শেষ সময়ের চমকে টানা চতুর্থ দিন সূচক বেড়ে পুঁজিবাজার স্বস্তি দিল বিনিয়োগকারীদের। অথচ লেনদেন এক পর্যায়ে সূচকের পতনের আভাস দিয়ে চলছিল লেনদেন।
গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত চার দিনে সূচক বাড়ল ২০৫ পয়েন্ট।
এমনিতেই সংশোধনে থাকা পুঁজিবাজার ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক বিপর্যয়, ডলারের দাম বৃদ্ধি আর নানা গুজবে টালমাটাল পুঁজিবাজারে এই উত্থান বিনিয়োগকারীদেরকে মনে চিড় ধরা আস্থায় কিছুটা হলেও মলম দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
একক খাত হিসেবে টানা দ্বিতীয় দিন সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে ব্যাংক খাত। আর শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বিমা খাতে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বাজার সংশোধন এবং পরে ইউক্রেনে রুশ হামলার দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমার শেয়ারধারীরা। এই কয়েক মাসে এই খাতের বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৫০ শতাংশেরও বেশি।
এই খাতটি নিয়ে হতাশার মধ্যেই হঠাৎ করেই দল বেঁধে বাড়ে প্রায় সব শেয়ারের দর। বিমার মধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সাধারণ বিমার দর। এই খাতের ৩৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির। কমেছে কেবল একটির, যে কোম্পানিটির শেয়ারদর গত কয়েক মাসে কমেনি।
আরও একটি কোম্পানির শেয়ারদর সবচেয়ে দরপতন হওয়া কোম্পানির তালিকায় শীর্ষে দেখালেও প্রকৃতপক্ষে লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণার পর দর সমন্বয় হয়েছে। এই হিসাব করে দেখা যায়, কোম্পানিটির দর আসলে বেড়েছে।
আগের দিন দল বেঁধে চাঙা হওয়া ব্যাংক খাতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির দর। যদিও দর বৃদ্ধি ও হ্রাসের মধ্যে টাকার অঙ্কে পার্থক্য খুবই কম।
এর মধ্যে একটি কোম্পানির দর লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণার কারণে সমন্বয় হয়েছে। এটির দর ২০ পয়সা কমতে দেখা গেলেও প্রকৃতপক্ষ দর বেড়েছে।
সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর বেলা সোয়া ১২টা পর্যন্ত ২০ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হতে থাকলেও বেলা দুইটার সময় আগের দিনের চেয়ে সূচক কমে যায় ২০ পয়েন্ট। অর্থাৎ দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে পৌনে দুই ঘণ্টায় সূচক হারায় ৪০ পয়েন্ট।
টানা দিন দিন বাড়ার পর অস্থির পুঁজিবাজারে বিক্রয়চাপ দেখা দেয়ায় আরও পতন হয় কি না, এ নিয়ে জিজ্ঞাসার মধ্যে হঠাৎ দেখা দেয় ইউটার্ন। পৌনে এক ঘণ্টায় যতটা পড়েছিল, শেষ আধা ঘণ্টায় প্রায় ততটাই উঠে যায় সূচক।
লেনদেন শেষের আগের মিনিটে আগের দিনের চেয়ে সূচক বেড়ে যায় ১৬ পয়েন্ট। তবে শেষ সময়ের সমন্বয়ে শেষ পর্যন্ত বাড়ে ৪ পয়েন্ট।
শেষ সময়ের ক্রয়চাপের পরও লেনদেনে দেখা গেছে ভাটা। গত মার্চে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা দুই শতাংশ নির্ধারণের পর লেনদেনে ভাটার যে চিত্র দেখা গিয়েছিল, সেটিও ফিরে এসেছে। দুই শতাংশ বা কাছাকাছি দর কমার পর বহু কোম্পানির শেয়ারে ক্রেতা উধাও হয়ে গেছে। এ কারণে ভাটা দেখা গেছে লেনদেনে।
