× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Businessmen want to see a strong role for the government
google_news print-icon

সরকারের জোরালো ভূমিকা দেখতে চান ব্যবসায়ীরা 

সরকারের-জোরালো-ভূমিকা-দেখতে-চান-ব্যবসায়ীরা 
আগামী ৯ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। আগামী এক বছরে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আড়াই লাখ কোটি টাকা ব্যয় করবে। এর বেশির ভাগই ব্যয় করা হবে পরিবহন, যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের কাছে নিউজবাংলা জানতে চেয়েছে, তারা এবার কেমন বাজেট দেখতে চান।

সরকারের জোরালো ভূমিকা দেখতে চান ব্যবসায়ীরা

পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চাই কৌশলগত পরিকল্পনা

আগামী বাজেট কেমন দেখতে চান জানতে চাওয়া হলে ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন: ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্ব খাদ্য ঘাটতি ও মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট। বাংলাদেশেও তার প্রভাব ইতিমধ্যে আঁচ করা যাচ্ছে, যা আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশে সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনা জরুরি।

‘বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের মুখে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গমসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এতে দেশে দেশে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। বাংলাদেশেও তার প্রভাব সরাসরি পড়ছে।

‘আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে একদিকে বাড়ছে আমদানি ব্যয়, অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে।

‘এসব কারণে দেশে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে, বিশেষ করে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে এখনই সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে। এরই মধ্যে আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপনের আয়োজন চলছে। তাই বাজেটে এ বিষয়ে কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা থাকা চাই।

‘কৌশলগত বলছি এ কারণে যে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সরকার বাজারে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না। আবার গণতান্ত্রিক সরকারের এই লক্ষ্যও থাকে, দেশে নিত্যপণ্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। এ দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় করা সম্ভব।

‘দেশে নির্ধারিত আয়ের মানুষই বেশি। নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলানো তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এখানে বিদ্যমান কর কাঠামোতে পরিবর্তন এনে ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা বর্তমানের তুলনায় কিছুটা বাড়ানো যেতে পারে। এতে নির্ধারিত আয়ের মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।

‘সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো দরকার। এর মাধ্যমে বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পরিধি বাড়ানো সম্ভব। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ সুবিধা পাবে।

‘খাদ্যনিরাপত্তা বাড়াতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে জোর দিতে হবে। কৃষক যাতে উৎপাদনে আগ্রহী হয়, সে জন্য ভর্তুকি আরও বাড়াতে হবে। সেচ, বিদ্যুৎ, বীজ, কীটনাশক এবং মাড়াই যন্ত্রপাতি সহজলভ্যের মধ্যে রাখতে হবে।

‘বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এরই মধ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনার অর্থ আরও বাড়াতে পারে সরকার। এটা করা গেলে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও সুসংহত হবে।

সরকারের জোরালো ভূমিকা দেখতে চান ব্যবসায়ীরা


মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি মোকাবিলা করাই বড় চ্যালেঞ্জ

আগামী বাজেটে কোন দিকগুলোতে নজর দেয়া উচিত, জানতে চাইলে বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রির (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল- আলম পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘এ মুহূর্তে বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী বাজেটে অভ্যন্তরীণ শিল্প, কৃষি এবং রপ্তানিমুখী খাতের সক্ষমতা বাড়ানোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত।

‘যতদিন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান না হবে, ততদিন গোটা বিশ্ব খাদ্য, জ্বালানি, উৎপাদন ও সরবরাহ সংকটে থাকবে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। এই ঝুঁকি মোকাবিলা করাই হবে আগামী বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ।

‘সংকটময় পরিস্থিতি সামাল দেয়ার একটাই পথ খোলা আছে, সেটি হলো অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এর পাশাপাশি শিক্ষা খাতে সংস্কার এবং কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।

‘বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতির সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির কারণে বাংলাদেশও ঝুঁকির বাইরে নয়। এ পরিস্থিতিতে মানুষ সংকটে পড়লে বাড়তি ব্যয় কমিয়ে দেবে।

