বছরের পর বছর ধরে তলানিতে পড়ে থাকা ব্যাংকের শেয়ার এবার তলানি থেকে পুঁজিবাজারের উঠে আসার চেষ্টায় সহায়ক ভূমিকা পালন করল।
পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আইসিবিকে ২০৫ কোটি টাকার তহবিল ছাড় করার পর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে বড় উত্থানের পর দিন সূচক বাড়ল মূলত ব্যাংকের শেয়ারে ভর করে।
আগের দিন ১৩১ পয়েন্ট উত্থানের দিনের লেনদেনও ধরে রাখল পুঁজিবাজার, যদিন যত কোম্পানির দর বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি কোম্পানির দর কমেছে।
দিন শেষে ১৯ পয়েন্ট সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে তিন কর্মদিবসে সূচক বাড়ল ২০১ পয়েন্ট।
সোমবার সূচক বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে যে ১০টি কোম্পানি, তার মধ্যে ৬টিই ছিল ব্যাংক খাতের। এই ছয়টি কোম্পানিই সূচকে যোগ করেছে মোট ১৫.১ পয়েন্ট।
এই খাতের ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটে লেনদেন বন্ধ ছিল ইউনিয়ন ব্যাংকের। বাকিগুলোর মধ্যে দর কমেছে কেবল একটির। কোম্পানিই এবার ১০ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পর রোববার থেকে লেনদেন শুরু করে।
লভ্যাংশ নগদে হলে শেয়ার দর সমন্বয় না হলেও দেশের পুঁজিবাজারে যতটুকু নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা হয়, ততটুকু দাম কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এক্সিম ব্যাংকের ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে।
রেকর্ড ডেট ২৬ মে এক্সিম ব্যাংকের দর ছিল ১২ টাকা ১০ পয়সা। দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ হওয়ায় এখন ব্যাংকটির দর কমতে পারে ২০ পয়সা। রোববার ২০ পয়সা এবং আজও ২০ পয়সা করে কমেছে।
ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারদর রেকর্ড ডেটে ছিল ৩২ টাকা ৫০ পয়সা। ৬০ পয়সা করে দম কমতে পারবে এক দিনে। রোববার ৬০ পয়সা কমার পর সোমবার আগের দিনের নামেই লেনদেন হয়।
বাকি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯.৩৪ শতাংশ দর বেড়েছে সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের। এছাড়া আইএফআইসি ব্যাংকের দর ৬.৬৬ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের দর ৫.৫৫ শতাংশ, এসআইবিএলের দর ৫.১৮ শতাংশ, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের দর ৪.৭৬ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার দর ৩.৭৮ শতাংশ, এবি ব্যাংকের দর ৩.৭৭ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের দর ৩.২২ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের দর ৩.০৭ শতাংশ বেড়েছে।
পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের মধ্যে বাজারে প্রাণ ফেরাতে গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। সেই বৈঠকে পুঁজিবাজারকে চাঙা করতে নানা সিদ্ধান্ত হয়।
আইসিবির মাধ্যমে বিনিয়োগকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার বাইরে রাখা, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের তহবিলের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ নানা সিদ্ধান্ত হয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় গত সপ্তাহের সোমবার পুঁজিবাজারে উত্থান হলেও পরের দুই দিন আবার দরপতন হয়। তবে বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সূচক বৃদ্ধি, সেদিনই ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থছাড়ের প্রতিক্রিয়ায় রোববার দারুণ দিন কাটান বিনিয়োগকারীরা।
চলতি বছর এক দিনে সবচেয়ে বেশি সূচক বাড়ার পরদিন সোমবার লেনদেন শুরু হয় ২৬ পয়েন্ট বেড়ে। ৪০ মিনিট পর সূচক আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমে গেলেও পরে আবার বাড়তে থাকে।
বেলা সোয়া ১টার দিকে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হতে থাকে। তখন পরপর দুই দিন বড় উত্থানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
কিন্তু এরপর সোয়া এক ঘণ্টায় বিক্রয় চাপ দেখা দেয়। গত মঙ্গল ও বুধবার যারা শেয়ার কিনেছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই মুনাফা তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এই পর্যায়ে ক্রেতাদের তুলনায় বিক্রেতাদের সংখ্যা ছিল বেশি। এই সোয়া এক ঘণ্টায় দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে সূচক কমে প্রায় ৪০ পয়েন্টের মতো।
সোমবারের লেনদেন নিয়ে মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজার ইতিবাচক হওয়ার পেছনে কারণগুলো একেবারে দৃশ্যমান। বিনিয়োগকারীরা বাজার নিয়ে খুব আশঙ্কায় ছিলেন যে, কী হবে? দেখি কী হয়, এ রকম একটা পরিস্থিতি ছিল। এর পরেই অর্থমন্ত্রী, বিএসইসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংক- এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর বেশকিছু কার্যকরী উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের কিছুটা আস্থা ফিরিয়েছে। যার কারণে তারা শেয়ার কিনছেন।
‘এ ছাড়া বাজার একটা আকর্ষণীয় জায়গায় দাঁড়িয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংক ও অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা দেখছে যে, এখন কিনলে তারা লাভবান হবে। সে কারণে তারা শেয়ার কিনতে শুরু করেছে।’
কোন খাতে কেমন চিত্র
ব্যাংক খাতের পর সবচেয়ে ভালো দিন গেছে সাধারণ বিমায়। এই খাতের ৩৭টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩১টির। কমেছে বাকি ৬টির। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ২০টির ইউনিটের, কমেছে ৫টির।
অন্য খাতগুলোর মধ্যে বিবিধ খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। দর বৃদ্ধি ও কমার সংখ্যা সমান। বাকি সব প্রধান খাতে বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে।
এর মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৮টির দর, আর্থিক খাতে ৮টির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১০টির, বস্ত্র খাতে ১৮টির বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৩১টির, প্রকৌশল খাতে ১০টির বিপরীতে ২৯টি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৬টির বিপরীতে ১৫টির, জ্বালানি খাতে ৮টির বিপরীতে ১৩টির দর কমেছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের দর পরপর দুই দিন বেড়েছে ১০ শতাংশের কাছাকাছি। বাংলাদেশ ব্যাংক জাহাজ নির্মাণ খাতের জন্য ঋণের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে তিনটি কোম্পানির দর সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে। এর বাইরে একটি করে কোম্পানির দর ৮ শতাংশ ও ৭ শতাংশের বেশি, তিনটি করে কোম্পানির দর ৬ ও ৫ শতাংশের বেশি, ৭টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ১৫টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ১৮টির দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।
বিপরীতে ২০টির বেশি কোম্পানির দর কমেছে ২ শতাংশের আশপাশে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটির দর দিনের সর্বনিম্ন সীমায় নামার পর ক্রেতাশূন্য হয়ে যায়।
দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা দ্বিতীয়বারের মতো ২ শতাংশে নামিয়ে আনার পর এই বিষয়টি দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য