সোমবার পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ৮৩৬ কোটি ৪০ লাখ ১৭ টাকা। সেটি প্রায় ২০০ কোটি টাকা কমে হয়েছে ৬৩৭ কোটি ৫৫ লাখ ৮ হাজার টাকা।
বেলা শেষে বেড়েছে ১৩৭ কোম্পানির দর, কমেছে ১৯৬টির, আর অপরিবর্তিত থাকে ৪৩টির দর।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এক্সপো ট্রেডার্সের সিইও শহিদুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজার তিন দিন উত্থানের পরে আজকে সেল প্রেসার ছিল। কারণ, গত তিন দিনে কিনে যারা প্রফিট করতে পেরেছেন, তারা প্রফিট-টেকিং করেছেন। যার জন্য বাজার কিছুটা নিম্নমুখী ছিল।’
স্টক ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশন-ডিবিএর সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজার আসলে অনেক পড়ে গিয়েছিল। সরকারের দিক থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সে কারণে কয়েকদিন ধরে বাজার একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে আতঙ্ক একটু হলেও আছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। যে কাজটি সবচেয়ে বেশি জরুরি, সেটি হলো আস্থা ফেরানো। বাজারে নানা গুজব এখনও আছে। সেদিকেও নজর রাখতে হবে।’
বিমায় দারুণ দিন
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৮টিই ছিল এই একটি খাতের। অন্য খাতগুলোর মধ্যে ছিল খাদ্য খাতের রহিমা ফুড, যে কোম্পানিটি আজ থেকে কাজু বাদাম বাজারজাত করা শুরু করেছে এবং বস্ত্র খাতের সোনারগাঁও টেক্সটাইল।
রহিমা ফুড কোম্পানিটি বেশ কয়েক বছর ধরে ছিল বন্ধ। সিটি গ্রুপের মালিকানায় যাওয়ার পর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নারকেল তেল উৎপাদন শুরু করার কথা জানায় কোম্পানিটি। সেই সঙ্গে সয়াবিন ও সরিষার তেল বাজারজাত করা হবে বলে জানানো হয়।
এই ব্যবসায় নামার গুঞ্জনেই কোম্পানিটির শেয়ারদর গত কয়েক বছর ধরে বাড়ছিল। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর শেয়ারদর ৩৮৭ টাকা থেকে নামতে নামতে ২২০ টাকায় চলে আসে। তবে রোববার থেকে আবার টানা বাড়ছে এবং এবার কাজু বাদাম ব্যবসায় নামার খবরে আরেক দফা বাড়ল।
অন্যদিকে সোনারগাঁও টেক্সটাইল গত দুই বছর ধরে লোকসান দেয়ার পর এবার মুনাফায় ফিরেছে। গত বছর কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১৩ টাকার বেশি লোকসান দিয়েছিল। চলতি বছর তৃতীয় প্রান্তিক শেষে মুনাফা হয়েছে শেয়ার প্রতি ২৪ পয়সা।
সবচেয়ে বেশি অবশ্য বেড়েছে সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের দর। যেটি তার সর্বোচ্চ অবস্থান ১২১ টাকা থেকে ৪৬ টাকা ৩০ পয়সায় নেমে এসেছিল। সেখান থেকে ৯.৯৩ শতাংশ বেড়ে বর্তমান দাম ৫০ টাকা ৯০ পয়সা।
এছাড়া ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের দর ৮.৩৭ শতাংশ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর ৮.০২ শতাংশ, জনতা ইন্স্যুরেন্সের দর ৭.৮২ শতাংশ, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর ৭.৪৪ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের দর ৬.৯৭ শতাংশ, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের দর ৬.৬৬ শতাংশ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৬.৫৭ শতাশং।