‘যেহেতু ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশে মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে যাচ্ছে, তাই সেসব দেশে কাপড় কেনার চাহিদা কমবে। তখন যদি ক্রেতা-ভোক্তারা সস্তায় জিনিস না পায়, তাহলে রপ্তানি বাজারে টিকে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়বে। এতে করে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় কমে যাবে।

‘এরই মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমে গেছে। বিশ্বব্যাপী পণ্যের দামের উল্লম্ফনে সব ধরনের পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভও কমে গেছে। ব্যয় আরও বেড়ে গেলে সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমদানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই আমাদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

‘সক্ষমতা বাড়াতে হবে উৎপাদন খাতের। আমাদের উৎপাদনের মূল উৎস কৃষি। এর বাইরে রয়েছে ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদনমুখী খাত। এখন আমাদের সেবা পণ্যও রপ্তানি হচ্ছে।

‘শিল্প, কৃষি ও সেবার উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ার বহুমুখী সুবিধা আছে। এ উদ্যোগ নিলে যেমন আমদানিনির্ভরতা কমবে, পাশাপাশি রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতাও বাড়বে। আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও সুরক্ষিত থাকবে।

‘অভ্যন্তরীণ উৎপাদন খাতের সক্ষমতায় জোর না দিলে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হবে না। এটা না হলে কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বাড়বে না।

‘আমি মনে করি, সক্ষমতা বাড়লে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতার উন্নয়ন ঘটানো গেলে বর্তমানের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি রেমিট্যান্স আনা সম্ভব।

সরকারের জোরালো ভূমিকা দেখতে চান ব্যবসায়ীরা

কর্মসংস্থানে শিল্পায়নকে গুরুত্ব দিতে হবে

বাজেট নিয়ে ভাবনা জানতে চাওয়া হলে রংপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী বলেন, ‘আগামী অর্থবছরের বাজেটে বৈষম্য কমানোর বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে শিল্পায়নকে প্রাধান্য দিতে হবে।

‘জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের (এসডিজি) মূল ফোকাস হলো: সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। তা ছাড়া ২০২৬ সালের পর আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছি। সে জন্য বেকারত্ব দূর করতে হবে, আয় বাড়িয়ে ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থসামাজিক অবস্থার আরও উন্নতি ঘটাতে হবে। এর জন্য দরকার সবার জন্য সুষম উন্নয়ন। উন্নয়ন পরিকল্পনায় বৈষম্য দূর করা গেলেই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।

‘স্থানীয় অঞ্চলভেদে নানা ধরনের সমস্যা আছে। তবে একেক এলাকার একেক রকম সমস্যা প্রাধান্য পায়। বাজেট পরিকল্পনায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিতে হবে।

‘আমার অঞ্চলে এখনও কোনো ভারী শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানে বেকারত্ব প্রবল। কারণ, শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এখনও নিশ্চিত হয়নি। এর বিপরীতে রংপুর বিভাগের পরিচিতি হচ্ছে কৃষিভিত্তিক অঞ্চল। এখানকার অর্থনীতিও কৃষির ওপর নির্ভরশীল।

‘এ অঞ্চলের কৃষি ফসল সারা দেশের খাদ্যচাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখে। কিন্তু এর পেছনে যারা মুখ্য ভূমিকা রাখে, সেই কৃষক ও কৃষিপণ্যের ব্যবসায়ীদেরও সমস্যা প্রবল। দিন দিন তাদের সক্ষমতা কমে যাচ্ছে।

‘কোনো এলাকায় শিল্পায়ন হলে সেখানে বেকার লোকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মানুষের আয় বাড়ে এবং তার জীবনযাত্রারও উন্নতি ঘটে। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় বিনিয়োগকারীরা শিল্পায়নে উৎসাহ বোধ করেন না।

‘প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় শিল্পায়নের প্রসারে এবং অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদে সব ধরনের ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফ চাই। এ সুবিধা দেয়া হলে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হবে।

‘খাদ্য ঘাটতির ঝুঁকি মোকাবিলার একমাত্র উপায় হলো স্থানীয় কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এ ক্ষেত্রে কৃষিতে ভর্তুকি আরও বাড়াতে হবে। কৃষক পর্যায়ে সার, বীজ ও কীটনাশক ও সেচ ব্যবস্থায় সহায়তা দিতে হবে।

