‘পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চাই কৌশলগত পরিকল্পনা’
আগামী বাজেট কেমন দেখতে চান জানতে চাওয়া হলে ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন: ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্ব খাদ্য ঘাটতি ও মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট। বাংলাদেশেও তার প্রভাব ইতিমধ্যে আঁচ করা যাচ্ছে, যা আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশে সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনা জরুরি।
‘বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের মুখে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গমসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এতে দেশে দেশে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। বাংলাদেশেও তার প্রভাব সরাসরি পড়ছে।
‘আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে একদিকে বাড়ছে আমদানি ব্যয়, অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে।
‘এসব কারণে দেশে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে, বিশেষ করে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে এখনই সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে। এরই মধ্যে আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপনের আয়োজন চলছে। তাই বাজেটে এ বিষয়ে কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা থাকা চাই।
‘কৌশলগত বলছি এ কারণে যে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সরকার বাজারে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না। আবার গণতান্ত্রিক সরকারের এই লক্ষ্যও থাকে, দেশে নিত্যপণ্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। এ দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় করা সম্ভব।
‘দেশে নির্ধারিত আয়ের মানুষই বেশি। নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলানো তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এখানে বিদ্যমান কর কাঠামোতে পরিবর্তন এনে ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা বর্তমানের তুলনায় কিছুটা বাড়ানো যেতে পারে। এতে নির্ধারিত আয়ের মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।
‘সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো দরকার। এর মাধ্যমে বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পরিধি বাড়ানো সম্ভব। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ সুবিধা পাবে।
‘খাদ্যনিরাপত্তা বাড়াতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে জোর দিতে হবে। কৃষক যাতে উৎপাদনে আগ্রহী হয়, সে জন্য ভর্তুকি আরও বাড়াতে হবে। সেচ, বিদ্যুৎ, বীজ, কীটনাশক এবং মাড়াই যন্ত্রপাতি সহজলভ্যের মধ্যে রাখতে হবে।
‘বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এরই মধ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনার অর্থ আরও বাড়াতে পারে সরকার। এটা করা গেলে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও সুসংহত হবে।
‘মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি মোকাবিলা করাই বড় চ্যালেঞ্জ’
আগামী বাজেটে কোন দিকগুলোতে নজর দেয়া উচিত, জানতে চাইলে বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইন্ডাস্ট্রির (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল- আলম পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘এ মুহূর্তে বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী বাজেটে অভ্যন্তরীণ শিল্প, কৃষি এবং রপ্তানিমুখী খাতের সক্ষমতা বাড়ানোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত।
‘যতদিন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান না হবে, ততদিন গোটা বিশ্ব খাদ্য, জ্বালানি, উৎপাদন ও সরবরাহ সংকটে থাকবে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। এই ঝুঁকি মোকাবিলা করাই হবে আগামী বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ।
‘সংকটময় পরিস্থিতি সামাল দেয়ার একটাই পথ খোলা আছে, সেটি হলো অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এর পাশাপাশি শিক্ষা খাতে সংস্কার এবং কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।
‘বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতির সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে। মুক্তবাজার অর্থনীতির কারণে বাংলাদেশও ঝুঁকির বাইরে নয়। এ পরিস্থিতিতে মানুষ সংকটে পড়লে বাড়তি ব্যয় কমিয়ে দেবে।
‘যেহেতু ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশে মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে যাচ্ছে, তাই সেসব দেশে কাপড় কেনার চাহিদা কমবে। তখন যদি ক্রেতা-ভোক্তারা সস্তায় জিনিস না পায়, তাহলে রপ্তানি বাজারে টিকে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়বে। এতে করে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় কমে যাবে।