আরও দুটি কোম্পানির দর ৬ শতাংশের বেশি, ৯টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ১২টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ১২টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ২৭টির দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।
এসব কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগই ছিল বিমা খাতের।
সূচক বাড়াল যারা
কেবল ১০টি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে ২০.৯১ পয়েন্ট। এই ১০টি কোম্পানির মধ্যে ব্যাংক খাতেরই আছে পাঁচটি, যেগুলো যোগ করেছে ৯.০৭ পয়েন্ট। আগের দিনও ব্যাংকের শেয়ারে ভর করে বেড়েছিল সূচক।
এসব কোম্পানির মধ্যে সবেচেয়ে বেশি ৩.৭৩ পয়েন্ট যোগ করেছে বেক্সিমকো ফার্মা। কোম্পানিটির দর ১.৬৬ শতাংশ বেড়েছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩.২৩ পয়েন্ট যোগ করেছে ইউনাইটেড পাওয়ার। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ০.৭৩ শতাংশ।
ব্যাংকের মধ্যে এনবিএলের দর ২.৭৪ শতাংশ এবং ইসলামী ব্যাংকের দর ১.২৫ শতাংশ বাড়ার কারণেও ২ পয়েন্ট করে, আল আরাফাহ ব্যাংকের দর ২.৩১ শতাংশ বাড়ার কারণে ১.৯৮ পয়েন্ট, সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের দর ৫.৯৮ শতাংশ বাড়ার কারণে ১.৭৭ পয়েন্ট এবং সিটি ব্যাংকের দর ১.৭১ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ১.৩২ পয়েন্ট।
এছাড়া বেক্সিমকো সুকুকের দর ২.৩৩ শতাংশ বাড়ার কারণে ১.৮৬ পয়েন্ট, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর দর ০.১৮ শতাংশ বাড়ার কারণে ১.৬৭ পয়েন্ট এবং পদ্মা অয়েলের দর ২.১৭ শতাংশ বাড়ার কারণে ১.৩৭ পয়েন্ট যোগ হয়েছে সূচকে।
অন্যদিকে সূচক সবচেয়ে বেশি ৬.১ পয়েন্ট টেনে নামিয়েছে ওয়ালটন। কোম্পানিটির শেয়ারদর ০.৬০ শতাংশ কমার কারণে এই পরিমাণ সূচক কমেছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪.৮৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে রবির শেয়ারের ১.০১ শতাংশ দরপতনে। বেক্সিমকো লিমিটেডের ০.৮৮ শতাংশ দাম কমায় সূচক কমেছে ৩.২৬ পয়েন্ট।
এছাড়া বার্জার পেইন্টসের দরপতনে ২.৮ পয়েন্ট, আইসিবির দরপতনে ২.৭৫ পয়েন্ট, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের দরপতনে ২.৫২ পয়েন্ট, গ্রামীণ ফোনের দরপতনে ১.৬৭ পয়েন্ট, ব্র্যাক ব্যাংকের দরপনে ১.৩৯ পয়েন্ট, রেনাটার দরপতনে ১.২৩ পয়েন্ট ও আইপিডিসির ১.৮৭ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ১.১৫ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ২৭.৭৪ পয়েন্ট।
লেনদেনে ফের ২ শতাংশের বাধা
গত মার্চেও এই চিত্র দেখা দিয়েছিল। এই বাধা উঠিয়ে নেয়ার পর ২১ এপ্রিল থেকে লেনদেন বাড়তে থাকলেও ক্রমাগত দরপতনের কারণে আবার এক দিনে কোনো শেয়ারের দাম কমার সর্বোচ্চ হার ২ শতাংশ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে এই নীতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে সূচক বাড়ছে। তবে লেনদেনে দেখা দিয়েছে ভাটা।
এই সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত দাম কমার পর ৪০টিরও বেশি কোম্পানির শেয়ারে ক্রেতা শূন্য হয়ে যায়। দাম আরও পড়ে যায় কি না, এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণের কারণেই এমনটি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য