‘সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টে সরাসরি সহায়তার অর্থ পাঠানো হলে কৃষকের অনাগ্রহ দূর হবে। এতে করে রংপুর অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনও বাড়বে, যা দিয়ে সারা দেশের খাদ্য চাহিদার ৮০ শতাংশের জোগান দেয়া সম্ভব।

‘এ অঞ্চলে বেনাপোলের মতো একটি বড় বন্দর চালু করা দরকার। এখানে হিলি, বাংলাবান্ধা, টেরাবান্ধা ও সোনারহাট– চারটি বন্দর থাকলেও কোনোটিই কার্যকর নয়।

‘রংপুর অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভিত্তি আরও সম্প্রসারিত করতে চারটি বন্দরের পরিবর্তে বেনাপোলের মতো বিকল্প বন্দর ঘোষণা দেয়া জরুরি। এটি করা গেলে রংপুরে উৎপাদিত পণ্য সহজেই ভারতের সেভেন সিস্টারসহ নেপাল, ভুটানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। একইভাবে ভারত থেকে আসা পণ্য বেনাপোল হয়ে রংপুরে আনার বাড়তি খরচ থেকে বেঁচে যাবেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন:
ব্যক্তি আয়করে ছাড়ের সম্ভাবনা নেই
শিক্ষা খাতে বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ দাবি
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করা ঠিক নয়: অর্থমন্ত্রী
বিনিয়োগ বাড়াতে আরও কমছে করপোরেট কর
জাতীয় বাজেটের এক শতাংশ সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দের দাবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
13500 crore of branch network in the first 9 months of 2025

২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের ১৩,৫০০ কোটি

টাকার নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধির রেকর্ড
২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের ১৩,৫০০ কোটি

২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক ১৩,৫০০ কোটি টাকার নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫ সময়কালে এই ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি আমানত সংগ্রহে ব্যাংকটির টেকসইতার প্রতিফলন।
বিগত কয়েক বছর ধরে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের এই লক্ষণীয় ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংকটির ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের এমন মাইলফলক ব্যাংকিং খাতে আমানত সংগ্রহে নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি করে চলেছে।
এই সাফল্য উদ্যাপনের লক্ষ্যে ব্যাংকটি ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজনে ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগ দেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক। এ সময় ব্র্যাংকটির ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের রিজিওনাল হেড, ক্লাস্টার হেড এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজারসহ উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জোনাল হেড (নর্থ) এ. কে. এম. তারেক এবং সিনিয়র জোনাল হেড (সাউথ) তাহের হাসান আল মামুন।
ব্যাংকের এমন সাফল্যে গ্রাহক আস্থা এবং গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্কের বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “গ্রাহকের সাথে আস্থার সম্পর্ককে আমরা আমানত সংগ্রহে সবচেয়ে বড় দক্ষতা হিসেবে দেখি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০২৫ সালের বাকি সময়ে এবং সামনের বছরগুলোতেও ডিপোজিট প্রবৃদ্ধিতে আমাদের এমন সাফল্য অব্যাহত থাকবে।”

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯৮টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১১৯টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Signing of MoU between BIDA and SwissContact