‘এরই মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমে গেছে। বিশ্বব্যাপী পণ্যের দামের উল্লম্ফনে সব ধরনের পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভও কমে গেছে। ব্যয় আরও বেড়ে গেলে সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমদানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই আমাদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
‘সক্ষমতা বাড়াতে হবে উৎপাদন খাতের। আমাদের উৎপাদনের মূল উৎস কৃষি। এর বাইরে রয়েছে ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদনমুখী খাত। এখন আমাদের সেবা পণ্যও রপ্তানি হচ্ছে।
‘শিল্প, কৃষি ও সেবার উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ার বহুমুখী সুবিধা আছে। এ উদ্যোগ নিলে যেমন আমদানিনির্ভরতা কমবে, পাশাপাশি রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতাও বাড়বে। আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও সুরক্ষিত থাকবে।
‘অভ্যন্তরীণ উৎপাদন খাতের সক্ষমতায় জোর না দিলে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হবে না। এটা না হলে কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বাড়বে না।
‘আমি মনে করি, সক্ষমতা বাড়লে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতার উন্নয়ন ঘটানো গেলে বর্তমানের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি রেমিট্যান্স আনা সম্ভব।
‘কর্মসংস্থানে শিল্পায়নকে গুরুত্ব দিতে হবে’
বাজেট নিয়ে ভাবনা জানতে চাওয়া হলে রংপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী বলেন, ‘আগামী অর্থবছরের বাজেটে বৈষম্য কমানোর বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে শিল্পায়নকে প্রাধান্য দিতে হবে।
‘জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের (এসডিজি) মূল ফোকাস হলো: সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। তা ছাড়া ২০২৬ সালের পর আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছি। সে জন্য বেকারত্ব দূর করতে হবে, আয় বাড়িয়ে ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থসামাজিক অবস্থার আরও উন্নতি ঘটাতে হবে। এর জন্য দরকার সবার জন্য সুষম উন্নয়ন। উন্নয়ন পরিকল্পনায় বৈষম্য দূর করা গেলেই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
‘স্থানীয় অঞ্চলভেদে নানা ধরনের সমস্যা আছে। তবে একেক এলাকার একেক রকম সমস্যা প্রাধান্য পায়। বাজেট পরিকল্পনায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিতে হবে।
‘আমার অঞ্চলে এখনও কোনো ভারী শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানে বেকারত্ব প্রবল। কারণ, শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এখনও নিশ্চিত হয়নি। এর বিপরীতে রংপুর বিভাগের পরিচিতি হচ্ছে কৃষিভিত্তিক অঞ্চল। এখানকার অর্থনীতিও কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
‘এ অঞ্চলের কৃষি ফসল সারা দেশের খাদ্যচাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখে। কিন্তু এর পেছনে যারা মুখ্য ভূমিকা রাখে, সেই কৃষক ও কৃষিপণ্যের ব্যবসায়ীদেরও সমস্যা প্রবল। দিন দিন তাদের সক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
‘কোনো এলাকায় শিল্পায়ন হলে সেখানে বেকার লোকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মানুষের আয় বাড়ে এবং তার জীবনযাত্রারও উন্নতি ঘটে। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় বিনিয়োগকারীরা শিল্পায়নে উৎসাহ বোধ করেন না।
‘প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় শিল্পায়নের প্রসারে এবং অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদে সব ধরনের ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফ চাই। এ সুবিধা দেয়া হলে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হবে।
‘খাদ্য ঘাটতির ঝুঁকি মোকাবিলার একমাত্র উপায় হলো স্থানীয় কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এ ক্ষেত্রে কৃষিতে ভর্তুকি আরও বাড়াতে হবে। কৃষক পর্যায়ে সার, বীজ ও কীটনাশক ও সেচ ব্যবস্থায় সহায়তা দিতে হবে।
‘সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টে সরাসরি সহায়তার অর্থ পাঠানো হলে কৃষকের অনাগ্রহ দূর হবে। এতে করে রংপুর অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনও বাড়বে, যা দিয়ে সারা দেশের খাদ্য চাহিদার ৮০ শতাংশের জোগান দেয়া সম্ভব।
‘এ অঞ্চলে বেনাপোলের মতো একটি বড় বন্দর চালু করা দরকার। এখানে হিলি, বাংলাবান্ধা, টেরাবান্ধা ও সোনারহাট– চারটি বন্দর থাকলেও কোনোটিই কার্যকর নয়।
‘রংপুর অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভিত্তি আরও সম্প্রসারিত করতে চারটি বন্দরের পরিবর্তে বেনাপোলের মতো বিকল্প বন্দর ঘোষণা দেয়া জরুরি। এটি করা গেলে রংপুরে উৎপাদিত পণ্য সহজেই ভারতের সেভেন সিস্টারসহ নেপাল, ভুটানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। একইভাবে ভারত থেকে আসা পণ্য বেনাপোল হয়ে রংপুরে আনার বাড়তি খরচ থেকে বেঁচে যাবেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন:শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।
এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।
তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেয়া।
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সাথে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।
১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক অস্থিরতা সামাল দিতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক মুদ্রানীতি সমন্বয় সাধন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা। বহু দেশ সংকটে পড়ে এই সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে- কেউ সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে, কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণনির্ভরতার ফাঁদে পড়ে গেছে।
আজ, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য ক্রমশ পশ্চিমকেন্দ্রীকতা থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আইএমএফ তার প্রাসঙ্গিকতা ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন।
ঋণ সহায়তা, নাকি ঋণের ফাঁদ?
আইএমএফ সাধারণত এমন শর্তে ঋণ দেয়, যার মধ্যে থাকে কঠোর ব্যয়সংযম, ভর্তুকি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারমুখী সংস্কার; কিন্তু এই শর্তগুলো অনেক সময় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিল্প ধসে পড়ে, বৈষম্য বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ২০১৮ সালে আইএমএফ ইতিহাসের বৃহত্তম ঋণ প্যাকেজ ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ফল ছিল বিপরীত- মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায় এবং দেশটি আবার মন্দার মুখে পড়ে।
এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে শুধু অর্থনৈতিক সমীকরণ দিয়ে কোনো দেশের সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ চলে না।
আইএমএফের নীতিনির্ধারণ কাঠামো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শক্তির ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। উন্নত দেশগুলো (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংগঠনের ভোটের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। এই গণতান্ত্রিক ঘাটতি আজ দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।
বিকল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান
এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) এবং ল্যাটিন আমেরিকান রিজার্ভ ফান্ড (FLAR) নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। (NDB) এর সহায়তা তুলনামূলকভাবে শর্তমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক। এখানে প্রতিটি দেশের ভোটের ও প্রতিনিধিত্বের সমান সুযোগ আছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও আগ্রহী করে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন শুধু আর্থিক বিকল্প নয়- এরা এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের বাহক। সেই দর্শনে উন্নয়ন নির্ধারিত হয় স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে, বাইরের চাপ বা রূঢ় শর্ত নয়।
বিশ্ব আজ বহুমেরু। অর্থনৈতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে নানা অঞ্চলে। এই বাস্তবতায় টিকে থাকতে হলে আইএমএফকে নিজস্ব কাঠামো ও দর্শনে রূপান্তর আনতে হবে। প্রয়োজন গভর্ন্যান্সের সংস্কার, নীতিনির্ধারণে সমান অংশগ্রহণ, এবং সর্বোপরি সহানুভূতিশীল ঋণ নীতিমালা।
আইএমএফ যদি সত্যিই বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার অভিভাবক হতে চায়, তাহলে তাকে হতে হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, এবং আঞ্চলিক বাস্তবতাসম্মত এটি শুধু আইএমএফের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দ কর তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পরমর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময়ে এবারের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস।’
‘গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই সরকারের এই সময়ে অন্যতম সাফল্য ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা,’ যোগ করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঋণ বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহির্খাত, রেমিট্যান্স, রপ্তানি, দায়-দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।’
তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে কোনো চমক থাকছে না।’
‘যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে, তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো, সেগুলো অব্যাহত আছে,’ বলেন তিনি।
সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি বিতর্ক সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
মন্তব্য