলা চট্টগ্রাম, এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটিক, জেএমআই হসপিটাল, এসোসিয়েট অক্সিজেনও ছিল দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায়।
শীর্ষ দশের বাইরে একটি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, তিনটি কোম্পানির দর ৪ শতাংশের বেশি, ৬টি কোম্পানির পর ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
অন্যদিকে শীর্ষ দরপতন হওয়া ২০টি কোম্পানি লেনদেন হয়েছে তার দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশের কাছাকাছি। সব মিলিয়ে ৫৫টি কোম্পানির দর কমেছে এক শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য