বিডা ও সুইসকন্টাক্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

বিডা ও সুইসকন্টাক্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সুইসকন্টাক্ট-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। যার লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে আরো শক্তিশালী করা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিডা সম্মেলন কক্ষে ওই সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে বলা হয়, চুক্তির আওতায় তিনটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- প্রমাণনির্ভর বিনিয়োগ পরিবেশ বিশ্লেষণ ও সমন্বয় জোরদার, বিডাকে একটি বিশ্বমানের বিনিয়োগ প্রচার সংস্থা হিসেবে শক্তিশালী করা ও খাতভিত্তিক বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ উন্নয়ন।
অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, বিডা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগ নীতিমালা সংস্কার, সেবার ডিজিটালাইজেশন এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জোরদারে কাজ করছে। সুইসকন্টাক্ট ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি প্রকল্পের আওতায় বিডার সহযোগিতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পৌরসভায় ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করেছে।
বিডার জনসংযোগ দপ্তর জানায়, আগের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিডা ও সুইসকন্টাক্ট এখন নতুন একটি উদ্যোগ গ্রহণে সম্মত হয়েছে, যা বিডার ‘হিট ম্যাপ’ অনুযায়ী বিভিন্ন খাতভিত্তিক বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক হবে।
বিডা চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গঠনে সরকার নানামুখী সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সুইসকন্টাক্টের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আমাদের ‘ইনভেস্টর-ফার্স্ট’ মডেল বাস্তবায়নের পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমাদের লক্ষ্য হলো বিনিয়োগকারীরা যেন বাংলাদেশকে দক্ষ, সেবাবান্ধব ও সম্ভাবনাময় গন্তব্য হিসেবে অনুভব করেন।
বিডা জানায়, সুইসকন্টাক্ট দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের টেকসই উন্নয়ন, বাণিজ্য প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা শক্তিশালীকরণে কাজ করে আসছে। সংস্থাটি বিশ্বাস করে, এই সহযোগিতা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, বিশেষ করে তরুণ ও নারীদের জন্য।
বিডা ও সুইসকন্টাক্ট উভয় প্রতিষ্ঠানই আশা প্রকাশ করেছে, এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ আরও উন্নত হবে, মানসম্পন্ন বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Major General Moazzem joined as the chairman of Bepza

বেপজার চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিলেন মেজর জেনারেল মোয়াজ্জেম

বেপজার চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিলেন মেজর জেনারেল মোয়াজ্জেম

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) ১৮তম নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন এবং মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হন।
বেপজায় যোগদানের আগে মোয়াজ্জেম হোসেন সপ্তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং বরিশালে এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তিনি ১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন। তার দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন কমান্ড, স্টাফ এবং নির্দেশনামূলক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ব্যতিক্রমধর্মী নেতৃত্ব ও পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করেছেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন দুইটি আর্টিলারি ব্রিগেড ও দুইটি আর্টিলারি রেজিমেন্টের কমান্ড করেছেন। তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) প্লাটুন কমান্ডার, সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে একটি ডিভিশনের কর্নেল স্টাফ এবং পরিচালক (বাজেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি রাজধানীর মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) থেকে স্নাতক এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) থেকে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি) ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স (এএফডব্লিউসি) সম্পন্ন করেছেন।
এছাড়া তিনি বিদেশে উন্নত সামরিক প্রশিক্ষণ ও মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে চীনের নানজিং আর্টিলারি একাডেমি ও পাকিস্তানের স্কুল অব আর্টিলারি রয়েছে।
তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে এমফিল সম্পন্ন করেছেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে পিএইচডি করছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Environmentally friendly certificates received 5 more factories

আরো ৫টি কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ

আরো ৫টি কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ

বাংলাদেশ টেকসই পোশাক উৎপাদনে বৈশ্বিক নেতৃত্ব আরও সুদৃঢ় করেছে, কারণ নতুন করে পাঁচটি কারখানা লিড (লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন) সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।

সর্বশেষ এই সংযোজনের ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সর্বাধিক ২৬৮টি লিড-সার্টিফায়েড কারখানার অধিকারী। এর মধ্যে ১১৪টি পেয়েছে প্লাটিনাম ও ১৩৫টি পেয়েছে গোল্ড সার্টিফিকেশন।

এই পাঁচটি নতুন কারখানাসহ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ রেটপ্রাপ্ত লিড সার্টিফায়েড কারখানার মধ্যে ৬৮টি বাংলাদেশে অবস্থিত, যা দেশের পোশাক শিল্পের পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ও জ্বালানি দক্ষতার ধারাবাহিক অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

নতুন সার্টিফিকেশন পাওয়া পাঁচটি কারখানা হলো- পাকিজা নিট কম্পোজিট লিমিটেড, সাভার, ঢাকা ঙ+গ: এক্সিস্টিং বিল্ডিং ৪.১ ক্যাটাগরিতে ৮৭ পয়েন্ট পেয়ে লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে; ফ্যাশন পালস লিমিটেড, বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট, ঢাকা বিডি+সি: নিউ কন্সট্রাকশন ভি৮ ক্যাটাগরিতে ৮৭ পয়েন্ট পেয়ে লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেশন পেয়েছে; গাভা প্রাইভেট লিমিটেড, প্লট ১১৪১২০, ঢাকা ইউ+ঈ: নিউ কন্সট্রাকশন ভি৪ ক্যাটাগরিতে ৮৭ পয়েন্টে লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে; ভিজুয়াল নিটওয়্যারস লিমিটেড, চট্টগ্রাম ঙ+গ: এক্সিস্টিং বিল্ডিং ভি৪.১ ক্যাটাগরিতে ৭৬ পয়েন্ট পেয়ে লিড গোল্ড সার্টিফিকেশন পেয়েছে; এবং ট্যালিসম্যান পারফরম্যান্স লিমিটেড, সিইপিজেড, চট্টগ্রাম ইউ+ঈ: নিউ কন্সট্রাকশন ভি৪ ক্যাটাগরিতে ৬২ পয়েন্ট পেয়ে লিড গোল্ড সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।

এই নতুন সংযোজনগুলো বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই উৎপাদন এবং বৈশ্বিক সবুজ রূপান্তরের ধারাবাহিক অগ্রগতিকে আরো জোরালোভাবে তুলে ধরেছে। গত এক দশকে দেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পরিবেশবান্ধব মানদণ্ড গ্রহণের মাধ্যমে এক ধরনের সবুজ বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছে।

লিড-সার্টিফায়েড কারখানাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইইউজিবিসি)-এর কঠোর টেকসই মানদণ্ড অনুসরণ করে, যেখানে জ্বালানি ও পানির দক্ষ ব্যবহার, কার্বন নির্গমন হ্রাস, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

শিল্প বিশেষজ্ঞরা এই সাফল্যের কৃতিত্ব দিচ্ছেন উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-এর ভূমিকা এবং সবুজ শিল্পায়নে সরকারের সহায়ক নীতিমালাকে। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সবুজ কারখানার সংখ্যা শুধু দেশকে একটি দায়িত্বশীল উৎপাদন গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে না, বরং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্প ভবিষ্যতের লক্ষ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The government is working with hundreds of crores of funds to launch jutebags Trade Advisor

পাটব্যাগ চালু করতে শত কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা

পাটব্যাগ চালু করতে শত কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বস্ত্র ও পাট, বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড দিয়ে জেডিপিসির মাধ্যমে প্রায় ১০০৬ জন উদ্যোক্তার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করছি বাজারে পাটের একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন যাতে আনতে পারি।

অতীতের মতো আমরা কী করে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে পারি। পাটের স্কোয়ার মিটার, মাইলেজ, এর পরিধি বাড়াতে গবেষণার দরকার। র‌্যাপিং (মোড়ক) উপকরণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পাটের বিশাল বাজার আছে।

বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকাবিষয়ক সেমিনার ‘হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও ফাতেমা আহমেদ ট্রাস্ট লেকচার-২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ‘ফিউচার ক্যাপ্টেন’ উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, আপনারা অনেক জায়গায় রিফাইন্ড ক্যারেক্টার দেখিয়েছেন। বলেছেন মানি না। পাটব্যাগের জন্য কালচারাল চেঞ্জ (সাংস্কৃতিক পরিবর্তন) দরকার আমাদের, কাউকে বাধ্য করে নয়। পাটপণ্য ইনোভেশন ও খরচ কমিয়ে এর বাণিজ্যিক সফলতা তৈরি করতে সক্ষমতা বাড়াতে হবে যা প্লাস্টিককে হারাতে পারে। এজন্য নীতি, পদক্ষেপ ও প্রচেষ্টার সমন্বিত উদ্যোগ রাখতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ে। আপনারা যেখানে কাজ করবেন সে প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ করতে কাজ করতে হবে। শ্রেষ্ঠত্ব তৈরি করতে হবে।

বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের (বুটেক্স) উপাচার্য প্রফেসর ড. ইঞ্জি. মো. জুলহাস উদ্দিন প্রধান অতিথি উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন-এর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম দেশের অর্থনীতিকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করতে পাট চাষ ও এর রপ্তানি এবং এর ভবিষ্যতের নানা দিক উপস্থাপন করেন। সেইসাথে আগামী বাণিজ্য মেলায় একমাত্র পাটব্যাগ প্রচলনের দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রাশিদা আখতার খানম, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক ড. নারগিস আখতার, আইইবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইঞ্জি. খান মঞ্জুর মোরশেদ, আইটিইটির আহ্বায়ক ইঞ্জি. আহসানুল করিম কায়সার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Government is digitizing the process of payment of visa fees

ভিসা ফি প্রদানের প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করছে সরকার

বিডা চেয়ারম্যান
ভিসা ফি প্রদানের প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করছে সরকার বিডার  নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন রাজধানীর মাল্টিপারপাস মিলনায়তনে ‘ওয়ার্ক পারমিট ও সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স প্রসেস’ বিষয়ক কর্মশালায় বক্তব্য প্রদান করেন। ছবি: পিআইডি

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, সরকার ভিসা ফি প্রদানের প্রক্রিয়াকে ডিজিটালাইজড এবং সামগ্রিক ভিসা নীতিমালা সংশোধনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ভিসা ফি প্রদানের প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল করার কাজ চলছে। পরিকল্পিত এই সংস্কারের ফলে আবেদনকারীরা ঘরে বসেই অনলাইনে ফি পরিশোধ করতে পারবেন। ফলে ফি প্রদানের জন্য শারীরিকভাবে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন হবে না।’

বুধবার রাজধানীতে বিডার মাল্টিপারপাস মিলনায়তনে ‘ওয়ার্ক পারমিট ও সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স প্রসেস’ বিষয়ক এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘সরকার সামগ্রিক ভিসা নীতিমালার ক্ষেত্রেও বড় পরিসরে সংস্কারের কাজ করছে।

এই বিস্তৃত নীতি সংস্কারের লক্ষ্য হলো বর্তমান ব্যবস্থায় দীর্ঘদিনের বিদ্যমান নানা সমস্যার সমাধান করা।’

তিনি বলেন, ‘অনলাইন সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। আগে যেখানে ৩৪টি নথি জমা দিতে হতো, সেখানে এখন তা কমিয়ে ১১টিতে আনা হয়েছে। এটি একটি বড় অর্জন, কারণ অতীতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনার কারণে নানা দপ্তর থেকে একাধিক নথি চাওয়া হতো।’

বিডা চেয়ারম্যান জোর দিয়ে বলেন, ‘বিডাসহ সরকারের সব কার্যক্রমে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো আপসের সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কিছু করতে চাই না যা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বা আপসের সম্ভাবনা তৈরি করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা বিডা- সকলের লক্ষ্য এক এবং আমরা একই উদ্দেশে কাজ করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই- সব সংস্থা যেন সমন্বিতভাবে কাজ করে সমস্যা সমাধান করে এবং জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।’

কর্মশালায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিডা তাদের নিজ নিজ উপস্থাপনা তুলে ধরেছে।

এতে অন্যান্যের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন ও বিডা মহাপরিচালক মো. আরিফুল হক বক্তৃতা দেন।

আরিফুল হক জানান, কর্মশালায় এসবি, এনএসআই, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর নির্দিষ্ট তথ্য ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

তিনি বলেন, ‘সব সংস্থা একই পরিবারের সদস্য হিসেবে একই উদ্দেশে কাজ করছে।’

আরিফুল হক মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন তাদের অভিজ্ঞতা ও সমস্যা নিয়মিতভাবে জানান। কারণ এসব তথ্যই পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া সহজ করবে।

মন্তব্য

ইউনিয়ন ব্যাংকে বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধির জোর তৎপরতা

ইউনিয়ন ব্যাংকে বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধির জোর তৎপরতা

শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. আমদানি, রপ্তানী ও রেমিটেন্স বৃদ্ধিকল্পে গ্রাহকদেরকে সকল প্রকার সহযোগিতা করছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের ১৭৪ টি শাখা ও উপ-শাখায় এ সেবা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছে।

মন্তব্য

p
উপরে